রেসিপি পোস্ট --- 😋 ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা মজার ফালুদা রেসিপি | | আমার বাংলা ব্লগ | |
আসসালামু-আলাইকুম
হ্যালো বন্ধুরা,
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগন,কেমন আছেন সবাই ? আশা করি সবাই ভাল আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ আল্লাহ্র অশেষ রহমতে বেশ ভাল আছি।
আমি @shimulakter"আমার বাংলা ব্লগ" এর আমি একজন নিয়মিত ইউজার। প্রতিদিনের মত আমি আজও নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।আমি আজ একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে এসেছি।আমি আশাকরি আমার আজকের রেসিপি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা মজার ফালুদা রেসিপিঃ
বন্ধুরা, এই গরমে ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা ফালুদা খেতে খুব বেশি মজার হয়।আর ইফতারে যদি এমন সুন্দর এক গ্লাস ফালুদা খাওয়া যায় তবে কিন্তু শরীরের জন্য অনেক বেশি ভালো হয়।আর এই ফালুদা আমি আর আমার ছেলের খুব পছন্দ। তাই ইফতারে যখন সবাই ভাজা-ভাজি খেতে ব্যস্ত আমি আর আমার ছেলে ফালুদা নিয়ে ব্যস্ত।এখন বুঝতে পারলেন আমি কতটা ফালুদা পছন্দ করি।তবে একটা কথা ফালুদাতে অনেক রকমের ফল,বাদাম,ছোট ছোট মিষ্টি দিয়ে সবাই খেতে পছন্দ করলেও আমার আপেল,কলা,আম ছাড়া আর কোন ফল পছন্দ নয়।যদিও পাকা আম এখন নেই,এজন্য আমি আইসক্রিম ম্যাঙ্গো ফ্লেভারের নিয়েছি। আর তাই ওই দুটি ফল দিয়েই আমি করে থাকি।কিন্তু আপনারা যে যার পছন্দ মত ফল দিয়ে নিতে পারেন।তবে চলুন এবার মূল রেসিপিতে যাওয়া যাক।
প্রয়োজনীয় উপকরনঃ
১। গুঁড়া দুধ
২। সাবুদানা
৩। নুডুলস
৪।চিনি
৫। কলা,আপেল,আঙ্গুর
৬। কাস্টার্ড পাউডার
৭। রুহ আফজা
৮। আইসক্রিম
রান্নার ধাপ সমুহঃ
ধাপ --১
প্রথমে হাফ লিটার পানিতে সম্পূর্ণ পেয়ালার দুধটুকু দিয়ে ঘন করে জাল করে নেব। এরপর পরিমান মত চিনি দিয়ে দেব।
ধাপ --২
এবার ছোট পেয়ালায় নরমাল তরল দুধ নিয়ে তাতে পরিমান মত কাস্টার্ড পাউডার দিয়ে মিশিয়ে নিতে হবে।এরপর গরম দুধের মধ্যে ঢেলে নিয়ে নাড়তে হবে।
ধাপ --৩
এরপর দুধ যখন ঘন হয়ে আসবে তখন নামিয়ে ফেলব। এরপর ঠাণ্ডা করে ফ্রিজে রেখে দেব।
ধাপ --৪
এবার চুলায় গরম পানি বসিয়ে তাতে সাবুদানা ধুয়ে ছেড়ে দিলাম। সিদ্ধ হয়ে এলে তা নামিয়ে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে রেখে দেব।
ধাপ --৫
এবার চুলায় গরম পানি বসিয়ে তাতে নুডুলস সিদ্ধ করে নামিয়ে নিলাম।
ধাপ --৬
এবার ফলগুলো ইচ্ছেমত কেটে নিলাম।
ধাপ --৭
এরপর সাজিয়ে নেয়ার পালা।যে যার ইচ্ছেমত সাজিয়ে নিতে পারবেন। তবে আমি যেভাবে সাজিয়েছি সেটাই বলছি,প্রথমে গ্লাস দুটোতে রুহ আফজা দিয়ে গার্নিশ করে নিয়েছি,এরপর তাতে অল্প সাবুদানা ও নুডুলস দিয়ে ঘন দুধ পরিমান মত দিয়ে তাতে কেটে রাখা ফল দিয়ে উপরে আইসক্রিম দিয়ে দিয়েছি।এভাবেই শেষ হল আমার বানানো ফালুদা।বিশ্বাস করেন ফালুদা বানাতে যতটুকু সময় লেগেছে,খেতে তার চেয়ে অনেক কম সময় লেগেছে। এই গরমে আর রোজার ইফতারে আমার খুব পছন্দের একটি খাবার ফালুদা।সেই রেসিপিটি আজ আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম,আশাকরি আপনাদের কাছেও ভালো লেগেছে।
পরিবেশন
পোস্ট বিবরন
শ্রেনি | রেসিপি |
---|---|
ফটোগ্রাফির জন্য প্রয়োজনীয় ডিভাইস | SamsungA20 |
ফটোগ্রাফার | @shimulakter |
স্থান | ঢাকা |
আজ আর নয়। আশাকরি আমার রেসিপি আপনাদের কাছে খুব ভাল লেগেছে।আবার নতুন কোন ব্লগ নিয়ে হাজির হব। সবাই সুস্থ থাকবেন,ভাল থাকবেন।
আপনি তো অনেকগুলো ফল এবং অন্যান্য জিনিস দিয়ে খুব চমৎকার ভাবে ফালুদা রেসিপি বানিয়েছেন। রেসিপিটি আপনার এবং আপনার ছেলের অনেক প্রিয়। মনে হয় মা এবং ছেলে খুব মজা করে রেসিপিটি খেয়েছেন। তবে আমি কখনো এভাবে ফালুদা রেসিপি করি নাই। তবে একদিন বাড়ানোর চেষ্টা করব। অনেক সুন্দর করে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের মাঝে রেসিপিটি শেয়ার করেছেন।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মতামত দেয়ার জন্য।
আপনি তো দেখছি খুব মজার ফালুদা রেসিপি করেছেন। আপনার ছেলে এবং আপনার পছন্দের ফালুদা রেসিপি। তবে আমি কখনো এভাবে ঠান্ডা ঠান্ডা মজার ফালুদা রেসিপি বানিয়ে খাইনি। অনেক সুন্দর করে রেসিপিটি ঘরোয়া পরিবেশে বানিয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। তাই আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে ও।
ঠান্ডা ঠান্ডা মজাদার ফালুদা তৈরি করার পদ্ধতি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। গরমের দিনে এই ধরনের ঠান্ডা ফালুদা খেলে যেন জীবন সার্থক মনে হয়। গরমের দিনে আপনাদের এই রেসিপিটা খুবই ভালো লাগলো।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
এটা কিন্তু ঠিক হলো না এই সময় এরকম রেসিপি দেখলে লোভ সামলাতে পারি না। রোজার দিনে রেসিপিগুলো দেখতে আমার কাছে ভালই লাগে না। ইফতারের পরে দেখলে তবুও ভালো আছে। ঠান্ডা হওয়ার কারণে আমার কাছে আরো বেশি ভালো লেগেছে। যাইহোক ঠান্ডা ঠান্ডা মজার ফালুদা রেসিপি দেখে ভীষণ ভালো লেগেছে ইফতারের সময় খেতে একটু বেশি ভালো লাগবে এটি। উপস্থাপনাও বেশ ভালো ছিল বলতে হচ্ছে।
আপু রোজার সময় রেসিপি দেখা খুব কষ্টের আমি ও তা বুঝি।কিন্তু কি করব আপু পোস্ট আজ আগেই দিয়ে ফেললাম।রেসিপিটি আপনার ভাল লেগেছে জেনে খুব ভাল লাগলো।
ফালুদা রেসিপি তৈরি করা দেখে ভালো লাগলো আপু। সাধারণত রেস্টুরেন্টে খাওয়া হয়। বাসায় কখনো তৈরি করা হয়নি। বাসায় যদি এভাবে এই ফালুদা তৈরি করা হয় তাহলে খেতে বেশি ভালো লাগবে। অনেক সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরীর পদ্ধতি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন এজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
ভাগ্যিস ভালো আমি এখন আপনার পোস্ট দেখলাম। যদি দিনের বেলায় দেখতাম তাহলে কি রকম অবস্থা হতো আমার নিজেই জানতাম না। রোজার দিনে এরকম রেসিপি গুলো দেখলে সত্যিই কিরকম জানি লাগে। যাইহোক এমনিতে কিন্তু আপনি খুবই মজাদার একটা রেসিপি তৈরি করেছেন এবং খুবই মজা করে খেয়েছেন দেখে বুঝতে পারছি। এরকম ঠান্ডা ঠান্ডা ফালুদা আমি সবচেয়ে বেশি পছন্দ করি। তাই একটু বেশি ভালো লাগলো দেখে আপনার কাছে।
ধন্যবাদ ভাইয়া মতামত প্রকাশ করার জন্য।
আমার মনে হয় গরমের দিনে ইফতারি অথবা যেকোনো মুহূর্তে নিজের শরীরকে সতেজ তরতাজা রাখতে আপনার এই রেসিপি একান্ত প্রয়োজন। আজ আপনি আমাদের মাঝে সত্যি একটি ইউনিক পোস্ট শেয়ার করেছেন যে ইউনিভার্সিটিটা দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি এবং প্রাণ জুড়ে গেল এত সুন্দর আইটেম দেখে।
কিছু একটা ভুল হয়েছে হয়ত কমেন্টে।মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
সারাদিন রোজা রেখে ইফতারের সময় ঠান্ডা ফালুদা খেলে কলিজা একেবারে শীতল হয়ে যায়। চমৎকার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। ফালুদা আমার খুব পছন্দের একটি খাবার। আপনার রেসিপিটা দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতে ইয়াম্মি হয়েছে। সময়োপযোগী একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
সুন্দর ও সাবলীল মন্তব্য পেয়ে ভাল লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকেও ভাইয়া।
Hi, @shimulakter,
Thank you for your contribution to the Steem ecosystem.
Your post was picked for curation by @rex-sumon.
Please consider voting for our witness, setting us as a proxy,
or delegate to @ecosynthesizer to earn 100% of the curation rewards!
3000SP | 4000SP | 5000SP | 10000SP | 100000SP