স্কুল বন্ধুদের সাথে ইফতার (এসএসসি ব্যাচ-২০১৬)//by ripon40
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@ripon40 বাংলাদেশের নাগরিক
- স্কুল বন্ধুদের সাথে ইফতার
- ১০, এপ্রিল ,২০২৪
- বুধবার
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশাকরি আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। স্কুল বন্ধুদের ইফতার সেই দৃশ্য পটভূমি শেয়ার করব । আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
তাহলে চলুন গল্পটি শুরু করি |
---|
গতকাল পবিত্র মাহে রমজান মাসের ২৯ তম দিন পার করলাম । এই দিনটি প্রতিবছরই বিশেষভাবে ইফতারের মাধ্যমে সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করে থাকি। লেখাপড়া মাধ্যমে বন্ধুদের সাথে যে সম্পর্ক সেটা হয়তো তার ই একটি প্রাপ্তি । প্রতিবছর এই দিনে বন্ধুদের সাথে ইফতার করার মাধ্যমে দারুন সময় পার করি । এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি স্কুল বন্ধুদের সাথে কাটানো মুহূর্তগুলো সব সময় অনেক সুন্দর হয়। রমজানের মাঝামাঝি সময় আমরা সবাই সবাইকে জানিয়ে দিই। এবারের ইফতার আয়োজন কখনো হবে ফেসবুক মেসেঞ্জারে ২০১৬ সালের এসএসসি ব্যাচের যে গ্রুপটি আছে আমাদের ওখানেই আমরা আমাদের ইফতার বিষয়ে আলোচনা করি। সবাই উপস্থিত হতে না পারলেও বেশিরভাগ বন্ধুরা এই দিনে উপস্থিত থাকে। সবকিছুর দায়িত্ব সবার মধ্যে ভাগাভাগি করে দেয়া হয়েছে। আমার দায়িত্ব ছিল ফটোগ্রাফি করা হি হি।
Device : Redmi Note 11
ইফতারের প্রস্তুতি চলছে
What's 3 Word Location :https://w3w.co/obscuring.line..

বর্তমানে অনেকে বিভিন্ন কর্মের সাথে ব্যস্ত। তার পাশাপাশি অনেকে লেখাপড়া করছে। আমিও লেখাপড়া অব্যাহত রেখেছি । আমরা কয়েকজন বন্ধু আছি যারা সব সময় একটিভ থাকি। যেকোনো ধরনের প্রোগ্রাম করার জন্য বন্ধুদের সাথে সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করার জন্য । এসএসসি ব্যাচের বন্ধুদের সাথে বেশিরভাগ সময় সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করা হয়। শুধু আমার ক্ষেত্রে নয় প্রতিটা ব্যাচের ক্ষেত্রে এটা হয়ে থাকে । এবার ২৯ রোজায় প্ল্যান করেছিলাম প্রতিবছর ৩০ রোজায় আমরা ইফতার আয়োজন করে থাকি। কারণ আরো বড় একটি ইফতারের প্লান ছিল। গ্রামের সবাইকে নিয়ে সেজন্য একদিন এগিয়ে দিয়েছিলাম। যাইহোক, টাকা তোলার দায়িত্ব ছিল বন্ধু জসিম। সে প্রতিবছর এই দায়িত্বে বহাল থাকে । আসলে সব কাজ সবার দ্বারা হয় না। সে নিজের মতো করে দায়িত্ব গুলো পালন করে থাকে।
Device : Redmi Note 11
সবাই বৃত্তাকার হয়ে বসে ইফতারের অপেক্ষায়
What's 3 Word Location :https://w3w.co/obscuring.line..

দুপুর টাইমে আমরা তিনটা গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পরলাম শহরের উদ্দেশ্যে। আমাদের ইফতারের আইটেম ছিল বিভিন্ন ফল এবং তার সাথে বিরিয়ানি। খাসির বিরিয়ানি যেটা কারোরই খাইতে বাধা নেই। আমাদের জানাশোনা একটা হোটেল ছিল সেখানে গিয়েছিলাম বিরিয়ানি আনতে । তাদের আগে আমরা অর্ডার দিয়ে রেখেছিলাম। সেখানে গিয়ে আধা ঘন্টা অপেক্ষা করি । সেই ফাঁকে ইফতারের জন্য যে ফলগুলো কেনা লাগবে সেগুলো সবাই মিলে কিনে ফেলি। ফলের দাম আকাশচুম্বী। যাইহোক, বন্ধুদের সাথে ইফতার করব সব ধরনের ফল কেনার চেষ্টা করেছি ।যেগুলো বাজারে পেয়েছি সব ধরনের ফল কিনলাম। আমি নিজেই আরো অনেক বন্ধু ছিল। সেখান থেকে আমরা আমাদের স্কুল মাঠের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। পৌঁছাতে পাঁচটা বেজে গেল। আমাদের স্কুলের নাম ধোকড়াকোল মাধ্যমিক বিদ্যালয়। আমাদের গ্রাম নিয়ে আমি সত্যিই অনেক গর্বিত কারণ পাশেই স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা পাশে সুন্দর একটি বাজার আরও পুলিশ ক্যাম্প রয়েছে। একটি গ্রামে যা থাকার প্রয়োজন তার প্রায় সব কিছুই রয়েছে ।অনেক সুবিধা এটাই অনেক বড় পাওয়া।
Device : Redmi Note 11
ইফতার শেষে বন্ধুদের সাথে ক্যামেরাবন্দি
What's 3 Word Location :https://w3w.co/obscuring.line..

বিকেলে স্কুল মাঠে সকল বন্ধু একে একে উপস্থিত হলো ।কেউ বাইকে কেউ অন্যান্য গাড়িতে এসে সবাই একসঙ্গে হলাম । আসলেই ভালো লাগছিল সবার সাথে দেখা হওয়াতে। ইফতারের আয়োজন এর ক্ষেত্রে অনেক দায়িত্ব থাকে। যেগুলো নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম । অনেক বন্ধু ইফতার আইটেমগুলো সাজাতে কাজ শুরু করে দিল। আমরা সবাই স্কুল মাঠে গোল হয়ে বসে পড়লাম। ওয়ান টাইম প্লেট কেনা হয়েছিল। সেখানে ইফতারের বিভিন্ন আইটেম সাজানো হলো। আমাদের ইফতার আয়োজনের পাশাপাশি বিদ্যালয় এর অন্যান্য ব্যাচ তারাও ইফতার করছিল । সব মিলিয়ে পাঁচটি ব্যাচ ইফতার করেছি গতকাল । যেন বিদ্যালয় এর মাঠে ইফতারের এক মিলন মেলা । আমরা সবাই একত্রিত হয়ে ছবি তোলা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম। অনেকদিন পর দেখা সেজন্য স্মৃতি হিসেবে সবাই ছবি তুলতে ব্যস্ত। ইফতার শেষে অপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলো আগুন ধরিয়ে দিলাম ।সেই আলোয় আমাদের কিছু সেলফি তুলে নিলাম। আশা করি সেই মুহূর্তটি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | স্কুল বন্ধুদের সাথে ইফতার |
---|---|
ডিভাইস | Redmi note 11 |
ফটোগ্রাফার | @ripon40 |
লোকেশন | Kushtia |
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি মোঃ রিপন মাহমুদ। আমার স্টীমিট একাউন্ট@ripon40। আমি একজন বাঙালি আর আমি বাঙালী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করি। আমি স্টীমিটকে অনেক ভালোবাসি। ভালোবাসি পড়তে, লিখতে, ব্লগিং,ফটোগ্রাফি,মিউজিক,রেসিপি ডাই আমার অনেক পছন্দের। আমি ঘুরতে অনেক ভালোবাসি। আমার সবচেয়ে বড় গুণ হলো কারোর উপর রাগ করলে সহজেই ভুলে যাই।
বন্ধুদের সাথে ইফতারের মুহূর্তটা অনেক বেশি ভালো ছিল। সব আয়োজন আমরা করেছি এবং সর্বশেষে সবাই একসাথে ইফতার শেষ করলাম বেশ ভালো লাগলো। বিশেষ করে শেষ মুহূর্তের ফটোগ্রাফি গুলো চরম ভালো লেগেছে। সামনে আগুন নিয়ে ফটোগ্রাফিটা চমৎকার লাগছে। দুঃখের বিষয় হলো এই ফটোগ্রাফিতে তুমি ছিলে না।
হ্যাঁ মামা সেই ফটোগ্রাফির সময় আমি ছিলাম না খুবই মিস করেছি। আসলে সবই ভাগ্য সেই লেভেলের ফটোগ্রাফি ছিল । যেটা স্মৃতি হিসেবে থেকে যাবে এরকম সুন্দর মুহূর্ত আবার ফিরে আসুক সেটাই প্রত্যাশা করি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://twitter.com/mahmudrr_r/status/1777842274732532055?t=dTolLYj1vuisgYO2qOeOXw&s=19
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন স্কুল বন্ধুদের সাথে ইফতারের কিছু মুহূর্ত। আসলে শৈশবের বন্ধুদের সাথে এমন কিছু সময় কাটালে সত্যি বেশ ভালো লাগে। আমিও এবার স্কুলের বন্ধুদের সাথে ইফতার পার্টির আয়োজন করেছিলাম সত্যিই সেখানে অনেক দিন পর সকল বন্ধুর সাথে দেখা হয়ে বেশ ভালো লেগেছিল। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
বন্ধুদের সাথে কাটানো মুহূর্ত সবসময় সেরা মুহূর্ত হয়ে থাকে। কতদিন পর তাদের সাথে দেখা যেন আনন্দের জোয়ার বয়ে চলেছে । তেমনটাই ইফতার পার্টির মাধ্যমে উপভোগ করেছিলাম যেটা আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগলো।
ক্লাসের বন্ধুদের সাথে বেশ সুন্দর ইফতারির আয়োজন করেছেন দেখছি। অনেকদিন পর বন্ধুরা যদি একত্রিত হওয়া যায় আর এভাবে কোন পার্টিতে অংশগ্রহণ করা যায় সত্যি খুবই ভালো লাগে। আপনাদের রোজা কবুল হোক সেই দোয়া রইল এবং ঈদের আনন্দ সবাই একসাথে উপভোগ করতে পারেন সেই কামনা করি।
আসলে এই ইফতার আয়োজন করার মূল উদ্দেশ্য হলো সকল বন্ধুরা একত্রিত হওয়া । যেটা একটা জীবনের অংশ স্কুলে লেখাপড়া কালীন সময়ে তাদের সাথে কাটানো মুহূর্তের একটি স্মৃতি। এভাবে ধরে রাখা প্রতিবছর করে থাকি।
আসলে ভাইয়া অনেক দিন পরে সকলে এভাবে এক সাথে ইফতার করার মজাই আলাদা। আপনারা সবাই নিশ্চয়ই অনেক ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন। দোয়া করি আগামীতে যেন সবাই এভাবে ইফতার পার্টি করতে পারেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কাটানো মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু বন্ধুদের সাথে এরকম সুন্দর মুহূর্ত কাটাতে পেরে খুবই আনন্দিত ছিলাম । অনেক ধরনের কথাবার্তা গল্প সত্যিই ভালো লাগার মুহূর্ত ছিল। যত সময় একসঙ্গে ছিলাম অনেক সুন্দর মুহূর্ত কেটেছিল।
রমজান মাস হলো সিয়াম সাধনার মাস। এই মাসের সব থেকে সুন্দরতম মুহূর্ত হলো ইফতারি। আপনি স্কুল বন্ধুদের সাথে আজকে ইফতারি করেছেন। সবাই একসাথে ইফতারি করতে ভীষণ ভালো লাগে। ইনশাল্লাহ এই একটা মাস আমরাও একত্রিতভাবে সবাই ইফতারি করেছি। এত সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আসলে বন্ধুদের সাথে প্রতিবছর রমজান মাসের প্ল্যান করে থাকি। এভাবে ইফতার আয়োজন করার যেটা কয়েকজন বন্ধু মিলে উদ্যোগ গ্রহণ করি। সবাই অংশগ্রহণ করে অনেক ভালো লাগা কাজ করে ধন্যবাদ।
আসলে এই স্মৃতিগুলো ধরে রাখার জন্যই অনেক ছবি তোলা হয় তাছাড়া কালকে ইফতারি করার মাধ্যমে সব বন্ধুদের সাথে অনেকদিন পরে দেখা হল। সেই সাথে আলাদা আলাদা ব্যাচের বড় ভাই এবং ছোট ভাইদের সাথে সাক্ষাৎ হয়েছে। মনে হচ্ছিল আমরা যেন আবার স্কুল লাইফে ফিরে এসেছি। অনেক দারুন সময় উপভোগ করেছিলাম।
জীবনের সুন্দর মুহূর্ত গুলো চলে যাবে রয়ে যাবে শুধু স্মৃতি ।তারই একটি অংশ বিশেষ হলো ক্যামেরাবন্দি হওয়া। যেটা বর্তমান যুগে স্মৃতিগুলো ধরে রাখে অনেক সুন্দর মুহূর্ত ছিল আবার ফিরে আসুক এরকম মুহূর্ত।
আসলে ভাইয়া রমজান মাসের একদম ইফতারি মুহূর্তটা খুবই সুন্দর হয়ে থাকে। আর সেই ইফতারি যদি সকল বন্ধু মিলে একসাথে করা হয় তাহলে তো সে ইফতারি পার্টিটা আরো বেশি মজাদার হয়ে থাকে। আপনার পোস্ট দেখলাম আপনারা এসএসসি ২০১৬ সালের ব্যাচ তারপরে আপনাদের অনেক বন্ধুত্ব বেশ ভালো ইফতার পার্টি করেছেন। সেই সাথে সন্ধ্যায় আগুন পোহায় আছেন এবং সেখান থেকে সুন্দর ফটোগ্রাফি করার জন্য ইফতারের আইটেম দেখছিল খুবই ভালো ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
এবার রমজান মাসে বেশিরভাগ সময় ইফতার বাইরে করা হয়েছে। বন্ধুদের সাথে এরকম একত্রিত হয়ে ইফতার করার মজাই আলাদা । আমাদের স্কুলের যারা এসএসসি ব্যাচ ছিলাম এরকম কয়েকটি ব্যাচ সেদিনই তার আয়োজন করেছিল।