নন্দিতা দির সাথে কাটানো এক সন্ধ্যা ❤️
নমস্কার,,
নন্দিতা,, নামটা অনেক মিষ্টি নাহ্?? আমার কাছে ভীষণ মিষ্টি লাগে নামটা। আজকে পোস্টটা করছি আমার মিষ্টি এই নন্দিতাদি কে নিয়েই । আমাদের পাশের পাড়াতেই বাড়ি নন্দিতা দিদির। আমার সাথে অনেক আগে থেকেই দিদির পরিচয়। পুরো বন্ধুর মতো মিশে আমার সাথে। একটা সময় দুজন কত কথা শেয়ার করতাম তার কোন শেষ নেই। দিদি পেশায় একজন ডেন্টিস্ট। আমার ভার্সিটি লাইফের মাঝামাঝিতেই দিদির পড়াশোনা শেষ হয়ে যায়। তার কিছুদিন পরেই দিদির বিয়ে হয়ে যায়। এরপর থেকে ব্যস্ততা বাড়তে শুরু করে দিদির। আর আমাদের যোগাযোগটাও অনেকটা কমে যায়। তাই বলে একবারে বন্ধ নয়। মাঝে মাঝে যোগাযোগ হত। আর এমনিতে রাস্তার মাঝে তো বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সব সময়ই দেখা হতো।
অনেকদিন ধরেই আমাদের দুজনের একসাথে কোথাও একটা বসে গল্প করার ইচ্ছা। কিন্তু দুইজনের ভাগ মতো সময় হয়ে উঠছিল না। কিছুদিন আগে ঢাকাতে থাকাকালীন সময়ে দিদির সাথে আমার কথা হয় যে এবার পূজায় দেখা করে অনেক আড্ডা দেব। কিন্তু আমি তো ডেঙ্গুর জন্য আর বের হতে পারিনি। দিদিও শ্বশুরবাড়ি চলে যাবে এখন। অনেক দিন হলো। আর আমিও আগের থেকে অনেকটা ভালো এখন। তাই যাওয়ার আগে ঠিক করা হলো আমরা কোথাও একটা বসবো এবং একটু গল্প করবো। গতকাল এজন্যই দিদি সন্ধ্যার পর পর বাড়ি থেকে বেরিয়ে আমাকে ফোন করে নিউমার্কেটের সামনে আসতে বলল। আমিও সেখানে চলে গেলাম দিদির সাথে গল্প করার জন্য।
ব্যাস একটু পরেই দেখা হয়ে গেল দিদি, দিদির মিষ্টি একটা মেয়ে কুহু এবং জামাইবাবুর সাথে। মার্কেটের দোতলাতেই নতুন একটা রেস্টুরেন্ট হয়েছে গ্রীন চিলি। আমরা সেখানে গিয়ে বসলাম। বার্গার, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই আর কফি অর্ডার করা হলো। শুরু হলো আমাদের নানান বিষয় নিয়ে গল্প। অনেক দিন পর দিদির সাথে এভাবে বসা। বেশ ভালোই লাগছিল। এক পর্যায়ে অর্ডার করার খাবারগুলো চলে আসে আমাদের সামনে। নতুন রেস্টুরেন্ট হিসেবে খাবার গুলোর মান বেশ চমৎকার ছিল।
গল্পে গল্পে বেশ খানিকটা সময় কাটল আমাদের। রাত নয় টা বেজেই গিয়েছিল। কুহুটাও আর থাকতে চাইছিল না যেন। আমরা আর দেরি না করে রেস্টুরেন্ট থেকে বেরিয়ে ধীরে ধীরে গল্প করতে করতে বাড়ির দিকে এগোতে থাকলাম। হয়তো আবার কোন এক দিন এভাবে গল্ল আড্ডায় মেতে উঠব দুই ভাই বোন।
পরিচিতদের সাথে আড্ডা মারতে, সময় কাটাতে সবারই ভালো লাগে, তার সাথে যদি খাওয়া দাওয়া হয় তাহলে তো আরো ভালো লাগে। আমিও এরকম পরিচিতদের বাড়িতে একসময় বহু সময় কাটিয়েছি। এখন সময়ের অভাবে কমে গেছে। তবে আজকেই আমি আমার এক দিদির বাড়ি থেকে ঘুরে এলাম, সেখানে টাইম কাটালাম অনেকক্ষণ। এভাবে টাইম কাটালে মনও ভালো থাকে।
কাছের মানুষ দের সাথে সময় কাটানোর মজাটাই আলাদা আসলে। নিজের অনুভূতি গুলো মন খুলে প্রকাশ করা যায় । অনেক ভালো লাগলো দাদা আপনার মন্তব্য পেয়ে।
সত্যি বলেছেন ভাইয়া পরিচিত কারো সাথে অনেক দিন পর আড্ডা দেওয়া, গল্প করা ও মজার মজার খাবার খাওয়া দারুণ লাগে।আপনার নন্দিতা দিদির মিষ্টি মেয়ে কুহু দেখতে অনেক কিউট লাগছে।নতুন রেস্টুরেন্টে অনুযায়ী খাবার গুলো অনেক ভালো ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।
সত্যিই কুহু অনেক মিষ্টি একটা মেয়ে 🥰। অনেক ভালো একটা সময় কেটেছে সবাই মিলে। ধন্যবাদ আপু আপনার মন্তব্যের জন্য।
মনে হচ্ছে আপনার দিনটা খুবই ভালো গিয়েছে আপনার নন্দিতা দের সাথে আড্ডা দেওয়ার। এভাবে পরিচিতদের সাথে আড্ডা দিতে এবং বিভিন্ন বিষয়ে গল্প করতে ভীষণ ভালো লাগে। আপনার নন্দিতা দিদি খুবই মিষ্টি একটি মেয়ে রয়েছে তার নামটি খুবই সুন্দর কুহু। খুবই কিউট একটি মেয়ে। আপনার পোস্টটি খুবই সুন্দর ছিল।
ভালো লাগলো ভাই আপনার থেকে এত সুন্দর একটা মন্তব্য পেয়ে 😊। অনেক ভালো থাকবেন। ভালোবাসা রইলো। ❤️
নন্দিতা নামটি সত্যি অনেক সুন্দর। উনার মেয়ের নামটিও অনেক সুন্দর কুহু। মা মেয়ে দুজনের নামই অনেক সুন্দর। অনেকদিন পর কাছের মানুষগুলোর সাথে আড্ডা দিতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। আসলে সবাই এখন ব্যস্ত সময় পার করছে। হয়তো কারো সাথে দেখা করার সেই সময় সুযোগ হয়ে ওঠেনা। যাইহোক আপনি এখন অনেকটা সুস্থ আছেন জেনে ভালো লাগলো। রেস্টুরেন্টে গিয়ে যেমন গল্প হয়েছে তেমনি বেশ খাওয়া দাওয়াও হয়েছে দেখছি। আশা করছি আবারো কোন একদিন জমিয়ে গল্প করবেন।
মা মেয়ে দুজনই মিষ্টি 🥰। বিয়ের পর সবাই ব্যাস্ত হয়ে যায় আপু। এত কিছুর পরেও যখন অনেক দিন পর পর দেখা হয় সত্যিই অন্যরকম একটা ভালো লাগা কাজ করে। অনেক ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। অনেক ভালো থাকবেন।
আমাদের আশেপাশে কিছু কিছু মানুষ থাকে যে মানুষগুলো আমাদের খুব সহজেই আপন হয়ে যায় ঠিক তেমনি ভাবে আপনার এই দিদি ও তেমনি একজন। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার কারণে আপনি তার সঙ্গে দেখা করতে পারেননি কিন্তু যখনই একটু সুস্থ হয়েছেন তার সঙ্গে দেখা করেছেন এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো। রেস্টুরেন্টে দিদির পরিবারের সঙ্গে সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন বিশেষ করে আপনার দিদির মেয়ের নামটি আমার কাছে অনেক ইউনিক লেগেছে সচরাচর এরকম নাম কখনো শুনিনি। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে আপনার সুন্দর শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ দিদির মেয়ের নামটা যেমন মিষ্টি দেখতেও তেমন মিষ্টি। দেখলেই আদর করতে ইচ্ছে করবে। ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পেয়ে ভাই। ভালোবাসা রইলো।
মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেলে পুরনো সম্পর্ক গুলোকে মেইনটেইন করা একটু কষ্ট হয়ে যায়।কারণ শ্বশুরবাড়িতে চলে যেতে হয় আর বাপের বাড়িতে আসলেও খুব কম সময়ের জন্য আসা হয়। তারপরও দিদি যাওয়ার আগে সময় করে আপনার সঙ্গে দেখা করেছে দেখে ভালো লাগলো আয়নার মধ্যে কিন্তু আপনার ছবি তোলার বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি খুব ভালোভাবেই বোঝা যাচ্ছে। বেশ খাওয়া দাওয়া করেছেন।
ওরে বাবা আপু দেখি গোপন ক্যামেরাতে তোলা ছবি গুলোও দেখে ফেলেছেন 😳 । আমারও তো বড়দিদি আছে তাই এটা বেশ ভালোই বুঝি বিয়ের পর মেয়েদের কত কি মেইনটেইন করে চলতে হয়। সত্যিই একটা মেয়েকে অনেক কিছুর সাথে অ্যাডজাস্ট করে চলতে হয় আপু।
নন্দিতা নামটা সত্যিই খুব সুন্দর আর সেই সাথে দিদিভাইকেও অনেক অনেক সুন্দর লাগছে। অনেক দিন পর হঠাৎ কোন প্রিয় মানুষের দেখা পেলে অনেক ভালো লাগে। ছেড়দা আপনি নন্দিতা দিদিভাই এর সাথে খুব সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছেন এবং সেই মুহূর্ত গুলো আমাদেে সাথে শেয়ার করেছেন তার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ছোড়দা।
হ্যাঁ বড়দি কাছের মানুষ গুলোর সাথে সময় কাটানোর একটা অন্য রকম অনুভূতি কাজ করে সব সময়। খুব ভালো লাগে সত্যিই। অনেক ভালো থাকবেন ❤️
নন্দিতা কথার অর্থ হল "খুশি বা আনন্দিত নারী" ওনার মুখের সাথে নামের বেশ মিল আছে। পরিচিত বন্ধু বান্ধবদের সাথে হঠাৎ করে ফুড ডেট বেশ ভালো লাগে। বাচ্চাটা ভীষণ কিউট। আপনার খাওয়া দাওয়া গল্প সব মিলিয়ে ভালো সময় কেটেছে বুঝলাম।
বাহ্ নন্দিতা নামের অর্থ টা তো জানা হয়ে গেল 😊। বেশ ভালো লাগলো । আমিও আপনার সাথে একমত,, দিদির নাম আর মুখের অনেক মিল আছে। অনেক ভালো থাকবেন।