হঠাৎ ভ্রমণ : সংসদের সামনে দিদিভাই সহ ঘুরো ঘুরি
|| আজ ১৮ জানুয়ারি, ২০২৪|রোজ: বৃহস্পতিবার||
হ্যাল্লো বন্ধুরা
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগবাসী, সবাইকে আমার নমষ্কার /আদাব। আশা করছি আপনারা সকলে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার আশির্বাদে ভালো আছি।
আপনারা অনেকেই জানেন যে আমার দিদিভাই, আপনাদের সকলের পছন্দের বৃষ্টিচাকি বেশ কিছুদিন আগে ঢাকায় এসেছিলেন। তখন আমরা একসাথে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে গিয়েছিলাম, মিরপুর হোপ মার্কেট এ গিয়েছিলাম যা ইতিমধ্যে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি৷ আজ শেয়ার করবো দিদিভাই এর সাথে সংসদ ভবনের সামনে কাটানো কিছু মূহুর্ত।
মিরপুর হোপ মার্কেট এ ফেরার পথে তখন ইতিমধ্যে সন্ধ্যা পার হয়ে গিয়েছিলো। আমরা আগেই ঠিক করেছিলাম যে মিরপুর থেকে ফেরার সময় আমরা সংসদের সামনে কিছুক্ষণ বসে ঘুরে ফিরে তারপর আসবো বাসায়। আর যেহেতু এখন শীতকাল, সংসদ ভবনের সামনে হরেক রকমের পিঠা, ভুট্টা ভাজা বসে থাকে৷ এছাড়াও সবসময়ই ওখানে ফুসকা-চটপটি- ভেলপুরি- মুড়িমাখা- আইসক্রিম- বাদামের দোকান তো থাকেই!! আমরা মুলত টার্গেট নিয়েই গিয়েছিলাম যে ইচ্ছেমতো স্ট্রীট ফুড খাবো ওখানে.. তো গিয়েই আমাদের খাওয়া দাওয়া পর্ব শুরু হয় ভুট্টো ভাজা দিয়ে। এখানের এই ভুট্টো ভাজা আমার বেশি পছন্দের। এখানের এই ছেলেটা যে মসলা টা দেয়, সেটার কম্বিনেশন যাস্ট ওয়াও লাগে আমার! মানে, ঝাল-টকের পারফেক্ট মিকচার! যদিও সেই মুহূর্তে ওর ভ্যানে কালেকশন অলরেডি শেষ এর পথেই ছিলো। আমি তার মধ্যে থেকেই বেছে বেছে পছন্দ করে একটা ভুট্টো নিয়েছিলাম।
ঝালের পর এবারে মিষ্টি কিছু। মানে ভাপা পিঠা! বেশ নারকেল -গুড় দেয়া গরম গরম ধোয়া উঠা ভাপা পিঠা... এককথায় সেই স্বাদ! আশা করি ছবি দেখেও কিছুটা আইডিয়া পাবেন.... এই পিঠা আমরা খেয়েছি তো বটেই, আবার বাসার জন্যও নিয়ে নিয়েছিলাম।
এরপরে আশেপাশে কোথাও বেশ এক দল মিলে দারুণ গানের আসর বসিয়েছিলো। আমরা তার একটু পাশে বসে কিছুক্ষণ ইঞ্জয় করলাম চানাচুর মাখা খেতে খেতে। আবারো কিছুক্ষণ গল্প করে, গেলাম ভেলপুরির দোকানের দিকে... 😋 ভেলপুরির প্লেট ফাঁকা হতে তো আর সময় লাগে না দুইজন মেয়ে যদি থাকে একসাথে সে তো আর নতুন করে বলার কিছু না!
এরপর ভাবলাম এবার ইস্তোফা দেই। বাসার দিকে ফিরি। কিন্তু পথে দেখি এক লোক পেটিসের বাক্স নিয়ে বসে আছে। এই প্যাটিসের বক্স নিয়ে ঘুরে বেড়ানো লোক গুলো ঢাকায় এখন আর দেখাই যায় না। তাই দেখা যেহেতু পেলাম হুট করে, মিস করলাম না। দুজনে দুটো প্যাটিস নিয়ে নিলাম আর কুড়মুড়ে প্যাটিস ইঞ্জয় করলাম। এবারে ফিরতে গিয়ে দিদিভাই এর মনে পড়লো, এই শীতে ঢাকার চিতই পিঠা ত মিস করা উচিত না! আমি অবশ্য চিতই পিঠায় ইন্টারেস্ট দেখালাম না। দিদিভাই ৩ ধরনের ভর্তা দিয়ে চিতই পিঠা খেলেন এবং আমাকেও খাইয়ে দিয়েছিলেন। 😍🥰 তো বুঝতেই পারছেন, ইন্টারেস্ট না দেখিয়েও লাভ তেমন কিছু হলো না 😅। ওদিকে ঝাল ভর্তা খেয়ে দিদিভাই সামনে বাদামওয়ালা দেখে বাদাম -বুট ও নিয়ে নিলো কিছু। রিক্সা নিয়ে বাদাম খেতে খেতে দুই বোন বাসায় ফিরলাম ফুরফুরে মেজাজে! তো, যেমনটি টার্গেট ছিলো, ইচ্ছেমতোন স্ট্রীট ফুড খেয়েছি দুই বোন মিলে সে তো আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ✌️✌️
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে
</ div>
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে 🌼 ধন্যবাদ 🌼
আমি- তিথী রানী বকসী, স্টিমিট আইডি @tithyrani। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার। বিবাহিতা এবং বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করছি।২০২৩ সালের জুন মাসের ১৯ তারিখে স্টিমিটে জয়েন করেছি। OR
ভ্রমণ করা, বাগান করা, গান শোনা, বই পড়া, কবিতাবৃত্তি করা আমার শখ। পাশাপাশি প্রতিদিন চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখতে, ভাবতে। যেখানেই কোন কিছু শেখার সুযোগ পাই, আমি সে সুযোগ লুফে নিতে চাই৷ সর্বদা চেষ্টা থাকে নিজেকে ধাপে ধাপে উন্নত করার।
বাবারে বাবা আপনারা দু বোন মিলে তো বেশ ভালোই খাওয়া দাওয়া করলেন। ভুট্টা ভাজি, ভাপা পিঠা, বাদাম, ভেলপুর আরো অনেক মজার মজার খাবারও খেলেন। দুজনে মিলে মেয়েদেরকে ছাড়া কত কিছুই না খেয়ে ফেললেন। আসলে হঠাৎ যদি কখনো বোনের সাথে কোথাও বাইরে ঘুরতে যাওয়া হয় তাহলে সবাই মিলে বেশ ভালোই খাওয়া দাওয়া হয়। আপনারা দুজনে ও বেশ গল্প করলেন বসে বসে তার সাথে খাওয়া-দাওয়াও করলেন। আপনাদের খাওয়া দাওয়ার কথা শুনতে শুনতে আমার নিজেরও জিভে জল চলে আসলো। যাইহোক আপনার পোষ্টটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো।
আসলেই আপু, নিজেরাই পরে অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। আসলে যেহেতু ঘুরাঘুরি করে তারপর ওখানে যাওয়ার হয়েছিল, আর ওখানের খাওয়া গুলোও বেশ মজাদার ছিলো, তাই বেশ অনেকগুলো আইটেম ই ট্রায় করা হয়েছিল। আপনার দারুণ একটি কমেন্ট এর জন্য ধন্যবাদ আপু।
ওরে বাপরে! এত কিছু খেতে পেরেছেন ঠিকঠাক!! ঢাকায় আমি সব জায়গাতেই ঘুরেছি কিন্তু সংসদ ভবনের সামনে কখনো হেটে ঘোরা হয়নি। ইচ্ছে থাকলেও নানান ঝামেলায় পাশ কাটিয়ে যেতে হয়েছে। খুব ভালো লাগলো দিদি আপনাদের সুন্দর সময় অতিবাহিত করতে দেখে। যদিও ফুচকার/ ভেলপুরির ওপরের লাল মরিচের গুঁড়ো গুলো দেখে আমার পেটের ভেতরে কামড় দেয়া শুরু করেছে। আমি তো ঝাল একদম খেতেই পারি না 😅।
দেখেই মোচড় দিলো 😅😂😂 আয় হায়! যাই হোক, আমাদের আবার কোন ঝামেলাই হয় নাই। ✌️😎