সচেতনতার দরকার ||@shy-fox 10% beneficiary
আমি জাতিগতভাবে বাঙালি, তবে আমি স্বভাবগতভাবে বিকৃত মস্তিস্কের মানুষ। এ কথাটা কেন বললাম সেটার ব্যাখ্যা, আমি একটু পরে দেওয়ার চেষ্টা করব। সারাদিন আমি উদার মন-মানসিকতার বুলি আওড়িয়ে বেড়াই, আর সারদিন আমি সামাজিক কর্মকান্ড নিয়ে ভীষণ লেকচার বাজিতে ব্যস্ত থাকি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে। কিন্তু বাস্তবিক জীবনে আমি কেমন, সেটার আমি উদাহরণ দিচ্ছি।
প্রকৃতি তার নিজের গতিতে চলে, এটা ভীষণ স্বাভাবিক নিয়ম কিন্তু প্রকৃতিকে সংরক্ষণ করার দায়িত্ব কিন্তু আমাদের। আর আমাদের ব্রত এমন হওয়া উচিত । ঘটনাটি কয়েকদিন আগের, আমি যখন শহরের বাসা দেখতে গিয়েছিলাম ঠিক ঐ গলিতে একটা বাসা দেখতে পেলাম তার আশেপাশে একদম ঝাউ জঙ্গল দিয়ে ভরে গিয়েছে। আমি কোন ভাবেই বুঝতে পারলাম না, বাসার মালিক কেন এই ঝাউ জঙ্গল পরিষ্কার করছে না, নাকি সে এমনভাবে থাকতেই পছন্দ করে। এটাও আমার ভীষণ চিন্তার ভিতরে ঢুকে গিয়েছিল ।
সারাদিন মাইক বাজছে,সারা দিনরাত টিভিতে সচেতনতার বিজ্ঞাপন দেখাচ্ছে,বলছে বাড়ির আশেপাশে পরিস্কার করুন নতুবা ডেঙ্গু হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। কিন্তু এই ভদ্রলোকের বাড়ির অবস্থা দেখে, আমি অবাক হয়ে গিয়েছে। ইতঃস্তত বোধ করছি না জানি বাড়ির ভিতরের অবস্থা কি?
শহর এলাকার মানুষ অনেক ব্যস্ত, তারা অনেকটা রোবটিক লাইফ লিড করে। তবে আমি মনে করি,নিজের ভিতরটা ফিটফাট রাখলে চলবে না,আশেপাশটাও ফিটফাট আছে কিনা, এইদিকটাও নজর দেওয়া উচিত। ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে হলে, অবশ্যই নিজের ঘর থেকে শুরু করে বাসা বাড়ির চারিপাশে পরিস্কার আছে কিনা সেই দিকটাও নজর দারিতে রাখতে হবে এবং কোন অবস্থাতেই মশার লার্ভা যেন জন্মাতে না পারে সেই দিকে নজর দিতে হবে। মোটকথা, মশা নিধন করতে যা যা করা দরকার সেইগুলো ভাবে করতে হবে এবং সচেতনা বাড়াতে হবে।
আমরা যদি নিজ দায়িত্বে সচেতন হই তাহলে অবশ্যই ডেঙ্গুর মতো বিভিন্ন রোগব্যাধি থেকে নিজেদেরকে সুরক্ষা দিতে পারি। পরিবেশকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে এবং আশেপাশের পরিবেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে নিজ দায়িত্বে এই কাজগুলো করা উচিত। ব্যস্ততা প্রতিটি মানুষের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ কিন্তু তাই বলে যে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো এড়িয়ে যেতে হবে এটা ঠিক নয়। সত্যি আপু সকলকে সচেতন হওয়া উচিত।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করেছেন।
হায় হায়!!
এই ঘরটার ভিতরে মানুষ থাকে কি করে এইটা ভেবেই তো আমার গায়ে কাটা দিয়ে উঠছে।
থাকে কি করে মানুষ।
আসলে আমরাই অসচেতন তাই এতো রোগ বালাই।
জীবন অদ্ভুত আপু, তারথেকেও বেশি অদ্ভুত তাদের আচার-আচরণ। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপনি প্রতিনিয়ত আমাদের মাঝে পরিবেশের বাস্তব জিনিসগুলোই তুলে ধরার চেষ্টা করেন, গল্পটা অনেক অদ্ভুত ছিল। অনেক সুন্দর এবং গুছিয়ে লিখেছেন ধন্যবাদ আপু।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করেছেন।
জি অবশ্যই। কারণ, সচেতনতা একটি উত্তম চরিত্র। যা সকলেরই জীবনকে সুন্দর করে তোলে।আর আপনার ব্যাক্তিগত আলাপটিও ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আমরা সারাজীবন এর ওর দোষ আর নাহলে সরকারের দোষ দিয়ে আসলাম।তবে আমার মন হয় আমাদের দোষ ই বেশি। এই ডেঙ্গু রোগটার জন্য তো সম্পূর্ণভাবেই আমরা দোষী আর তার প্রমাণ হচ্ছে আপনার এই ছবিগুলা।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
বর্তমান সময়ে সচেতনতা বড়ই অভাব। আমাদের চারপাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে হাজারো অসচেতন মানুষ। পৃথিবীতে বিভিন্ন ধরনের রোগ সৃষ্টির কারনগুলো আমরা নিজেরাই। আমরা আমাদের নিজেদের সুরক্ষার জন্য যদি সঠিক দায়িত্ব পালন করি তবে আমরা ভবিষ্যতে সুরক্ষিত থাকবো। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপহার দিয়েছেন। আপনাকে জানাচ্ছি অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।