লাইফ স্টাইল পোস্ট - 💞 " বাচ্চাদের কে বাইরে নিয়ে চিকেন মোমো খাওয়ানোর অনুভূতি "
আমার বাংলা ব্লগ এ সবাইকে স্বাগতম।
হ্যালো বন্ধুরা,
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার প্রিয় "আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ,কেমন আছেন সবাই?আশা করি সবাই ভালো আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ আল্লাহ্র অশেষ রহমতে বেশ ভালো আছি।আর প্রতিনিয়ত ভালো থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছি।আশাকরি আপনারা ও এমনটাই চেষ্টা করে যাচ্ছেন ভালো থাকার।
বন্ধুরা,আজ আমি শেয়ার করতে চলে এলাম লাইফ স্টাইল পোস্ট।আশাকরি আমার পোস্ট আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।আমি আমার প্রতিদিনের নানা রকমের কর্মকান্ডের কিছু কিছু বিষয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করে থাকি।আশাকরি আমার শেয়ার করা অনুভূতি গুলো আপনাদের কাছে ভালো লাগে।চলুন তবে আজকের বিষয়টি তুলে ধরছি।
বাচ্চাদের কে বাইরে নিয়ে চিকেন মোমো খাওয়ানোর অনুভূতিঃ
আজ আপনাদের মাঝে লাইফ স্টাইল পোস্ট শেয়ার করবো ভেবে পোস্ট লিখতে বসলাম।সারাদিন নানা রকমের কাজ,চাপে থাকতে হয়।তারপরেও চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে মনের অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।আশাকরি আমার পোস্ট আপনাদের কাছে ভালো লাগে।আমার আব্বু অসুস্থ হয়ে প্রায় ১১ দিনের মতো হাসপাতালে ছিলেন।এখন অবশ্য বাসায় চলে গেছেন।আমরা সবাই আব্বুর পাশে সব সময় ই ছিলাম।আমি আমার ছোট বোন আর বড় ভাইয়া।আর সব সময় আম্মু তো ছিল ই সাথে।এরপর আমাদের যে আত্মীয়-স্বজন সবাই ই এসেছিল কোন না কোন সময়।আমাদের পরিবারের লোকজন এতো যে তারা সবাই একসাথে হলে বাইরের মানুষের আর দরকার হয় না।
এইতো সেদিন শুক্রবার ছিল।তাই আমার,আমার বোনের ও ভাইয়াদের ছেলেমেয়েরা ও সবাই এসেছিল আব্বুকে দেখার জন্য।একসাথে এতো লোকজন দেখে নার্সরা অবাক হয়ে বলেই ফেলেছিল এতো লোকজন একসাথে অন্য কোন হাসপাতালে এ্যালাও করবে না।আমরা বললাম নাতি-নাতনি দাদা ও নানাকে দেখবে কি করবো বলেন।যাই হোক সবাই এসেছিল আমি বাসা থেকে চা করে নিয়ে গিয়েছিলাম আর কিছু নাস্তা ও নিয়েছিলাম।সবাই খুব মজা করে খেয়েছিল।
বাচ্চারা যেহেতু বাইরের খাবার ভীষন পছন্দ করে তাই ওদেরকে মোমো খাওয়ার অফার করলাম।আর বাচ্চারা ও এক বাক্যে মোমো খাওয়ার জন্য রাজি হয়ে গেলো।আসলে ব্যক্তিগত ভাবে চিকেন মোমো খেতে আমিও ভীষণ পছন্দ করি।তবে বাইরের নয়।আমি বাসায় তৈরি করে খেয়ে থাকি।ওদের সবাইকে আমার বাসায় যাওয়ার জন্য বলেছিলাম।কিন্তু বাসায় তখন কেউ যেতে রাজি নয়।তাই ধানমন্ডির এক দোকানে নিয়ে গেলাম ওদের চিকেন মোমো খাওয়ানোর জন্য।
এই দোকানটিতে প্রায় অনেক রকমের মোমো দেখলাম।বাচ্চারা চিকেন মোমোর পাশাপাশি চিকেন চিজ মোমো ও টেস্ট করলো।যদিও আমি ওদেরকে নাগা মরিচ মোমো খাওয়ার জন্য অফার করেছিলাম।কিন্তু কেউ খাবে না।তাই চিকেন চিজ মোমো অর্ডার করলাম। কিছু সময় আমরা গল্প করছিলাম আর আমি এর মধ্যে কিছু ফটোগ্রাফি করে নিলাম।এর মাঝেই তিনি চিকেন মোমো আর চিকেন চিজ মোমো আমাদের মাঝে দিলেন।বাচ্চারা সবাই খেয়ে বললো চিজটা উপরে না দিয়ে ভেতরে দিলে বেশী মজা হতো।এটা সেদিন প্রথম ট্রাই করা হলো সবার।খেতে মন্দ নয়।যদিও আমি খাইনি।তবে বাচ্চাদের অভিমত বললাম।
আমরা প্রায় ঘন্টা খানেকের বেশী সময় সেখানে ছিলাম।লোকটি মোমো রেডি করতে গিয়ে হাফিয়ে উঠেছিল।সেদিন বাচ্চারা সবাই খুব সুন্দর মূহুর্ত কাটিয়েছিল।কাজিনরা মিলে একসাথে প্রায় অনেকদিন পর হলো।সবাই এতো এতো ব্যস্ত থাকে তাই একসাথে খুব কমই হওয়া পরে।এরপর বোন,বোনের হাসবেন্ড,ভাবীরা ও খেয়েছিল।আমাদের বড়দের সময় ও খুব ভালো কেটেছিল।খাওয়া-দাওয়া শেষ হলো,আমাদের গল্পের ও অবসান হলো।এরপর বিল মিটিয়ে যে যার বাসার দিকে রওনা দিয়ে দিলাম।কিছু সময়ের আনন্দঘন মূহুর্তটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করে ভীষণ ভালো লাগলো।আশাকরি আপনাদের কাছেও ভালো লেগেছে।
আজ আর নয়।আপনাদের কাছে মনের অনুভূতি গুলো শেয়ার করতে পেরে ভীষণ ভালো লাগলো।সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন।আবার নতুন কোন ব্লগ নিয়ে হাজির হবো।
পোস্ট বিবরন
শ্রেনি | লাইফ স্টাইল |
---|---|
প্রয়োজনীয় ডিভাইস | Samsung A 20 |
ফটোগ্রাফার | @shimulakter |
স্থান | ধানমন্ডি ,ঢাকা |
আমার পরিচয়
আমি শিমুল আক্তার।আমি একজন বাংলাদেশী।আমি এম এস সি(জিওগ্রাফি) কমপ্লিট করি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।আমি বিবাহিতা।আমি একজন গৃহিণী।আমি স্বাধীনচেতা একজন মানুষ।ভালোবাসি বই পড়তে,নানা রকমের রান্না করতে,ফটোগ্রাফি করতেও আমি ভীষণ পছন্দ করি।বাংলায় লিখতে আর বলতে পারার মধ্যে অনেক বেশী আনন্দ খুঁজে পাই।নিজের মধ্যে থাকা সৃজনশীলতাকে সব সময় প্রকাশ করতে পছন্দ করি।এই বাংলার মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছি বলে নিজেকে অনেক ধন্য মনে করি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
অনেক ভালো লাগলো আপনার আজকের সুন্দর এই পোস্টটা দেখে। যেখানে বাচ্চাদের খাওয়ানোর জন্য বাইরের পরিবেশ নিয়ে গেছেন। এবং সুন্দর রেসিপি খাওয়ানোর চেষ্টা করেছেন। মাঝেমধ্যে বাচ্চাদের এভাবে বাইরে পরিবেশ নিয়ে যাওয়া এবং আনন্দ দেওয়ার মধ্যে নিজেরও অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করে। অনেক ভালো লাগলো আপু আপনার সুন্দর পোস্ট দেখে।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
মোমো আমি নিজেও বেশ পছন্দ করি খেতে। গরম গরম মোমো খাওার মজাই আলাদা। আপনি আপনার বাচ্চাদেরকে নিয়ে গিয়েছিলেন দেখে ভালো লাগলো। সুন্দর পোস্টের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
আপনাকে ও অনেক ধন্যবাদ জানাই।
আপু আপনার আব্বু অসুস্থ হয়ে হসপিটালে অনেকদিন ছিল জেনে সত্যিই খারাপ লাগলো।
আশা করছি এখন তিনি অনেকটাই সুস্থ আছেন। চিকেন মোমো খাওয়ানোর অনুভূতি এত সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো আপু। মনে হচ্ছে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। দারুন মুহূর্ত গুলো আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন দেখে খুবই খুশি হলাম আপু।
দোয়া করবেন আপু আমার আব্বুর জন্য। ধন্যবাদ আপনাকে।