গুরুত্ব দিতে হবে "না" বলার বিষয়টিকেও
মানুষ সামাজিক জীব। সুতরাং মানুষকে সমাজে বসবাস করতে হলে একে অপরের সঙ্গে মিশতে হয়। আবার অনেক সময় অপরের সঙ্গে চলাফেরাও করতে হয় বিভিন্ন জায়গায়। সবার সঙ্গে মিশতে গিয়ে হোক কিংবা চলাফেরা করতে গিয়েই হোক একসময় ধীরে ধীরে পরস্পরের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে।
কাছের এবং দূরের সকল মানুষের সঙ্গে যে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে, মানুষ সবার সাথে এই সম্পর্কগুলো সব সময় টিকিয়ে রাখতে চায়।সুসম্পর্কগুলো যাতে সব সময় টিকে থাকে তার জন্য আমরা বিভিন্ন কিছু করে থাকি। যেকোনো কিছু করতে বললে আমরা তা ফেলতে পারিনা। আর আমরা ভাবি যদি কাজটি না করি হয়তো ওই কাছের মানুষটি মন খারাপ করবে। অর্থাৎ সবকিছুতে আমরা চেষ্টা করি কাছের মানুষগুলোর মুখ রক্ষা করার।
বর্তমান যুগের ছেলে মেয়েদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল- কারো কথা না ফেলা, সব সময় মুখ রক্ষা করে চলা। আর মুখ রক্ষা করে চলতে গিয়ে আমরা নষ্ট করে ফেলি আমাদের মূল্যবান সময় গুলোকে। যার ফল হয়তো এখন আমরা টের পাচ্ছি না, কিন্তু ভবিষ্যতে এর জন্য আফসোস করতে হবে। আবার অনেক সময় অন্যের মুখ রক্ষা করে চলতে গিয়ে তরুণ ছেলেমেয়েরা খারাপ হয়ে যায়।
সমাজে চলতে গেলে আমাদের বিভিন্ন ধরনের মানুষের সঙ্গে মিশতে হয়। সেটা এখন হোক ভালো মানুষ কিংবা খারাপ মানুষ। তরুণ ছেলেমেয়েরা সব সময় এলাকার কিংবা এলাকার বাহিরের নতুন নতুন বন্ধু বান্ধবদের সঙ্গে পরিচিত হয়। এদের মধ্যে কিছু বন্ধুবান্ধব ভালো হয়, আবার কেউ কেউ খারাপও থাকে। খারাপ বন্ধুরা অনেক ধরনের নেশায় কিংবা রিলেশনশিপে আসক্ত। তাদের সঙ্গে মুখ রক্ষা করে চলতে গিয়ে অনেক সময় ভালো রাও খারাপ হয়ে যায়। আবার অনেক সময় দেখা যায় ভালো বন্ধুরাও কোথাও ঘুরতে যাওয়া কিংবা বাইরে কোথাও খেতে যাওয়া ইত্যাদি কাজের মাধ্যমে আমাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে দেয়।
শুধু যে খারাপ কাজ থেকে নিজেকে আত্মরক্ষার জন্য না বলা জরুরী তা নয়, অন্যের কাজের জন্য নিজের মূল্যবান সময়গুলো বাঁচাতেও না বলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। না বলার কারনে কাছের মানুষ গুলো হয়তো কিছুদিনের জন্য মন খারাপ করে থাকবে। কিন্তু তারপর ঠিকই বুঝতে পারবে-কোন কাজের জন্য আপনাকে ডাকা উচিত, আর কোন কাজের জন্য ডাকা উচিত নয়। আত্মসচেতনতাই "না" বলার বিষয়টির জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
বর্তমান যুগের ছেলে মেয়েদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল- কারো কথা না ফেলে, সব সময় মুখ রক্ষা করে চলা- সুন্দর বলেছেন ভাই।ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাইজান অত্যান্ত সুন্দর ভাবে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয় ভাইয়া🥰😍
আপনি খুব সুন্দর কথা বলেছেন যুক্তি দিয়ে।আসলে আগে আমাদের নিজে নিজেকে সময় দিতে হবে তারপর অন্যের চিন্তা।কিন্তু আমরা অনেক সময় নিজেকে সময় না দিয়ে অন্যের সময়কে বেশি গুরুত্ব দিয়ে ফেলি।নিজেদের যথাযথ সময়ের পাশাপাশি অন্যদেরকে ও সাহায্য করতে হবে ভালো কাজে।ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি।