বাণিজ্য মেলা (পর্ব-০২) || by @kazi-raihan
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ -২৪শে জ্যৈষ্ঠ | ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | শুক্রবার | গ্রীষ্ম-কাল |
আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।
এর আগে বাণিজ্য মেলা ভ্রমণের প্রথম পর্ব শেয়ার করেছিলাম আজকে আপনাদের মাঝে দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে হাজির হলাম। বাণিজ্য মেলায় প্রবেশ করার পরে ভেতরের কিছু অংশ নিয়ে প্রথম পর্বে তুলে ধরেছিলাম আর তারপর থেকে বাকিটা দ্বিতীয় পর্বে এখন আপনাদের সাথে শেয়ার করব। মেলায় সাধারণত বিভিন্ন ধরনের দোকানপাট বসে যেগুলো সাধারণ লোকজন দেখতে যায় সেই সাথে যার যেমন প্রয়োজন হয় সেই প্রয়োজনীয় অনুযায়ী মেলায় দোকানগুলো থেকে জিনিসগুলো ক্রয় করে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বাণিজ্য মেলায় নতুন সংসার সাজানোর জন্য বিভিন্ন সরঞ্জাম পাওয়া যায় যেগুলো কেনার জন্য বেশিরভাগ মানুষ সেখানে যায়। কিন্তু আমরা সবাই সিঙ্গেল তাই সাংসারিক কোন সরঞ্জাম কেনার প্রয়োজন নেই শুধু মজা নেওয়ার জন্য আর বাণিজ্যমেলা দেখার জন্য গিয়েছিলাম।
সেখানে বিভিন্ন রকমের দোকান বসেছে তাই সময় পার করার জন্য বিভিন্ন দোকানে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের জিনিসগুলো দেখতে থাকলাম। আমাদের মধ্য থেকে রাহুল একটি দোকানে গিয়ে চুড়ি দেখছিল। বিভিন্ন রকমের চুড়িগুলো দূর থেকে দেখতেই ভালো লাগছিল নীল চুড়ি লাল চুড়ি সহ সবগুলো কালার দূর থেকেই আকর্ষিত করেছিল। রাহুল যখন চুড়িগুলো নেড়ে দেখছিল তখন আমরা সবাই মজা নিছিলাম এখন আর চুড়ি নিয়ে কি করবে?? চুড়ি নিয়ে কাকে দিবে?? ঘরে তো বউ নেই আবার গার্লফ্রেন্ড থাকবে সেটাও তো নেই এখন চুড়ি হাতে নিয়ে সময় নষ্ট না করে চলো আমরা সামনের দিকে যাই। আমাদের এই কথা শুনে @mrahul40 চুড়িগুলো রেখে দিল। চুড়ির দোকান থেকে ঘুরে এসে একটি চশমার দোকানে আমরা আবার বেশ কিছু সময় অপেক্ষা করলাম সবাই যার যার মত চশমা দেখছিলাম তবে বুঝতে পারলাম বাণিজ্য মেলায় তুলনামূলক সব জিনিসের দাম একটু বেশি তাই চশমা গুলো রেখে দিলাম। সেখান থেকে বেরিয়ে এসে আমরা একটি ঝাল মুড়ির দোকানে সামনে বসলাম আর সবাই মিলে ঝাল মুড়ি খাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। আমি আবার মামাকে বলে দিলাম ঝালমুড়িতে বেশি করে যেন ঝাল দেয়, আসলে ঝালমুড়িতে ঝাল বেশি না হলে তো আর ঝাল মুড়ির ফিল পাওয়া যায় না। মজার বিষয় মামা এমন ঝাল দিয়েছে সবাই একদম ঘেমে গিয়েছে। যদিও সেই সময় হালকা শীতের প্রভাব ছিল।
ঝাল মুড়ি খাওয়া শেষ করে যখন প্রচন্ড ঝাল লেগে গেল তখন আবার হালকা মিষ্টি জাতীয় কিছু খেয়ে একটু স্বস্তি বোধ করছিলাম। নিজেরাই বলছিলাম আজকে ঝালমুড়িতে এমন ঝাল দিয়েছে তাতে ঝাল মুড়ি খাওয়ার শখ মিটে গিয়েছে। হালকা পাতলা খাওয়া-দাওয়া পর্ব শেষ করে আমরা আবার এগোতে থাকলাম। দেখলাম একটি নৌকার চারিপাশ লাইটিং দিয়ে সাজানো হয়েছে আর একটি যন্ত্রের সাহায্যে সেই নৌকাটা দোল খাওয়ানো হচ্ছে। বিভিন্ন রকমের সব দোলনা জাতীয় বাহন ছোট ছেলেমেয়েদের আকর্ষিত করছে যাইহোক আমরা আর সেদিকে খুব বেশি না গিয়ে একটু মেনগেটের সামনের অংশে এগিয়ে এলাম। এখানে বিভিন্ন রকমের লাইটিং আর পানির সাহায্যে মেলায় ঘুরতে আসা সব মানুষকে আকর্ষিত করছিল। একটানা পানি উপরের দিকে যাচ্ছে আর মাঝে মাঝে ভিন্ন রকমের আলো পানির সৌন্দর্যটা ভিন্নভাবে উপস্থাপন করছে। সেখানে ছবি তোলার সময় লক্ষ্য করলাম শুধু আমরা নয় এখানে যারা ঘুরতে এসেছে সবাই এই দৃশ্যটার ছবি তুলতে ব্যস্ত। এভাবেই মেলার কিছুটা অংশ সবাই ঘুরে ঘুরে দেখলাম এবং রাত ঘনিয়ে আসার কারণে মেলা থেকে বেরিয়ে পড়ার সিদ্ধান্ত নিলাম।
আসলে বন্ধুরা মিলে যদি কোথাও ঘুরতে যাওয়া যায় সেক্ষেত্রে আলাদা মজা হয় আমরা যখন সেখান থেকে বেরিয়ে আসবো সেই মুহূর্তে গেটের পাশে গিয়ে বন্ধু রিপন বলছিল এই টিকিট ফেরত দিয়ে বাইরে চলে যাব আবার ঘুরে এসে বলব আমার টিকিট আমাকে ফেরত দেন আমি আবার ভেতরে যাব হা হা হা। এই বিষয়টা নিয়ে আমরা চারজন অনেক সময় হাসি ঠাট্টা করছিলাম। এক পর্যায়ে ভিতরের সবকিছু দেখা শেষ হয়ে যাওয়ার পরে আমরা সবাই বাইরে চলে আসলাম। বাইরে এসে বানিজ্য মেলার যে মূল গেইট ছিল তার সামনে থেকে আমরা সবাই ছবি উঠছিলাম কারণ সেখানটা অনেক সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছিল। শুধু তাই নয় আমরা সবাই একে অপরের ছবি তুলে দিচ্ছিলাম যদি নিচে লক্ষ্য করেন তাহলে দেখতে পাবেন রাজুর ছবি তুলে দিচ্ছে বন্ধু রাহুল। মোটামুটি বাণিজ্য মেলার সবকিছু ঘুরে দেখা শেষ তাই বাসার দিকে রওনা হতে হবে। আমরা যেখানে বাইক পার্কিংয়ে রেখেছিলাম সেই দিকে এগোতে থাকলাম।
পার্কিং স্পট থেকে বাইক নিয়ে সোজা বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলাম। যেহেতু আমাদের বাসা থেকে কুষ্টিয়ার দূরত্ব ২৫ কিলোমিটার তাই বাইক নিয়ে আসতে প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট সময় লাগে। আমরা বাড়িতে এসে দেখলাম প্রায় এগারোটা বাজে। বাড়ি ফেরার পরে বানিজ্য মেলা ঘুরে দেখা নিয়ে আমাদের মেসেঞ্জার গ্রুপে আবার কথা শুরু হলো।
⬇️📥 | ⬇️📥 |
---|---|
ডিভাইস | Samsung galaxy A52 |
ফটোগ্রাফার | @kazi-raihan |
লোকেশন | |
সময় | জুন,২০২৪ |
এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।
সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan
আমার পরিচয়
আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও মাঝে মাঝে বাইক নিয়ে নতুন নতুন জায়গায় ঘুরতে খুবই ভালোবাসি। অনুভূতির ডাকে সাড়া দিয়ে কবিতা লিখতে ভালবাসি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।


VOTE @bangla.witness as witness

OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

https://x.com/KaziRai39057271/status/1799119220564959455
বাণিজ্য মেলা থেকে ঘোরাঘুরি করে বেশ দারুণ দারুণ ফটো ধারণ করেছেন। আর সেই সমস্ত ফটোগুলো আজকে আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন দেখে অনেক অনেক ভালো লেগেছে। আপনার এই বর্ণনা পড়ার মধ্য দিয়ে অনেক কিছু জানার সুযোগ হল।
সুন্দর মতামত প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার বাণিজ্য মেলার দ্বিতীয় পর্বটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আপনারা সিঙ্গেল তাই মজা করতে গিয়েছিলেন। দোয়া করি খুব তাড়াতাড়ি ডাবল হয়ে যাবেন। বাণিজ্য মেলার দোকানগুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো বিশেষ করে চশমার দোকান ও চুড়ির দোকান। তাছাড়াও আপনারা ঝাল মুড়ি মামার কাছ থেকে ঝাল করে মুড়ি খেয়েছেন। আমার কাছে লাইটিং করা নৌকাটি দেখে বেশি ভালো লাগলো। আশাকরি পরবর্তী পর্বে নতুন কিছু দেখতে পারবো। আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভালো থাকবেন।
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাইয়া বানিজ্য মেলা দ্বিতীয় পর্বে তো ফটোগ্রাফি দেখে অবাক হয়ে গেলাম। কি নেই সেই বানিজ্য মেলাতে। আবার পানির ফোয়ারাও করেছে। সব কিছু দেখে বুঝা যায় অনেক জমজমাট মেলা বসেছিল। আর রাহুল ভাইকেও দেখলাম। ফ্রেন্ডরা মিলে এসব মেলায় গেলে দারুন মজা হয়। ধন্যবাদ।
হ্যাঁ, রাহুলের প্ল্যান অনুযায়ী সেখানে যাওয়া ছিল।