নিজ হাতে গড়া মোর কাঁচা ঘর খাসা
ছোটবেলায় আমরা কত ধরনের কবিতাই না পড়েছিলাম। বেশিরভাগ কবিতার উদ্দেশ্য ছিল আমাদেরকে শেখানো এবং সেই সাথে কিভাবে করে আমাদের এই প্রকৃতি আর নিজেকে নিজেদের মতো সাজিয়ে নিয়েছে সেই বিষয়েও শিখতে অনেকটা বেশি সাহায্য করেছিল। ঠিক তেমন একটি কবিতা ছিল বাবুই পাখির বাসা। বিখ্যাত কবি জসীমউদ্দীন এই কবিতাটি লিখেছিলেন। তার একটি লাইন এই কবিতার আজকের টাইটেলে স্থান পেয়েছে।
ছোটবেলায় এই সবকিছু আমাদেরকে শেখানো হতো এবং এর তাৎপর্য কতটুকু এসব কিছু বোঝানোর চেষ্টা করা হতো। তবে এখান থেকে আমরা বেসিক যেই শিক্ষাটা পাই সেটা হচ্ছে আমাদের ঘর কতটাই ছোট হোক না কেন সেটা যদি নিজের হয় তাহলে তাহলেই ভালো। অন্যের দালানকোঠায় থাকার চেয়ে নিজের কুঁড়েঘরে থাকাটা বেশি গুরুত্বপূর্ন বলে মনে করা হয়েছে এবং এই বিষয়টাই আমাদেরকে শেখানো হয়েছে। এছাড়াও বাবুই পাখির কঠোর পরিশ্রম এবং তার ধারাবাহিকতাকেও এখানে বিশেষ স্থান দেওয়া হয়েছে। তার সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে তার ধৈর্য সাথে অল্প অল্প করে তার কাঁচা ঘর তৈরি করা হয়, এখান থেকে আমাদের এই জীবনের প্রকৃত অর্থ আমরা বুঝতে পারি।
এই কবিতা থেকে আরও একটি বড় আমরা শিক্ষা গ্রহণ করতে পারি। যেমন বাবুই পাখির তার বাসা ডালের একদম উঁচু জায়গায় তৈরি করে। সেখান থেকে তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এবং সে তার বাসাটা কত পরিশ্রম করে কত বিনয়ের সাথে তৈরি করে। এক্ষেত্রে আমরা জীবনের কষ্ট ছাড়া কোন কিছুই অ্যাচিভ করা সম্ভব নয় বা কোনোভাবেই কষ্ট ছাড়া সফলতা আসেনা। সেই বিষয়টাও কিন্তু ভালো ভাবেই বোঝানো হয়েছে। যাই হোক আজকের মত এখানেই শেষ করছি। আপনারা সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন, ধন্যবাদ সবাইকে।