ইতিবাচক মনোভাব আমাদের জীবনে কিভাবে সাহায্য করে।
আজ - ২৪ই ফাল্গুন, ১৪২৮ , বঙ্গাব্দ | বুধবার | বসন্তকাল |
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।

ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
প্রথমেই জেনে নিই আমাদের জীবনে ইতিবাচক মনোভাবের গুরুত্ব কতটুকু এবং কেন ইতিবাচক মনোভাব আমাদের জীবনের সাফল্য আনে-
আমরা যদি কোন কাজে সফল হতে চায় তাহলে আমাদের সেই কাজের প্রতি বিশ্বাস রাখতে হবে। যদি সে কাজটি করা খুব কঠিন হয় এবং সে পরিস্থিতি না থাকা সত্ত্বেও যদি আমরা বিশ্বাস রাখি তাহলে সে কাজে সফলতা পাওয়া সম্ভব। কেননা বিশ্বাস থেকে আসে চেষ্টা আর চেষ্টা থেকে আসে অর্জন। আমরা যদি বিশ্বাস রাখি কাজটি আমরা করতে পারব তবে বারবার ব্যর্থ হওয়ার পরও আমরা হাল ছাড়বো না। ফলে ভুল এবং ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে করতে আমরা একসময় সফল হব। শুধু মনের মধ্যে সফলতার বিশ্বাস রাখতে হবে। আর এই বিশ্বাস রাখাটাই হচ্ছে পজিটিভ মাইন্ড কিংবা ইতিবাচক মনোভাব।
আর অন্যদিকে আমরা যদি ব্যর্থ হওয়ার পর কাজটির প্রতি হাল ছেড়ে দেয় এবং নেতিবাচক চিন্তা ভাবনা করতে থাকি।তাহলে আমারা বিশ্বাস হারিয়ে ফেলবো এর ফলে কাজের চেষ্টা কমে যাবে। আর এভাবেই আমরা কাজটিতে সফল হওয়ার বাদলে ব্যাপকভাবে ব্যর্থ হব।
তাই বলছি যে কোন কাজের ক্ষেত্রে ইতিবাচক মনোভাব প্রয়োজন।

ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
ইতিবাচক মনোভাবের মানুষরা সব সময় ব্যর্থতাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখে। তারা এ ব্যর্থতাকে সাময়িক ব্যর্থতাকে বলে মনে করে। সাধারণ মানুষরা যখন এ ব্যর্থতাকে শেষ হিসেবে মনে করে তখন ইতিবাচক মনোভাবের মানুষরা এই ব্যর্থতাকে শিক্ষা হিসেবে কাজে লাগায়। এবং তারা এ ব্যর্থতার কারণ খুঁজতে থাকে। আমরা জানি প্রতিটা ব্যর্থতার পেছনে রয়েছে নির্দিষ্ট একটি কারণ। যখন আমরা এই ব্যর্থতার সঠিক কারণটি খুঁজে বের করতে পারবো তখন আমরা খুব সহজে যে ব্যর্থতাকে এড়িয়ে সাফল্য পৌঁছে যেতে পারবো।
আর ইতিবাচক মনোভাবের মানুষরা একেকটা ব্যর্থতাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেয়। এবং নিজেকে দক্ষ এবং আরো শক্তিশালী করার সুযোগ হিসেবে দেখে। ইতিবাচক মনোভাবের মানুষরা কঠিন এবং ব্যর্থতার সময় হাল ছেড়ে দেওয়ার বদলে নিজের চেষ্টা আরো বাড়িয়ে দেয়। আর এভাবেই ইতিবাচক মনোভাবের মানুষরা যেকোনো পরিস্থিতিতেই সফলতা অর্জন করতে পারে।

ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
আমেরিকান স্ব-সহায়ক লেখক নেপোলিয়ন হিল( Napoleon Hill) তার একটি বিখ্যাত বই আছে যেটি সর্বকালের সেরা বিক্রয় করা ১০ টি বইয়ের মধ্যে ১ টি। তার এই বিখ্যাত বইটির নাম হচ্ছে Success Thought a Mental Attitude। তিনি তার এই বইতে চিন্তা এবং সমৃদ্ধির বিষয়ে খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন, পজিটিভ চিন্তার কয়েকটি সুন্দর উদাহরণ দিয়েছেন এবং উপায় বর্ণনা করেছেন।
তো চলুন সেই বইয়ের আলোকে একটি উপায় আপনাদের সাথে শেয়ার করি-
- কাজের লক্ষ গুলোকে লিখে রাখা এবং সেগুলোর সময়সীমা ঠিক করা। বড় লক্ষ্যগুলোকে ছোট ছোট লক্ষ্য ভাগ করা।
লক্ষ্যগুলোকে লিখে রাখার ফলে কাজের একটি স্পষ্ট ধারণা জন্ম নেবে। এবং কাজের প্রতি ভালোভাবে পরিকল্পনা করা যাবে। এর ফলে কাজটি করা সহজ হবে। এবং সময় সীমা ঠিক করে নিতে হবে যাতে সঠিক সময়ে সঠিক কাজটি শেষ করা যায়। যদি বড় লক্ষ্যগুলোকে ছোট ছোট ভাগ করা হয় তাহলে যেকোনো ছোট লক্ষ্য পূরণের মাধ্যমে বড় লক্ষ্য পৌঁছানো সম্ভব। আর এই ছোট লক্ষ্যগুলো পূরণের মাধ্যমে আমারা পজিটিভ থাকতে পারবো।
যেমন ধরুন, আমার লক্ষ্য আমার একাউন্টে আমি ৩৩ হাজার এসপি করার, আর সেটা আমি এই বছরের মধ্যেই সম্পন্ন করতে চাই৷ আর এই ৩৩ হাজার এসপি করাটা আমার জন্য অনেক বড় একটি বিষয়। আর এত বড় একটি লক্ষ্য নির্ধারণের ফলে যদি হতাশ হয়ে যায় তাহলে সে লক্ষ্য কখনোই পূরণ হবে না। তাই এত বড় লক্ষ্যটিকে যদি আমি ছোট ছোট লক্ষ্য ভাগ করি। প্রত্যেক মাসে কিংবা প্রত্যেক সপ্তাহে একটি লক্ষ্য রেখে যদি আমি এসপি বৃদ্ধি করি তাহলে কোন এক সময় আমি এতবড় একটি লক্ষ্য ঠিকই পূরণ করতে পারব। আর ছোট ছোট লক্ষ্যগুলো পূরণের মাধ্যমে কিন্তু আমার বড় লক্ষ্যগুলো পূরণের নেতিবাচক মনোভাব তৈরি হবে।
তাই অবশ্য বড় লক্ষ্য গুলোকে ছোট ছোট লক্ষ্য ভাগ করা উচিত।
অবশ্য আমি বইটি পড়িনি তবে, এই বইয়ের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আমি ইউকিপিডিয়া থেকে সংগ্রহ করেছি।

ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
সর্বশেষ একটাই কথা বলতে চাই পজিটিভ চিন্তার পাশাপাশি আমাদের যথাযথ পরিশ্রম এবং কাজের পূর্ব পরিকল্পনা করতে হবে। তা না হলে শুধুমাত্র পজিটিভ চিন্তা মানুষকে পুরোপুরি সাফল্যে পৌঁছে দিতে পারবে না। ধরুন আমি একটি কাজ শুরু করতে চাই তাই সে কাজ নিয়ে দিনরাত ভাবতে থাকেন কিন্তু সেই কাজটি শুরু করছেন না কাজে কোন পরিকল্পনা করছেন না এবং কাজটি পিছনের কোনো পরিশ্রম ও করছি না। আর এভাবেই কি কোন কাজে কখনো কোনো সফলতা অর্জন সম্ভব। আর এই সফল না হওয়ার ফলে কাজটির প্রতি আমাদের বিশ্বাস হারিয়ে যাবে । আর এভাবে আমরা যেকোনো কাজের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব থেকে নেতিবাচক মনোভাবে দিকে অগ্রসর হবো। তাই বলছি ইতিবাচক মনোভাবের পাশাপাশি আমাদের কঠোর পরিশ্রম এবং পূর্বপরিকল্পনা আবশ্যক। তবে এটা বলা যায় যে কোন কাজের সূচনা ঘটে পজেটিভ চিন্তার মাধ্যমে।
আজ এ পর্যন্তই । এখানে শেষ করছি আমার আজকের আলোচনা। সকলে ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।


250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

ভাইয়া আপনার অসাধারণ লিখনী আমাকে মুগ্ধ করেছে। আসলে আপনার এই লেখাগুলোর মাঝে আমি এত সুন্দর কিছু কথা খুঁজে পেয়েছি যেগুলো আমাকে ভালো কাজ করার উৎসাহ দিয়েছে। অনেক সময় আমাদের চলার পথে বাধা বিপত্তিতে আমরা নিজের লক্ষ্য ভুলে যাই। আসলে লক্ষ্য ভুলে আমরা সবসময় সফলতাকে দোষারোপ করি। তখন আমরা মনে করি সফলতা আসলে আমাদের জন্য নয়। কিন্তু এটা আমাদের ভুল ধারণা। নেগেটিভ চিন্তাধারা আমাদের মস্তিষ্কে গেঁথে গেলে আমরা সেটা থেকে বেরোতে চাই না। কারণ আমাদের মানসিকতা নেগেটিভিটির দিকে বেশি ঝুঁকে।যারা আপনার লেখাগুলো পড়বে আশা করছি তারা নিজের মানসিকতাকে পরিবর্তন করতে পারবে। যেমনটি আমার ক্ষেত্রেও হয়েছে। আপনার প্রতিটি কথার মাঝে আমি নিজের অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছি। আসলে মানসিকতাকে পরিবর্তন করে আমরা যদি নিজের নির্দিষ্ট লক্ষ্য পূরণের দিকে এগিয়ে যাই তবে সফল হতে পারব। একবার ব্যর্থ হলে আমরা ভেঙে পরি। আসলে ব্যর্থতাই সফলতার চাবিকাঠি। ব্যর্থ হয়েছি বলেই সফলতার মূল্য বুঝতে পারছি। আর আমরা যত বেশি সফলতার দিকে এগিয়ে যাব ব্যর্থতা ততবেশি আমাদের দিকে এগিয়ে আসবে। তাই সবকিছুকে অতিক্রম করে নিজের গতিতে এগোতে হবে। সেজন্য অবশ্যই থাকতে হবে পজেটিভ মানসিকতা এবং নিজের পরিশ্রম। অসাধারণ একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া।
অনেক বড় এবং সুন্দরভাবে আপনি আপনার মতামত প্রকাশ করেছেন পড়ে খুব ভালো লেগেছে। আপনি খুব সুন্দর একটি কথা বলেছে, ব্যর্থতাই সফলতার চাবিকাঠি। কথাটা একদমই ঠিক।
আসলে ভালো চিন্তাধারার মানুষ ভালো কিছু জন্ম দেয়। এটা ঠিক। ভালোর সাথে মিশলে মানুষ যেমন ভালো হয় তেমনি খারাপের সাথে বা নেতিবাচক কিছু করলে মানুষ খারাপের দিকে চলে যায় এবং তার সাথে খারাপই ঘটে।আসলেই আমরা যদি আগেই বলি পারবো না তাহলে কিন্তু আমরা প্রথমেই হেরে যাই। আমাদের আগে বিশ্বাস করতে হবে। কাজের ভালো মনোবল আনতে হবে। তবেই আমরা সেই কাজে সফল হতে পারবো।আসলে পরিকল্পনা ছাড়া কোন কাজে সফল হয়না। আমাদের ভালো চিন্তা ধারা নিয়ে পরিকল্পনা করতে হবে। আপনি ঠিক বলেছেন ভাইয়া। বেশ ভালো লাগলো আজকের কথাগুলি।
কথাটি খুব সুন্দর বলেছেন ভাই, ভালোর সাথে থাকলে মানুষ ভালো হয় আর খারাপের সাথে থাকলে খারাপ। ঠিক তেমনি ভালো কিছু চিন্তা ধারা মানুষের মনে ভালো কিছু জন্ম দেয়।
ভাইয়া আপনার পোস্ট পড়ে আমার খুবই ভালো লাগলো। আপনি খুবই শিক্ষণীয় বিষয় আপনার লেখার মাঝে তুলে ধরেছেন। আসলে বিশ্বাস থেকেই চেষ্টা আসে। আর চেষ্টা থেকেই অর্জন করা সম্ভব হয়। আমাদের ভেতরে যদি চেষ্টা না থাকে তাহলে আমরা কখনই সফল হতে পারবো না। বারবার ব্যর্থ হওয়ার পর যখন আমরা হাল ছেড়ে না দিয়ে আমাদের সেই বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে আবারও চেষ্টা করবো তাহলেই সফল হতে পারবো। সফলতা আসলে খুব সহজে আসে না। সফলতা অর্জন করে নিতে হয়। সফলতার মূল ভিত্তি হলো বিশ্বাস। কোন কাজে সফল হতে গেলে সেই বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করেই এগোতে হবে। বিশ্বাস ও পরিশ্রম সবকিছু মিলে সফলতাকে আমাদের কাছে এনে দেবে। অনেক সুন্দর কিছু কথা তুলে ধরেছেন এ জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনাকে। সেই সাথে আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো ভাইয়া। ❤️❤️❤️
ভালো চিন্তা এনং মনে দৃঢ় বিশ্বাস রাখলে আমি মনে করি যে কোন কাজে এগিয়ে যাওয়া যায় ।
ভালো চিন্তা মানুষের মস্তিষ্ককে সুন্দরভাবে লক্ষ্যে পৌঁছে যেতে সাহায্য করে।তবে যেকোনো কাজের সফলতার পিছনে আত্মবিশ্বাস থাকাটা খুবই জরুরি।আর ব্যর্থতা সবসময় আমাদের কিছু নতুন পথের সন্ধান দেয় কিন্তু তা সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে।অনেক সুন্দর ব্যাখ্যা করেছেন, ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভাই পজিটিভ থিংকিং সম্পর্কে খুব সুন্দর একটি আর্টিকেল লিখেছেন আপনি। আসলেই সুচিন্তা মানুষকে সফলতার দ্বারে পৌছে দিতে পারে। তবে তার জন্য দরকার কঠোর পরিশ্রম আর একাগ্রতা। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে বিষয়টি সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য
আর্টিকেলটি সময় নিয়ে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Hi @moh.arif,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Please consider to approve our witness 👇
Come and visit Italy Community
একজন সফল ব্যক্তির পেছনে রয়েছে তার কঠোর পরিশ্রম আর নিখুঁত চিন্তা ধারা। কারণ একটা সঠিক চিন্তা সঠিক সিদ্ধান্ত পারে একজন সফল ব্যক্তিকে গড়ে তুলতে। আর এর বিপরীত চিন্তা ধারা শুধু সময় ব্যয় করতে পারে ,এর বেশি আর কিছুই না। কঠিন কিছু কথা লিখেছেন ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে।
নেগেটিভ চিন্তাধারা যেকোনো কাজের প্রতি উৎসাহ কমিয়ে দেয়। কিন্তু আশ্চর্য হলেও সত্যি আমরা যেকোনো কাজের শুরুতে নেগেটিভ চিন্তা করে বসে থাকে।
নেতিবাচক চিন্তা আমাদেরকে সবসময় ব্যর্থতার দিকে নিয়ে যায় ভাই। এ জন্যই আমাদেরকে সব সময় ইতিবাচক চিন্তা করতে হবে। আমরা যদি সব সময় সব ক্ষেত্রে ইতিবাচক চিন্তা করতে পারি তাহলে কিন্তু আমরা আমাদের সফলতার দিকে এগিয়ে যেতে পারি। আপনার পুরো লেখাটাই অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আসলেই আমাদের জীবনে ইতিবাচক চিন্তা প্রভাব ফেলে অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে আমরা এই ব্যাপার গুলো নিজেদের ক্ষেত্রে ভাবলেও প্রমাণ পাবো।যখন ই আমরা খুব ভালো কোনো ভাবনা নিয়ে থাকি তখন আমাদের সাথস ভালোই হয়।আর ভালো না হলেও এমন একটা মনোবল কাজ করে যে এইবার হয়নি, পরের বার হবে।
ইতিবাচক মনোভাব শুধুমাত্র যে কাজের প্রতি উৎসাহ দেয় এমনটি নয় একটি মনের মধ্যে প্রশান্তির ও জন্ম দেয়। এবং আত্মবিশ্বাসী করে তোলে।
হুম ভাই,আত্মবিশ্বাস আর মনের প্রশান্তি খুব বড় একটি বিষয়।