ভাই বোনের আড্ডায় এক জমজমাট সন্ধ্যা
নমষ্কার,,
দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে বিছানায় একটু গড়াগড়ি করার অভ্যাস আমার অনেক আগে থেকেই। ১০ মিনিট হলেও যেন ঘুমাতে হবেই। না হলে শরীরে ঠিক এনার্জি পাইনা। গতকালকেও ঠিক তাই করছিলাম। এর মাঝে হঠাৎ করেই ফোন দিল ছোট বোন অন্বেষা। ওর ডাকনাম মিথিলা। আমি মজা করে সব সময় পেত্নী বলে ডাকি। বয়সে আমার থেকে বছর তিনেকের ছোট হবে। আমাদের দুই ভাই বোনের সম্পর্কটা বেশ মিষ্টি। কথা বলার সময় দুজন দুজনকে না পচিয়ে থাকতে পারিনা। সব সময় পেছনে যেন লাগতেই হবে।
তো মিথিলা ফোন করেই বলছে, "আজ বিকালে ফ্রি আছো দাদা,?"
কেন রে কি দরকার, আমি তো সব সময় ফ্রি।
তখন পেত্নীটা বলল তাহলে আজকে সন্ধ্যেবেলায় আমার এখানে চলে এসো অনেকদিন আড্ডা দেওয়া হয় না। মিথিলা ফার্মগেট থাকে। আমি ইচ্ছে করেই ওইদিকে খুব একটা যাই না। এত মানুষজন আর কোলাহল ফার্মগেট এলাকাতে। একদম ভালো লাগেনা। অনেকবার যখন বায়না করলো তখন আর না করতে পারলাম না। ওকে বললাম ঠিক আছে, আমি ঘুম থেকে উঠে তারপর রওনা দেব।
দুইজন ঢাকাতেই থাকি কিন্তু দুই মাস হল আমাদের দেখা নেই। সত্যি বলতে আমি আলসেমো করে যাই না। কথা যেহেতু দিয়েছি তাই বিকেল বেলা হালকা একটু ঘুমিয়ে নিয়ে রওনা দিয়ে দিলাম। ঢাকা শহরে সন্ধ্যেবেলা রাস্তায় বেরোনো মানে নির্ঘাত জ্যামের ছোবলে পরা। যাই হোক ৫০ মিনিটের মতো লাগলো আমার পৌঁছোতে। তারপর দুই ভাই বোনের গল্প শুরু হলো।
একটু পর আমরা একটা ছোট খাটো রেস্টুরেন্টে গিয়ে বসলাম। হালকা কিছু খেতে খেতে আরো আড্ডা হবে। আমার তেমন কিছু চেনা জানা ছিল না। মিথিলা নিয়ে গেল আমাকে ফাজিটাজ নামক একটা রেষ্টুরেন্টে। ঢাকাতে বাইরের যে কোন কিছু খেতেই আমার বেশ ভয় করে। তাই বেশি ভারী কিছু না খেয়ে হালকা খাবার অর্ডার করলাম। ডাবল ডেকার আর কোক। এক কথায় দূর্দান্ত টেস্ট ছিল খেতে।
খাওয়া দাওয়া করার মধ্যেই আমাদের রাজ্যের গল্প চলছিল। সমসাময়িক সব গল্প করতে করতে কখন যে রাত নয় টা পার হয়ে গিয়েছিল বুঝতেই পারি নি। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে চলে আমাদের আড্ডা। সত্যি অনেক মজা করছিলাম দুই ভাই বোন। সুখ দুঃখের সব কথা গুলো খুব ইজিলি যেন হাসতে হাসতে দুজন দুজনকে বলছিলাম। কাছের মানুষ গুলো হয়তো এমনই হয়। চোখ বুজে মনের কথাগুলো বলা যায়। দুজন দুজনকে অনেক জ্ঞানের বাণী শোনালাম। তারপর মিথিলাকে ওর হোস্টেলে পৌঁছে দিয়ে আমি রওনা দিলাম।
সব থেকে পবিত্র ও মজার সময়।আমিও আমার বোন কে নিয়ে মাঝে মাঝে ঘুরতে বের হই।আপনাদের দেখে অনেক ভাল লাগল।
আসলেই তাই ভাই বোনের সম্পর্কের থেকে মধুর সম্পর্ক আর হয় না। অনেক ভালো থাকবেন ভাই।
অসাধারণ ভাই বোনের জুটি। দু'ভাইবোন মিলে ঢাকা শহরে বেশ ভালই ইনজয়সহ আড্ডা দিলেন। ভাই বোনের সম্পর্ক যেন এরকম মধুরই থাকে এই প্রত্যাশা ও শুভকামনা রইল আপনাদের জন্য।
ভাই বোনের সম্পর্ক গুলো সবসময় মধুর খুনসুটিতে ভরা থাকে। তাই একসাথে হলেই দারুন একটা সময় কাটে। অনেক ধন্যবাদ দাদা মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপনিও দেখছি আমার মত। দুপুর বেলা খাওয়া-দাওয়া করে ঘুম না দিলে শান্তি লাগে না। কেমন ক্লান্ত লাগে শরীর। আর আপনার কাজই তো সবাইকে পচানো। সবার পিছে লেগে থাকতে মজা লাগে আপনার। আপনি ঢাকা শহরের খাবার তেমন একটা খেতে চান না , আর আমি তো বাইরে বের হলেই খাবার না খেয়ে বাসায় ফিরি না। যাইহোক দুই ভাই বোনে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন মনে হচ্ছে। ভালো থাকবেন।
ভাই বোনের এই দুষ্টু মিষ্টি সম্পর্ক সব সময় অনেক আনন্দ দেয় আপু। তাইতো পচিয়ে আর পেছনে লেগে খুব মজা পাই। আর গতবছর ঢাকায় এসে বাইরে খেয়ে ফুড পয়জনিং এ মারাত্মক বাজে অভিজ্ঞতা হয়েছে। তারপর থেকেই মনে ভয়টা বেশি কাজ করে। সে যাই হোক আপনার সাথে বেরোলে না খেয়ে ফিরবো না খেয়েই ফিরব 😅। অনেক ভালো থাকবেন আপু।
জানিনা দাদা আপনারা কি গল্প করছিলেন গল্প করতে করতে রাত নয় টা পার হয়ে গিয়েছিল । রেস্টুরেন্টে ডাবল ডেকার আর কোক খেয়েছেন আসলেই আপনারা দুই ভাই বোন অনেক অসাধারণ একটি সময় কাটিয়েছেন।
আসলে আমরা একদম বন্ধুর মত মিশি আপু। তাই সব ধরনের গল্পই হয় আমাদের মাঝে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাই আর বোনের এরকম মধুর সম্পর্ক দেখতে অনেক বেশি ভালো লাগে বিশেষ করে ভাইয়ের সাথে বোনের খুনসুটি গুলো আমি সবসময় মিস করি। ছোট বোনকে আদর করে পেত্নী ডাকেন এটা শুধু আপনি না অনেক বড় ভাই আছে যারা ছোট বোনকে পেত্নী বলে ডাকতেই অনেক বেশি পছন্দ করে হাহাহা। সুন্দর একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া।
একদম ঠিক বলেছেন ভাই,, পেত্নী ডাকের একটা আলাদা মজাও আছে 🤪। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনাকে। অনেক ভালো থাকবেন।