পেছনের গল্প( পর্ব: ৭ )!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
২০২০ সালের মার্চ,করোনা ভাইরাস তখন বাংলাদেশে প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করেছে। লকডাউন অবস্থায় পুরো বাংলাদেশ। প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই যাচ্ছে। এক অন্যরকম আতঙ্কে দিন কাটছিল। কেউ বাড়ি থেকে খুব একটা বের হতো না। এমন একটা দানব পৃথিবী জুড়ে আক্রমণ করে যে দেশ জাতি ধর্ম নারী পুরুষ কোন কিছুই দেখত না। মানুষের সাথে মানুষের সম্পর্ক হয়ে যায় অন্যরকম কারো মধ্যে কিছুটা লক্ষণ দেখা দিলেই তাদের থেকে সবাই দূরত্ব বজায় রাখত। মোটামুটি কিছুদিন বেশ ভালোই কেটেছিল আমার। কিন্তু সমস্যার শুরু টা হয় কিছুদিন পর থেকে। বাড়িতে আর ভালো লাগত না। কোন কাজ নেই কিছু নেই সারাদিন বাড়িতে ভালোই বা লাগে কার। একপর্যায়ে গিয়ে একঘেয়েমি শুরু হয়ে যায় । অত্যন্ত অস্থিরতা কাজ করতে থাকে ভেতরে।
গ্রামের তুলনায় শহরে ভাইরাসের প্রকোপ ছিল বেশি। এবং শহরে লকডাউনের কঠোরতা ছিল বেশি। গ্রামের দিকটা কিছুটা কম ছিল। ঐসময় একটা বিকল্প আবিস্কার করি আমি। একদিন বিকেলে কোন একটা কাজে মাঠে গিয়ে দেখি অসাধারণ এক পরিবেশ। চারিদিক নিরিবিলি কোন মানুষের চিৎকার চিল্লাচিল্লি নেই। পাখিদের কিচিরমিচির আওয়াজ। পাশাপাশি একটা সিগ্ধ বাতাস এসে ধানক্ষেত টা নাড়িয়ে দিয়ে যাচ্ছে সাথে আমাদের হৃদয় টাও। তখন সিদ্ধান্ত নেয় প্রতিদিন বিকেলে কিছুটা সময় মাঠে এসে অতিবাহিত করলে খারাপ হয় না। সময় টাও কেটে যায় একঘেয়েমি টাও দূর হবে। ঐরকম সিদ্ধান্ত নেয়। এবং এরপর থেকে প্রতিদিন বিকেলে মাঠে চলে যেতাম।
প্রথম কয়েকদিন শুধু আমি একাই ছিলাম। কিন্তু এরপর আমার এলাকার একটা ফ্রেন্ড এবং একজন বড় ভাই যোগ দেয়। বিকেলের মাঠ আকাশ বাতাস ঘাস সবকিছুই ছিল চমৎকার। আরেকটা আশ্চর্যের ব্যাপার করোনার কারণে মানুষ ছিল ঘরবন্দী। এবং এই সময়ে পুরো পৃথিবীর দূষণের মাএা কমে গিয়েছিল। প্রকৃতি আবার নতুন করে সেজে উঠেছিল। বাতাসে কলকারখানার ধোঁয়া ছিল না একেবারেই। আকাশ ছিল একেবারে মুক্ত বাতাসে ছিল প্রশান্তি। বিকেলে মাঠে গিয়ে আকাশ টা দেখতেই একটা ভালোলাগা কাজ করত। কী অসাধারণ সেই আকাশের দৃশ্য টা। কখনও কখনও আকাশের দিকে তাকিয়ে গভীর ভাবনায় ডুবে যেতাম। কখনও কখনও ইচ্ছা হতো আকাশে পাখির মতো ডানা মেলে উড়ে যেতে। কোন বাঁধা নেই শাসন নেই।
তখন মাঠে ধান ছিল। ধান তখনও পাকেনি। সবুজ ধান যখন বাতাসে মাথা দোলাতো দেখতে বেশ চমৎকার লাগত। মাঠে যতদূর চোখ যেত শুধু ধান চোখে পড়ত। দূরের গাছপালা ঘেরা গ্রাম থেকে কোন একটা আওয়াজ ভেসে আসতো। পায়ের নিচের ঘাসটাও যেন সজীবতা ফিরে পাই। ঐসময় টা কিছুটা আতঙ্কে কাটলেও ঐ প্রথম আমি প্রকৃতির কাছাকাছি হয়েছিলাম। আমি অনুধাবন করতে শিখেছিলাম প্রকৃতির সাথে মানুষের নিবিড় সম্পর্কটা। তখন থেকেই প্রকৃতি এবং একাকিত্ব টা আমাকে পেয়ে বসে। আজ এতো বছর পরেও ঐ দিনগুলোর কথা আমি ভুলিনি। প্রতিটা মূহূর্তের কথা আমার মনে আছে। সময় চলে যায় বিপদ কেটে যায় কিন্তু পেছনের কথাগুলো সবসময় স্মৃতিতে থেকে যায়।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
https://x.com/Emon423/status/1910528107997782117?t=GMoRTXst155YBT4xL7cIjw&s=19
https://x.com/Emon423/status/1910528596181139557?t=NV2etNxZTr3cslvTZtANhw&s=19
https://x.com/Emon423/status/1910528875232452792?t=UUp2uRyyRbjiSGxZgGLMQg&s=19
https://x.com/Emon423/status/1910529065091817515?t=TPFFmx_q1vuG8AjQr6BOYA&s=19
https://x.com/Emon423/status/1910529266153927071?t=yUxYy7hgtReJqC-u4uzJRA&s=19
https://x.com/Emon423/status/1910607452686471187?t=rg2LM9D9_dx8u407UlbOuw&s=19
https://x.com/Emon423/status/1910608094176108968?t=bgXze1iwfRzV6wcdTz2ldg&s=19
https://x.com/Emon423/status/1910608365648306287?t=QL0kr2xFNLTX1AqScOsfmw&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.