অনুভূতিমূলক পোস্ট ||| ছেলের ব্যান্ডেজ খোলার ||| original writing by @saymaakter.
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আমার বাংলা ব্লগের প্রিয় ভাই ও বোনেরা পরিবারকে নিয়ে সুস্থ ও সুন্দরভাবে দিনগুলো অতিবাহিত করছেন। আমি আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।
বরাবরের মত আবারো হাজির হলাম আপনাদের মাঝে আরেকটি ব্লগ নিয়ে।আজ আমি আপনাদের মাঝে আমার আরাফের ডাক্তারের কাছে মাথা ব্যান্ডেজ খোলার অনুভূতি শেয়ার করব।
পৃথিবীতে যদি অরজিনাল ভালোবাসা থাকে একমাত্র মা ও বাবার ভালোবাসাই প্রকৃত ভালোবাসা। একটি মা ও বাবা সন্তানকে যেভাবে ভালবাসে আর কেউ সেভাবে সন্তানকে ভালোবাসে না। একটা সময় খালা ফুপু সবার অনেক কদর ছিল। সম্পর্ক গুলো ছিল অনেক মধুর।মায়া মমতা ভালবাসায় ছিল না কোন গোপন ফাঁদ। কিন্তু আজকালের ভালোবাসা গুলোর ভেতরেই রয়েছে গোপন ফাঁদ। কার মনের ভিতর কি আছে তা জানা বড়ই কঠিন।
তাইতো যার যার সন্তান তারাই বাচ্চাদেরকে সেফে রাখতে চায়।পরিচিত লোক হোক বা নিজের লোক হোক সন্তানকে কেউ আর ছাড়তে চায়না। কারণ বর্তমান প্রেক্ষাপটে সমাজে বিভিন্ন ঘটনা লক্ষ্য করলে দেখা যায় অনেক দুর্ঘটনা। আর এইসব দুর্ঘটনা থেকেই আমাদের শিক্ষা। বাচ্চার এমন অসুস্থতা আজ কদিন হলো মনটাও খারাপ। কাজকর্মেও সেরকম মন বসছে না। যদিও সামনে ঈদ বাসায় প্রচন্ড কাজের চাপ তারপরও বাচ্চাকে সময় দিচ্ছি কারণ আমার বাবুটা একটু দুষ্ট।
এত ব্যথা পেয়েছে তারপরও সারাক্ষণ লাফালাফি এবং দৌড়াদৌড়ি করে। যার কারনে ওকে পাশে বসিয়ে রেখে আমাকে অন্য কাজ করতে হচ্ছে। কারণ মাথায় আঘাতটা এতটা লেগেছে সেজন্যই প্রচন্ড টেনশন হচ্ছিল। ডাক্তার বলেছে তিনদিন পর ব্যান্ডেজ খোলা হবে। তাই আজ বাসার কাজ কিছুটা কমপ্লিট করেই বাবুকে নিয়ে চলে গেলাম ডাক্তারের কাছে। কারণ হঠাৎ একটি বিপদ ঘটে গেল তাই আর কারোর কাছে বাচ্চাকে ছাড়ার সাহস হলো না। নিজেই চলে গেলাম ডাক্তারের কাছে। ডাক্তার প্রথমে ওকে দেখে পুরো ফাটার অংশটি ড্রেসিং করে দিল।
ড্রেসিং করার সময় একটু নড়ছিল তাই ওকে একটি কার্টুন দেখালাম এবং সেই মুহূর্তে ডাক্তার কাজটি কমপ্লিট করল।ড্রেসিং করার কাজ কমপ্লিট হওয়ার পর ডাক্তার বললো ওর চুলগুলো সব ফেলে দিতে হবে। কারণ মাথার অনেক টুক অংশেই প্রথমে চুল ফেলে দেয়া হয়েছিল। এখন বাকি অংশটুকু যখন ফেলার কথা বলেছে তখন আরাফের কান্না শুরু করে দিল চুল কাটবে না। এই নিয়ে ডাক্তারের কাছে প্রচন্ড কান্নাকাটি। তারপর বাসায় এসে কিছু চকলেট ও চিপস কিনে দিয়ে নিজেরাই সুন্দর করে সম্পূর্ণ চুল গুলো ফেলে দিলাম।
চুলগুলো ফেলে দিলে হয়তো বা একটু ভালো লাগবে।চুল ফেলে দিয়ে আমারও কিছুটা খারাপ লাগছিল। তারপর ছেলেকে বললাম চুল ফেলে দিলে আবার চুল হবে। আরাফ বারবার বলছিল ঈদ তো চলে আসছে আমার তো আর চুল হবে না ঈদে মজা করতে পারবো না । আমাকে সুন্দর লাগবে না সবার থেকে।আমি ওকে অনেক সান্ত্বনা দিলাম এবং বুঝালাম তোমার চুল পাঁচ দিনের ভিতরেই অনেক বড় হবে ।
এই ছিল আজকের ব্লগ। আবারো হাজির হব অন্য দিন নতুন কোন ব্লগ নিয়ে সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
আমার পরিচয়।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার।আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।আমি উদ্যোক্তা জীবনে সব সময় গ্রামের অবহেলিত মহিলাদের নিয়ে কাজ করি।আর এই অবহেলিত মহিলাদের কাজ নিয়ে দেশের স্বনামধন্য কিছু প্রতিষ্ঠানে প্রোভাইড করি এবং দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বর্তমানে বিদেশেও রপ্তানি করছি।আর এসব কিছুর পিছনে আমার এই অবহেলিত মহিলাদের উৎসহ এবং উদ্দীপনায় সম্ভব হয়েছে।তাই সব সময় আমি অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।এজন্যই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে স্টিমিটে যুক্ত হই।আমার বাংলা ব্লগে শুরু থেকে আছি এবং এখন পর্যন্ত আমার বাংলা ব্লগেই ব্লগিং করে যাচ্ছি।
https://x.com/mst_akter31610/status/1894363880031219912?t=ObC2UHwMYJm-VONE-H1oKg&s=19
আসলেই এখন নিজের সন্তানদেরকে নিজেদেরই চোখে চোখে রাখতে হয়। আপন মানুষদেরও ভরসা করা যায় না। কারণ আত্নীয় স্বজনেরাও কেমন যেনো হয়ে যাচ্ছে। যাইহোক আরাফের ব্যান্ডেজ খোলা হয়েছে তাহলে। কিন্তু চুল গুলো ফেলে দিয়ে তো বেচারাকে ঝামেলায় ফেলে দিলেন। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
সবসময় সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
বাবা মা ছাড়া বর্তমান সময়ে কেউই নিরাপদ নয় বাচ্চাদের জন্য। বাচ্চাদেরকে নিয়ে কত ঘটনা ঘটছে সেজন্যই বাচ্চাদেরকে অন্য কারো কাছে দিতেও ভয় লাগে। যাই হোক বাবুর এক্সিডেন্টের কথা শুনে খুবই খারাপ লেগেছিল। তবে তিনদিন পর ব্যান্ডেজ খুলেছে এবং ড্রেসিং করে দিয়েছে। তার পাশাপাশি চুল গুলো কেটে দিয়েছেন শুনে ভালো লাগছে। তার জন্য অনেক অনেক দোয়া রইল যাতে করে তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যায়।
মহান আল্লাহতায়ালা যেন আপনার দোয়া কবুল করেন। আমিন
বাচ্চাদের কিছু হলে আর যার যাই হোক না কেন মায়েদের রাতের ঘুম চলে যায়। ব্যান্ডেজ খোলার পর যে সবই ঠিক ছিলো মোটামুটি তা জেনে বেশ ভালো লাগছে। চুল কামিয়ে দেওয়াটা বড় কথা না। ও চুল আবারও এসে যাবে৷ তবে বাচ্চারা তো বোঝে না তাই কান্না করে ন্যাড়া হয়ে গেলে। যাইহোক ওকে একটু বুঝিয়ে বললে মেনে যাবে আশা করি।
সুন্দর মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ দিদি।
সন্তানের প্রতি মায়ের ভালোবাসা সত্যিই অতুলনীয়। আরাফের ব্যান্ডেজ খোলার অভিজ্ঞতা ও চুল কাটার বিষয়টি কঠিন হলেও মায়ের স্নেহ ও যত্ন সবকিছু সহজ করে দিয়েছে। ও দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক এই কামনা করি।
সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।