ছোট গল্প ||| আমার চোখে তুমি পর্ব-০৫ ||| original writing by @saymaakter.
আসসালামু আলাইকুম। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল ভাই ও বোনেরা আশা রাখি এই রমজানে সুস্থ আছেন এবং সুন্দরভাবে রমজান গুলো পালন করছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের ভালোবাসায় ও মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে বেশ ভালো আছি।
আজকে আবারো আপনাদের মাঝে "আমার চোখে তুমি পর্ব-০৫" নিয়ে হাজির হলাম। গত পর্বগুলোতে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য পেয়ে গল্প লেখার আগ্রহ অনেক গুণ বেড়ে গেছে। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আজকের পর্বে কি লিখেছি তা দেখে নেওয়া যায়।
নীলা সবসময় হৃদয়ের কথাগুলো শুনতো এবং তার কথামতো চলার চেষ্টা করত। কারণ নীলা ও হৃদয় কে প্রচন্ড ভালবাসে। হৃদয় তোর প্রবাসে থেকেও নীলাকে সব সময় সাপোর্ট করতো তুমি লেখাপড়া কখনো ছাড়বেনা। তুমি মাস্টার্স কমপ্লিট কর এবং খুব ভালো রেজাল্ট কর এটাই আমার আশা। আর আমার জন্য তোমার কাছে একটি যাওয়া সেটা হচ্ছে অপেক্ষা। তুমি ইচ্ছে করলে তোমার মনের সব কথাই আমাকে বলতে পারো।আমি কখনো কোন ব্যাপারে মাইন্ড করবো না।
কারন যাকে এতটা ভালবাসি তার কষ্টের বা দুঃখের কথা শুনবো না তা তো নয়। আর ভালোবাসা যে শুধু সুখের জন্য তাও নয়।সত্যি কারের ভালোবাসা হচ্ছে একজন আরেকজনকে বোঝার ক্ষমতা থাকা। আর আমি সেরকম ধরনের ছেলেও না যে তোমাকে কোন ব্যাপারে কষ্ট দেবো। তুমি কি আমার মাঝে আর অন্যান্য ছেলেদের মতো আচরণ। আমি ইচ্ছে করলে তোমার সঙ্গে দেখা করতে পারতাম। কিন্তু দেখা করিনি। কারণ আমার ভালোবাসা আমার চোখেই থাক। আর সেটা মনের চোখে।
নীলা জানো আমাকে প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়। সারাদিন এখানে প্রচুর খাটতে হয়। ঠিকভাবে খাওয়া-দাওয়া টাও করতে পারি না আর কিছুদিন থেকে তারপরে দেশে চলে আসবো।তারপর আমাদের দেখা হবে। আমাকে কি তোমার দেখতে ইচ্ছে করে না।নীলা বলল প্রচন্ড। যে ভাষাগুলো শুধু মুখে বলেছি কিন্তু চোখের ভাষা গুলো আজও বলা হয়নি দেখা হয়নি। সব সময় মনের ভেতর কল্পনা আমার প্রিয় মানুষটি কেমন হবে দেখতে। তখন হৃদয় নিলা কে বলল আমি তো তোমাকে দেখেছি দূর থেকে তুমি আমাকে দেখোনি।
আর এই জন্যই মনে হয় তোমার ইচ্ছাটা অনেক বেশি। একদম ঠিক বলেছ হৃদয়। কিছুদিন যাওয়ার পর হৃদয় যখন দেশে ফিরার পরিকল্পনা করে তখন নীলার জন্য কি আনবে না আনবে সেটা ভেবে পাচ্ছিল না। কারণ দেশে ফিরে এসে নিলাকে বিয়ে করবে এবং নীলার জন্য তো কিছু স্পেশাল ভাবে অলংকার নিতেই হয়।তখন নীলাকে ফোন করে বলল নীলা তোমার কি ধরনের অলংকার পছন্দ।
নীলা বলল আমার ওসব কিছু লাগবে না শুধু তুমি দেশে ফিরে এলেই হবে। হৃদয় নীলার কথাটি শুনে অনেক খুশি হল। তারপর সে নিজের পছন্দমত কিছু অলঙ্কার কিনে নিল। এরপর কিছুদিনযাওয়ার পর নীলার মাস্টার্স পরীক্ষার চলে আলো। সুন্দর করে সে নিজে প্রিপারেশন নিচ্ছে পরীক্ষায় আমাকে ভালো রেজাল্ট কর।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি আবারো নতুন কোন ব্লগ নিয়ে আপনাদের সঙ্গে দেখা হবে সে পর্যন্ত বিদায়।
আমার পরিচয়।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার।আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।আমি উদ্যোক্তা জীবনে সব সময় গ্রামের অবহেলিত মহিলাদের নিয়ে কাজ করি।আর এই অবহেলিত মহিলাদের কাজ নিয়ে দেশের স্বনামধন্য কিছু প্রতিষ্ঠানে প্রোভাইড করি এবং দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বর্তমানে বিদেশেও রপ্তানি করছি।আর এসব কিছুর পিছনে আমার এই অবহেলিত মহিলাদের উৎসহ এবং উদ্দীপনায় সম্ভব হয়েছে।তাই সব সময় আমি অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।এজন্যই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে স্টিমিটে যুক্ত হই।আমার বাংলা ব্লগে শুরু থেকে আছি এবং এখন পর্যন্ত আমার বাংলা ব্লগেই ব্লগিং করে যাচ্ছি।
https://x.com/mst_akter31610/status/1896611968448156033?t=raGkppqtGdmvpUzYVCDPTQ&s=19
নীলা ও হৃদয়ের গল্প যতই এগোচ্ছে, ততই ভালোবাসার গভীরতা স্পষ্ট হয়ে উঠছে। একে অপরের প্রতি তাদের অনুভূতি, সম্মান আর প্রতিশ্রুতি সত্যিই হৃদয় ছুঁয়ে যায়। দূরত্ব সত্ত্বেও হৃদয়ের নিঃস্বার্থ ভালোবাসা আর নীলার অপেক্ষার অনুভূতি গল্পটিকে আরও আবেগময় করে তুলেছে। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
নীলা এবং হৃদয়ের ভালোবাসা একেবারে পবিত্র। এমন ভালোবাসা বর্তমানে খুবই কম দেখা যায়। যাইহোক হৃদয় দেশে আসছে, এটা জেনে খুব ভালো লাগলো। আশা করি নীলার পরীক্ষার পর তাদের দু'জনের বিয়ে হবে। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম আপু।