ব্যস্ততায় ভুলে যাই নিজের যত্ন
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আমাদের জীবনে ব্যস্ততা আছে বলেই আমি মনে করি আমরা বেঁচে আছি। কারণ ব্যস্ততা না থাকলে আসলে আমাদের জন্য বেঁচে থাকাটাও অনেক বেশি কঠিন হয়ে পরতো। কারণ আমরা ব্যস্ত থাকি বলেই কাজের মধ্যে থাকি। আর কাজের মধ্যে থাকি বলেই আমাদের মাথায় নানা ধরনের খারাপ চিন্তা আসে না কিংবা আমরা নানা ধরনের খারাপ চিন্তা থেকে অনেকটা দূরে থাকি। তার কারণ আমাদের মস্তিষ্ক কোনো না কোনো কাজে ব্যস্ত রাখে নিজেকে।
তাই আমি সব সময় আমার লেখায় একটা কথা উল্লেখ রাখি যে, আলহামদুলিল্লাহ আমি ব্যস্ত রয়েছি। অর্থাৎ ব্যস্ত থাকাটাও সৃষ্টিকর্তার অনেক বড় একটি নেয়ামত। কারণ আমাদের চারপাশে একটু ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখবেন যে, এমন অনেক মানুষ রয়েছে যাদের কোনো কাজ নেই এবং কাজ নেই বলে তারা আসলে অনেক বেশি কষ্টের মধ্যে রয়েছে। তাই সেই জায়গা থেকে ব্যস্ততা ভালো জিনিস।
কিন্তু যেটা ব্যস্ততার একটি খারাপ দিক। সেটা হলো, আমরা ব্যস্ততার জন্য নিজের যত্ন নিতে ভুলে যাই এবং নিজের যত না নেওয়ার একটা ফল আমরা যেটা ভোগ করি। সেটা হয় অনেক বেশি দীর্ঘমেয়াদি এবং সেটা হয় ও এতোটাই পরে যে আমরা আসলে সেটা শুধরে নেওয়ার সময় পর্যন্ত পাই না। আমার নিজের ক্ষেত্রেও এটা অনেকবার হয়ে থাকে। অর্থাৎ আসলে এতো বেশি অসুস্থ হয়ে যাই মাঝেমধ্যে আর তার জন্য আসলে চিকিৎসা করতে হয় অনেক লম্বা দিন পর্যন্ত। অর্থাৎ বলা চলে রোগটা যেহেতু অনেকদিন ধরে এরপরে হয়েছে। তাই চিকিৎসা ও করাতে হয় অনেকদিন ধরে, যেটা বেশ কষ্টসাধ্য বলা চলে।তাই আমার মনে হয় আমরা যে এই যে ব্যস্ততার কারণে নিজেদেরকে আসলে সময় দেই না এবং নিজেদের যত্ন নিতে ভুলে যাই, তবে সেটা করা উচিত নয় । আমাদের উচিত আসলে সব সময় ব্যস্ততার পাশাপাশি নিজের যত্ন নেওয়া।