ডাই পোস্ট : কুইলিং পদ্ধতিতে পাতাসহ একটি ফুল
|| আজ ১৭ জানুয়ারি, ২০২৪ || রোজ: বুধবার ||
হ্যাল্লো বন্ধুরা
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী, সবাইকে আমার নমষ্কার /আদাব। আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার আশির্বাদে এখন আগের থেকে ভালো আছি। বেশ অনেকদিন পর যেন আজ সকালটা ভালো ভাবে শুরু হলো। আসলে সুস্থতা যে কতবড় নিয়ামত, সুস্থ থাকলে আমরা তেমন টের পাই না। অসুস্থ হলে, তখন মনে হয়। সামান্য মাথা ব্যাথা -সেটিও মানুষের জীবন কীভাবে অতিষ্ট করে দেয়, যার মাইগ্রেন আছে, সে জানে!যাই হোক ওসব কথা বাদ দেই।
আমার আসলে নতুন নতুন জিনিস চেষ্টা করে দেখতে ভীষণ ভালো লাগে। যখন ই সুযোগ হয় নতুন কিছু শেখার, আমি চেষ্টা করি নিজেকে তার মধ্যে ইনভলভ করতে। আজ তেমনই একটি নতুন পদ্ধতিতে করা ডাই পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। এটি আমি অনেকটা কুইলিং পদ্ধতিতে করার চেষ্টা করেছি। কুইলিং পদ্ধতি হচ্ছে চিকন কাগজ ব্যবহার করে কোন কিছু ফুটিয়ে তোলার পদ্ধতি। আমার বাংলা ব্লগের বেশ কয়েকজন সম্মানিত ব্লগার ইতিমধ্যে কুইলিং এর ব্যবহার করেন আমি দেখেছি। তাদের দেখেই ইচ্ছে হলো একটা বার চেষ্টা করি।
উপকরণ :
- সাদা, হলুদ ও টিয়ে রঙের কাগজ
- মোম রঙ
- কাচি
- আঠা
প্রস্তুত প্রক্রিয়া :
ধাপ-১ |
---|
প্রথমে আমি সাদা কাগজে পেন্সিলের সাহায্যে ফুল ও পাতার অবয়ব এঁকে নিবো।
ধাপ-২ |
---|
এবারে মোম রঙের সাহায্যে ফুলটি হলুদ এবং পাতার অংশ সবুজ রঙের করে নিবো।
ধাপ-৩ |
---|
এখন হলুদ রঙ এর কাগজ দিয়ে আমি আঠার সাহায্যে ফুলের অংশটুকু ভাগে ভাগে ভরাট করে নিবো ।
ধাপ-৪ |
---|
এখন হলুদ রঙ এর কাগজ দিয়ে ফুলের অংশটুকু ভাগে ভাগে ভরাট করে নিতে গিয়ে মনে হচ্ছিলো মাঝে সবুজ রঙের একটু শেড দিলে হয়তো ভালো লাগবে । তাই মাঝ দিয়ে সবুজ রঙের একটু শেড দিয়ে দিয়েছি। এবং ফুলের বাকি অংশ হলুদ রঙ এর কাগজ দিয়ে ভরাট করেছি।
ধাপ-৫ |
---|
এবারে একই ভাবে টিয়ে রঙের কাগজ আঠার সাহায্যে পাতার অংশটুকু ভাগে ভাগে ভরাট করে নিবো । এটা লিখা তো বেশ সহজ, তবে আঠা দিয়ে বাঁকা করে বসাতে আমার বেশ অসুবিধে হচ্ছিলো। আমি প্রথমে বর্ডার করে নিয়েছি, তারপরে মাঝের অংশে পূরণ করেছি। সবার শেষে নিজের নাম সাইন করে দিয়েছি।
ফাইনাল আউটলুক :
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে 🌼 ধন্যবাদ 🌼
আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি। OR
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।
কুইলিং পদ্ধতিতে সুন্দর একটি ফুল তৈরি করেছে। ফুলটিকে দেখতে সুন্দর লাগছে। এ ধরনের কাজগুলো করতে অনেক সময় ও ধৈর্য প্রয়োজন হয়। দেখে বোঝা যাচ্ছে অনেক সময় নিয়ে কাজটি সম্পন্ন করেছেন। তৈরি করার ধাপ গুলো খুব সুন্দর ভাবে গুছিয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এমন দারুণ একটি মন ভালো করা মন্তব্যের জন্য। 😍❤️
সত্যিই আপনার পোস্ট দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আজ আপনি বেশ সুন্দর করে অত্যন্ত দক্ষতার সহকারে কুইলিং পদ্ধতিতে পাতাসহ একটি ফুল তৈরি করেছেন। বেশ দুর্দান্ত হয়েছে দিদি। আপনি ধাপ গুলি খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। এতো সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আপনার ভালো লেগেছে, জেনে বেশ খুশি হলাম ভাই। আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
দিদি আপনি কুইলিং পদ্ধতিতে একটি ফুল ও পাতা তৈরি করে শেয়ার করলেন। খুব চমৎকার হয়েছে।আপনি ধাপগুলি খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ জানাই আপনাকে সুন্দর এই ডাই পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আপনার দারুণ মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
আপনার মত আমিও নতুন নতুন কাজগুলো করতে পছন্দ করি। আসলে নতুন কাজের অভিজ্ঞতা একদমই অন্যরকম। এমনকি নতুন কাজগুলো করলে আমরা অনেক কিছুই শিখতে পারি। আপনার ওয়েলিং পদ্ধতিতে ফুল তৈরি করলেন এটা দেখেই ভীষণ ভালো লেগেছে । শৈলেন এর কাজগুলো করতে অনেক বেশি সময় লাগে। আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে আপনার কাজটা।
জি আপু। ভেবেছিলাম সহজ কিছু দিয়ে শুরু করি। কিন্তু এটা করতেও প্রায় আড়াই ঘন্টা সময় লেগেছে আমার!
কুইলিং পদ্ধতিতে পাতাসহ অনেক সুন্দর একটি একটি ফুল তৈরি করলেন। আপনার তৈরি করা এই ফুল আমার কাছে তো একেবারে ইউনিক লাগল। কারণ এর আগে কখনো এভাবে ফুল তৈরি করা যায় আমি জানতাম না। দেখতেও বেশ ইউনিক লেগেছে। মনে হচ্ছে আপনার তৈরি করা এই ফুল তৈরি করতে অনেক সময় লেগেছে। এরকম নতুন কিছু হঠাৎ দেখতে পারলে অভিজ্ঞতাটাও অনেক বারে। আপনি এত সুন্দর ভাবে তৈরি করেছেন তার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
সময় তো লেগেছে ভাই। আমি করার আগে ভেবেছিলাম যে সহজ কিছু দিয়ে শুরু করি। এটি করতেও আমার প্রায় আড়াই ঘন্টা সময় লেগেছে! তাহলে বুঝেন!
আপনি যে মাইগ্রেনের সমস্যায় ভুগছেন এর আগের একটি ব্লগে বলেছিলেন দিদি😭। সে ব্লগটিও আমি পড়েছি। এক্ষেত্রে শুধু রেস্ট নেওয়ার পরামর্শ থাকবে আপনার জন্য। যাইহোক, আপনার শেয়ার করা এই কুইলিং পদ্ধতিতে তৈরি করা পাতা সহ ফুল টি দেখতে বেশ দারুন লাগছে! এই কুইলিং পদ্ধতি সম্পর্কে আগে আমার জানা ছিল না যদিও। ইউনিক একটা জিনিস দেখার সুযোগ হলো আজ।
দিদি, প্রথমবার চেষ্টা করেই আপনি কুইলিং পদ্ধতিতে পাতা সহ একটি ফুল খুবই আকর্ষণীয় করে ফুটিয়ে তুলেছেন। যা দেখে একেবারে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আমি কখনো কুইলিং পদ্ধতি ব্যবহার করে কোন কিছু তৈরি করিনি। তবে আজ আপনার সুন্দর উপস্থাপনা দেখে চেষ্টা করার খুব ইচ্ছে হচ্ছে। তাই পরবর্তী সময়ে আমিও একবার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ। আপনার সুন্দর উপস্থাপনার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
অবশ্যই চেষ্টা করবেন ভাই। অপেক্ষায় রইলাম তাহলে... আশা করবো খুব জলদিই আপনার পোষ্ট দেখতে পাবো! 😃
কুইলিং করতে আমিও পছন্দ করি । তবে বেশ সময়সাপেক্ষ বলে কম করা হয়। কিন্তু কুইলিং এর যে কোন কাজ দেখতে বেশ সুন্দর লাগে।আপনার করা কুইলিং এর ফুলটিও দেখতে বেশ সুন্দর হয়েছে। বানানোর ধাপ বেশ সুন্দর করে উপস্থান করেছেন। অনেক অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।
কুইলিং পদ্ধতিতে পাতাসহ একটি ফুল তৈরি করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। এই পদ্ধতিতে কোন কিছু তৈরি করা অনেকটাই কঠিন। আমিও অনেক চেষ্টা করেছি। কিন্তু সেভাবে ভালোভাবে করতে পারিনি আপু।
আমিও তাই দেখলাম আপু। এই এইটুকু জিনিস তৈরি করতেই আমার প্রায় আড়াই ঘন্টার মতন লেগেছে। তাও এক্সপেকটেশন এর কাছাকাছি যায় নি 😐
বাহ আপনার আইডিয়া তো দারুন ছিল। আপনি ভিন্ন ধরনের একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। আপনার এই ফুল আমার কাছে ইউনিক লেগেছে।এভাবে আগে কখনো কাউকে তৈরি করতে দেখিনি। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ এত সুন্দর ও ইউনিক ফুল শেয়ার করার জন্য।
আমাদের সেলিনা আপু মাঝে মাঝে কুইলিং পদ্ধতি ব্যবহার করেন তার ডাই প্রজেক্ট গুলোয়। আমি আজ প্রথম চেষ্টা করলাম। আপনার এমন দারুণ উৎসাহমূলক কমেন্ট এর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।