আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা রেখে শুরু করছি আমার আজকের এই ব্লগ।আশা করি আমি আমার দক্ষতার মাধ্যমে আপনাদের সকলের নিকট ভালো কিছু উপস্থাপন করতে সক্ষম হবো,এবং আপনাদের ও ভালো লাগবে।
আমের মৌসুম চলতেছে অথচ এখন পর্যন্ত কাচা আমের মাখা খাওয়া হয় নি।আর বাড়িতে গিয়েও এই ব্যাপারটি মনে ছিল না।কিন্তু মেসে আসার পর হটাৎ করে ব্যাপারটি মনে পড়লো।সাগর ইব্রাহিম ওরাও বললো মামা একটা আমের মাখা খাওয়ার আয়োজন করা যাক।আসলে আয়োজন কেনো বললাম এখানে তো আর গ্রামের মত আম পাওয়া যায় না তাই আম ম্যানেজ করা টাও একটু মুস্কিল।কিন্তু খাওয়ার যখন ইচ্ছে হয়েছে এসবে কি আর আটকায়।তাই সন্ধার দিকে আম চুরির মিশনে নামলাম।এবং বড়ো বড় দেখে বেশ কয়েকটি আম চুরি করে নিয়ে আসলাম।ভাগ্যিস কেউ টের পায় নি😜।তারপর ঝাল লবণ আর চিনি দিয়ে মাখা বানিয়ে সবাই মিলে বেশ খেটম দিলাম।ভালই ছিল অবশ্য,প্রথম আমগুলো টক মনে করে ভাবলাম কম করে করি।কিন্তু মাখার পর মনে হচ্ছে একটু কম হয়ে গিয়েছে।আর চাইলে আপনারাও এভাবে আমের মাখা বানিয়ে দেখতে পারেন।
- আম
- লবণ
- চিনি
- শুকনো মরিচ
- সরিষার তেল


প্রথমে আমগুলো ধুয়ে একটা পরিষ্কার পাত্রে নেই।অবশ্য পাত্রে কিছু পানিও ছিল। |


তারপর আমের খোসা ছিলানোর পালা।এবং খোসা ছিলানোর পরেও আবার আরেকবার ধুয়ে নেই। |

এরপর শুকনা মরিচ হালকা একটু তেল ভেজে নেই। তা নাহলে মরিচের ফ্লেভারটা পাওয়া যাবে না এই জন্যে।এবং বাটনাতে হালকা লবণ দিয়ে মরিচ গুলো ভালো করে পিষে নেই সাথে একটু সরিষার তেল ও দেই। |


এরপর আম গুলো এভাবে কুচি কুচি করে কেটে নেই।একটু ছোট করে কেটে নিয়েছিলাম যেনো আমার সাথে বাকি মসল্লা গুলোর একটা ভালো সংমিশ্রন হয়। |



এবার মরিচ বাটা গুলো দিয়ে সুন্দর করে আমগুলো মেখে নেই। |



এরপর হালকা লবণ সাথে চিনি পরিমাণ মত দিয়ে আমগুলো মেখে নেই।আর কালার টা এমন এসেছিল যে জিভ দিয়ে টপ টপ করে পানি পড়ছিল। |


এক কথায় যদি বলি সেইরকম হয়েছিল😋।আমরা তো ভেবেছিলাম আম গুলো যে টক বেশি ভালো লাগবে না মনে হয় খেতে।কিন্তু মাখার পর যখন খাওয়া শুরু করলাম তখন মনে হচ্ছে আর দুইটা আম কাটলে খারাপ হতো না😜। |
যাইহোক এই ছিল আমার আজকের উপস্থাপনা।আশা করি এই পোস্টটি দেখে ইতিমধ্যে আপনাদের লোভ লেগে গেছে হিহি😁। তো দেরি না করে আশেপাশের কোনো গাছ থেকে ঝটপট আম ছিঁড়ে বানিয়ে ফেলুন এমন মজাদার আম মাখা😍
রেসিপি: কাঁচা আমের মুখরোচক মাখা কাঁচা আমের মুখরোচক মাকহাটি খুব সুন্দর হয়েছে। আমারও খুব খেতে ইচ্ছে করে। এখন আর সেরকম সময় হয়না। ছোটবেলায় খুব খাইতাম। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলে ছোটবেলার এই অভ্যাসগুলো এখনো কাটিয়ে উঠতে পারি নাই তো
এই জন্যে এখনো চুরি করে আম মাখা খাই😁।আর আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ওহ ভাই সেই সব দিনের কথা মনে পড়ে গেলো, যখন সব বন্ধুরা মিলে অন্যের গাছে আম চুরি করে এভাবে খেতাম। সেই দিন আজ অনেক মিস করলাম আপনার ব্লগ দেখে। সত্যি সুন্দর ছিল আপনার এই ব্লগটি।
আমি ভাই ওসব মিস টিস করি না।ইচ্ছে হলেই ধুম ধাম মিশন শুরু😆।
যাইহোক অনেক ভালই লাগলো আপনার মন্তব্যটি।আমার ব্লগ পড়ে হলেও আপনি আপনার অতীত কে মনে করতে পেরেছেন।ভালো থাকবেন সবসময়।
হাহাহা! ভাই মেসে গিয়েই শুরু করে দিলে আমের ভর্তা খাওয়া 😊। এখন পর্যন্ত আমিও আমের মাখা ভর্তা খাইনি। আমার তো লোভ লেগে গেল ভাই। সবাই মিলে মজা করে খেয়েছেন দেখেই বুঝা যাচ্ছে।
হুম ভাই,ঝাল এ তো আমার অবস্থা প্রায় শেষ।কিন্তু মজাদার মাখা রেখেও উঠতে পারি না।আর সাগর তো দুই হাতে খাওয়া শুরু করে দিয়েছিলো😆
হাহাহা 😂😂। এতো ঝাল খাইলেন কিভাবে? 😂
বেশ বড় সাইজের আমই তো চুরি করেছেন ভাইয়া। ভাগ্যিস ধরা পড়েন নি। তাহলে আপনাকেই আম মাখানোর মত মাখিয়ে ফেলতো। যাইহোক আপনার আম মাখানো দেখে মুখে পানি চলে এসেছে। এভাবে শুকনা মরিচ দিয়ে আম মাখালে খেতে খুবই ভালো লাগে । আমিও বেশ কয়েকবার শুকনা মরিচ দিয়ে মাখিয়ে খেয়েছি। আবারো খেতে ইচ্ছা করছে আপনার আম মাখানো দেখে।
কথা কিন্তু খারাপ বলেন নি আপু😆।
এমনেই শহরে মানুষের এর গাছ নেই,তারউপর আমরা চুরি করেছি😁।
আসলে টক জিনিস দেখলে সবারই একটু মুখে পানি চলে আসে।আর আমি তো মাখার আগে থেকেই খাওয়া শুরু করে দিয়েছিলাম।যাইহোক একদিন এভাবে ট্রাই করে দেখেন দারুন লাগবে।
কাঁচা আম আমি অনেক বেশি পছন্দ করি, তাই তো গত দুইদিন আগে বাজারে গিয়েছিলাম এবং কাঁচা আম নিয়ে এসেছিলাম। আর আমার স্ত্রী এই কাঁচা আম দিয়ে আমের ভর্তা তৈরি করেছিল, খেতে অনেক ভালো লেগেছিল। আমি আজকেও খেয়েছি। আপনিও চমৎকারভাবে আজকে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন কাঁচা আমের মুখরোচক মাখা তৈরি।
আমাদের অবশ্য বাজতে গিয়ে কিনতে হয় নাই😜।
যেখানে গাছ দেখেছি ঝোপ বুঝে কোপ মেরে দিয়েছি হিহি।
আর আপনার আমের ভর্তা দেখছি বেশ প্রিও।আসলে মৌসুমী জিনিস এর স্বাদটাই আলাদা।
হ মিয়া। একলা একলাই খান। একটু বললেন ও না আমাদের। তাইলে তো চলে যেতাম। উফ কি এক মাখানো দেখালেন। যদিও আমি ঝাল কম খাই। তবে আম মাখানো দেখলে হুস থাকেনা আমার।
আপনিও যে আমের আচার পছন্দ করেন জানলে তো পার্সেল কইরা পাঠায় দিতাম😁।আমারও আপনার অবস্থা হয়েছিল কাল,ঝাকের জন্য খেতে পারি না,আবার শেষ না করেও উঠতে পারি না😆
ভাইয়া সত্যি বলতে চুরি করা জিনিসের অন্য রকম একটি স্বাদ হয়ে থাকে, তাই টল জিনিস গুলোও মিষ্টিতে পরদিন হয়েছে, যাইহোক সবাই মিলে অনেক মজা করে আম মাখা খেয়েছেন, এটা যে কেউ বুঝতে পারবে এবং আম মাখার ধাপ গুলো অনেক সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন, শুভকামনা রইলো আপনার জন্য ভাইয়া।
কি বলেন আমের স্বাদ তো একই ছিল ঠিক আমার মত হিহি😜।
আর টক জিনিস কিন্তু টকই ছিল ভাইয়া,মিষ্টি আর হয় নি।কিন্তু ঝাল হয়েছিল খুব😁
আপনি বাড়িতে গিয়ে আম মাখা খেতেই ভুলে গিয়েছেন। তবে আমি বাড়িতে গিয়ে আমা মাখা খেয়েছি। কিন্তু আসার সময় আনতে ভুলে গিয়েছি। আমার গাছে প্রচুর পরিমাণে ধরেছে। তবে আজকে আপনি আপনার আম মাখার সাথে আম চুরি জড়িত খুব সুন্দর একটি গল্প উপহার দিয়েছেন। আমি আজকে একটু আগেও আম মাখা খেয়েছি। আমার আম মাখা খুব ভালো লাগে। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
আসলে ভাই বাড়িতে এটা সেটা করতে করতে এই ছোট বিষয়গুলো মাথাতেই থাকে না।তবে যাইহোক এই মৌসুমে শুরু টা হয়েই গেলো।আজকে কিন্তু আবার খেয়েছি😜
কি বলেন খেতে ইচ্ছে করলো তাই বলে কি চুরি করে খাবেন। কিনে খাওয়ার চেষ্টা করতে পারতেন। ভাগ্যিস চুরি করে ধরা পড়েনি। তাহলে যে কি অবস্থা হতো। কিন্তু আম্মা খাতা বেশ সুন্দর ভাবেই করেছেন। এরকম কাঁচা আম মাখা খেতে বেশ ভালো লাগে। অনেক দারুন একটা পোস্ট করেছেন।
চুরি করে খাওয়ার মজা কি বুঝবেন আপনি।চুরি করতেও দক্ষতা লাগে হুহ 😎।
সবাই কি আমাদের মত আম চুরি করতে পারে নাকি।আমরা হইলাম লিজেন্ড।আর আমাদের বাড়িতে আমার বাগান আছে।আমি নিজেই পোলাপাইন নিয়ে গিয়ে নিজের বাগানের আম চুরি করি😁।
আপনার পোষ্ট পড়ে মুখে জল এসে গেল ভাই। আমরাও এক সময় এমন করে আম খেতাম। খুব মিস করে সেই দিন গুলো। ধন্যবাদ ভাইয়া।
তাহলে আর দেরি কিসের ভাই।ঝটপট বানিয়ে ফেলুন এমন মুখরোচক খাবার।আর চিন্তার কারণ নেই আশেপাশে আমার গাছ তো আছেই।খালি চিনি লবণ আর মরিচ কিনতে হবে😁