ট্রাভেল: কমলাপুর রেলস্টেশনে সন্ধিক্ষণ // by ripon40
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@ripon40 বাংলাদেশের নাগরিক
- কমলাপুর রেলস্টেশনের সন্ধিক্ষণ
- ০৭, এপ্রিল ,২০২৪
- রবিবার
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশাকরি আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আজ আমি ট্রেনে যাওয়া মুহূর্তের অনুভূতির দৃশ্য পটভূমি শেয়ার করব । আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
Device : Redmi Note 11
কমলাপুর রেলস্টেশনের সন্ধিক্ষণ
What's 3 Word Location :https://w3w.co/obscuring.line..

তাহলে চলুন গল্পটি শুরু করি |
---|
জানুয়ারি মাসে ১৮ তারিখে আমরা বান্দরবান এবং কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিলাম ঘুরতে। আমরা কোথাও ঘুরতে যাওয়ার আগে অনেক প্ল্যান করি। বর্তমান সবাই অনেক ব্যস্ত কেউ বিভিন্ন জায়গায় কর্মরত রয়েছে। সেজন্য সবার একসঙ্গে হওয়াটা অনেক কষ্টকর। অনেক প্ল্যান পরিকল্পনা শেষে আমরা ১৮ তারিখে ঘুরতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। বান্দরবান পাহাড়ি অঞ্চলে ঘোরাঘুরি করার জন্য যে সকল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রয়োজন সেগুলো আমরা আগেই কিনেছিলাম। আমাদের কুষ্টিয়া থেকে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে বিকেল পাঁচটার দিকে রওনা হওয়ার পর আমরা কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে পৌঁছাই নয়টার দিকে।
Device : Redmi Note 11
কমলাপুর রেল স্টেশন
What's 3 Word Location :https://w3w.co/obscuring.line..

ঢাকায় চারজন ছিল আর বাড়ি থেকে আমরা রওনা দিয়েছিলাম পাঁচজন মোট নয় জন। একসঙ্গে হয়েছিলাম কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে। আমরা কমলাপুর রেল স্টেশনে পৌঁছানোর পর সেই চারজনের দেখি কোন খোঁজ নেই। একটি কথা আছে বাড়ির কাছের লোক ট্রেন ফেল করে বেশি সেটাই হয়েছিল।😜 আমরা তাদের জন্য আধা ঘন্টা অপেক্ষা করি। কমলাপুর রেলস্টেশন অনেক বড় প্ল্যাটফর্ম সেখানে কাউকে খুঁজে বের করা অনেক কষ্টসাধ্য। আমরা তাদেরকে বললাম আমরা সাত নম্বর প্লাটফর্মে আছি সেখানে মাঝামাঝি স্থানে চলে আসার জন্য। সবাই একত্রিত হই বাকি চারজনও চলে আসলো।
Device : Redmi Note 11
গ্লাস যখন শিকল বন্দি
What's 3 Word Location :https://w3w.co/obscuring.line..

কমলাপুর রেলস্টেশনে ট্রেন সব সময় আসা-যাওয়া করছে। যাত্রীরা তাদের গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য ট্রেনের অপেক্ষায় রয়েছে। আমরাও অপেক্ষায় থাকলাম কারণ আমাদের ট্রেন ছিল রাত ১১ টায়। আমাদের যে প্লান ছিল সেটা তো আগেই ক্যান্সেল হয়ে গিয়েছিল। আমাদের ইচ্ছা ছিল কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনে আমরা কক্সবাজার যাব কিন্তু সেই আশাটা পূর্ণ হল না। অনলাইনে অনেক প্লান্ পরিকল্পনা করেও ট্রেনের টিকিট বুক করতে পারিনি। কি আর করার তখন বিকল্প পদ্ধতি হিসেবে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম কমলাপুর স্টেশন থেকে চট্টগ্রাম যে ট্রেন গুলো যায় তার মধ্যে তুরনা এক্সপ্রেস টেনে টিকিট কেটে রেখেছিল সাগর ভাই। তিনি আমাদের ট্যুরের ম্যানেজার ছিল।
Device : Redmi Note 11
শেষ মুহূর্তে ক্যামেরা বন্দি
What's 3 Word Location :https://w3w.co/obscuring.line..

যেহেতু আমরা স্টেশনে দুই ঘণ্টা আগেই পৌঁছে গিয়েছিলাম। সেজন্য প্ল্যাটফর্মের পাশে একটি হোটেল ছিল সেখানে খাওয়া দাওয়া শেষ করেছিলাম। তারপর আবার প্ল্যাটফর্মে চলে আসি। প্ল্যাটফর্মের পাশে দেখি পানি খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে গ্লাস শিকল বন্দি। বিষয়টি সত্যিই আমাকে অবাক করেছে কারণ সামান্য একটি গ্লাসও এ চোরের হাত থেকে রেহাই পায়নি। তাকেও সাবধানতা অবলম্বন করে শিকলে আবদ্ধ হতে হয়েছে হাহাহা।🤩🤩 সেদিন এটাই ছিল কমলাপুর রেলস্টেশনে হাস্যকর বিষয়। আমরা সবাই যখন একসঙ্গে হলাম সত্যিই অনেক ভালো লাগছিল। সবাই উৎফুল্ল ছিল ছবি তোলা নিয়ে ব্যস্ত। আমাদের ট্রেন নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্য ছেড়ে যাওয়ার জন্য অপেক্ষায় রয়েছে। আমরা ট্রেনে উঠে স্মৃতি হিসেবে নিজেদের ছবি তুলে রেখেছিলাম । আসলে সবাই একত্রিত হয়ে কোথাও যাওয়ার যে আনন্দটা। অনেক মজা হয় অনেক ধরনের কথাবার্তা হয়। কমলাপুর রেলস্টেশনে খুব ভালো মুহূর্ত কাটিয়েছিলাম। আশা করি আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | কমলাপুর রেলস্টেশনের সন্ধিক্ষণ |
---|---|
ডিভাইস | Redmi note 11 |
ফটোগ্রাফার | @ripon40 |
লোকেশন | Dhaka |
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি মোঃ রিপন মাহমুদ। আমার স্টীমিট একাউন্ট@ripon40। আমি একজন বাঙালি আর আমি বাঙালী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করি। আমি স্টীমিটকে অনেক ভালোবাসি। ভালোবাসি পড়তে, লিখতে, ব্লগিং,ফটোগ্রাফি,মিউজিক,রেসিপি ডাই আমার অনেক পছন্দের। আমি ঘুরতে অনেক ভালোবাসি। আমার সবচেয়ে বড় গুণ হলো কারোর উপর রাগ করলে সহজেই ভুলে যাই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বান্দরবান এবং কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে ঘুরতে যাওয়ার জন্য কমলাপুর রেল ষ্টেশনে অপেক্ষা, খাওয়া দাওয়া ও তুর্ণা নিশীথি ট্রেনে চট্রগ্রামের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরুর জন্য ট্রেনে বসা পর্যন্ত, সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন ভাইয়া। পোস্টের ছবি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। আশাকরি ট্রেন ভ্রমণ নিরাপদ হয়েছিল,আপনাদের। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আসলে যে কোন জায়গা ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্তটা অনেক সুন্দর আনন্দময় হয়ে থাকে। কমলাপুর রেলস্টেশনে একত্রিত হয়ে সেই অনুভূতিটা হয়েছিল। আপনাদের কাছে সেই অনুভূতি শেয়ার করার চেষ্টা করেছি।
তোমার ভ্রমণ পোস্টটি দেখে পুরানো স্মৃতি জেগে উঠলো। ট্রেনে উঠে যাওয়ার মুহূর্তটা অনেক বেশি ভালো ছিল। স্টেশনে গিয়ে অনেক মজা করেছি সব মিলিয়ে তোমার পোস্টটি দেখে আবার সবকিছু মনে পড়ে গেল।
হ্যাঁ পুরনো সেই স্মৃতিময় মুহূর্ত । তোমার টাকা গণনা সেই ভিডিও অনেক ভাইরাল হয়েছিল। কত সুন্দর মুহূর্ত ছিল জীবনে আবার এইরকম সুন্দর মুহূর্ত ফিরে আসুক সেটাই কামনা করি।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন হলো আমাদের নিজেদের এলাকা তাই তো একটু লেট করে গিয়েছিলাম। কারন আমরা জানতাম ট্রেন অনেক পরে আসবে। তবে আমরা সবাই মিলে বেশ দারুণ সময় উপভোগ করেছিলাম কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ বন্ধু।
কথায় আছে না বাড়ির কাছের লোক ট্রেন ফেল করে বেশি । তোমাদের হয়েছিল তাই খুব কাছাকাছি থেকেও আমাদের থেকে পরে এসেছিলে। যাইহোক, সেটাও অনেক বড় একটা স্মৃতি বিজড়িত মুহূর্ত।
আমি আমার জীবনে ট্রেন জার্নি খুবই কম করেছি। যদিও বাস জার্নিতে সময় বেশি লাগে তবে কেন জানি ট্রেন জার্নি টা আমার তেমন একটা ভালো লাগেনা। কয়েকদিন আগে বিভিন্ন জায়গায় পরীক্ষা দিতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে কমলাপুর স্টেশনে অনেকবার যাওয়া হয়েছে। শিকল বন্দি গ্লাস টা দেখেছিলাম। এই জিনিসটা দেখে আমিও বেশ অবাক হলাম। যাইহোক আপনাদের মুহূর্তগুলো দেখে ভালো লাগলো।
আপনার ক্ষেত্রে ভিন্ন দেখছি। আসলে ট্রেনে ঘোরাঘুরি করার মজাই আলাদা ।যেখানে একান্ত নিরিবিলিতে প্রকৃতির পরিবেশ উপভোগ করতে করতে যাতায়াত করা যায়। যাইহোক, সবার ক্ষেত্রে একরকম নয় ভালো লাগবে ।
বর্তমান দুনিয়া এমনই,মানুষ যা করতেছে গ্লাস শিকল বন্দি করে রাখছে কারণ ভাই চোরের কোন ধর্ম নেই। আপনারা মাঝেমধ্যেই ভ্রমণ করে থাকেন। আপনাদের ভ্রমণ যাত্রা শুভ হোক এবং সব সময় দারুন ফটোগ্রাফিও দেখতে পায় আপনাদের ভ্রমণের মাধ্যমে। সকলকে একসাথে দেখে ভীষণ ভালো লাগতেছে। আমাদের সকলেরই প্রিয় সুমন ভাই মনে হচ্ছে যার মুখ টা অংকন করা। বেশ ভালই লাগলো আপনাদের মুহুর্তটি পড়ে কিন্তু চারিদিকে শুধু চোর আর গ্লাস শিকলবন্দী।
বিষয়টি আমার কাছে হাস্যকর লেগেছে জড় পদার্থ গ্লাস সেও আজ শিকলবন্দী। সেজন্যই আপনাদের সাথে সেই বিষয়টি তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আসলেই চোরের কোন ধর্ম নেই।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের কথা আমি শুনেছিলাম৷ তবে আপনারা সকলে মিলে বান্দরবান এবং কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে এই রেলওয়ে স্টেশনে অনেক সময় অতিবাহিত করেছেন যা দেখে খুব ভালো লাগলো৷ এখানকার যা কিছু ছিল সেগুলো খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন যা দেখে খুবই ভালো লাগছে৷ খুব সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আপনি অনেকগুলো সুন্দর কিছু আমাদের মাঝে ফুটিয়ে তুলেছেন৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷
হ্যাঁ আমাদের প্লান ছিল আমরা ট্রেনে করে ঘুরাঘুরি করব ।এবার অনেকটা পূরণ হয়েছে। এবারের ঘুরাঘুরি মুহূর্তটা মোটামুটি ভালই ছিল। কমলাপুর রেলস্টেশনে কাটানো মুহূর্তটা অনেক সুন্দর ছিল ।যেটা আপনাদের কাছে ভালো লাগলো।