বাড়িতে সরস্বতী পুজোর প্রস্তুতি
হ্যাল্লো বন্ধুরা
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী,আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমি যদিও শারীরিক ভাবে এখনো খুব বেশি ভালো নই। ঠান্ডা-জ্বর রয়েছেই। তবে গত দুই দিনের থেকে কিছুটা ভালো বোধ করছি আজ। তাই আবারো আপনাদের সাথে একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আশা করছি পোস্টটি আপনাদের ভালো লাগবে।
গত পোস্টে আপনাদের বলেছিলাম যে এবারে সরস্বতী পূজাতে আমরা শশুড়বাড়িতে এসেছি। আমার দেবরের মেয়ের হাতেখড়ি উপলক্ষে এবারে আমাদের নিজেদের বাড়িতে বেশ আয়োজন করে সরস্বতী পূজার ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ আজকের পোষ্ট এর মাধ্যমে তারই কিছু মুহুর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
আমাদের যে কোন পুজোর জন্য মূলত অনেক জিনিসপত্র প্রয়োজন হয়। ঠাকুরমশাই এর থেকে পূজোর কি কি উপাচার প্রয়োজন, তার একটি ফর্দ নিয়ে নেয়া হয়। সেখানে মূলত পুজোর জন্য যা যা লাগবে, তার পরিমাণ সহ লিখে দেন ঠাকুরমশাই। যেমন-শাড়ি, গামছা, শোলক কাপড়, কর্পুর, পাঁচফল, আমের পল্লব, হোমের জন্য ২৫ টি নিঁখুত বেলপাতা, কলাগাছের ডোঙ্গা আরো নানাবিধ উপাচার। সেসব বেশ কিছুদিন আগে থেকেই কেনার ব্যবস্থা করেছিলো আমার দেবর। আর যেগুলো কিনতে পাওয়া যায় না, সেগুলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে পুজোর আগেই। পূজোর জন্য স্টেজ সাজানো শুরু হয়েছে পুজোর আগের দিন দুপুর বেলাতেই.... ডেকোরেশন থেকে বেশ কয়েকজন লোক এসে তারা পুজোর মন্ডপ বানানো থেকে শুরু করে সামিয়ানা টাঙানোর দ্বায়িত্বে ছিলো। তারা ধাপে ধাপে তাদের কাজকর্ম করছিলেন। সন্ধ্যা হতে হতে তারা তাদের কাজ শেষ করে চলে যান।
এখন পুজো হবে মানে পুজোর পরে প্রসাদের ব্যবস্থাও থাকবে সকলের জন্য। আর আমাদের শ্বশুড়বাড়িতে যে কোন আয়োজনেই মানুষ খাওয়ানোর যেন ধুম পরে যায়! আর প্রায় সারা গ্রামের মানুষ ই কোন না কোন সময়ে এসে প্রসাদ নিয়ে যান। তাই এলাহি কান্ড বলা চলে৷ আমার দেবর কিছু কিছু গুড়ো মসলাপাতি আগেই কিনে রেখে গিয়েছিলেন। আমার মামনি সেগুলো ব্লেন্ডারে আলাদা করে করে প্রয়োজন অনুযায়ী গুড়ো করে রেখেছিলেন। নিরামিষ রান্নায় তেজপাতা প্রয়োজন হয় বেশ। বিকেল বেলায় আমাদের গাছ থেকে শ্বাশুড়ি তেজপাতার কয়েকটি ডাল কেটে আনলেন। বিষয় টি আমার কাছে বেশ দারুণ লেগেছে! কারণ এটি আমার জন্য নতুন একটি অভিজ্ঞতা। আমরা আবার সাথে সাথে সেগুলো ডাল থেকে আলাদা করে ধুয়ে রাখলাম জল শুকানোর জন্য। প্রসাদের আইটেমে ফল প্রসাদ, লুচি-সুজি এর পাশাপাশি সকলের জন্য খিচুড়ি আর লাবড়া রান্না করা হবে বলে ঠিক হয়। তার লাবড়ার জন্য অনেক সবজি কাটতে হবে। তাই আশেপাশের বাড়ি থেকে বেশ অনেকেই আসেন সাহায্য করতে। সকলে মিলে বাড়ির উঠোনে বসে গল্প করতে করতে সেসব সব্জি- তরকারি কাটা হলো। যতক্ষণ সময়ে সকলে হাতে হাতে কাজ গুলো করছিলেন, পুরো টা সময়ই বেশ হাসি ঠাট্টা হয়েছে বিভিন্ন বিষয়ে! আমি তো ভীষণ ইঞ্জয় করেছি সময়টা!তারা তাদের মতোন কাজ করছিলেন, আর সেই সময়ে আমি আর বাড়ির ছোট বৌ মিলে সকলের জন্য রাতের রান্নাটা সেরে ফেলি। যারা সাহায্য করতে এসেছিলেন, সকলে মিলে রাতের খাবার খেয়ে তারপর নিজ নিজ বাসায় চলে যান।
আজ তবে এপর্যন্তই থাকলো। পুজোর কথা পরবর্তী পোষ্টে শেয়ার করবো।
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে 🌼 ধন্যবাদ 🌼
আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি। OR
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।
দিদি আপনার শ্বশুর বাড়িতে এবারে বেশ ধুমধাম করে দেখছি সরস্বতী পূজার প্রস্তুতি গ্রহণ করেছিলেন। আশেপাশের বাড়ি থেকে অনেকে এসে পুজোর জন্য সাহায্য করেছি জেনে বেশ ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
তোমাকেও তোমার দারুন মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন এই কামনাই করছি দিদি। আপনার শ্বশুরবাড়িতে সরস্বতী পুজোর প্রস্তুতি দেখে বেশ ভালো লাগলো। আপনার দেবরের মেয়ের হাতে খড়ি উপলক্ষে এই পূজোর আয়োজন করা হয়েছে।আপনার দেরবের মেয়ের জন্য শুভকামনা রইল।
আপনার শুভ কামনার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। 😍
যে কোন অনুষ্ঠানেই এই তরকারি কাটাকুটির সময় সবাই মিলে বেশ জমিয়ে গল্প করা যায়। আমাদের বাড়িতে ছেলেরা কেউ রসুন ছিলে কেউ মরিচ এর মাথা কেউ বা আদা,আর মায়েরা অন্য সবজি গুলো । আর কাজ ও তারাতারি হয়।
আপনার দেবর এর মেয়ের শিক্ষা জীবন এর জন্য শুভকামনা রইল।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার শুভকামনার জন্য। আর আসলেই সকলে মিলে হাতে হাতে কাজ করে দিলে তো কাজ অনেকখানি সহজ হয়।
আপু প্রথমেই আপনার দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। আসলে বাড়িতে অনুষ্ঠান হলে ভীষণ ভালো লাগে। নিজেদের কাঁধের উপর বিভিন্ন ধরনের দায়িত্ব থাকলেও,সেই দায়িত্ব গুলো পালন করতে অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করে। যাইহোক সরস্বতী পূজার প্রস্তুতি মোটামুটি ভালোই এগিয়ে গিয়েছে। গাছ থেকে পেরে আনা তেজপাতা গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। সবমিলিয়ে বেশ উপভোগ করলাম পোস্টটি। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।