জেনারেল রাইটিং: ঘূর্ণিঝড় রেমালের তিক্ত অভিজ্ঞতা //by ripon40
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@ripon40 বাংলাদেশের নাগরিক
- ঘূর্ণিঝড় রেমালের তিক্ত অভিজ্ঞতা
- ২৮, মে ,২০২৪
- মঙ্গলবার
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশাকরি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছেন। আমিও ভালো আছি। আজ আমি "ঘূর্ণিঝড় রেমালের তিক্ত অভিজ্ঞতা " গল্প শেয়ার করছি । আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
আজকে আমি আপনাদের সাথে ঘূর্ণিঝড় রেমালের তান্ডবে ঘটে যাওয়া খারাপ অভিজ্ঞতা শেয়ার করব। ঘূর্ণিঝড় রেমাল আঘাত হানার কয়েকদিন আগে থেকেই নিউজ শুনছিলাম । সেই ঘূর্ণিঝড় কোন দিকে আঘাত হানতে পারে সেই বিষয়ে ধারণা নেওয়ার চেষ্টা করছিলাম। যদিও প্রথমদিকে ঘূর্ণিঝড় রেমাল কক্সবাজার চট্টগ্রাম বিশেষ করে সমুদ্র অঞ্চলে আঘাত হানার সম্ভাবনা বেশি ছিল কিন্তু সেটা দিক পরিবর্তন করে উত্তর -পশ্চিমাঞ্চলে ঘুরে যায়।
যেহেতু আমাদের বাসা বাংলাদেশের মিডিল পয়েন্টে সেজন্য তেমন একটা ঝুঁকিপূর্ণ ছিল না। এই ঘূর্ণিঝড় কখন কোন দিকে নিজের দিক পরিবর্তন করে আঘাত হানে সেটা কেউই বলতে পারেনা। সময়ের সাথে সাথে এর দিক পরিবর্তন হয়। বর্তমান প্রযুক্তির যুগে যেটা দেখা খুবই সহজ। সমুদ্রের গভীরে এই ধরনের ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের প্রলয়নকারী পাক সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন স্থলভাগে আঘাত হানে আবার কখনো সমুদ্রের মাঝে শেষ হয়ে যায়। যেগুলো দেখা খুবই সহজ windy অ্যাপসে খুব সহজেই দেখা যায়। উপকূলীয় অঞ্চলে যারা বসবাস করে এই সময় তারা অনেক ঝুঁকিতে থাকে। তাদের জীবন কতটা কষ্টের আমি নিজ চোখে দেখে এসেছি। আবার যদি এরকম ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে তাদের অবস্থা কি হয় সেটা ভাবতেই অবাক লাগে।
বাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চলে যে সকল জেলা রয়েছে তাদের জীবনযাত্রা খুবই কঠিন। এই তো কিছুদিন আগে সাতক্ষীরা ঘুরতে গিয়েছিলাম সেখানকার মানুষের জীবন যাপন সম্পর্কে অনেক ধারণা পেয়েছি। তাদের কষ্টের মুহূর্তগুলো নিজ চোখে দেখে এসেছি তাদের থেকে আমরা অনেক গুন ভালো আছি। যেটা না দেখলে বোঝা যায় না। যাইহোক, যখন আমি এই অ্যাপসে দেখছিলাম ২৭ তারিখ রাত একটায় বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় রে মাল আঘাত হানবে মাঝে মাঝেই সেই অ্যাপসে ঢুকে দেখছিলাম। তখন দেখতে পাই ঘূর্ণিঝড় দিক পরিবর্তন করে আমাদের কুষ্টিয়া জেলার সীমান্তবর্তী এবং ভারতের সীমান্ত দিয়ে অগ্রসর হচ্ছে।
তখন আমাদের এখানে হালকা ঝড়ো হওয়া বইছে। এমনিতেই আমার রাত জাগার স্বভাব ফোনে তেমন একটা চার্জ ছিল না হঠাৎ করেই বিদ্যুৎ চলে যায়। তখন বুঝতে পারলাম হয়তো খারাপ অবস্থা ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপ। দেখি আমাদের কুষ্টিয়া জেলায় আঘাত হেনেছে পুরো বাংলাদেশ বৃষ্টিপাত এবং ঝড়ো হাওয়া বইতে থাকে। রাত একটা থেকে সারাটা দিন এবং 28 তারিখ রাতেও সেই ঘূর্ণিঝড়ের তান্ডব চলতে থাকে। চারিদিকে অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশ যেটা সত্যিই ভয়ঙ্কর একটা ব্যাপার। এমনিতেই ঘুরাঘুরি করার স্বভাব সারাটা দিন ঘুমানোর পর ঘুম থেকে উঠে দেখি ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে সবকিছু লন্ডভন্ড।
এদিকে মোবাইলে চার্জ শেষ কারো সাথে যোগাযোগ করার পরিবেশ নেই। রাস্তার পাশে দোকানে গেলাম বন্ধু রাজুর সাথে দেখা তার সাথে বাজারে গিয়ে অনেক সময় আড্ডা দিলাম। মোবাইলে চার্জ দিব সে রকম পরিবেশ ছিল না। প্রযুক্তি জীবনের সাথে এমন ভাবে জড়িয়ে গিয়েছে এক মিনিটের জন্য প্রযুক্তির ব্যবহার না করতে পারলে জীবনটা সত্যিই মূল্যহীন মনে হয়। ২৪ ঘন্টা সত্যি অনেক খারাপ গিয়েছিল কি করব কিছুই ভেবে পাচ্ছিলাম না। জীবন মানেই মনে হচ্ছিল প্রযুক্তি যেটা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। মনে হচ্ছে আদিম যুগে ফিরে গিয়েছি। যে যুগে কোন প্রযুক্তি ছিল না। এই সাময়িক পরিবর্তন জীবনটাকে চিনিয়েছে। পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে সবকিছু লন্ডভন্ড। এই খারাপ মুহূর্তগুলো জীবনে অনেক কিছু শিক্ষা দেয়।
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি মোঃ রিপন মাহমুদ। আমার স্টীমিট একাউন্ট@ripon40। আমি একজন বাঙালি আর আমি বাঙালী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করি। আমি স্টীমিটকে অনেক ভালোবাসি। ভালোবাসি পড়তে, লিখতে, ব্লগিং,ফটোগ্রাফি,মিউজিক,রেসিপি ডাই আমার অনেক পছন্দের। আমি ঘুরতে অনেক ভালোবাসি। আমার সবচেয়ে বড় গুণ হলো কারোর উপর রাগ করলে সহজেই ভুলে যাই।
রেমালের তান্ডব আমরা কমবেশি সবাই উপভোগ করেছি। এতে অনেকের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে খুব। যেমন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে তেমন জানমালের ক্ষতি হয়েছে। অনেক মানুষের বাড়ির ক্ষতি হয়েছে। তবে সেই তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে আজকে আপনি আমাদের মাঝে পোস্ট করেছেন দেখে ভালো লাগলো
ঘূর্ণিঝড় রেমাল যে কতটা ক্ষতি করে দিয়ে গেল এবার মানুষের সেটা বলে বোঝানোর মুশকিল। আপনি ঠিকই বলছেন ভাইয়া অনেক অনেক এলাকায় থেকে আমরা অনেক ভালো আছি। আপনার মত সরাসরি দেখতে পারিনি তবে মোবাইলে বা টিভিতে দেখে তাদের কষ্ট অনুভব করতে পেরেছি। ঘূর্ণিঝড় রেমালের তিক্ত অভিজ্ঞতা পড়ে বেশ ভালো লাগলো ভাইয়া। আপনার পোস্ট পড়ে অনেক কিছুই জানতে পারলাম ধন্যবাদ।
ঘূর্ণিঝড় রেমাল আমাদের মতো সাধারণ মানুষের অনেক ক্ষতি করে গেল। মানুষের বাড়ি ঘরের যেমন ক্ষতি হয়েছে তেমনি বিদ্যুৎ না থাকার কারণে অনেক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এমন একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুব সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। আসলে ভাইয়া আমার জীবনে প্রথম আমি এমন ঝড় দেখতে পেলাম। আর এত ক্ষয়ক্ষতি তাও বুঝতে পারলাম। যদিও আমার বাসায় তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি কিন্তু আশেপাশে অনেক জায়গায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আপনার পোস্ট পড়ে জানতে পারলাম আপনার বাসাটাও মিডিলে ছিল যে কারণে তেমন একটা ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। কিন্তু ঝড় ছিল খুবই ভয়াবহ। অসংখ্য ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারনে কম-বেশী সব জায়গায়ই ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।অনেকের ঘর-বাড়ির যেমন ক্ষতি হয়েছে তেমনি বিদ্যুৎ এর কারনে সব জায়গার সাথে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।আর আমরা সব জায়গার খবর এই বিদ্যুৎ এর কারনে নিতে সক্ষম ও হইনি।আশাকরি সবাই সব রকম বিপদ কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবে।
প্রযুক্তির সাথে আমরা এতটাই মিশে গিয়েছি যে এগুলো ছাড়া আমরা অসহায় হয়ে পড়ি। মাত্র কয়েক ঘন্টা কারেন্ট না থাকাতেই সবার সময় বেড়ে গিয়েছিল। কারণ সময় নষ্ট করার মত যে মোবাইল ছিল না। যাই হোক এছাড়াও এই ঘূর্ণিঝড়ের রেমালের কারণে বেশ কিছু ক্ষতি হয়েছে। যেটা অবশ্য একটি খারাপ বিষয়। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে এই পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলে সবসময়ই বিভিন্ন ধরনের ঝড়ের কবলে পড়ে আমাদের দেশ ও দেশের মানুষ বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকে৷ তবে আমাদের এখানকার যেসকল এলাকাগুলো রয়েছে সেখানে তেমন একটা ক্ষতি হয়নি। তবে যেভাবে খবর গুলো দেখছিলাম সে খবরের মধ্যে বলা হচ্ছিল যে অনেক জায়গায় অনেক বেশি পরিমাণে ক্ষতি হয়েছিল৷ যাইহোক আপনাদের সেখানেও হয়েছিল৷ আপনার বাসা মধ্যখানে থাকার কারণে তেমন একটা ক্ষতি হয়নি শুনে ভালো লাগছে। আসলে এরকম দুর্যোগ সবসময়ই হয়ে আসছে।