শেখার প্রতি মনোযোগ দিন

in আমার বাংলা ব্লগ2 days ago

12-04-2025

২৯ চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼


superb-fairywren-9522955_1280.webp

copyright free image from Pixabay

কেমন আছেন সবাই? আশা করছি আপনারা সবাই অনেক ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো সুস্থ্য থাকাটাই হচ্ছে সবচেয়ে প্রধান বিষয়। আপনি একটা জিনিস খেয়াল করেছেন কি? আমাদের ব্রেইন এখন শর্ট টার্মের যেকোন কিছুর প্রতি মনোযোগ বেশি দেয়। লং টার্মের যেকোন কাজের প্রতি আমাদের একটা অনীহা চলে আসে। কারণ হচ্ছে আমরা যখন কোনো কাজ শুরু করি তখন সেটাতে এতোটা মনোযোগ দেয় না। যার ফলে হয় কি কাজটা সম্পূর্ণ হয় না! কিন্তু যেকোন কাজে আপনি যদি মনোযোগ দিয়ে করতে পারেন তাহলে সে কাজটা শেষ করতে ততটাই সহজ হয়। তবে ঐ যে বললাম আমাদের মনোযোগ দিতে পারি না! তার কারণ আসলে কি?

কারণ হলো প্রযুক্তির উৎকর্ষতার কারণে আমরা মনোযোগ অনেকাংশে হারিয়ে ফেলেছি। বর্তমান সময়ে ফেইসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব এ শর্ট ভিডিও অনেক পপুলার। তার কারণ আসলে কি? শর্ট ভিডিও পপুলার কেন? কারণ দিনকে দিন আমাদের ব্রেইন এমন হচ্ছে যে আমরা ধৈর্যশক্তি হারিয়ে ফেলছি। কোনো লং টার্মের এডুকেশনাল ভিডিও পেলে শুরুতে আমরা অনেকটা আগ্রহ নিয়ে দেখা শুরু করি। কিন্তু তারপরে আমাদের মাঝে অলসতা বা ভালো না লাগার ব্যাপারটা চলে আসে। আমাদের ব্রেইন ধরে নেয় ভিডিওটা বড়, শেখাটা কঠিন! কিন্তু আমাদের মাঝে যদি শেখার প্রতি মনোযোগটা থাকতো তাহলে কিন্তু লং টার্মের ভিডিও আমরা দেখতে পারতাম।

ধরুন, আপনি একজন ছাত্র। আপনার নিয়মিত পড়াশোনা করতে হয়। আর পড়াশোনাটা ইফেক্টিভ উপায়ে করতে হলে আপনাকে যথেষ্ট মনোযোগ সহকারে পড়াশোনা করতে হবে। এক গবেষণায় উঠে এসেছে পড়াশোনার সময় প্রতি ২৫ মিনিট পর পর পাচঁ মিনিট ব্রেক নিয়ে পড়াশোনা করলে সেটা অনেক ইফেক্টিভ হয়। কিন্তু আমরা তা করি না। আমরা একটানা পড়াশোনা করতে থাকি। তার ফলে হয় কি ব্রেইনে সেটা বেশিদিন থাকে না। ব্রেইনে যদি কোনো পড়া বেশিদিন রাখতে চান তাহলে কার্যকরী উপায়ে পড়াশোনা করতে হবে। আর মনোযোগের ক্ষেত্রে আমাদের সবচেয়ে বড় বাধাঁ হলো সোস্যাল মিডিয়া, ফোন!

আপনি পড়াশোনা করছেন বা কোনো কাজ করছেন। হঠাৎ করেই ফোনে টুং করে একটা আওয়াজ এলে আপনার কানে। আপনি আগ্রহ নিয়ে ফোনটা হাতে নিলেন। নিয়ে দেখলেন একটা অপ্রয়োজনীয় মেসেজ এসেছে। আপনি ফোনটা হাতে নিয়ে ইন্টারনেট ওপেন করলেন। তারপর সোস্যাল মিডিয়াতে অনেক্ষন স্ক্রল করলেন। কিন্তু আপনার খেয়াল নেই আপনি যে পড়তে বসেছিলেন অথবা কোনে একটা কাজ করতে বসেছিলেন। এজন্য সবচেয়ে ভালো হয় আপনি যখন কোনো কাজ করবেন তখন সেটার প্রতি ১০০% মনোযোগ নিয়ে আসার জন্য ফোন থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করা। খুব বেশি দরকার না হলে ফোনটাকে সাইলেন্ট মোডে রাখা যেতে পারে। এতে আপনার কাজে দেখবেন মনোযোগ বৃদ্ধি পাবে।

আমি নিজেও দরকার ছাড়া ফোন জেনারেল মোড করি না। কারণ আমি যখন কোনো কাজ করি তখন সেটা মনোযোগ সহকারে করার চেষ্টা করি । এই যে এখানে যখন পোস্ট করি তখন ফোনটা সাইলেন্ট মোডে রেখে দেয় পাশাপাশি ডাটা অফ করে রাখার চেষ্টা করি। এতে হয় কি মেসেঞ্জার বা ফেইসবুকের কোনো নোটিফিকেশন আসে না। তখন আমার মাথায় যে কথাগুলো আসার কথা ছিল সেগুলো ভালোভাবে লিখতে পারি। এজন্য মনোযোগ ধরে রাখতে হলে ফোন ব্যবহারে সতর্ক থাকা জরুরি। আমাদের চেষ্টা করা উচিত শেখার প্রতি মনোযোগ দেয়া। আপনি যেকোন কাজ শিখেন না কেন সেখানে মনোযোগ দেয়ার চেষ্টা করুন। ধৈর্যহারা না হওয়া। ধৈর্য ও মনোযোগ দিয়ে যেকোন কাজ করলে সেটা সহজ হয় করতে। তাই আমাদের যেকোন কিছু শেখার ক্ষেত্রে মনোযোগ হতে হবে।



10% beneficary for @shyfox ❤️

1000158488.jpg

PUSS COIN:BUY/SELL

C3TZR1g81UNaPs7vzNXHueW5ZM76DSHWEY7onmfLxcK2iNzq2MSXKSji21JRspt4nqpkXPR5ea7deLzvmJtuzVBwdLJUpBqtgAZ5gHtHPbayD2jR3CWqjkJ.png

ধন্যবাদ সবাইকে



WhatsApp Image 2021-12-23 at 19.46.54.jpeg

আমি কে?

IMG_4442.JPG

আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। বর্তমানে ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর বিএসসি করছি ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যলয় (ডুয়েট) থেকে অধ্যয়নরত আছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত চার বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,কবিতা লেখা,গল্প লেখা ,রিভিউ,ডাই এবং আর্ট করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।

Coin Marketplace

STEEM 0.13
TRX 0.26
JST 0.031
BTC 84559.59
ETH 1635.02
USDT 1.00
SBD 0.73