২০২১ এর সেরা সাইন্স ফিকশন মুভি "DUNE" এর ফুল এক্সপ্লেনেশন || 10% for @shy-fox
"আমার বাংলা ব্লগে আপনাদের সকলকে জানাই আমার সালাম"
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা রেখে শুরু করছি আমার আজকের এই ব্লগ।আশা করি আমি আমার দক্ষতার মাধ্যমে আপনাদের সকলের নিকট ভালো কিছু উপস্থাপন করতে সক্ষম হবো,এবং আপনাদের ও ভালো লাগবে।
এ বছরে 6 টি ক্যাটাগরিতে অস্কার পাওয়া মুভি হচ্ছে dune। যে ছয়টি ক্যাটাগরিতে অস্কার পেয়েছিল সেগুলো হলো ,বেস্ট সাউন্ড,বেস্ট স্কোর,বেস্ট ভিজুয়াল, সিনেমাটোগ্রাফি,বেস্ট প্রোডাকশন ডিজাইন,বেস্ট ফিল্ম এডিটিং।তাহলে বুঝতেই পারছেন মুভিটি কি লেভেলের। আর আমার দেখা এই পর্যন্ত যতগুলো sci-fi মুভি রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে dune। এই মুভি সম্পর্কে শুধু একটা কথাই বলব আপনাকে কিছু বুঝতে হবে না সাউন্ড অফ করে দিয়ে শুধু দেখতে থাকুন তাতেই দারুন উপভোগ করবেন মুভিটি। মুভির ভিজুয়াল ইফেক্ট গুলো এতটাই দুর্দান্ত যে চোখ ধাঁধিয়ে যাওয়ার মত। আর আজকে যেহেতু আমি এই মুভির কোন রিভিউ দিচ্ছি না তাই এই নিয়ে আর বেশি কথা বাড়াবোনা। আজকে আমি এই মুভিটির এক্সপ্লেইন করতে চলেছি। আপনি যদি দেখে না থাকেন তারপরেও পুরো ব্লগটি পড়তে পারেন। এবং এরপর মুভিটা অবশ্যই দেখার প্রয়োজন হতে পারে আপনার। আর যদি মুভিটি ইতিমধ্যেই দেখে থাকেন আর কোথাও বুঝতে কোন সমস্যা হয় তাহলে এক্সপ্লেইন টি আপনার জন্য। তো চলুন শুরু করছি।
মুভির গুরুত্বপূর্ন কিছু তথ্য:
মুভির নাম | DUNE |
---|---|
পরিচালক | Denis Villeneuve |
রিলিজ | ০৩ সেপ্টেম্বর 2021 |
সময় | ১৫৬ মিনিট |
দেশ | আমেরিকা |
ভাষা | ইংলিশ |
বাজেট | $166 M |
আয় | $400 M |
জনার | সাইন্স ফিকশন |
রেটিং | 8.1/10 |
মুভি এক্সপ্লেইন:
Dune (2021)
মূলত এই মুভিটি হলো সাইন্স ফিকশন একটি মুভি। যেখানে সুদূর ভবিষ্যতের কাহিনী নিয়ে নির্মিত হয়েছে। আর হ্যাঁ যদি কখনো গেম অফ থ্রোনস দেখে থাকেন তাহলে এই মুভির সাথে কিছুটা হলেও মিল পাবেন। আর হ্যাঁ এই মুভি টা কে বুঝতে হলে আপনাকে অবশ্যই dune এর ইউনিভার্স এবং তার ভিতরে চলতে থাকা রাজনীতি সম্পর্কে বুঝতে হবে,তাই লেখাটা একটু ধৈর্য নিয়ে পড়বেন।
সময়টা ছিল ১০১৯১ খ্রিস্টাব্দ। আজকের এই সময় এর থেকেও হাজার বছর এগিয়ে গেছে সময় আর সেই সময়ে প্রযুক্তির ব্যাপক উন্নতি হয়েছে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে আর ওই সময়ে গ্রহগুলো হয়ে গিয়েছে এক একটি রাজ্য। আর সেই গ্রহগুলোতে রাজত্ব করছে মানুষ। আর মানুষরা কেমন সেটা তো সবাই আপনারা জানেন। আমাদের মধ্যে ক্ষমতা আর সম্পদের লোভ সেই পৃথিবীর আদি লগ্ন থেকেই ছিল। আর সেই সম্পদ দখল এর জন্যই মানুষ হয়ে ওঠে হিংস্র।
সেই সময় একটি গ্রহ ছিলো যার নাম এরাকিস বা dune। আর সেই গ্রহটির ছিল dune ইউনিভার্সের অন্যতম একটি স্থান যেখানে পাওয়া যায় পৃথিবীর সবচেয়ে অন্যতম দুর্লভ একটি পদার্থ স্পাইস। আমাদের পৃথিবীতে যেমন অনেক ধরনের প্রাকৃতিক দুর্লভ সম্পদ রয়েছে যেমন পেট্রোল,গ্যাস এরকম আরও দুর্লভ খনিজ পদার্থ আর যেগুলোর জন্য মানুষ যুদ্ধ পর্যন্ত করতে প্রস্তুত।আর স্পাইস ও ঠিক একই রকম একটি পদার্থ।আর এরাকিসে পাওয়া যায় সেই দুর্লভ স্পাইস যা সেখানকার মানুষদের অর্থাৎ ফোরম্যানদের জীবন শক্তিকে বাড়িয়ে দেয় এবং তাদের শরীরে আধ্যাত্মিক শক্তির সৃষ্টি করে। আবার সেই ফোরম্যানরা এটিকে ড্রাগস হিসেবেও ব্যবহার করে যার ফলে মুভিতে দেখা যায় তাদের চোখ গুলো নীল হয়ে যায়। এখন কথা হল এই স্পাইচ ফোরম্যান দের কাছে অনেক পবিত্র হলেও, সারা বিশ্বের সবাই এটিকে ইন্ধনের কাজে ব্যবহার করে। কারণ এই স্পাইস ছাড়া এই পুরো মহাবিশ্বে কোথাও ইন্ডাস্ট্রনাল ট্রাভেল করা সম্ভব নয়, আর পুরো মানব জাতির ভবিষ্যত নির্ভর করছে এই স্পাইস এর উপর।আর তাই এই সম্পদের লাভ হার্কনেন এর বাহিনী সেই স্পাইস এর লোভে এই গ্রহের উপর আক্রমণ করে দেয়।ওই জে আগেই বলেছিলাম মানুষের ক্ষমতার অহংকার আর সম্পদের লোভ।কিন্তু স্বদেশভূমি কি কেউ এত সহজে ছেড়ে দিতে চায়। আরাকিস এর বাহিনী হারম্যান দের সাথে লড়াই করে এবং চেষ্টা চলায়।কিন্তু হারম্যান দের টেকনোলজি ও অস্ত্র এতটাই অ্যাডভান্স ছিলো যে তারা লড়াই করে পেরে উঠে না এক পর্যায়ে তারা পালিয়ে যায়।আর এদিকে দখল দারিত্ব নেওয়ার পর হারম্যানরা স্পাইস এর দেখা পেয়ে গিয়েছে এবং তারা সেগুলো চাষ করা শুরু করে দিয়েছে।এবং পুরো বিশ্বে বিক্রি করছে। এরপর দীর্ঘ সময় স্পাইস বিক্রি করার পর তারা হঠাৎ করে চলে যায়। কারণ চুক্তি অনুযায়ী একজন নতুন রাজা কে ছেড়ে দেওয়ার কথা ছিল এই গ্রহটিকে তাদের হাতে। এরপর আমাদেরকে দেখানো হয় আর একটি গ্রহ যেটার নাম হচ্ছে ক্যালাদান যেটার রাজা হিসেবে দায়িত্বে আছে অ্যাট্রিদিস আর তার ছেলেকেও দেখানো হয় সেই সময় যার নাম হচ্ছে পল। এবং এই পলই হলো মূলত সিনমার মূল চরিত্র যাকে নায়ক ও বলা যায়। আর সেখানে দেখানো হয় তার মাকে যার নাম হচ্ছে জেসিকা, আবার জেসিকা হলো বেনিজেইসারাড নামের একটি সংগঠনের সদস্য। আর এই সংগঠনে অনেক ধরনের তন্ত্র শেখানো হয়। তার মধ্যে অন্যতম একটি হলো মানুষকে কথার জালে ফাঁসানো আর এটিকে বলা হয় দা ভয়েস। এবার পল ফারমান দের সম্পর্কে জানতে পারে তাদের শক্তি তাদের টেকনিক সম্পর্কে। আপনারা হয়তো ভাবছেন কেন সেগুলো সম্পর্কে জানতে। আসলেই বিষয় হয়েছে তাদের পুরো রাজপরিবারকে পাঠানো হচ্ছে সেই গ্রহে।এবার বলতে পারেন কে পাঠাচ্ছে তাদের। তাহলে বলি প্লানেট জুতো অনেকগুলো গ্রহ রয়েছে তাই সবগুলো গ্রহের রাজাদের সমন্বয়ে একটি সংগঠন। এবং এই সংগঠনের প্রধান যে ইনচার্জ রয়েছে সে তাদেরকেএম্পায়রার নির্দেশ করেছে সেই গ্রহে যাওয়ার জন্য।আর সেই ইনচার্জ এর নাম হচ্ছে এম্পায়রার যাকে এই পর্বে দেখানো হয় নি।এরপর পল একটি সপ্ন দেখতে থাকে যেখানে সে বারবার একটি মেয়েকেই দেখতে থাকে স্বপ্নে আর ওই মেয়েটার চোখ নীল।এরপর পলকে একটি যোদ্ধার সাথে দেখা যায় যার সাথে পল খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করছে।আর এই সময় পল তাকে বলে যে আমি তোমাকে নিয়ে একটি স্বপ্ন দেখেছি যেখানে তুমি মারা গিয়েছে। কিন্তু সেই যোদ্ধা পল এর কথাকে কোনো গুরুত্বই দেয় না। এরপর পল এর সাথে তার বাবার কথোপকথন হয়। পল জানায় যে আমাদেরকে ব্যবহার করা হচ্ছে। এবং এম্পায়রার নিজের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য আমাদেরকে সেখানে পাঠাচ্ছে। আমরা যদি সেখানে যাই তাহলে একটা যুদ্ধ হবে এবং যুদ্ধে সবাই মারা যাবে এবং এখান থেকে এম্পায়রার সেই স্পাইস এর দখল নিয়ে নিবে।পল তার বাবা কে বলে বরং আমরা স্পাইস দখলের জন্য নয় তাদের সাথে বন্ধুত্ব করতে যাব।এবার পল এর মা যে সংগঠনের কাজ করতো সেখানকার একজন গুরু পলকে পরীক্ষণ করার জন্য আসে। এবং ভবিষ্যদ্বাণী করে যায় পল এই হচ্ছে সেই দূত যে সবাইকে মুক্ত করবে এবং সব প্ল্যানেট শান্তি নিয়ে আসবে।এরপর পল তার পুরো ফোর্স এর সাথে ওই গ্রহে চলে যায় যেখানে স্পাইস আছে।কিন্তু সেখানে যাওয়ার সাথে সাথে সবাইকে তাকে দেবতা মানা শুরু করে এবং তারা মনে করে পল এর হাত ধরেই শান্তি ফিরে আসবে।কিন্তু সেখানকার কিছু মানুষ পলকে মারার চেষ্টা করে কিন্তু পল বেচে যায় সেবারের মত।এবার পলের পিতা সেখানকার ফোরম্যান দের নেতাকে কে ডাক দেয় এবং বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেয়। এবার ফোরম্যান দের সেই নেতা তাদেরকে সেই জায়গায় নিয়ে যায় যেখানে বড় বড় মেশিনের সাহায্যে স্পাইস বালুর নিচ থেকে উত্তোলন করা হয়। বলতো ওই জায়গাটি ছিল বিরান মরুভূমি যেখানে শুধু রোদ আর রোদ এক ফোঁটা পানিও নেই সেখানে। সেখানে বেঁচে থাকা খুবই মুশকিল। কিন্তু তারপর এখানে সবচেয়ে বড় ভয়ানক বিপদ হলো তার নাম হচ্ছে "সেন্ট বম্বস"। এটা এত বড় একটি ক্রিয়েচার যে যেকোনো বড় কিছু কে সে নিজের ভেতর গিলে ফেলতে পারে এমনকি যেকোনো বড়ো মেশিনকেও। এরপর তারা সবাই মিলে সেই মাইনিং মেশিন টার কাছে যায়। কিন্তু সাথে সাথেই তারা দেখতে পায় বালুর মধ্যে কি যেন একটা আসছে তাদের দিকে ধেয়ে। এবং তারা বুঝতে পারে সেটি ওই জন্তু টাই হবে আর কেউ না। আর সেজন্যই তারা বুঝতে পেরে একটি ড্রোন মেশিন কে ডাকে যেন সেই মাইনিং মেশিন টাকে উড়িয়ে নিয়ে যেতে পারে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল ড্রোনের একটি কেবল অকেজো হয়ে যায়।পলের পিতা তখন সিদ্ধান্ত নেয় শেষে লোকগুলো বাঁচাবে যারা ওই মেশিনের মধ্যে আছে। আর সাথে সাথেই সে তার ফ্লায়িং অবজেক্ট কে নিচে নামিয়ে আনে। এবং এই মুহূর্তে পল ও বাইরে আসে। কিন্তু পল বাইরে আসার সাথে সাথে সে পুনরায় আবার তার সেই স্বপ্ন টি দেখতে পারে আর এই কারণেই সে ওই সময় অজ্ঞান হয়ে যায়। কিন্তু পরে একজন তার সহযোগী এসে তাকে কাঁধে করে ফ্লায়িং অবজেক্ট এ নিয়ে যায়। আর যখন তারা এখান থেকে চলে যায় তখন সেই সেন্ট বম্ব তাদের মাইনিং মেশিনটি নিমিষের মধ্যে গিলে ফেলে।এবার পল ফিরে এসে তার মাকে বলে যে সে পুনরায় তাঁর সেই আগের স্বপ্নটি দেখতে পেরেছে।
এরপর তাদের যে ডাক্তার টি ছিল সে তার বাবার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে। তাকে অজ্ঞান করে ব্যারেন অর্থাৎ সেখানকার লিডারের হাতে সমর্পণ করে। অবশ্য সেই ইচ্ছে করেই করেনি সে এক প্রকার বাধ্য হয়েই করেছে। কারণ তার স্ত্রীকে তারা বন্দি করে রেখেছিল। কিন্তু সেই ডক্টর পল এর পিতাকে একটি নকল দাঁত লাগিয়ে দেয় এবং সে তাকে বলে যখন ব্যারেন তার সামনে আসবে তখন এই দাঁত টি ভেঙ্গে দিবে এবং এই দাঁত থেকে যে বিষাক্ত গ্যাস বের হবে সেই গ্যাস থেকে সবাই মারা যাবে সাথে সাথে। এরপর ব্যারেন তাদের ওপর আক্রমণ করে দেয় এবং তাদেরকে হারিয়ে দেয় এমনকি পল ও তার মাকেও তার বন্দী করে নেয়, এবং তাদেরকে একটি ফ্লায়িং অবজেক্ট এ পাঠিয়ে দেয় সেই সেন্ট বম্ব এর কাছে ছেড়ে দিয়ে আসার জন্য।কিন্তু তাদের কাছে তো সেই জাদুর শক্তি আছে এবং সেই শক্তিকে কাজে লাগিয়ে তারা সেখানকার সবাইকে নিজের কথার জালে বস করে নেয় এবং পালিয়ে যায়।এরপর তারা দেখতে পায় তাদের পুরো সম্রাজ্য ব্যারেন জ্বালিয়ে দিয়েছে এবং নিজের কব্জায় নিয়েছে, তাই তারা সিদ্ধান্ত নেয় তারা আর সেখানে ফেরত যাবে না। আর এরই মধ্যে ব্যারেন কি দেখায় তার কাছে সেই ডক্টর টি এসেছে পল এর পিতাকে নিয়ে।এবার সে তার স্ত্রী কে ফেরত চাইলে সে বলে তাকে মেরে ফেলেছে এখন তুইও তার কাছে যায়,এই বলে তাকেও মেরে ফেলে। এবং এই পর্যায়ে পল এর বাবা তার সেই বিষ দাত টি চিবিয়ে দেয় জার ফলে সবাই মারা যায়। কিন্তু ব্যারেন তার প্রটেক্টর শিল্ড টি অন রাখায় এবারের যাত্রায় সে বেচে যায়।আর এরি মধ্যে পল ও জেনে যায় যে তার বাবাকে মেরে ফেলা হয়েছে।এবং পল সে পুনরায় সেই স্বপ্নটি আবার দেখতে পায়,আর সেই মেয়েটিকেও।এবার তারা সেখান থেকে বের হয় এবং পতিমদ্ধে সে তাদের সেই যোদ্ধা বন্ধুটির দেখা পেয়ে যায় রাস্তায়।এরপর সে তাকে ফোরম্যান দের একজন সদস্যের ডেরায় নিয়ে যায়।এবং সেই ফোরম্যান কে পল সব কিছু খুলে বলে, যে তার পিতা যুদ্ধ করতে আসে নি বরং শান্তি কায়েম করার জন্য এসেছিল।আর এখন আমি আমার বাবার সেই স্বপ্ন পূরণ করার জন্য ফোরম্যান দের সাথে মিলে একটি বাহিনী গড়ে তুলবো এবং শান্তি ফিরিয়ে নিয়ে আসবো।আর কথা শেষ হতে না হতেই সেখানে ব্যারেন এর লোক চলে আসে এবং হামলা করে দেয়।কিন্তু সেই যোদ্ধা তার জীবনের বিনিময়ে হলেও সবাইকে পালাতে সাহায্য করে এবং শেষ রক্ত দিয়ে লড়াই করে যায়।আর এখানে পল এর সেই স্বপ্ন সত্যি হয় যায়।আর তারা যে মেয়েটির কাছে এসেছিলো সে তাদেরকে পালানোর উপায় বাটলে দেয়।আর সে নিজেই ব্যারেন এর সৈন্যের সাথে যুদ্ধ করতে চলে যায়।এবং মরুভূমিতে গিয়ে সে একটি টেকনোলজি এর মাধ্যমে সাউন্ড করতে থাকে যার ফলে সেখানে চলে আসে সেই "সেন্ট বম্ব" আর ব্যারেন এর সৈন্য সহ সবাইকে গিলে নেয় সে।আর এরপর সেই মেয়েটির দিকনির্দেশনা অনুযায়ী পল ও তার মা একটি ধুলি ঝড় এর মধ্য দিয়ে তাদের ফ্লায়িং অবজেক্ট টি নিয়ে যায় আর এটা দেখে ব্যারেন এর সৈনিক মনে করে তারা মারা গিয়েছে।আর এটা শুনে ব্যারেন অনেক খুশি হয়।এবং ব্যারেন তার সৈন দের নির্দেশ দেয় সব ফোরম্যান কে হত্যা করার জন্য।এবার দেখায় পল ও তার মা মরুভূমি পার হয়ে একটি গুহায় গিয়ে পৌঁছে আর সেখানে দেখা হয় পল এর শুনে দেখা সেই নীল চোখ ওয়ালা মেয়েটির সাথে।এবার সবাই বলে পল হলো আমাদের সবার দেবতা।কিন্তু সেখানে থাকা একজন বিশ্বাস করে না সে বলে সেই সত্যিই যদি তাই হয় তাহলে আমার সাথে যুদ্ধ করে তাকে জিততে হবে।এরপর তাদের যুদ্ধ শুরু হয় এবং পল তাকে বার ভার সুযোগ দেয় হার মেনে নেওয়ার জন্য।কিন্তু এই খেলার রুলস কেবল একটাই মৃত্যু।শেষ পর্যন্ত পল তাকে মেরে দেয়।এরপর সব শেষে তারা আবার হাঁটা শুরু করে কিন্তু পল যাওয়ার সময় দেখতে পায় সেই সেন্ট বম্ব টি এর উপর কোনো একজন ফোরম্যান দাড়িয়ে তাকে কন্ট্রোল করছে।এটা দেখে পল অবাক হয়ে যায়,আর সেই নীল চোখ ওয়ালা মেয়েটি বলে উঠে এটা তো কেবল শুরু,,,,,,
মুভি নিয়ে নিজের মতামত:
যদি এক কথায় বি তাহলে বলবো জাস্ট অসাধারণ।আমি অনেক সাইন্স ফিকেশন মুভিয় দেখছি,কিন্তু এত অসাধারণ ভিজুয়াল ইফেক্ট এর সাথে খুব কম সিনেমায় দেখেছে।আর সাথে ছিলো অসাধারণ বিজিএম আর দারুন সিনেমাটোগ্রাফি,আর দারুন স্ক্রিন প্লে।মুভিটি প্রথম ত্রিশ মিনিট দেখার পর আপনাকে বেশ বোর মনে হতে পারে।মনে হবে মুভিটি মনে হয় শেষ করতে পারবো না।কিন্তু যখন কাহিনী শুরু হবে,কখন যে সময় শেষ হবে আপনি নিজেও টের পাবেন না।এই মুভিটিকে এক কথায় মাস্টারপিস বলা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।যদি না দেখা থাকেন তাহলে অবশ্যই দেখেবেন।আপনাদের কিছু বোঝা লাগবে না এই মুভি।শুধু স্ক্রিন এর দিকে তাকিয়ে থাকবেন ব্যাস তাতেই হয়ে যাবে।
পার্সোনাল রেটিং:
পার্সোনাল রেটিং দিতে বললে ১০/১০🖤।
মুভির ট্রেইলার:
আজকের মত এখানেই শেষ করছি দেখা হবে পরবর্তী কোনো পোস্টে অন্য কোনো বিষয় নিয়ে।সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে এখানেই বিদায় নিচ্ছি।
আল্লাহ হাফেজ🌿

ব্যস্ততার জন্য অনেক দিন থেকেই মুভি দেখা হয়না। তবে আপনার মুভি রিভিউ পড়ে মুভিটি দেখার ইচ্ছে জাগলো। সময় পেলে দেখে নেবো। আপনি চমৎকার ভাবে মুভির রিভিউ আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
যতই ব্যস্ততা থাক,,ব্যাস্ততার মাঝেও সময় বের করে আমি মুভি দেখার চেষ্টা করি।কারণ গান আর মুভি দেখা আমার এক প্রকার নেশা।
আপনার রিভিউটি পড়ার চেষ্টা করলাম। অনেকটাই পড়েছি কিন্তু শেষে সিদ্ধান্ত নিলাম আগে মুভিটা দেখা উচিত। পড়ে ফেললে আর মজা পাবোনা। তাই আপাতত স্থগিত রাখলাম। ধন্যবাদ কষ্ট করে এত বড় এবং গুছিয়ে একটি রিভিউ লেখার জন্য।
ভাই এটি রিভিউ না,এটা এক্সপ্লেইন।আর এক্সপ্লেইন টি পড়ে গিয়েও যদি আপনি মুভি দেখেন তারপরেও মুভির মজা একটুও নষ্ট হবে না।এই মুভি যত দেখেন ততই ভালো লাগবে।
আমার একটি পছন্দের মুভির রিভিউ আপনি শেয়ার করেছেন। মুভিটি আমার অনেক ভালো লাগে। এই মুভি সম্পর্কে যতটাই বলা যায় ততটাই কম হবে। প্রত্যেকটা একটা ক্যারেকটারে এক্টিং এতে পার্ফেক্ট যা বলার মতো নয়। আপনার জন্য অসংখ্য শুভ কামনা রইলো।
আমারও সেম অবস্থা ভাই যত দেখি ততই দেখার ইচ্ছে করে মুভির bgm আর ভিজুয়াল ইফেক্ট এর জন্য।আর ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।😍
যদিও এই মুভিটি আমার এখনো দেখা হয় নাই। তবে আপনার সুন্দর রিভিউ দেখে মনে হচ্ছে ছবিটি দেখতে হবে ভাই। আপনি খুব সুন্দর করে পুরো মুভির সব কিছু বর্ণনা আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। যা দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। সবচেয়ে ভালো লাগলো আপনি শেষে আপনার নিজের মতামত প্রকাশ করেছেন ছবি সম্পর্কে। আবার নিজেও রেটিংও দিয়েছেন। আপনার রেটিং দেখে বোঝা যাচ্ছে ছবিটি অসাধারণ ছিল। ধন্যবাদ ভাই এরকম সুন্দর একটি সায়েন্স ফিকশন মুভি রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
তবে সময় পেলে অবশ্যই দেখবেন,এই মুভি মাস্টারপিস একটা।আর একবার দেখা শুরু করলে কখন জে শেষ হয়ে যাবে বুঝতেই পারবেন।
ভাই এই ধরনের সাইন্স ফিকশন মুভি তেমন একটা দেখা হয়না।তবে দেখা উচিত বলে আমি মনে করি।আপনি খুব সুন্দর ভাবে ছবিটির রিভিউ আমাদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন।ধন্যবাদ ভাই।
হুম ভাই অনেক কিছুই জনার থাকে,সেই সাথে অনেক কিছুই উপভোগ করার থাকে এই মুভি গুলো থেকে সময় সুযোগ পেলে অবশ্যই দেখবেন।আর ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
অনেকদিন কোন মুভি দেখি না। খুব ভালো একটি মুভি নিয়ে হাজির হয়েছেন আমাদের মাঝে। আপনার বর্ণনা শুনে মনে হচ্ছে মুভিটি দেখা উচিত। সময় পেলে অবশ্যই দেখবো। ধন্যবাদ আপনাকে
যদি আপনি মুভি লাভার হন তাহলে মাস্ট ওয়াচ আপনার জন্যে এটি।সেইরকম লেভেল এর একটি মুভি।
দেখবেন।
ও ভাই পড়লাম গোটা
ধরেনা মাথায়,
ক্ষমতা আর সম্পদের হিংস্রতা
এতটুকুই বুঝা যায়।।
ঠিকই আছে ভাই,,ঐটা ওই সময় এই ,,বর্তমান সময় থেকে কয়েক হাজার বছর আগের সময়কে কেন্দ্র এই মুভির প্লট নির্মিতি।
আজকে আপনি আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর একটি মুভি রিভিউ শেয়ার করেছেন ভাইয়া। যদিও এই মুভিটি আমি এর আগে দেখেছিলাম না কিন্তু আপনার রিভিউ পোস্ট টি পড়ার মাধ্যমে মুভিটি দেখার ইচ্ছা জেগে গেছে।