বাণিজ্যিকভাবে আঠা উৎপাদন হচ্ছে বান্দরবানের লামা উপজেলায়।
হ্যালো বন্ধুরা।
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই অনেক ভালো আছেন। বান্দরবানের লামা উপজেলা দিয়ে অতিক্রম করার সময় এক ধরনের বিশেষ গাছের দেখা পেয়েছিলাম আমরা। অনেক গল্প শুনেছি আঠার গাছের। অনেক ভিডিওতেও দেখেছি আঠার গাছ থেকে আঠা সংগ্রহ করতে।
চাঁদের গাড়িতে যাওয়ার সময় হঠাৎ এই চোখে পড়লো কিছু গাছ সেখানে একদম নিচের দিকে ক্রস আকৃতিতে গাছের বাকল কেটে ছোট্ট একটি পাত্র ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। কাটা অংশ দিয়ে সাদা আঠা বেয়ে বেয়ে পড়ছে পাত্রটিতে। জীবনের প্রথম স্বচক্ষে আঠার গাছ দেখলাম। প্রথমে অল্প কয়েকটি দেখেছিলাম পরবর্তীতে যত সামনে আঘাত ছিলাম গাছে পরিমাণ ততই বেশি দেখতে পাচ্ছিলাম।
কিছুক্ষণ পরেই বুঝতে পারলাম এখানে বাণিজ্যিকভাবে বৃহৎ পরিসরে আঠা উৎপাদন করা হয়। শেষের দিকে যেয়ে কয়েকটি ছবি তুলতে পেরেছিলাম। কিছু জায়গায় দেখলাম ছোট ছোট গাছ কিন্তু প্রচুর পরিমাণে লাগানো রয়েছে রাস্তার দু'ধারে। কিছু কিছু জায়গায় এই কাজগুলো অনেক মোটা কিন্তু সেগুলো একটু ফাঁকা ফাঁকা। আমার মনে হলো যখন গাছগুলো বড় আকৃতির হয়ে যায় তখন গাছগুলো রাস্তার ধার থেকে উঠিয়ে নিয়ে নির্দিষ্ট বাগানে রোপন করা হয়।
যে কাজগুলো থেকে আঠা সংগ্রহ করা হয়েছিল সেই দৃশ্যটা দেখতে অনেক সুন্দর ছিলো। যেদিকে বাগানগুলো ছিলো, সূর্যের আলো সে দিকে থাকায় ক্যামেরার ছবি ভালো আসেনি। তারপর আবার চলন্ত গাড়িতে দাঁড়িয়ে দ্রুত ছবি তুলতে বেশ কষ্ট হচ্ছিলো।
আঠারগাছ সম্পর্কে আমি গুগলের সার্চ করলাম, তাতে কিছু ইনফরমেশন পেলাম কিন্তু বান্দরবানের এই গাছগুলো সম্পর্কে নির্দিষ্ট কোন তথ্য পেলাম না। সম্ভবত এই গাছগুলোর নাম আকাশমনি। আমি নিশ্চিত নই। কারো যদি জানা থাকে অবশ্যই জানাবেন। তবে ইন্টারনেট থেকে কিছু তথ্য পেয়েছি তাতে জানতে পারলাম আলীকদম লামা, একজন বৌদ্ধ ভিক্ষু বান্দরবানের রুমা উপজেলার থানচিং পাড়ায় আঠার গাছ চাষের জন্য পরিচিত।
রাস্তার দু'ধারে এই কাজগুলো থাকলে আরো একটি বাড়তি সুবিধা পাওয়া যায়। যখন বর্ষার সময় তখন অতিরিক্ত পানি প্রবাহের কারণে অনেক সময় পাহাড়ের এক পাশ ধ্বসে যায়। এই গাছগুলোর ফলে মাটি আটোশাটো থাকে যা ধ্বস রোধ করতে সাহায্য করে। এতে বলাই যায় এই ধরনের আঠা চাষ প্রকল্প বান্দরবানের প্রকৃতির ক্ষতি রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

আঠার গাছ সম্বন্ধে দারুন কিছু তথ্য আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন ভাইয়া। আসলে এই আঠার গাছ সম্বন্ধে আমি এই প্রথম আপনার পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম এবং গাছগুলিও দেখতে পারলাম। আর বাণিজ্যিকভাবে যে গাছ তৈরি হয় এটাও জানতে পারলাম। পাহাড় ধসে যাওয়া থেকে রক্ষার্থে আঠারগাছ চাষ করা আমিও যথাপিযুক্ত মনে করছি ভাইয়া। নিঃসন্দেহে বান্দরবান এলাকার জন্য এই গাছটি অনেক বেশি উপকারী।
আঠার গাছ সম্বন্ধে অনেক শুনেছি, তবে বাস্তবে দেখার সুযোগ হয়নি কখনো। আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আঠার গাছ দেখে আসলেই খুব ভালো লাগলো। চলন্ত গাড়ি থেকে ছবি তোলা আসলেই খুব কঠিন। বাণিজ্যিকভাবে আঠা উৎপাদন হওয়ার পাশাপাশি, বান্দরবানের প্রকৃতির ক্ষতি রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে, এটা আসলেই খুব ভালো একটি নিউজ। ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকারভাবে ক্যাপচার করেছেন ভাই। সব মিলিয়ে পোস্টটি বেশ উপভোগ করলাম। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আমিও আঠার গাছের কথা শুনেই এসেছিলাম দেখিনি বা হয়তো দেখেছি চিনি না। আজকে আপনার ছবি গুলো দেখে বুঝতে পারলাম এইগুলা হচ্ছে আঠার গাছ। আর আপনি ঠিক বলেছেন ভাইয়া , গাছ গুলো বান্দরবানকে সুরক্ষিত রাখছে। কেননা গাছ মাটি ভাঙ্গন রোধ করে।
আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম ভাইয়া আলীকদম লামা, একজন বৌদ্ধ ভিক্ষু আঠার গাছ চাষের জন্য পরিচিত। আমি আঠা গাছ কোন দিন দেখিনি আপনার ছবির গান গুলো দেখে বুঝতে পারলাম এগুলো আঠা গাছ। রাস্তার পাশে গাছ থাকলে সম্ভবত বর্ষার সময় মাটিগুলো রক্ষা করে। গাছের শিকড় মাটিগুলোকে আটকে রাখে। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আমি জানি বাংলাদেশে বাণিজ্যিক ভাবে আঠা উৎপাদন হয়। সিলেট আর চট্রগ্রামের বিষয়টা জানতাম তবে বান্দরবান যে আঠা উৎপাদন হয় সেটা জানা ছিল না। রাবার বাগানের ভিতর দিয়ে যেতে কিছুটা ভয় লাগলেও অনেক ভালো লাগে। আমি সিলেট রাবার বাগান পরিদর্শন করেছিলাম। ধন্যবাদ।