শৈশবের ব্যাডমিন্টন খেলা
আজ হঠাৎ করেই কোন ধরনের পরিকল্পনা ছাড়াই ব্যাডমিন্টন খেলতে এসেছিলাম। এর পিছনে অনেক বড় একটি ঘটনা রয়েছে। সাধারণত আমি বাসায় আসলে খুব বেশি একটা বন্ধু বান্ধবের সাথে মেলামেশা করি না। বলতে গেলে আমার খুব বেশি একটা বন্ধু বান্ধব নেই এই নীলফামারী শহরে। সব মিলিয়ে নিজের জীবনটাকে এমন ভাবে গুছিয়ে নিয়েছে যাতে একাকীত্ব আর বেশি খারাপ বলে মনে না। শুধুমাত্র নিজের যেসব দিন যাপনে ব্যবস্থা থাকা দরকার তার মধ্যেই আমি সীমাবদ্ধ থাকার চেষ্টা করি এবং নিজের মধ্যেই নিজের সুখটা খুঁজে নেওয়ার চেষ্টা করি।
তো আজকে ব্যাডমিন্টন খেলতে গিয়ে সেই অতীতের কিছু কথা মনে পড়ে গেল। সেই সময় খেলার জন্য কত বকাবকি খেয়েছি, কত ধরনের স্ট্রাগল করেছি, সেটা হয়তো আমাদের ৯০ দশকের ছেলে মেয়েরাই ভালো বুঝতে পারবে। তখন আমাদের জন্য কোন কোড ছিল না। সাধারণত বড় ভাইয়েরাই আমাদের এলাকায় ব্যাডমিন্টন কোর্ট কেটে সেখানে খেলাধুলা করতো সেখানে যে আলোটা ছিল সেখানেই কিন্তু আমরা ছোট ছোট ছেলেরা খেলাধুলা করার চেষ্টা করতাম। হাহাহা।
এছাড়াও রাতের অন্ধকারে খুব বেশি একটা খেলা যেত না। সব মিলিয়ে ছোটবেলা যখন ক্লাস ওয়ান বা টু এ পড়তাম তখন এ ধরনের অনেক ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। পরে যখন আস্তে আস্তে বড় হলাম আমরা নিজেদের উদ্যোগে এই কোট কেটে ব্যাডমিন্টন খেলা শুরু করলাম। সেই স্মৃতিগুলো আসলে কখনো ভোলা সম্ভব না। এই তো নয় বছর ধরে একটি ব্যাডমিন্টন হাতে নেওয়া হয়নি। সবমিলিয়ে আজকে এই খেলতে এসে অনেকগুলো ছোটবেলার স্মৃতি মনে পড়ে গেল, মনে পড়ে গেল সেসব মধুর সময়ের কথা। আপনাদের কি এ ধরনের কোন মধুর স্মৃতি রয়েছে? সেটা অবশ্যই মন্তব্যে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
আপনার ছোটবেলার অতীতের সাথে আমার ছোটবেলার অতীত একদম পুরোপুরি মিলে গেল। রাতের বেলায় বড়রা খেলাধুলা করে অবশিষ্ট যে ফেদার থাকতো সেটা আমাদেরকে দিত সেই সাথে তাদের কোর্টের পাশে সামান্য আলোয় আমরা ছোটরা সবাই একসাথে খেলতাম।
ছোটবেলায় ব্যাডমিন্টন খেলতে ভীষণ ভালো লাগতো। বড় ভাইয়েরা সন্ধ্যার পর নেট এবং লাইট দিয়ে ব্যাডমিন্টন খেলতো, আর আমরা বিকেলে ব্যাডমিন্টন খেলতাম। একটু বড় হওয়ার পর আমরাও সন্ধ্যার পর ব্যাডমিন্টন খেলতাম। সেই দিনগুলো সত্যিই খুব মিস করি। বেশ ভালো লাগলো পোস্টটি পড়ে। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।