|| মন কেমনের পড় ??? ||10% বেনিফিট shy-fox এর জন্যে
শুভ সকাল বন্ধুরা।আশাকরি সকলে ভালো আছেন।
আজ আমি একটু অন্য ধরনের কথা শেয়ার করবো আপনাদের সাথে,সাধারণত আমি যে ধরণের টপিক নিয়ে আলোচনা করি,তার থেকে একটু আলাদা বিষয় আজকে।সকলে পড়ে জানাবেন কেমন লাগলো,তাহলে আমি এই বিষয়ে লেখার একটু উৎসাহ পাবো।তো শুরু করছি আজকের গল্প।
মন কেমন বিষয়টা আসলে ঠিক কী? এই মন কেমনের পরে একটা প্রশ্নবোধক চিহ্ন জুড়ে দিলে হয়ে যায় কুশল বিনিময় সম্পন্ন, কিন্তু এই প্রশ্নবোধক চিহ্নটার ব্যবহার না হলেই সেটা কপালের বলিরেখার প্রকাশকে লোকসমক্ষে আনতে সক্ষম হয়ে যায়।
আজ সকাল থেকেই তৃনার কপালের বলিরেখাগুলো বেশ প্রকটভাবেই নিজেদের অস্তিত্বের জানান দিচ্ছে। মনটা যেন কেমন কেমন করছে। সকাল থেকেই কোনো কাজে মন বসছে না, গা এলিয়ে বিছানা আকড়ে পড়ে থাকতে মন করছে, কারো সাথে ভাবের আদানপ্রদানেও তুমুল অনীহা অনুভূত হচ্ছে তৃনার। খুব স্বাভাবিকভাবেই এগুলো মন কেমন কেমন করার দৃশ্যমান লক্ষ্মণ মধ্যে অন্যতম।
তৃনা উত্তর কলকাতায় একটা ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকে উচ্চশিক্ষার তাগিদে(তবে শিক্ষা
যে কতটা উচ্চপদে যাচ্ছে সেখবর কেবলমাত্র এই ছাত্রীটির কাছেই আছে) ফ্ল্যাট টি তে তৃনা ও তার সহপাঠী অহনা দুজন মিলেই থাকে। অহনা গত একসপ্তাহ হল নিজের বাড়ি গেছে। প্রথম তিন-চারদিন একাকীত্ব ও প্রাইভেসি এনজয় করতে করতে তৃনা হাফিয়ে উঠেলে ডাক পড়েছে তার অতি প্রিয় কিছু বন্ধু-বান্ধব এর।বিগত দুদিন ধরে ফ্ল্যাট এ বন্ধুদের সাথে চরম উচ্ছৃঙ্খলভাবে হুল্লোড় করে দিন কাটিয়েছে সে। গতকাল রাতে সবাই নিজ নিজ বাসায় ফেরৎ যাওয়ার পর থেকেই অল্প অল্প করে তৃনার মনের 'মন -কেমন' অসুখটা সুড়সুড়ি দিতে শুরু করেছে যার।ফলস্বরূপ সকালের চিত্রটা তো আগেই তুলে ধরেছি।
যাইহোক এখন প্রশ্ন হল কপালের ভাঁজ গুলোকে ভ্যানিশ করে, তার বদলে হাতে পায়ে চটপটে ভাব আনা, ঠোঁটের কোনায় সামান্য হাসি ফেরানো এবং ফোন কল গুলো রিসিভ করার ইচ্ছার পুনর্জন্ম কীভাবে ঘটানো যায়?
তো যাইহোক,আপাততঃ দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে এসেছে। তৃনা কাল থেকে কিছু রান্নাও করেনি। সারা সকাল থেকে উদর গহ্বরে শুধু চারটে বিস্কুট, দুটো খেজুর আর ট্রেন থেকে কেনা এক প্যাকেট নিমকি গেছে। আর ফুসফুসে গেছে সাত- আঁটটা সিগারেটের ধোঁয়া।
তৃণা জানলা দিয়ে সুয্যিমামার পশ্চিম কোণে ডুবে যাওয়া দেখতে দেখতে আরও একটা সিগারে পোড়াচ্ছিল। ঠিক এমন সময়ই ফোন টা আবার বেজে উঠল। ফোন টা উল্টে স্ক্রিনে দেখল 'Mataji❤️' লেখা ভাসছে। Google Duo তে ভিডিও কল এসছে, স্বাভাবিকভাবেই Duo এর বাড়তি সুবিধা স্বরূপ তৃনা ওর মায়ের মুখটা দেখতে পাচ্ছে। কল টা রিসিভ করার আগেই প্রথমে ভাবল এই কলটাকেও দিনের চার নম্বর রিজেক্টড কল হিসেবে মান্যতা দেবে। কিন্তু একটু সমস্যা করে দিল মায়ের ওই হাসি-মিষ্টি মাখা রসগোল্লার মতো মুখটা ।সিগারেট টাকে মাঝপথে বিদায় জানিয়ে কল টা রিসিভ করল।
তারপর?তারপর আবার কী!তারপরের অংশটা তো আমার বুদ্ধিদীপ্ত সেনসিটিভ, মাতৃভক্ত পাঠকরা আন্দাজ করেই ফেলেছেন। আচ্ছা তবুও যদি একজন-দুজন বাদ পড়ে যান তাদের জন্য বলে দিই, এই অত্যন্ত এঁচোড়েপক্ক মেয়েটি দুদিন বন্ধুদের সাথে মত্ত হয়ে গিয়ে মাকে অবহেলা দেখিয়েছেন, সময় দেননি এবং যথারীতি তার সাজা সে সকাল থেকে ভোগও করেছেন। আর মা তো মা-ই হয়, যত বেয়াদরিপনাই করোনা কেন তুমি আল্টিমেট স্যাভিওর হওয়ার দায়িত্ব তো তিনিই নিয়ে রেখেছেন। মন কেমনের পরে মায়ের সাথে এই পঁচিশ মিনিটের মধ্যে হয়ে যাওয়া রাগারাগি, হাসাহাসি আর খুনসুটি টাই তৃনার মনের উশখুসনী সারানোর জন্য যথেষ্ট ছিল।
তাই মনকেমনের পরে অন্য কোনো অপশন এর অনুসন্ধান না করে 'জয় মাতাজী' বলে মাকে জড়িয়ে ধরুন বা মায়ের ফোন নম্বরে কল দিন। ৫ মিনিটে এ কপালের বলিরেখা ভ্যানিশ এর সবচেয়ে সহজ উপায়।
আপনার জন্যে এই উপায় কতটা কার্যকরী,তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না কিন্তু।
◆Camera Device-Samsung Galaxy S20 FE 5G
দারুন একটা উপায় বাতলে দিয়েছেন মন ভালো করার। আসলে মা তো মা ই হয়। মায়ের গুরুত্ব যে বুঝতে না পারে সে আসলেই চরম অভাগা। আপনার লেখাটা পড়ে খুব ভালো লাগলো। আপনার শব্দচয়ন গুলো চমৎকার ছিলো। বাংলা ভাষার উপর আপনাদের দক্ষতা ঈর্ষণীয়। আমার কাছে খুব ভালো লাগে আপনাদের লেখা পড়তে। ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক ধন্যবাদ দাদা আমার লেখাটি পড়ার জন্য।আপনাদের মতো মানুষের কাছ থেকে এরকম কথা আমার অনুপ্রেরণার কাজ করবে।চেষ্টা করবো ভবিষ্যতে আরো ভালো কিছু তুলে ধরার।
ভালো থাকবেন।
আপনি তো দেখছি মন ভালো করার ভালো উপায় জানেন। আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আপনার লেখার মাঝে অনেক সুন্দর সুন্দর তথ্য পেলাম।।অনেক অনেক ভালোবাসা আপননার জন্য
হ্যাঁ দাদা ,মানুষের মন ভালো করতে পারার কিছু পথ আমার জানা আছে। আমার লেখা যদি আপনার জ্ঞানভান্ডার বাড়াতে সাহায্য করে ,তবে এটা আমার কাছে সত্যিই অনেক বড় প্রাপ্তি।
বউ চলে গেলে বউ পাওয়া যায় কিন্তু মা চলে গেলে মা পাওয়া যায় না। তাই এত সুন্দর সচেতনমূলক কথা বলে আমাদের মনকে আকর্ষণ করা এবং সচেতন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ। যদি আপনার গল্পটি ভাল লেগে থাকে তবে চেষ্টা করবো ভবিষ্যতে আরও এরকম সচেতনতামূলক পোস্ট শেয়ার করার।
আপনি কমিউনিটি রুলস ভঙ্গ করেছেন। আপনি নিজের ফটো অথবা কঁপিরাইট ফ্রী ফটো ছাড়া আপনার পোষ্টের মধ্যে ব্যবহার করতে পারবেন না।
কমিউনিটির নিয়মাবলী :
https://steemit.com/hive-129948/@rme/last-updated-rules-of-amar-bangla-blog-community-29-sep-21
যে কোন বিষয়ে জানার প্রয়োজন হলে আমাদের সাথে Discord এ যোগাযোগ করুন।
Discord server link: https://discord.gg/ettSreN493
Source:
Image ID: 912733850
Photographer: Kerkez
https://www.istockphoto.com/photo/sad-girl-standing-on-the-bridge-gm912733850-251269666
দাদা,আমি পোস্ট টি এডিট করে ভুল সংশোধন করে দিয়েছি।
ভুল হওয়ার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী ,আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি কমিউনিটির রুলস মেনে পোস্ট করতে। জানিনা আমার ঠিক কোথায় ভুল হয়েছে। চেষ্টা করব মডারেটর দাদাদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে ভুলটি সংশোধন করার।
পৃথিবী সবথেকে কঠিন কাজ হলো নিজের মন ভালো রাখা। আপনি খুব সুন্দরভাবে এটা তুলে ধরেছেন কিভাবে মন ভালো করা যায়। খুব চমৎকারভাবে মন ভালো করার উপায় আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন। অনেক শুভকামনা রইলো মন থেকে আপনার জন্য।
হ্যাঁ আপু, আসলে মানুষের মন ভালো থাকলে তবেই সে কোনো কাজ সুষ্ঠ ভাবে সম্পন্ন করতে পারবে।তাই সবার আগে তার মনকে শান্ত রাখার প্রয়োজন।
ধন্যবাদ আপনাকে,ভালো থাকবেন।