হ্যাল্লো বন্ধুরা
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী, সবাইকে আমার নমষ্কার /আদাব। আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন। আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার আশির্বাদে পরিবার সহ ভালো আছি। বরাবরের মতো আজ আবারো আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজ একটি ভ্রমণ বিষয়ক পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের সামনে। আশা করছি আপনাদের বেশ ভালো লাগবে পোস্ট টি । কেমন লাগলো, আপনারা অবশ্য ই আপনাদের মতামত জানাবেন। আজ আর কথা বাড়াবো না। সরাসরি চলে যাই মূল পোস্ট এ....

ছবিতে:- দিঘাপাতিয়া রাজবাড়ির প্রধান ফটক
নাটোরে ঘুরতে গিয়েছিলাম এবছরের শুরুতেই। তখন নাটোরের দিঘাপাতিয়া রাজবাড়ি তে ঘুরে এসেছি। ইতিমধ্যে আপনাদের সাথে এই রাজবাড়ির ভিডিওগ্রাফি দুইটি পর্বে শেয়ার করেছি এবং ভ্রমণ পর্ব -১ শেয়ার করেছি। আজ ভ্রমণপর্ব -২ শেয়ার করতে হাজির হয়েছি।
রাজবাড়ির মেইন গেইট দিয়ে হেঁটে সামনে এগুলেই একটি বাঁধাই করা মঞ্চ দেখতে পেলাম। এটি নাকি তৎকালীন সময়ে আবির মঞ্চ বা দোল মঞ্চ হিসেবে ব্যবহৃত হতো। মঞ্চটি গোলাকার। আশেপাশে বেশ সুন্দর কয়েকটি গাছ দ্বারা সুসজ্জিত। দেখতে ভীষণ সুন্দর লাগছিলো। আবার তার সামনেই এক পাশে ছোট একটি পানির ফোয়ারাও ছিলো। যদিও ফোয়ারাটি তখন চলছিলো না। ছবিতে কিছুটা দেখা যাচ্ছে। ল্যাম্পপোস্ট এর নিচেই সেই ফোয়ারাটা। অর্থাৎ রাতে যখন ল্যাম্পপোস্ট এর বাতির নীচে সেই ফোয়ারার পানি ছাড়া হয়, তখন নিসন্দেহে বেশ দারুণ লাগে দেখতে!

ছবিতে:- আবির মঞ্চ বা দোল মঞ্চ

ছবিতে :- আবির মঞ্চ থেকে পথের একাংশ। পরিখার সেপাশে বসার জন্য বেশ কয়েকটি ব্রেঞ্চ এবং ছাউনী রয়েছে দর্শনার্থীদের বসার ব্যবস্থার জন্য।

ছবিতে:- সাদা বিল্ডিং টি কুমার প্যালেস।

ছবিতে :- কুমার প্যালেসের সামনের কামান।

ছবিতে :- কুমার প্যালেসের কামানের সাথে আমি ও আমার মা
আবীর মঞ্চ পেরিয়েই সাদা বিল্ডিং টি দেখা যায়, সেটিই কুমার প্যালেস। এই কুমার প্যালেসের নীচতলা ভয়ংকর অপরাধীদের জন্য জেলখানা হিসেবে ব্যবহৃত হতো। কুমার প্যালেসের নীচতলায় খেয়াল করলে ছোট ছোট জানালা খেয়াল করলেই দেখতে পারবেন। ভীষণ ছোট ছোট একেকটি খুপরির মতো ঘর, যার মেঝেও ভীষণ এব্রোথেব্রো। দিনের বেলাও ফ্ল্যাশ লাইট দিয়ে আসলে এর বেশি কিছুই দেখা যায় নি তাই তার ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পারি নি। তবে যখন তা জেলখানা হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিলো, তখনকার ভয়াবহতা কিছুটা টের পেয়েছি নিজের চোখে দেখে। কুমার প্যালেসের সামনেই বেশ বড় একটি কামান রয়েছে। সুযোগ পেয়ে সেই কামানের সাথে স্মৃতি হিসেবে ছবিও তুলে রেখেছি। এই কুমার প্যালেসের সিড়ি দিয়ে ২য় তলা পর্যন্ত উঠার অনুমতি আছে দর্শনার্থীদের। তবে সকল দরজা জানালা বন্ধই থাকে। সিড়ি দিয়ে ২য় তলায় উঠে সেখান থেকে ভিউ দেখতেও বেশ ভালো লাগছিলো। যেহেতু সামনেই বাগান রয়েছে।

ছবিতে :- কুমার প্যালেসের ২য় তলার বারান্দা

ছবিতে :- কুমার প্যালেসের ২য় তলার বারান্দা থেকে ধারণ করা ছবি। ছবিতে বারান্দা থেকে আবির মঞ্চও দেখা যাচ্ছে।
আমার আজকের পোষ্ট এ পর্যন্তই থাকলো।পরবর্তীতে আবারো বাকি অংশ গুলো ধীরে ধীরে প্রকাশ করবো। আগামী কাল হয়তো আবারো হাজির হবো অন্য কোন বিষয় নিয়ে। আপনাদের কেমন লেগেছে, জানাবেন কিন্তু।সকলের মতামত আমার ভবিষ্যতে পথচলায় সহায়তা করবে। সবাই সাবধানে থাকবেন, ভালো থাকবেন। সবার সুস্থতা কামনা করে আমি আমার আজকের পোষ্ট এখানেই শেষ করছি। সকলকে আমার পক্ষ থেকে শুভরাত্রি।
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে 🌼 ধন্যবাদ 🌼





VOTE @bangla.witness as witness
OR @rme as your proxy

আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি।
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
প্রথমেই বলি আপনার ছবিগুলো অসাধারণ হয়েছে। আর রাজবাড়ির গল্প ও ইতিকথা শুনতে কার না ভালো লাগে? কিন্তু আমি আগের পর্ব মিস করে গেছি। আপনার প্রোফাইলে সময় করে গিয়ে পড়ে আসব। আজকের পর্ব বেশ চমৎকার লাগল। রাজবাড়িটি খুব সুন্দর ভাবে মেইন্টেইনও করা হয়েছে দেখছি৷
হ্যা দিদি। রাজবাড়ি টি আসলে পরবর্তীতে সরকারি কাজে ব্যবহার হওয়ায় বেশ ভালো অবস্থাতেই আছে।