ছোট গল্প ||| আমার চোখে তুমি পর্ব-০৪ ||| original writing by @saymaakter.
হ্যালো, বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা রাখি সকলে পরিবারসহ সুস্থ আছেন এবং সুন্দর সময় অতিবাহিত করছেন। আমিও আপনাদের ভালোবাসায় ও মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে বেশ ভালো আছি।
আজকে আবার আপনাদের মাঝে আমার ছোট গল্প "আমার চোখে তুমি পর্ব-০৪" নিয়ে হাজির হলাম।চলুন আর কথা না বাড়িয়ে এ পর্বে কি লিখেছি তা দেখে নেওয়া যাক।
নীলা নদীর কথায় কিছুটা সহমত পোষণ করলো। এক সপ্তাহ পর আবারো হৃদয় ফোন দিলো নীলাকে। নীলাকে বলল আমি তোমাকে ডিস্টার্ব করলাম না তো। নীলা বলল আমার সামনে পরীক্ষা এরকম করে আমাকে ডিস্টার্ব না করলে ভালো হতো। আর সঙ্গে সঙ্গে হৃদয় ফোনটি রেখে দিল। নীলা কলেজে কি ড্রেস পরে আসতো কার সঙ্গে ঘুরতো কোথায় যেত আবারো পরের দিন ফোন করে হৃদয় নিলাকে এসব বলে।নীলার মনের শুধু ভাবনার উদয় হয় কে এই ছেলে। দুই তিন মাস যাওয়ার পর নীলার জন্য হৃদয় কিছু গিফট পাঠানো।
নীল গিফট গুলো যদিও গ্রহণ করেনি তারপরও বাধ্য হয়েছে কেননা কলেজে এই ধরনের কোন সিনক্রেট নীলার পছন্দ না।নীলা গিফট টি বক্সের মধ্যে দেখে সোজা বাসায় চলে গেল এবং তার মাকে সব খুলে বলল।নিলার মা বলল নীলাকে ছেলেটিকে বাসায় আসতে বল।ছেলেটি থাকে না এদিকে আমি তার পরিচয়ওও জানিনা।এ কেমন কথা।হে মা এটাই সত্যি কথা।এভাবে দু এক দিন পর পর নীলার জন্য গিফট পাঠাতো। নীলা যা পছন্দ করত তাই নীলার জন্য পাঠিয়ে দিত।
কিন্তু নীলা সেই হৃদয়ের গিফট গুলো একটাও ব্যবহার করেনি সব সুন্দর করে সাজিয়ে রেখেছে। কারণ যাকে ভালবাসবে যাকে মন দিবে তাকে দেখবে না সেটা তো হতে পারে না। তাই তার দেওয়া গিফট গুলো সব সুন্দর করে রেখে দিয়েছে এবং অপেক্ষার প্রহর গুনছে। একটি সময় হৃদয় চলে যায় দূর প্রবাসে। হৃদয়ের সঙ্গে নীলার দূরত্ব আরো বেড়ে যায়। হৃদয় সেখানে কাজের ব্যস্ততায় নীলার সঙ্গে সেরকম কিছুদিন যোগাযোগ রাখতে পারেনি।
কিন্তু তাতে কি হয়েছে ঠিক কিছুদিন পর হৃদয় আবারও যোগাযোগ করা শুরু করেছে। নীলা তখন হৃদয়কে বলল আচ্ছা আপনি আমাকে বলেন তো এতদিন কোথায় ছিলেন। হৃদয় তখন নীলাকে বলল তোমাকে বলা হয়নি আমার কিছু দিনকে পড়ে গেছে আমি বিদেশ চলে এসেছি এবং এত কাজের চাপের ভেতরে আছে যে তোমাকে ফোন দেওয়া হয়নি। এখন কিছুটা ফ্রি হয়েছি চেষ্টা করব প্রতিদিন একবার হলেও তোমাকে ফোন দেওয়ার। তবে তোমাকে আমার একটি কথা দিতে হবে।
আমি বিদেশ থেকে না যাওয়া পর্যন্ত তুমি আমার জন্য অপেক্ষা করবে। নীলা হৃদয়ের কথায় রাজি হলো আর রাজি না হয়েও উপায় নাই নীলা যে হৃদয়কে ভালোবেসে ফেলেছে। এদিকে নীলা অনার্স কমপ্লিট করে মাস্টার্সে ভর্তি হয়েছে। আর হৃদয় তার স্বপ্ন পূরণের জন্য বিদেশে অবস্থান করে প্রচুর অর্থ ইনকাম করছে। সেই বিদেশ থেকেও নীলার জন্য কোন এক মাধ্যমে গিফট পাঠাতে ভুলিনি। কিন্তু নীলা আজও হৃদয়ের ফেস টুকু দেখতে পেল না। কারণ হৃদয়ের খুব ইচ্ছা তাদের প্রথম দেখা হবে বিয়ের দিনে।
এর মাঝে কেউ কাউকে দেখবে না। তার ইচ্ছার কথাগুলো নীলাকে সব সময় বলতো। আর নীলা তার স্বপ্ন ও ইচ্ছার কথাগুলোর সাগরে হারিয়ে যেত। সত্যিই মানুষ এত স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসে। হৃদয় এতটা স্বপ্ন দেখতো এবং সে যে কথাগুলো নীলাকে বলত নীলা সেই স্বপ্নে হারিয়ে যেত।
আমার পরিচয়।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার।আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।আমি উদ্যোক্তা জীবনে সব সময় গ্রামের অবহেলিত মহিলাদের নিয়ে কাজ করি।আর এই অবহেলিত মহিলাদের কাজ নিয়ে দেশের স্বনামধন্য কিছু প্রতিষ্ঠানে প্রোভাইড করি এবং দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বর্তমানে বিদেশেও রপ্তানি করছি।আর এসব কিছুর পিছনে আমার এই অবহেলিত মহিলাদের উৎসহ এবং উদ্দীপনায় সম্ভব হয়েছে।তাই সব সময় আমি অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।এজন্যই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে স্টিমিটে যুক্ত হই।আমার বাংলা ব্লগে শুরু থেকে আছি এবং এখন পর্যন্ত আমার বাংলা ব্লগেই ব্লগিং করে যাচ্ছি।
https://x.com/mst_akter31610/status/1893325600510611919?t=kYsO8ZbskLPtPorWkD9LEA&s=19