|| ঝাড়গ্রাম সফরের দ্বিতীয় তথা শেষ পর্ব ||১০% বেনিফিট @shy-fox এর জন্যে
নমস্কার বন্ধুরা আশা করি সকলে ভালো আছেন। আজকে বলবো পুরনো একটি গল্পের নতুন অংশ অর্থাৎ এর আগের ঝারগ্রাম সফরের প্রথম পর্বের পরে ঝারগ্রাম সফরের দ্বিতীয় এবং শেষ পর্বটি আজকে আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব।
তো ১০ তারিখ পুরো দিন টা আমাদের বেশ কয়েকটা জায়গা ঘোড়ার কথা ঠিক হয়েছিল। যেহেতু সেটি অনেক সময়সাপেক্ষ ব্যাপার তাই আমাদের সকাল দশটার মধ্যে রেডি হয়ে বেরিয়ে পড়ার কথা ছিল। কিন্তু ঐ যে কথায় বলেনা 'বাঙালির টাইম', আমাদের বেরোতে বেরোতে প্রায় বেলা এগারোটা বেজে গেল।
তো বেরোনোর পরে আমাদের প্রথম গন্তব্য ছিল ঘাগরা জলপ্রপাত। সেখানে হোটেল থেকে আমাদের যেতে কুড়ি মিনিট মতো সময় লাগলো।
|| ঘাগড়া জলপ্রপাত👇🏻 ||
সেখানে আমরা বেশ খানিকক্ষণ সময় কাটালাম। বড়রা কেউ কেউ চা-বিস্কুট খেলেন আমরা কয়েকজন মিলে নদীর জলে পা ভেজালাম।
সেখানে দেখলাম কয়েকজন ছোট ছোট ছেলে মেয়ে নদীর জলে স্নান করছে তাদের সাথেও বন্ধুত্ব করলাম।
সেখানে মোটামুটি এক থেকে দেড় ঘন্টা থাকার পর আমরা আমাদের পরের গন্তব্যের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে গেলাম। আর আমাদের পরের গন্তব্য ছিল তারাফেনী নদীর ওপরে তারাফেনী ব্যারেজ।
সেখানে দেখার মতন তেমন কিছু ছিল না ,সামান্য স্রোতে বয়ে যাওয়া তারাফেনী নদী এবং তার উপরে বিশাল বড়লোক গেট যার একটিমাত্র গেটের অল্প একটু অংশ খোলা ছিল।
তারপর সেখানে আধঘণ্টার মধ্যে মতো সময় কাটিয়ে আমরা বেরিয়ে গেলাম আমাদের পরের গন্তব্য- ডাংগি কুসুম জলপ্রপাত এ। গ্রামের ভাঙ্গা সরু রাস্তা দিয়ে সেখানে আমাদের পৌঁছতে প্রায় ৪৫ মিনিট মতন সময় লাগলো। যাওয়ার পথে গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে দেখতে দুচোখ ভরে যাচ্ছিল, সবথেকে আকর্ষনীয় যে জিনিসটি দেখলাম সেটি হল দোতলা মাটির বাড়ি।
তারপর আমরা গাড়ী থেকে নেমে হাঁটা পথে জলপ্রপাতের দিকে এগোতে শুরু করলাম। প্রায় মিনিট দশেক চড়াই সহ পাথুরে রাস্তা দিয়ে হাঁটার পর আমরা জলপ্রপাত এর সন্ধান পেলাম,যা দেখে দুচোখ ভোরে গেল।
জলপ্রপাতের কাছে মোটামুটি আধ ঘন্টা থাকার পর সেখান থেকে আমরা গাড়ির কাছে ফিরে আসলাম এবং গাড়ির কাছে ফিরে আমরা লাঞ্চ করে নিলাম। ততক্ষণে প্রায় চারটে সাড়ে চারটে বেজে গেছে।
তারপরে আমরা সেখান থেকে হোটেলের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম হোটেল ঢুকতে ঢুকতে সাড়ে সাতটা বেজে গেছিল।
|| হোটেল ফেরার পথে আরেকটি বন্ধুর সাথেও পরিচয় হয়, ওর নাম 'রানী' ||
প্রথম দিন সবার সাথে মিশতে যতটা অপ্রস্তুত ছিলাম কিন্তু সেই দুদিন একসাথে থাকার পর সবাই সবার সাথে মিশে গেছিলাম। তাই সেইদিন হোটেলে ফিরে ফ্রেশ হয়ে আমরা ছোটরা যারা ছিলাম তারা একসাথে হয়ে কেউ আন্তাকশারি আর কিউ লুডু খেলছিলাম। এভাবে সেদিনের সন্ধ্যাটা কেটে গেল এবং রাত্রেবেলা আমাদের ডিনারে ছিল স্পেশাল বিরিয়ানি আমার অত্যন্ত প্রিয় একটি ডিশ😁।
||গ্রামের অপরুপ সৌন্দর্য👇🏻||
এরপর সবাই পেটভরে খাওয়া-দাওয়া করে হোটেলের লনে খানিকক্ষণ পায়চারি করে গল্প করে ঘুমাতে চলে যাই।
পরের দিন ছিল আমাদের বাড়ি ফেরার দিন। ঠিক ছিল সকালবেলা খাওয়া দাওয়া করে আমরা রওনা দেব। এবং ফেরার পথে একটি পার্ক পড়বে সেটিও ঘুরে আসব।
পরদিন বেলা এগারোটার সময় আমরা বেরিয়ে পড়লাম ব্রেকফাস্ট করে ।তারপর সেই পার্কে পৌঁছাতে পৌঁছাতে প্রায় বারোটা বাজলো সেখানে আমরা এক-দেড় ঘণ্টা থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম এবং সন্ধ্যে সাতটার সময় বাড়িতে চলে আসলাম।
||পার্কের কিছু মুহূর্ত👇🏻||
||আমি আর আমার জেঠু👇🏻 ||
||আমাদের পুরো টিম👇🏻 ||
তো বন্ধুরা এই ছিল আমার ঝাড়গ্রামে ঘুরতে যাওয়ার গল্প ।আজ এখানেই শেষ করলাম, সকলে ভালো থাকবেন।
আপনার মুহূর্তগুলো খুব চমৎকার ভাবে কেটেছেন ।জলপ্রপাতের স্থানগুলো অসাধারণ। এই মুহূর্তগুলো জীবনের পাতায় স্মৃতি হয়ে থেকে যাবে। সবাই মিলে আনন্দ মুহূর্ত গুলো ভুলে যাওয়ার মতন নয়। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভালো থাকবেন।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।সত্যিই সুখস্মৃতি সহজে ভোলা যায়না।আপনিও ভালো থাকবেন।