কার্টুনের একাল সেকাল!
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আজকে আমি এমন একটি ব্যাপার নিয়ে লেখালেখি করতে এসেছি। যে ব্যাপারটি আপনারা খুব ভালোভাবে খেয়াল করেছেন কিনা কিংবা একটু খেয়াল করেছেন কিনা জানিনা। কিন্তু আমি এটা অনেকবার অনেকভাবে খেয়াল করেছি এবং খেয়াল করেছি বলেই আসলে ভাবলাম যে আজকে এটা নিয়ে একটু হলেও লেখালেখি করা উচিত।
আমাদের ছোটবেলার কথা নিশ্চয়ই আমাদের টুকটাক কিছু হলেও মনে আছে এবং আমাদের ছোটবেলার কথা যদি আমাদের মনে থেকে থাকে। তাহলে এটাও নিশ্চয়ই খুব ভালোভাবে মনে আছে যে, ছোটবেলায় আমাদের প্রধান একটি কাজ ছিলো কার্টুন দেখা।কারণ কার্টুন প্রতিটি ছোট বাচ্চার অনেক পছন্দের বলা চলে। অর্থাৎ এমন কোনো বাচ্চা খুঁজে পাওয়া মুশকিল যে কার্টুন দেখতে পছন্দ করে না। আমার তো এখনো মনে পরে আমাকে ছোটবেলায় শুধুমাত্র কার্টুন দেখার জন্য অনেক বকা দিতে হতো কারণ আমি কার্টুন ছেড়ে একটুও উঠতাম না। অর্থাৎ পড়তে বসার জন্য কার্টুনের সামনে থেকে উঠতেই চেতাম না।
কিন্তু বর্তমান সময়ে আমি যেটা লক্ষ্য করেছি। সেটা হলো, বর্তমানের কার্টুনগুলোর ভাষা যথেষ্ট উগ্র। অর্থাৎ তারা যে কি ধরনের ভাষা ব্যবহার করে সেটা হয়তো তারা নিজেরাও জানেনা। অর্থাৎ যারা কার্টুন মেকার রয়েছে। তারা শুধুমাত্র যা তা বলে কার্টুনগুলো বানিয়ে ফেলে। সেটা যে একটি ছোট বাচ্চার ব্রেনে কতোটা প্রভাব ফেলছে। সেটা তারা একটুও বিবেচনা করে না। কারণ আমাদের সময় কার্টুন গুলো কিন্তু যথেষ্ট নম্র ভদ্র ছিলো। আমি মনে করি, এই ব্যাপারে আসলে আমাদের সমাজে যারা হর্তাকর্তা রয়েছেন উনাদের বিশেষ নজর দেওয়া উচিত। কারণ ছোট বাচ্চারা কিন্তু মাটির মতো। অর্থাৎ তাদেরকে যেভাবে গড়া হবে, তারা সেভাবেই গড়ে উঠবে।