বদনজর এর সমাপ্তি কোথায়?
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আমরা যারা আসলে কিছুটা হলেও সৃষ্টিকর্তার ওপরে বিশ্বাস রাখি। তারা খুব ভালো করে জানি যে, বদনজর কতো খারাপ একটি ব্যাপার আসলে।কারণ বদ নজর এমন ভয়ংকর একটি ব্যাপার। যেটা অনেক ভালো এবং সুস্থ মানুষকে একেবারে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে পারে এবং আমাদের নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি কথা বলেছেন। সেটা হলো, বদনজর একটি মানুষকে কবর পর্যন্ত এবং উটকে পাতিল পর্যন্ত পৌঁছে দিতে পারে। এখানে পাতিল পর্যন্ত পৌঁছানোর অর্থ হলো মৃত্যুবরণ করা। অর্থাৎ একটি উট মারা গেলে যেমন খাওয়া হয় কিংবা অর্থাৎ যে কোনো পশু যেভাবে খাওয়া হয়, সেভাবেই খাওয়া হয়। সেটাকেই বুঝানো হয়েছে।
আসলে বদনজর এর সমাপ্তি অনেক বেশি ভয়ংকর হয়ে থাকে। তার কারণ হলো বদ নজর আসলে মানুষকে ধীরে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যেতে পারে। ওই মৃত্যু থেকে কেও বাঁচতে পারে না। কারণ বদনজর এতোটাই ভয়ংকর ও খুব খারাপ। তাই আমাদের সব সময় কারো কোনো কিছু দেখার পরে মাশাআল্লাহ বলা উচিত। ইসলামি অনুসারীর মানুষদের অবশ্যই এটা মেনে চলা উচিত। কারণ এটা নিয়ে এই ধরনের বিধান রয়েছে যে, যে কোনো সুন্দর কিছু দেখার পর অবশ্যই এই শব্দটি ব্যবহার করতে হয়। যাতে বদ নজর না লাগে।
কিন্তু তারপরেও একটা ব্যাপার রয়েছে। অর্থাৎ আমাদের সব সময় অন্য কারো জিনিস দেখার পরে হিংসা করা চলবে না। আসলে এই হিংসে কিংবা জেলাসি ব্যাপারটি থেকেই কিন্তু বদনজর আসে। তাই আমাদের যা আছে তাতেই কিন্তু সন্তুষ্টি এবং খুশি থাকা উচিত। আর সে ভাবে যদি আমরা থাকতে পারি। তাহলে কিন্তু আমরা বদনজর থেকে বাঁচতে পারবো। আমরা আসলে বর্তমান অন্যের কোনো কিছু নিয়ে অনেক বেশি হিংসা করি। যার কারণে বদনজর অনেক বেশি কাজ করে। আমরা যদি নিজেকে নজর এবং নিজেদের মনকে সংযত করতে পারি। তাহলে আমি মনে করি এই ধরনের কোনো সমস্যাই হবে না।