আমার প্রিয় ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই এই করোনাকালীন সময়েও সুস্থ আছেন, নিরাপদে আছেন ।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভালো আছি।
আজ আমি আপনাদের সামনে একটি মজার রেসিপি নিয়ে এসেছি। আর সেটি হচ্ছে তেঁতুলের চাটনি রেসিপি ।তেতুল আমরা সবাই কম বেশি পছন্দ করি। আর তেঁতুলের চাটনি হলে তো কোন কথাই নেই ।জিভে জল আসবেই ।আজ আমি একটি স্পেশাল তেঁতুলের চাটনি তৈরি করেছি ।বিশেষ করে এখন করোনা কালীন সময়ে যারাই করণায় আক্রান্ত হচ্ছেন তাদেরই খাওয়ার রুচি কমে যাচ্ছে। সে কথা চিন্তা করেই আমি এই তেঁতুলের চাটনি তৈরি করেছি। এটা খেলে আমার মনে হয় আক্রান্ত ব্যক্তির রুচি একটু হলেও ফিরে আসবে ।কিছুদিন আগে আমাদের প্রিয় @rme দাদা করণায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ।আজ আমি আমাদের দাদা কে স্মরণ করেই এই চাটনি টি তৈরি করেছি ।আশা করছি এই চাটনি রেসিপি টি একটু হলেও দাদার রুচি ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে। আর কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করছি আমার আজকের রেসিপি তেঁতুলের চাটনি রেসিপি।
তেঁতুলের চাটনি রেসিপি


উপকরণ | পরিমাণ |
তেঁতুল | ৪০০গ্রাম |
চিনি | আড়াই কাপ |
শুকনা মরিচ | ১০টি |
রসুন কুচি | ১টেবিল চামচ |
পাঁচফোড়ন | ১টেবিল চামচ |
ভিনেগার | ১/২কাপ |
বিট লবন | ১টেবিল চামচ |
লবন | স্বাদমতো |
সরিষার তেল | ৪টেবিল চামচ |



প্রুস্তুতপ্রণালী
ধাপ -১

প্রথমে আমি তেঁতুল গুলিকে ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়ে এক ঘণ্টা ২ কাপ পানিতে ভিজিয়ে রাখি। |

ধাপ -২

এক ঘন্টা পর তেঁতুল গুলি চটকিয়ে তা থেকে বিচি ছাড়িয়ে নেই। তারপর তেতুল পানি কে একটি ছাঁকনির সাহায্যে ছেঁকে নেই। |

ধাপ -৩

তারপর একটি কড়াইয়ে তেল দিয়ে দেই। |

ধাপ -৪

তেল গরম হলে রসুন কুচি দিয়ে দেই। |

ধাপ -৫

তারপর দুইটা শুকনো মরিচ কেটে দিয়ে দেই। |

ধাপ -৬

তারপর রসুন ১ মিনিট ভেজে পূর্বের ছেঁকে রাখা তেতুল পানি দিয়ে দেই। |

ধাপ -৭

তারপর ভালোমতো নেড়েচেড়ে নেই। তেতুল পানি ফুটে উঠলে তার মধ্যে চিনি দিয়ে বেশ কিছুক্ষণ নাড়তে থাকি। |

ধাপ -৮

তারপর একটু ঘন হয়ে এলে লবণ ও বিট লবণ দিয়ে দেই। |

ধাপ -৯

ধাপ -১০

তারপর মিডিয়াম আঁচে বেশ কিছুক্ষণ নাড়তে থাকি। ঘন হয়ে আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করি। |

ধাপ -১১

ধাপ -১২

তারপর তেঁতুলের চাটনি ঘন হয়ে এলে ভিনেগার দিয়ে দেই। |

ধাপ -১৩

ধাপ -১৪

তারপর চাটনি টা আরো বেশি ঘন হয়ে এলে পূর্বে থেকে একসঙ্গে ব্লেন্ড করে রাখা পাঁচফোড়ন ও শুকনা মরিচের পেস্ট দিয়ে দেই। |

ধাপ -১৫

ধাপ -১৬

ধাপ -১৭

ধাপ -১৮

তারপর একটু নেড়েচেড়ে ব্যাস হয়ে গেল আমার তেঁতুলের চাটনি তৈরি। এখন খেয়ে দেখার পালা। |

এভাবে আপনারা করে দেখবেন খুবই মজা লাগবে তেঁতুলের চাটনি ।আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।

আমার জন্য করা রেসিপি । আমি সত্যি কৃতজ্ঞ । অনেক অনেক ভালোবাসা রইলো রূপক ও আপনার প্রতি ম্যাডাম । যদি কোনোদিন বাংলাদেশে যাই তবে এই রেসিপিটা টেস্ট করে আসবো কিন্তু । ভালোবাসা ভালোবাসা
সত্যি দাদা আমি কোন কিছু বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি ।আমি অভিভূত ,আবেগাপ্লুত ।আপনার থেকে আমি সেই আমার করোনাকালীন সময় থেকে যে ভালোবাসা পেয়ে আসছি আজও তার ব্যতিক্রম নয়। ধন্যবাদ দিয়ে আপনাকে ছোট করবো না ।আপনার জন্য অনেক অনেক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা রইলো ।আর বাংলাদেশে আসলে অবশ্যই আপনি রেসিপিটা টেস্ট করে যাবেন ।আপনার আসার অপেক্ষায় রইলাম।
আমার পোস্টে গিয়ে বোর্ড দেন। আর কমেন্ট করে বলে দেন তাহলে আমি আপনার পোস্টে গিয়ে বোর্ড আর কমেন্ট করে বলে দেবো। ফলো করে পাশে থাকুন আমি আপনাকে ফলো ব্যাক করব
দাদা আমার বাড়িও বাংলাদেশের একই এলাকায়। আপনার কাছে বিনীত অনুরোধ রইলো যদি সত্যি সত্যি কখনো বাংলাদেশে আসেন দয়া করে আমাকে বঞ্চিত করবেন না। কথা দিলাম এমন সুস্বাদু চাঁটনি না খাওয়াতে পারলেও এমন জিনিস খাওয়াবো যা আপনি আপনার এলাকায় পাবেন না।
আমার পোস্টে গিয়ে বোর্ড দেন। আর কমেন্ট করে বলে দেন তাহলে আমি আপনার পোস্টে গিয়ে বোর্ড আর কমেন্ট করে বলে দেবো। ফলো করে পাশে থাকুন আমি আপনাকে ফলো ব্যাক করব
সেই দিনটির অপেক্ষায় রইলাম দাদা।
আমার পোস্টে গিয়ে বোর্ড দেন। আর কমেন্ট করে বলে দেন তাহলে আমি আপনার পোস্টে গিয়ে বোর্ড আর কমেন্ট করে বলে দেবো। ফলো করে পাশে থাকুন আমি আপনাকে ফলো ব্যাক করব
আপনাকে কি যে বলি আপু দেখেই তো জিভে জল চলে এসেছে। দাদার জন্য অসাধারন একটি রেসিপি তৈরি করেছে আপনি। এটি দেখে আমার খুব ভালো লেগেছে। খুব অসাধারণ ব্যাপার।
ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ।এভাবে মন্তব্য করে পাশে থাকবেন ।আপনার জন্য শুভকামনা রইল। ভালো থাকবেন।
তেঁতুলের চাটনি রেসিপি দেখে তো জিভে পানি চলে এসেছে অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে উপস্থাপন করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো আপনার জন্য শুভকামনা রইল
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া ।আপনার জন্য শুভকামনা রইল।ভালো থাকবেন।
আমার চাটনিটা আপনার কাছে ভাল লেগেছে জেনে সত্যিই খুবই ভালো লাগলো ।এভাবে মন্তব্য করে পাশে থাকবেন ।আপনাদের উৎসাহ পেলে আরো নতুন নতুন কাজ করার আগ্রহ পাব ।আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ।ভালো থাকবেন।
অসাধারণ একটি রেসিপি করেছেন ।আর এই রেসিপিটি দেখি সত্যি যে কারো মুখে পানি চলে আসবে। দাদার জন্য তৈরি করা দেখে খুব ভালো লাগলো ।কারন দাদাও কিছুদিন আগে বলেছিল তিনি তেঁতুলের চাটনি তৈরি করবেন ।তা থেকে আমাকে একটু দিবেন বলছে ।খুব ভালো লাগলো আপু আপনার রেসিপি।
আপনার মন্তব্যটি খুবই ভালো লাগলো আপু ।এভাবেই মন্তব্য করে পাশে থাকবেন ।আপনার জন্য শুভকামনা রইল। ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।
বাহ অনেক সুন্দর একটি রেসিপি দেখতে পারলাম আজকে। আপু আপনার তেঁতুলের চাটনি দেখে আমার মুখে পানি চলে আসছে। লোভ সামলাইতে না পারি আপু। যদি একটু খাইতে পারতাম তাহলে খুব ভালো হতো। আপু আপনি ঠিকই বলছেন তেঁতুলের চাটনি যারা করণা আক্রান্ত হয়েছে খাওয়ার রুচি নেই তাদের রুচি টা একটু বাড়িয়ে দেয়। সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের বাংলা ব্লগ সদস্য মাঝে উপহার দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার কাছে আমার রেসিপিটি ভালো লেগেছে জেনে খুবই ভালো লাগলো। এই চাটনি আমারও খুবই পছন্দের ।তাই তো আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম যাতে আপনারাও খেতে পারেন ।ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি তো জিভে জল আসার মত একটি রেসিপি তৈরি করলেন। দেখেই একটু খেয়ে দেখতে ইচ্ছে করল। তেঁতুলের চাটনি আমার অনেক প্রিয়। বিশেষ করে টক-ঝাল আমার অনেক পছন্দ। আর আপনি আজকে টক-ঝাল দুটো দিয়েই এই চাটনি টা তৈরি করেছেন। আর করুনাকালীন সময়ের মধ্যে এরকম রেসিপি খেলে সত্যি খাবার রুচি ফিরে আসবে। বিশেষ করে দাদাকে স্মরণ করে এই রেসিপিটি তৈরি করেছেন জেনে খুবই ভালো লাগলো। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আপনার মন্তব্যটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো ।এভাবে মন্তব্য করে পাশে থাকবেন আশা করছি ।আপনাদের উৎসাহ পেলে পরবর্তীতে আরো ভালো কাজ করার আগ্রহ পাব। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ।আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
প্রথম কথা হল তেতুল দেখলেই তো জিভে জল চলে আসে। আর দ্বিতীয়তঃ আপনি ঠিক হই বলেছেন তেতুলের আচার রুচি জানতে সাহায্য করে। আশা করি অবশ্যই আমাদের দাদা রুচি ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে আপনার এই আচার। আষট্টি দেখতে যেমন লোভনীয় তেমনি সুন্দর উপস্থাপনা ও ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি আচারের রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমার চাটনিটি আপনার কাছে ভাল লেগেছে জেনে খুবই ভালো লাগলো ।এভাবেই মন্তব্য করে পাশে থাকবেন ।আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ।ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।
বাহ্ কি সুন্দর রেসিপি তৈরি দেখতে পেলাম। বিশেষ করে দাদার জন্য তৈরি তেঁতুলের চাটনি।যেটা খাবার প্রতি রুচি না থাকলেও খাওয়ার ইচ্ছে পোষণ হয়।এমনি দোকান থেকে অনেক কিনে খাওয়ার অভিজ্ঞতা আছে কিন্তু এভাবে বাড়িতে তৈরি করে কখনো খাওয়া হয়নি।তেঁতুলে এমনি খাইতে দেখলে জিহবাায় জল চলে আসে।এতো সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু। ❤️❤️😋😋😋
ভাইয়া বাড়িতে একদিন এভাবে করে দেখবেন ।দেখবেন বাইরের কেনা টার মতোই সুস্বাদু লাগে।আর এটি অনেক স্বাস্থ্যকরও বটে ।আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।ভাল থাকবেন।
আপনার এই স্পেশাল চাটনি কিভাবে বানিয়েছেন তা তো দেখতেই পেলাম। স্বাভাবিকভাবেই এটা সুস্বাদু হবার কথা কেননা এটা একটা স্পেশাল আইটেম। টক খাবার আমার খুবই পছন্দের। আপনি যেহেতু রান্না আমার চাইতে অনেক ভাল জানেন তাই টমেটোর চাটনি কিভাবে বেশি দিন সংরক্ষণ করা যায় জানালে খুবই উপকৃত হব। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ভাইয়া টমেটোর চাটনি সংরক্ষণ করতে চাইলে এতে হোয়াইট ভিনেগার ব্যবহার করবেন এবং কাচের বয়ামে রেখে ফ্রিজে রাখবেন তাহলেই আশা করছি দীর্ঘদিন ভালো থাকবে । অনেকে দীর্ঘদিন সংরক্ষণের জন্য আবার তৈরির সময় কনফ্লাওয়ার দিয়ে থাকেন এটি ব্যবহার করে দেখতে পারেন ।আপনার মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
তথ্যগুলো জেনে উপকৃত হলাম। পূর্বে একবার বানিয়ে ছিলাম কিন্তু ফ্রিজে রাখা সত্ত্বেও কয়েকদিনেই নষ্ট হয়ে গেছে। তাই সংরক্ষণের উপায় গুলো জানতে চেয়েছিলাম। ধন্যবাদ আপনাকে