লাইফস্টাইল : হেলদি ব্রেকফাস্ট এর পথে এক ধাপ আগানো..
হ্যাল্লো বন্ধুরা
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী, সবাইকে আমার নমষ্কার /আদাব। কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করছি আপনারা সকলেই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় পরিবার সহ ভালো আছি, সুস্থ আছি। আজ আপনাদের সাথে একটি নতুন পোষ্ট শেয়ার করতে চলে এসেছি। পোষ্টের ভ্যারিয়েশন এর জন্য আপনাদের সাথে একটি লাইফস্টাইল পোস্ট শেয়ার করতে চলেছি । তো চলুন, আর বেশি কথা না বাড়িয়ে চলে যাই আজকের পোষ্ট টি তে.... ৷
সকালের ব্রেকফাস্ট আমাদের সকলের জন্যই একটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ রোল প্লে করে। যদিও আমরা বেশিরভাগ ই বোধ হয় সকালের ব্রেকফাস্ট টাকে ওভাবে প্রাধান্য দেই না। বিশেষত, আজ- কালকার তাগাদা ভরা জীবনে! সকাল হতেই যে যার মতো জীবিকার তাগিদে বের হয়ে যেতে হয়! সকালে হয়তো তাড়াহুড়ায় তেমন কিছু খাওয়ার সুযোগ হয় না। বাহিরের দোকানের সিংগাড়া গুলো যেন ডাকতে থাকে!! অথবা চা-বিস্কুট / পাউরুটি দিয়েই সেরে ফেলা হয় সকালের নাশতা! আমি আসলে যখন চাকরি করতাম, তখন অনেকটা এমন ই ছিলাম। কোনো কোনো দিন হয়তো ডিম সিদ্ধ করার সময় হতো, কোনো দিন বা সেটাও হতো না। বাহিরে থেকে কলা, চা, সিংগাড়া, বিস্কুট, কখনো বা পরোটা এসব দিয়েই নাস্তা করা হতো।
যদিও আমার বাবার কাছে একটা খুব প্রচলিত প্রবাদ বেশ শোনা হতো:- " সকালে খেতে হয় রাজার মতো, দুপুরে প্রজার মতো আর রাতে ভিক্ষুকের মতো " এটা অবশ্য যথেষ্ট সাইন্টিফিক ও! গবেষণায় দেখা গেছে সন্ধ্যায় বা রাতে অনেক সময় সুগার ক্রেভিংস হয় ; মিষ্টি জাতীয় কিছু খেতে ভীষণ ইচ্ছে হয়। সন্ধ্যায় বা রাতে এই সুগার ক্রেভিংস এর প্রকৃত কারণ হচ্ছে সারাদিনে যথেষ্ট প্রোটিন ইনটেক এর অভাব! অর্থাৎ, সারাদিনে যতটুকু প্রোটিন শরীরের প্রয়োজন, সে পরিমাণ প্রোটিন ইন্টেক না হওয়ার কারণেই রাতে এসে প্রচন্ড সুগার ক্রেভিংস তৈরি করে।
শরীরের সার্বিক সুস্থতার জন্য সকালের নাস্তার গুরুত্ব বিবেচনা করে খুব সম্প্রতি আমাদের বাসার কিছু চেঞ্জ এনেছি। সকালের নাশতায় হেলদী কিছু আইটেম কেনাকাটা করে আনা হয়েছে। যেমন- খেজুর, ছোলা, ওটস, চিয়া সীড, তিসি বীজ (ফ্লাক্স সীড), কাঠবাদাম, চীনা বাদাম ইত্যাদি। যদিও সিংগাড়া, চা, বিস্কুটের চেয়ে এইসব আইটেম এর দামটা তুলনামূলক বেশিই। তবে পুষ্টিগুণ ও বেশি, সেটাই কনসিডার করেছি৷ আর প্রতিদিন তো একই আইটেম ভালো লাগে না, তাই ই এত অপশন জীবনে ইনক্লুড করা, যেন সকালের হেলদি নাস্তার ক্ষেত্রে বোরিং মনোভাব না আসে, যেনো মুখোরোচক চা-বিস্কুট- সিংগাড়ায় মনটা ফেরত যেতে না চায়! এর মাঝে কিছু আবার বিকেলের ভাজাপোড়ার অলটারনেটিভ অপশন ও হয়ে গেলো! সব মিলিয়ে কয়েকটি আইটেম যুক্ত করে লাইফে কিছু হেলদি পরিবর্তন আনার চেষ্টা করেছি। এবং আশার কথা হচ্ছে যেদিন থেকে এগুলো যুক্ত করেছি, সেদিন থেকে সকালের নাস্তাটা বেশ হেলদিই হচ্ছে৷ অবশ্য মাঝে মধ্যে ছুটির দিনে একটু শিথিলতা রাখবো আশা করছি। এভাবেই অল্প অল্প করে কিছু পরিবর্তন এর মাধ্যমেই আরোও হেলদি লাইফস্টাইল এর পথে হাঁটার ইচ্ছে আছে আমাদের। দেখা যাক, কতটুকু এগুতে পারি, কতটুকু সুস্থতার পথে ফিরতে পারি।
আজ আর কথা বাড়াচ্ছি না। আমার জন্য দোয়ার দরখাস্ত রইলো আপনাদের কাছে। সকলের সুস্থতা কামনা করে আজকের লেখা এখানেই শেষ করছি।
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে 🌼 ধন্যবাদ 🌼
আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি। OR
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার পোস্টের মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে পারলাম আপু। এটা অবশ্য ঠিক বলেছেন খাবারের ব্যাপারে আমাদের অবশ্যই সচেতন হওয়া উচিত এবং খাবারের তালিকায় পুষ্টিগুণে ভরপুর খাবার রাখা উচিত। বিশেষ করে সকালের। যাইহোক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আপু। আমি তো চেষ্টা করছি একটু একটু করে হেলদি লাইফস্টাইল আপন করে নিতে। দোয়া করবেন।
আমাদের সকলের খাবারের বিষয়ে সজাগ ও সচেতন থাকা প্রয়োজন। আমরা যতটা হেলদি খাবার খাব ততটাই শরীরের জন্য ভালো। আর তাই নিয়ম মেনে যদি খাওয়া যায় তাহলে অনেক উপকার। সুন্দর একটি ব্লগ আমাদের মাঝে উপস্থাপন করতে দেখে খুশি হলাম।
হ্যা ভাই। মরা যত হেলদি খাবার নিয়ে সচেতন হবো, আমাদের শরীরের জন্য ততোই ভালো। আপনি যদিও অনেক আগে থেকেই খাবার নিয়ে বেশ সচেতন।
এই প্রবাদ টা তো জানতাম না। বেশ ভালো লাগল। যুক্তি আছে কথাটায়। কলেজে পড়ার সময় আমার সকালের নাস্তায় বাদাম, ছোলা এবং খেজুর থাকত। কিন্তু এখন সেটার পরিবর্তন এসেছে। এখন একেবারে সাধারণ নাস্তা করা হয়। তবে আপনার হেলদি নাস্তার সিস্টেম টা আমি কয়েক বছর মেইনটেইন করেছি।
দোয়া করবেন যেন মেইনটেইন করার তোফিক হয় আমারো কয়েক বছর।
শরীর সুস্থ রাখতে এই সমস্ত খাবারের প্রতি আমাদের সজাগ হওয়া দরকার। আর আমি মনে করি সকালে খেজুর খাওয়াটা শরীরের জন্য খুবই উপকার। এছাড়াও বেশ কিছু হেলদি খাবার রয়েছে কিন্তু সব সময় তো সব কেনা সম্ভব নয় তবুও কিছু জিনিস ম্যানেজার রাখা প্রয়োজন ভালো থাকতে।
সেটাই আপু। এগুলোর দামের জন্যই সবসময় তা মেইনটেইন কতা সম্ভব হয়ে উঠে না।
সুন্দর পোস্ট। সকালের ব্রেকফাস্ট সব থেকে হেলদি হওয়া দরকার৷ আপনি সঠিক বাজারই করেছেন। তবে ওটস দিয়ে নিশ্চই স্মুদি বানিয়ে খাবেন৷ সেক্ষেত্রে ফলও খাবেন। তাও খুব ভালো। আজকালের ওয়েদার এতো খারাপ যে আমরা চাইলেও হেলদি থাকতে পারি না৷ তাই নিজেদের প্রতি আরও বেশি সচেতন হওয়া দরকার।
নানা কারণেই হেলদি থাকা এখন অনেক কঠিন বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে দিদিভাই! এখন হেলদি থাকার জন্য নানা কায়দা বের করতে হয় আলাদা করে!