দক্ষিণেশ্বরে মা ভবতারিণির দর্শন 🙏🙏🙏 ।। এবারের মত নিজের ইচ্ছে পূরণ
নমষ্কার,,
আমাদের সকল ইচ্ছা সব সময় পূরণ হয় না। কখনো কখনো না চাইতেও অনেক কিছু পেয়ে যাই। আবার কখনো ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও অনেক কাজ করা হয়ে ওঠে না। ঠিক তেমন অনেকবার ইন্ডিয়া গেলেও এবং কলকাতা ঘুরলেও আমার একটা ইচ্ছা এতদিন অপূর্ণই থেকে গিয়েছিল। সেটা হল দক্ষিণেশ্বরের মা ভবতারিণীর মুখটা দর্শন করা। সত্যি বলতে অনেকবার মায়ের মন্দিরের আশেপাশে দিয়ে ঘুরে এসেছি, সেখানে যাওয়ার প্ল্যানও করেছি। কিন্তু শেষমেশ আর যেতে পারেনি। একটা ব্যাপার আমি প্রচন্ড রকম ভাবে বিশ্বাস করি যে যেকোনো মন্দিরে বা তীর্থস্থানে চাইলেই যাওয়া সম্ভব হয় না। যতক্ষণ পর্যন্ত না সেখান থেকে না ডাক আসে।
এবার ইন্ডিয়া যাওয়ার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল আমার দুইটি। একটি হলো রাখি পূর্ণিমায় দিদি ভাইয়ের কাছ থেকে রাখি পরা। আর অপরটি হল দক্ষিণেশ্বরের মায়ের মন্দির দর্শন করা। বাংলাদেশ থেকে যাওয়ার আগেই আমাদের শ্রদ্ধেয় দাদাকে আমি এই ব্যাপারটা জানাই। দাদা বলেছিল সব হবে কোন চিন্তা নেই। যথারীতি আমি, দাদা এবং নিলয় দা দক্ষিণেশ্বরের মায়ের মন্দিরে পৌঁছে যাই। সেদিন আমাদের সারাদিন ঘোরাঘুরির প্ল্যান। যার শুরু টা হয় মায়ের মন্দির দর্শন করে। আমাদের একটু দেরি হয়ে গেছিল বেরোতে। মন্দিরে পৌঁছানোর সাথে সাথে একটা ভয় কাজ করছিল দুপুর বেলা হয়তো মন্দিরটা বন্ধ হয়ে যাবে কিছুক্ষণের জন্য। আমাদের হয়তো আর মায়ের মুখটা দর্শন করা হবে না। আমি আর দাদা আমাদের মোবাইল এবং মানিব্যাগ নিলয় দার কাছে জমা রেখে মন্দিরের ভেতর প্রবেশ করলাম।
সবচেয়ে অবাক করা বিষয় আমরা ভেতরে ঢুকে দেখি তখনও মন্দিরটা বন্ধ হয়নি। তার মানে মায়ের মুখটা দর্শন করতে পারব। আমি আর দাদা সাথে সাথে লাইনে দাঁড়িয়ে গেলাম। একদম শেষ মুহূর্তে গিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম সেই জন্য কোন ভিড় ছিল না। ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মাঝেই এলো সেই মহেন্দ্রক্ষণ। মা ভবতারিণীর সেই অপরূপ মুখখানা দর্শন করলাম। মাকে প্রণাম জানালাম। আশীর্বাদ নিলাম। ঠিক ওই মুহূর্তটা তে আমার অনুভূতি যে কি ছিল সেটা শুধু আমি জানি। আরেকটা মজার বিষয় আমাদের দর্শন করার দুই থেকে তিন মিনিটের মাঝেই মন্দিরটা বন্ধ হয়ে গেল। তখন মনে হচ্ছিল মা বুঝি আমার জন্যই অপেক্ষা করছিল।
দাদা এর আগেও অনেকবার দক্ষিণেশ্বর এ এসে পূজো দিয়েছেন। তাই সবকিছু চিনেন এবং জানেন। আমাকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে সবকিছু দেখালেন এবং পরিচয় করিয়ে দিলেন। শ্রী রামকৃষ্ণ ঠাকুরের ঘর টা দেখলাম। রানী রাসমনির মন্দির ছিল। আরো ছিল রাধা গোবিন্দের মন্দির। প্রতিদিন হাজারো দর্শনার্থী এখানে এসে ভিড় করেন মায়ের পুজো দেওয়ার জন্য। আমরা সবাই মিলে যতটা সম্ভব তাড়াতাড়ি চারপাশ ঘুরে দেখলাম। কারণ এরপর আরো অনেক জায়গায় যাওয়া বাকি।
যেকোনো তীর্থস্থান দর্শনের সময় ভেতরে অন্যরকম একটা ভালো লাগা কাজ করে। আর সবাই চাইলেও সব তীর্থস্থানে যেতে পারে না। একটু দেরিতে হলেও মা ভবতারিণী যে আমাকে তার কাছে নিয়ে গিয়েছেন এটা সত্যিই আমার জীবনের অনেক বড় একটা পাওয়া। মা সকলের মঙ্গল করুক এটাই প্রার্থনা করি সবসময়।
আমি তো আপনাকে আগেই বলেছি দাদা যে আপনি কলকাতায় আর আমরা অনেক কিছু দেখতে পাবো ৷ঠিক যেন তাই আপনার প্রায় প্রতিটি পোষ্ট দেখার চেষ্টা করেছি ৷আর আপনি আজ অনেক ভালো একটি ইউনিক পোষ্ট শেয়ার করলেন দাদা ৷ দক্ষিণেশ্বরে মা ভবতারিণির দর্শনের বেশ চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন ৷ আর আপনি ১৫ মিনিট লাইনে দারিয়ে মা ভবতারিণীর দর্শন করতে পেরেছেন ৷
ধন্যবাদ দাদা
আপনি যে আমার পোস্ট গুলো ফলো করছেন এটা শুনে সত্যিই ভালো লাগলো দাদা। চেষ্টা করছি ঘোরাফেরা করার মজার মুহূর্ত গুলো তুলে ধরার। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ দাদা।আপনার মাধ্যমে আমিও মা কে দর্শণ করার সুযোগ পেলাম।জয় মা তারা।
জয় মা। ভালো থাকবেন দাদা।
শুরুতে মা ভবতারিণীকে প্রণাম জানাই। অসাধারণ একটি পোস্ট করেছেন দাদা। ভবিষ্যতে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে যাওয়ার জন্য আমার প্রবল ইচ্ছা রয়েছে। সুযোগ হলে গিয়ে ঘুরে আসব। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
মা আপনার মনোবাঞ্ছা খুব দ্রুত পূরণ করুক এটাই প্রার্থনা করি। অনেক ভালো থাকবেন দাদা।