লাইফ স্টাইল -- 💖 " আমাদের ঈদ আনন্দ " || আমার বাংলা ব্লগ
ঈদ মোবারক বন্ধুরা।আমার বাংলা ব্লগ এ সবাইকে স্বাগতম।
হ্যালো বন্ধুরা,
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার প্রিয় "আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ,কেমন আছেন সবাই?আশা করি সবাই ভালো আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ আল্লাহ্র অশেষ রহমতে বেশ ভালো আছি।আর প্রতিনিয়ত ভালো থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছি।আশাকরি আপনারা ও এমনটাই চেষ্টা করে যাচ্ছেন ভালো থাকার।
বন্ধুরা,আজ ঈদের দিন।দেখতে দেখতে দিনটি খুব ভালো ভাবেই কেটে গেলো।আমি এই ঈদের আনন্দ অনুভূতি নিয়ে শেয়ার করতে চলে এলাম লাইফ স্টাইল পোস্ট।আশাকরি আমার পোস্ট আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।আমি আমার প্রতিদিনের নানা রকমের কর্মকান্ডের কিছু কিছু বিষয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করে থাকি।আশাকরি আমার আজকের শেয়ার করা এই ঈদ অনুভূতি গুলো আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।চলুন তবে আজকের বিষয়টি তুলে ধরছি।
আমাদের ঈদ আনন্দঃ
কানভা দিয়ে বানানো
আজ মুসলিম উম্মাহর দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎসব আনন্দের দিন ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো।আশাকরি সবাই খুব আনন্দ উল্লাসের মাঝে পরিবার পরিজন,আত্মীয় -স্বজনকে নিয়ে খুব সুন্দর ভাবে দিনটিকে উদযাপন করেছেন।আমার দিনটি কাজের মধ্যে ও আনন্দেই কেটেছে।ছেলেবেলা থেকেই আমার বেশী আনন্দ লাগে চাঁদ রাতে।ঈদের আগের রাতটিকেই চাঁদ রাত বলা হয় আপনারা তা জানেন।আর এই চাঁদরাতে জেগে হাতে মেহেদি দেয়া, গল্প করা, এরপর আম্মুর হাতের মজার মজার রান্না করা দেখা।এসব কিছুই চাঁদ রাতে করা হতো।আর এখন আমি নিজেই মা।তাই আমিও চেষ্টা করি রাতে বেশকিছু আইটেম রান্না করে কিছুটা এগিয়ে রাখতে।তবে এবার এতো গরম।তাই এ রাতে আর কিছুই রান্না করিনি।
সকালে ছেলে ঘুম থেকে আমার আগেই উঠে গেলো নামাজে যাবে বলে।নামাজ ছিল ৭.৩০ একটা আর ৮ টায়।আমি রাতে বলে রেখেছি ৮ টার জামাতে নামাজে যাবে।তাই আমি ৭ টায় ঘড়িতে এলার্ম দিয়ে রেখেছিলাম।কিন্তু ছেলে উঠে যাওয়াতে আমি ও উঠে ওকে গোসল করিয়ে পাঞ্জাবি পরিয়ে রেডি করে দিলাম।ওরা নামাজে গেলে আমি রান্না করার জন্য ব্যস্ত হয়ে গেলাম।আমাদের বাসায় মিষ্টি খাবার তেমন একটা কেউ খায় না।তবে কুনাফা হলে সবাই ভীষণ পছন্দ করে খায়।আর ঈদে মিষ্টি কিছু রান্না না করলে কি চলে।তাই আমি ঝটপট কুনাফা তৈরি করে নিলাম।এই রেসিপিটি এরাবিক একটি ডেজার্ট।আমি এর আগে এই রেসিপিটি শেয়ার করেছিলাম।তাই রেসিপিটি রাখা হয়নি।
এরপর আমি জর্দ্দা রান্না করে নিলাম।এখন ভাবছি শুধু মিষ্টি খাবার খাওয়া তো যাবে না।ঝাল কিছু রান্না করতে হবে।তাই আমি চিকেন বিরিয়ানি করে নিলাম।আর দুপুরে তো পোলাও রান্না হবেই।তাই সকালে বিরিয়ানি সাথে চিকেন ফ্রাই,চিকেন সিজলিং করে নিলাম।
সবাই খাবার খেয়ে কুনাফা খেয়ে নিল।এরপর দুপুরের রান্নার জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম।সবকিছু নিজ হাতে ধীরে ধীরে গুছিয়ে নিয়ে রান্না শুরু করে দিলাম।কুরবানি হয়ে যাওয়ার পর সবার মাঝে মাংস বিলিয়ে দিয়ে এরপর রান্না শুরু করে দিলাম।রান্না অনেক আইটেমই করেছি।আজ যদিও তেমন কোন গেস্ট আসেনি।তবে কাল আসবে সবাই।এবার বাবার বাসায় আর যাওয়া হয়নি আমার।আমি গরমে অস্থির।পরে যাব বলেছি।সবাইকে আসতে বললাম।সবাই ক্লান্ত এই গরমে।ঈদের দিনটি আমার এতো সব ব্যস্ততায়ই কেটে গেলো।আপনাদের কেমন কাটলো ঈদের দিনটি।আশাকরি আপনাদের অনুভূতি ও জানতে পারবো।
আজ আর নয়।আশাকরি আমার ব্লগ আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে।আপনাদের কাছে মনের অনুভূতি গুলো শেয়ার করতে পেরে ভীষণ ভালো লাগলো।সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন।আবার নতুন কোন ব্লগ নিয়ে হাজির হবো।
পোস্ট বিবরন
শ্রেনি | লাইফ স্টাইল |
---|---|
প্রয়োজনীয় ডিভাইস | Samsung A 20 |
ফটোগ্রাফার | @shimulakter |
স্থান | ধানমন্ডি ,ঢাকা |
আমার পরিচয়
আমি শিমুল আক্তার।আমি একজন বাংলাদেশী।আমি এম এস সি(জিওগ্রাফি) কমপ্লিট করি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।আমি বিবাহিতা।আমি একজন গৃহিণী।আমি স্বাধীনচেতা একজন মানুষ।ভালোবাসি বই পড়তে,নানা রকমের রান্না করতে,ফটোগ্রাফি করতেও আমি ভীষণ পছন্দ করি।বাংলায় লিখতে আর বলতে পারার মধ্যে অনেক বেশী আনন্দ খুঁজে পাই।নিজের মধ্যে থাকা সৃজনশীলতাকে সব সময় প্রকাশ করতে পছন্দ করি।এই বাংলার মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছি বলে নিজেকে অনেক ধন্য মনে করি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আগে থেকে আমিও কিছু কাজ গুছিয়ে রাখার চেষ্টা করি।যেমন ঈদের আগের পায়েস সহ বেশ কিছু রান্না আগেই করে ফেলি।ঈদে কাটানো সুন্দর মুহূর্ত পড়ে ভালো লাগলো আপু।ঈদের শুভেচ্ছা রইল আপনার পরিবারের জন্য।
আপনাকেও ঈদের শুভেচ্ছা জানাই আপু।
ঈদের আগের দিন রাতে যদি কিছু কাজ গুছিয়ে রাখা হয়, তাহলে ঈদের দিন খুব একটা ব্যস্ত সময় কাটানো লাগে না। আমি তো সবসময় এরকম কিছু করার চেষ্টা করি। আমার ঈদের দিনটা সত্যি খুব ভালো কেটেছিল। খুব একটা ব্যস্ততার মধ্যে দিন কাটেনি। ঈদের দিন আপনি দেখছি অনেক ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে সময় কাটিয়েছেন। এত রকম খাবারের আয়োজন করা হয়েছিল দেখে তো মনে মনে ভাবছি ঈদের দিন আপনাদের বাসায় চলে যাওয়া উচিত ছিল 😁। তাহলে এরকম মজার মজার খাবার গুলো খেতে পারতাম 😋। যাইহোক ভালো লাগলো সম্পূর্ণটা পড়ে।
চলে আসেন আপু।ধন্যবাদ মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।
আপু আপনার ঈদ আনন্দ কে এই পোষ্টের মাধ্যমে এত সুন্দর করে তুলে ধরেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো পড়ে। ঈদের আনন্দটা সত্যি খুব ভালো লাগে। মনের ভেতর আলাদা একটা অনুভূতি সৃষ্টি হয় ঈদের সময়। এত রকম খাবারের আয়োজন করা হয়েছিল দেখে তো খুব ভালো লেগেছে। আমাকে দাওয়াত দিতেন আপু। তাহলে তো ঈদের দিন আপনাদের বাড়িতে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করে আসতাম। ঈদের আনন্দ খুশির পাশাপাশি খাওয়া-দাওয়া টা ও ভালোভাবে করেছেন দেখেই বুঝতে পারছি।
ভাইয়াদের আর বিশেষ করে ঈদে দাওয়াত দিতে হয়?? চলে আসবেন।😃
ঈদুল আযহার দিন সবার অনেক ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে কাটে। সকাল সাতটা বাজে ঘুম থেকে উঠে হালকা নাস্তা করেছিলাম। তারপর সবকিছু কাটাকাটি করে বিকেল সাড়ে তিনটার সময় লাঞ্চ করেছিলাম। রাতে হাত পা খুব ব্যাথা ছিল। সারাদিন কাটাকাটি করে অবস্থা খারাপ। যাইহোক তারপরও একটি দিন খুব ভালোই কেটেছে। ধন্যবাদ আপু।
মন্তব্য শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। তবে এতো ডিটেইলসে না লেখাই ভালো।