সোশ্যাল হাইড আউট রেস্টুরেন্টে কাটানো এক সন্ধ্যা
নমস্কার,,
আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যকে জানাচ্ছি জন্মাষ্টমীর শুভেচ্ছা। শুভ জন্মাষ্টমী। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ আমাদের সকলকে ভালো রাখুন এবং সুস্থ রাখুন। আজকের এই বিশেষ দিনে এমনটাই প্রার্থনা থাকবে সব সময়।
আমার পোস্টে এর আগে লিখেছি সারারাত না ঘুমিয়ে জার্নি করে এবার কলকাতা পৌঁছানোর পর সারাদিন এবং সন্ধ্যের পর পর্যন্ত কতটা ছুটে বেরিয়েছি। আজকে সেই প্রথম দিনের একটা মুহূর্ত আপনাদের সবার সাথে ভাগাভাগি করে নিচ্ছি।
সন্ধ্যের ঠিক আগে। আমার শরীর আর পারছিল না। গা একরকম কাঁপছিল বলা চলে। আমি দেবাশীষ দা কে বারবার বলছিলাম বাড়ির দিকে যাওয়ার জন্য। কিন্তু দেবাশীষ দার গার্লফ্রেন্ড স্বাগতা দি আমার সাথে দেখা না করে ছাড়বে না। কি আর করা। দেবাশীষ দা আমাকে বলল তুই শুধু বাইকের পেছনে বসে থাক চোখ বুজে আমি তোকে নিয়ে চলে যাচ্ছি। আমি নিজে করলামও তাই। দেবাশিসদার পিঠের ওপরে মাথাটা ঝুঁকে দিয়ে চোখ বুজে আধা ঘন্টার মত রাস্তা পাড়ি দিয়ে তারপর পৌছালাম সোশ্যাল হাইড আউট নামে একটা রেস্টুরেন্টে। সেখানে স্বাগতা দি আমার জন্য অপেক্ষা করছিল।
স্বাগতা দিদির সাথে এটাই আমার প্রথম দেখা। এর আগে ফোনে কথা হয়েছে বেশ কয়েকবার, ভিডিও কলিংও হয়েছে। দেখা হওয়ার সাথে সাথে আড্ডা তে জমে গেলাম আমরা তিনজন। সবচেয়ে বড় কথা রেস্টুরেন্টটা অসম্ভব সুন্দর ছিল। এত সুন্দর করে চারপাশে ডেকোরেট করা দেখলেই মন ভালো হয়ে যাবে। আর সব থেকে সুন্দর লেগেছে যেই জিনিসটা, মাথার ওপর দিয়ে কাচের ছাউনি দেয়া ছিল, ওপরে বৃষ্টি হলে তার নিচে বসে সুন্দর একটা ফিল নেওয়া যেত। আমার শরীর যে পারছিল না আর সেটা দিদি খুব ভালো মতে বুঝতে পারছিল। কিন্তু দিদিও ছিল নাছোড়বান্দা। বারবার বলছিল তোর নাম যেমন সজীব তোকে এখন সজীব হয়েই থাকতে হবে। নির্জীব হলে চলবে না।
কোল্ড কফি, জুস, পিজ্জা আরও একটা কি যেন চিংড়ির আইটেম অর্ডার করলো দিদি। আমার পক্ষে এত কিছু পেটে ঢোকানো একদম অসম্ভব ছিল। কিন্তু না করার উপায় নেই। একটু হলেও আমাকে নিতেই হবে। সব গুলো আইটেম দারুন ছিল খেতে। হাসি ঠাট্টা হলো খুব। তারপর একটু ফটোসেশন চললো। দিদি অনেকটাই সেলিব্রিটি একজন। জি বাংলায় সিরিয়ালে কাজ করেন। ওখানে রেস্টুরেন্টে বসে অনেকেই ছুটে আসছিল দিদির সাথে সেলফি নিতে। আমি দূরে বসে বসে ভালই মজা নিলাম।
নিজের দু একটা ছবি তোলার পরে যখন দেখছিলাম সেগুলো নিজেই যেন নিজেকে চিনতে পারছিলাম না। চোখ মুখ মাথা পুরো বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। মোটামুটি ঘন্টা দেড়েক সময়ে সেখানে অতিবাহিত করি আমরা। চমৎকার ছিল মুহূর্তগুলো। খুব অল্প সময়ের মাঝেই স্বাগতাদি আমাকে নিজের ভাইয়ের মতো করে আপন করে নিয়েছিল যেন। বারবার বলেছিল রাখি পূর্ণিমার দিন দিদির কাছে গিয়ে রাখি পরে আসতে। সত্যি বলতে সেইদিন সকালবেলা টাই শরীরটা ভাল ছিল না আর দিদি যেখানে থাকতো সেই জায়গাটাও বেশ দূরে ছিল। তাই আর যেতে পারিনি এবার রাখিতে। হয়তো এরপর কোন একবার ঠিক ইচ্ছেগুলো পূরণ হবে।
সকলে ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।
This post was selected for
Curación Manual- Manual Curation
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 3/7) Get profit votes with @tipU :)
দাদা নমস্কার
দাদা শুভ জন্মাষ্টমী আপনি কলকাতা গেছেন শুনে অনেক ভালো লাগলো ৷না জানি পোস্টে কত কিছু দেখবো ৷আর ও ভালো লাগলো আপনি সাগতা দিদির সাথে দেখা করছেন ৷খুব সুন্দর একটি দিন কাটিয়েছেন দাদা ৷আর হ্যা রেস্টুরেন্টের পরিবেশ টা বেশ সুন্দর ছিল ৷
অনেক ভালো কিছু মেমোরি নিয়ে ফিরেছি এবার কলকাতা থেকে। এখনও বেশ কিছু পর্ব পোস্ট করা বাকি আছে। আশা করি ধীরে ধীরে সব পোস্ট করবো। অনেক ভালো থাকবেন দাদা।
জন্মাষ্টমীর শুভেচ্ছা রইল ভাই। কিছু লেখা পড়তেই ভাল লাগে আর মন্তব্য করটা কঠিন হয়ে দাড়ায়। ভাল অনুভূতির কোন মন্তব্য লিখে প্রকাশ করা যায় না। সময় ও স্রোত কারো জন্য অপেক্ষা করে না তাই সময়ের সাথে মিশে গিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। আর নিজেকে যত একাকিত্বের মাঝে ডুবিয়ে রাখবে তাতেই শান্তি পাবে। হা হা। ধন্যবাদ ভাই ভাল থাকবে।
একদম মনের কথাগুলোই বলেছেন দাদা। কিছু অনুভূতি সত্যিই প্রকাশ করা যায় না। ছোট ভাইয়ের জন্য আশীর্বাদ রাখবেন দাদা। প্রণাম রইলো।