রাখি পূর্ণিমা স্পেশাল ।। সন্ধ্যার পর্ব ।। দিদিভাই এর সাথে
নমষ্কার,,
রাখি পূর্ণিমার সকালটা তো বেশ কেটেছিল। গতকালের লেখায় সেটা বলেছি। পুরো অন্যরকম একটা অনুভূতি ছিল। আমার প্ল্যান ছিল সকালে খাওয়া দাওয়া করে বেরিয়ে যাব ঘোরাঘুরি করতে। কিন্তু শরীর একদম পারছিল না। আসলে টানা তিন দিন ছোটাছুটি করে শরীর একদম নিতে পারছিল না এত চাপ। তাই দেবাশীষ দা বলল রেস্ট করে নিতে। কারণ আমাকে বিকালে বেরোতেই হবে। দিদিভাই এর কাছ থেকে রাখি পরতে হবে। ইন্ডিয়া আসার অন্যতম প্রধান কারণ এটাই।
দিদিভাই এর সাথে দেখা করার কথা ছিল সন্ধ্যার দিকে। আমিও অমন সময় হাতে নিয়েই বেরিয়ে যাই। কিছুটা সময় অপেক্ষা করছিলাম। তারপর গাড়ি চলে আসলো আমাকে নিতে। কিছুটা পথ গিয়ে দিদিভাই কে গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে আমরা চলে গেলাম রেস্টুরেন্টে। বিশাল একটা এরিয়া জুড়ে খাবারের প্লট। বসতে না বসতেই খাবারের পশরা দিয়ে টেবিল ভরে গেল একদম। আমার চোখের খিদে অনেক থাকলেও সত্যি বলতে খেতে পারি না বেশি। কিচ্ছু করার নেই। খেতেই হবে একটু একটু করে সব।
সব কিছুর আগে দিদিভাই আমাকে রাখি পরিয়ে দিলেন। প্রথমবার এমন ভাবে রাখি পরলাম দিদিভাই এর থেকে। ভাই বোনের একটা মিষ্টি সম্পর্কের মিল বন্ধন। ভেতরে কি হচ্ছিল সেটা আমি । দিদিভাই এর থেকে আশীর্বাদ চেয়ে নিলাম। দিদিভাই আমার জন্য মিষ্টি কিছু গিফট নিয়ে এসেছিল। সেগুলো পেয়ে তো দারুন লাগলো। মজায় মজায় খাওয়া দাওয়া শুরু করলাম তারপর। সত্যি বলতে আমার একার এত কিছু খেতে কয়েকদিন সময় লেগে যেত। সবাই অল্প অল্প করে খেয়েছিলাম। তারপরও পার্সেল করতে হয়েছে। সবচে স্পেশাল ছিল সব শেষের ডেজার্ট টা। ঠান্ডা গরমের দারুন একটা কম্বিনেশন বলা যায়।
হাসি গল্পে বেশ সময় কেটে গেল। রাত বেশ হয়ে গিয়েছিল। প্রায় সাড়ে দশ টার বেশি। আমাকেও ফিরতে হবে। রওনা দিয়ে দিলাম তাই। জীবনের কিছু কিছু মুহুর্ত কখনো লিখে বা মুখে বলে প্রকাশ করা যায় না। আমি ঠিক বলে বোঝাতে পারব না আমার জন্য কি ছিল পুরো সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত। বেশি কিছু আসলে লিখতে পারছি না। এটুকুই বলবো ভগবান দিদিভাই এবং দিদিভাই এর পুরো পরিবারকে ভালো রাখুক, সুস্থ রাখুক। ভাই বোনের এই সম্পর্ক যেন আজীবন এমন মধুর হয়ে থাকে।
This post was selected for
Curación Manual- Manual Curation
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 6/7) Get profit votes with @tipU :)
আপনার ভাই বোনের রাখি পূর্ণিমার সময়টুকু করে অনেক ভালো লাগলো । অনেক সুন্দর সময় কাটানোর পাশাপাশি ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ভাইয়া।
আপনার ও আপনার দিদির জন্য শুভকামনা রইল
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।
আপনার ভাই বোনের সম্পর্ক চিরদিন ভালো থাকুক এই কামনা ৷ ধন্যবাদ ভাই শুভ রাখি বন্ধন
খুব ভালো লাগলো এত সুন্দর আশীর্বাদ পেয়ে। অনেক ভালো থাকবেন ভাই।
এবারের কলকাতা সফর আপনার খুব ভালো যাচ্ছে দেখেই বুঝতে পারছি। এতগুলো চকলেট গিফট পেয়েছেন সব খেয়ে শেষ করে ফেলেন না। আমার জন্য কিছু নিয়ে আসবেন অবশ্যই। তা না হলে দাওয়াত দিব না কিন্তু। যাই হোক ভালো থাকবেন।
হিহিহিহি,,,, চকলেট তো পেতেই শেষ😅 দারুন ছিল। তবে আপনার জন্য অন্য আরেকটা রেখে দিয়েছি আপু 😊।
আপনার ভাই বোনের রাখী পূর্ণীমার বন্ধুন চিরদিন অটুট থাকবে।রাখী পূর্ণীমার মাধ্যমে আপনি অনেক ভালো সময় কাটিয়েছে সেই সাথে ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ ছিল। আর উপহার হিসেবে অনেকগুলো চকলেট পেয়েছেন। আপনার জন্য শুভকামন।
স্বপ্নের মত ছিল প্রতিটা মুহূর্ত। জীবনের অনেক বড় একটা অধ্যায় কাটিয়ে আসলাম সত্যি। ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা রইলো।
আসলে এমন কিছু মুহূর্ত আসে যেগুলো বলে বা কয়ে প্রকাশ করা যায় না।কেবল হৃদয় দিয়ে অনুভব করা যায়।যাইহোক দোয়া করি আপনাদের ভাই বোনের সম্পর্ক অটুট থাকুক চিরজীবন
একদম মনের কথা বলেছেন ভাই। খুব ভালো লাগলো। অনেক ভালো থাকবেন।
আপনার রাখি পূর্ণিমার সময় টুকু বেশ ভাল কেটেছে পড়ে বুঝলাম । ভাইবোনের সম্পর্ক চিরদিন অটুট থাকুক,এই কামনাই করি । অনেক ভাল থাকবেন ভাইয়া । আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
অনেক ধন্যবাদ আপু এত চমৎকার করে মন্তব্য করার জন্য।
ভাইয়া আপনার রাখী বন্ধনের এই পোস্টটি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। আপনার দিদিভাই নিজের হাতে আপনার হাতে রাখী বেঁধে দিচ্ছে এটা দেখে সত্যি আমি মুগ্ধ হয়ে গেছি। ভাই বোনের এরকম ভালোবাসা ও মায়া মমতার সম্পর্ক সারা জীবন অটুট থাকুক এটাই আমার কামনা। ভাইয়া আমিও প্রত্যাশা করি আপনার দিদিভাইসহ আপনার দিদি ভাইয়ের পরিবারের সকল সদস্যরা ভালো থাকুক।
ভাই বোনে মধুর একটা সম্পর্ক আরো মজবুত হবে এমন টাই প্রত্যাশা। অনেক ভালো থাকবেন ভাই।
আপনার বিষয়টি দেখে আমারও বেশ ভালো লাগল ভাই। দিদাভাই এর থেকে রাখি পড়ার ইচ্ছাটা শেষ পযর্ন্ত পূর্ণ হয়ে গেল। যাইহোক দারুণ ছিল আপনার সময় টা ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে।।
সত্যিই তাই,, আমি কখনো ভাবি নি এভাবে দিদিভাই এর কাছে গিয়ে রাখি পরে আসতে পারবো। অনেক ভালো মুহুর্ত ছিল আমার জীবনে। শুভেচ্ছা রইলো ভাই।
আপনার দিদি ভাইয়ের সাথে আপনার সম্পর্ক যে কতটা গভীর সেটা আপনার বাংলাদেশ থেকে কলকাতা যাওয়া দেখেই বোঝা যাচ্ছে। একেই বলে সত্তিকারের ভাই বোনের সম্পর্ক। কোন বাধা মানে না। কোন দূরত্ব এ সম্পর্কের কাছে বাধা হতে পারে না। আপনাদের সম্পর্ক যেন চিরদিন এমনই থাকে সেই কামনা করছি। ধন্যবাদ আপনাকে।
সত্যিই তাই ভাই,,, খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ভাই বোনের এই মধুর সম্পর্ক টা যে এতখানি পূর্ণতা পাবে এটা কল্পনার বাইরে ছিল একদম।