জেনারেল রাইটিং||অলসতা কখনো জীবনে সফলতা বয়ে আনতে পারে না।
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।
বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সামনে একটি ভিন্ন ধরনের পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি । আসলে অলসতা যে কখনো জীবনে সফলতা বয়ে আনতে পারেনা সে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে এসেছি ।কেননা আমাদের প্রত্যেকেরই ভেতরে অলসতার মতো একটি সত্তা বাস করে। যেখানে কেউ অলসতাকে দমিয়ে কঠোর পরিশ্রম করে সামনের দিকে এগিয়ে যায়। আবার কেউ কেউ অলসতাকে প্রশ্রয় দিয়ে তার জীবনকে অন্ধকারের বিভীষিকায় নিমজ্জিত করে ।আসলে অলসতা আমাদের জীবনে কখনো সফলতা বয়ে আনতে পারে না ।
অলসতা কখনো জীবনে সফলতা বয়ে আনতে পারে না।
আমাদের মধ্যে অনেককেই দেখা যায় একটু আরাম প্রিয় মানুষ। তাদের মধ্যে অলসতা বেশি কাজ করে। এই আরাম প্রিয় মানুষ গুলো অলস জীবনযাপন করে জীবনে কোনদিনই উন্নতি লাভ করতে পারে না। বর্তমানের কাজকে অলসতা করে ভবিষ্যতের জন্য রেখে দিলে তার জীবনে কখনোই সফলতা আসে না ।তাই সঠিক সময়ে অলসতা কে দূরে ঠেলে সঠিক কাজটি করা সকলের কর্তব্য।
একবার যদি আমরা অলসতা কে পাত্তা দেই এবং আলসেমি করে এখন কার কাজ তখন করব এগুলো ভেবে রেখে দেই, তাহলে একটা সময় দেখা যায় যে, কাজগুলো জমা হতে হতে পাহাড় সমান হয়ে যায় ।তখন বর্তমান কাজ করাই সম্ভবই হয় না আর পূর্বের কাজ করা তো দূরের কথা । তাই কখনোই অলসতা কে প্রাধান্য দেওয়া ঠিক নয়। যারাই অলসতাকে পাত্তা দিয়েছে তারাই জীবনে কিছু করতে পারেনি। পৃথিবীতে বড় বড় যত মানুষের নজির রয়েছে তারা সবাই পরিশ্রমী ছিলেন । তারা কখনো অলসতাকে প্রাধান্য দেননি।
একজন অলস মানুষের জীবনে সফলতা কখনো আসে তো নাই বরং তার জীবনটাও খুবই খারাপ অবস্থার মধ্যে দিয়ে কাটে । কেননা জীবনের যে সময়টাতে পরিশ্রম করা প্রয়োজন সেই সময়টা শুয়ে বসে আনন্দে কাটালে পরবর্তী জীবনে তার নেমে আসে দুর্যোগের ঘনঘটা । তখন সে চারিদিকে শুধু অন্ধকারই দেখে । জীবনে আলোর মুখ সে দেখতে পায় না । আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সবাই তার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। তাই আমাদের জীবনে অলসতাকে ত্যাগ করতে হবে।
অলসতা একদিকে যেমন নিজের ও সমাজের অবক্ষয় ডেকে আনে । তেমনি অন্যদিকে জাতির উন্নতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। মানুষ তখন এত পরিমাণে আরাম- আয়েসে মত্ত হয়ে থাকে, তখন সে নিজের দায়িত্ব-কর্তব্য সম্পর্কে উদাসীন হয়ে যায় ।তখন সে মানসিক অশান্তিতে ভোগে । এমনকি নিত্য প্রয়োজনীয় প্রয়োজন মেটানোর ক্ষমতাও তার থাকে না। তখন সে অন্যের কাছে হাত পাতে। যার কারণে সে অন্যের কাছে ছোট হয়ে যায়।
সবশেষে বলতে চাই অলসতা একটি ধ্বংসাত্মক ব্যাধি, যা মানুষকে ক্রমে ক্রমে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়। মানুষের জীবন কে মূল্যহীন করে দেয়। অলসতায় পড়ে মানুষ তার প্রাণবন্ত জীবনের সজীবতা হারিয়ে ফেলে । আর কর্মময় জীবনের গতিময়তাকে উদাসীনতায় রূপান্তরিত করে এই অলসতা । এইজন্য আমাদের সবাইর উচিত অলসতা ত্যাগ করা । তবেই জীবন হয়ে উঠবে সুখী, সমৃদ্ধ ,গতিশীল।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফার: | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস: | স্যামসাং গ্যালাক্সি এ৪০ |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি একজন হাউজ ওয়াইফ। সমাজবিজ্ঞানে অনার্স মাস্টার্স করেছি।ঘুরে বেড়াতে , ঘুমাতে এবং গান শুনতে আমি ভীষন পছন্দ করি।বাগান করা আমার শখ।এছাড়াও আর্ট , বিভিন্ন রেসিপি ট্রাই করতেও ভালো লাগে। আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।


You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
আপনি ঠিক বলেছেন অলসতা কখনো জীবনের সফলতা আনতে পারে না। আজ এর কাজ কালকের জন্য ফেলে রাখলে সত্যি সেই কাজ তো করাই হয় না বরং বেশি কাজ জমা হয়ে যায়।তাই আমাদের সবারই উচিত অলসতাকে প্রাধান্য না দেওয়া। আর অলসতা হলো ধ্বংসাত্মক ব্যাধি। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর লিখেছেন।
হ্যাঁ আমাদের সকলেরই উচিত অলসতাকে প্রাধান্য না দেওয়া। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন।
একদম ঠিক কথা বলেছেন আপু অলসতা কোনদিন মানুষের জীবনে সফলতা বয়ে আনতে পারে না, বরঞ্চ মানুষের জীবনকে ধ্বংস করে দেয়। যে জাতি যত বড় অলস সে জাতি তত অনুন্নত। তা একটু সমাজ ও রাষ্ট্র সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে হলে জাতিকে হতে হবে কর্মী। অলসতা দূর করে নিজেকে গড়ে তুললে সে জাতীয় উন্নত হবে।
ভাই আমার পোস্টটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ । আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ঠিক বলেছেন আপু, অলসতা আসলেই মারাত্মক একটা ব্যাধি। এই ব্যাধি যার মধ্যে থাকে সেটা নিশ্চিত যে তিলে তিলে সে শেষ হয়ে যায়। জীবনের একটা পর্যায়ে এসে আফসোস ছাড়া আর কিছুই থাকবে না। তাই জীবনে সময়ের সঠিক ব্যবহারটা করা জরুরি।
হ্যাঁ ভাই আপনি ঠিকই বলেছেন আমাদের জীবনে সময়ের সঠিক ব্যবহার করা উচিত। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
একদম ঠিক বলছেন আপু যেসব মানুষ অলস তারা কখনো সফলতা আনতে পারে না। সফলতার পিছনে রাতদিন পরিশ্রম করতে হয় ধৈর্য দিয়ে। এমনকি মাঝে মাঝে নির্ঘুম রাত কাটাতে হয়। আমি মনে করি যারা সফল হয়েছেন তারা কিন্তু কঠোর পরিশ্রমি মানুষ ছিলেন। খুব ভালো লেগেছে অনেক অনুপ্রেরণা পেয়েছি আপনার লেখাগুলোর মাধ্যমে।
আপু মনোযোগ দিয়ে আমার লেখাটি পড়েছেন বেশ ভালো লাগলো । আর আপনার কাছে আমার লেখাটি ভালো লেগেছে জেনেও ভাল লাগল। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আসলেই আপু অলস মানুষ কখনোই সফল হতে পারে না। কারণ পরিশ্রম হচ্ছে সাফল্যের চাবিকাঠি। তাই সফল হতে হলে অবশ্যই পরিশ্রম করতে হবে। আমি একটা জিনিস বিশ্বাস করি, সময়ের কাজ অবশ্যই সময়ে করতে হয়। তাই আমি সবসময় চেষ্টা করি প্রতিদিনের কাজ প্রতিদিন করে ফেলতে। এতে করে কাজের চাপ অনেকটা কমে যায়। মোটকথা সফলতা পেতে হলে পরিশ্রমের কোনো বিকল্প নেই। যাইহোক এতো গুরুত্বপূর্ণ একটি টপিক নিয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাইয়া আপনি সব সময় সময়ের কাজ সময়ে করেন জেনে বেশ ভালো লাগলো ।আসলে আমাদের সবারই তাই করা উচিত ।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
একজন অলস ব্যক্তির মধ্যে কখনো সফলতা আসে না এটা সত্যি কথা। সফলতা অর্জন করতে হলে অবশ্যই একটা মানুষকে পরিশ্রম করতে হবে। ধৈর্য ধরে পরিশ্রম করে যে কোন কাজ করলে আমরা দিনশেষে অবশ্যই সফলতা অর্জন করতে পারব। আর এই সফলতা আমাদের জীবনের অনেক বড় অংশ হয়ে দাঁড়াবে। আপনি বেশ সুন্দর একটা টপিক নিয়ে আজকের পোস্টটা লিখেছেন দেখে খুব ভালো লেগেছে।
হ্যাঁ আপু আপনি ঠিকই বলেছেন ধৈর্য ধরে পরিশ্রম করলে আমরা সকলেই সফলতা অর্জন করতে পারব ।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
যেকোনো সফলতা অর্জন করার জন্য ধৈর্য ধারণ করে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে সফলতার উচ্চ শিকড়ে পৌঁছাতে হয়। অলসতা কখনো সফলতা স্পষ্ট করতে পারে না। অলস থাকলে কখনো সফলতা আসে না এটাই প্রকৃত নিয়ম। আপনার পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। বেশ সুন্দর বিষয় উপস্থাপন করেছেন।
হ্যাঁ ভাই আপনি ঠিকই বলেছেন অলস থাকলে কখনোই সফলতা আসে না ।যাইহোক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা।