ছোট গল্পঃ রানীর সংসার (পর্ব-০৭) || by @kazi-raihan
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ - ২৩শে ফাল্গুন | ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | শনিবার | বসন্তকাল |
আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।
গত সপ্তাহে এই গল্পের ষষ্ঠ পর্ব শেয়ার করেছিলাম। চলতি সপ্তাহে এই গল্পের সপ্তম পর্ব নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। রানীর বিয়ের পরে কিছুদিনের মাঝে তার বাবার বাড়ি এবং শশুর বাড়ির লোকদেরকে শুভ সংবাদটা জানিয়ে দেয়। তার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা অনেক খুশি হয়েছিল সেই সাথে তার বাবার বাড়ির সবাই অনেক খুশি তবে রানীর ছোট ভাবি কিছুটা অখুশি হয়েছিল। মূলত রানীর ছোট ভাবির সন্তান হয় না। দীর্ঘদিন বিয়ে হওয়ার পরেও এখনো কোনো সন্তান জন্ম দিতে পারিনি আর যার কারণে অনেকটাই দুঃখী হয়ে থাকে তবে রানীর বিয়ের খুব তাড়াতাড়ি এই খুশির সংবাদটা তার বাড়ির লোকজনকে জানিয়ে দেওয়ার পরে রানীর ছোট ভাবির হিংসুটে ভাব আরো বেড়ে গেল।
রানী তার বাবার বাড়িতে আসার পর থেকেই বিশেষ করে তার বড় ভাবি তাকে খুব যত্নে রাখে। বাড়ির একমাত্র মেয়ের কদর অন্যরকম প্রাণীর মা রানীর বাবা সেই সাথে রানী দুই ভাই সহ সবাই যেন রানীকে সবসময় রাজরানী করেই রাখে। সেই সময়ে যোগাযোগের জন্য একমাত্র ব্যবস্থা ছিল চিঠি লেখা। তাই রানীর খোঁজখবর নিতে প্রতিনিয়ত রানীর স্বামী তাকে চিঠি লিখতো। রানী ও প্রতিনিয়ত চিঠির উত্তর প্রদান করত। সময়ের সাথে সাথে আড়ানের কদর আরো বাড়তে থাকল প্রতিনিয়ত রানের শ্বশুরবাড়ি থেকে সবাই রানীকে দেখতে আসতো রানীর জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার নিয়ে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন প্রতিনিয়তই আসতো।
এভাবে বেশ কিছুদিন যায় হঠাৎ রানীর বাবার বাড়ি থেকে রানের শ্বশুরবাড়িতে সুসংবাদ পাঠায় রানী পুত্র সন্তানের মা হয়েছে। রানী অসুস্থতার কারণে আর তার স্বামীকে চিঠি লিখে জানাতে পারে না তবে রানীর শ্বশুরবাড়ির লোক তত সময়ে রানীর স্বামীকে এই সংবাদ জানিয়ে দিয়েছে। সংবাদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রানীর শ্বশুর বাড়ির লোকজন রানীর বাড়িতে চলে আসে সেইসাথে রানীর স্বামীও তাড়াতাড়ি তার পুত্র সন্তানকে দেখার জন্য ছুটে চলে আসে। ফুটফুটে একটি পুত্র সন্তান রানীর কোলের মধ্যে শুয়ে আছে আর আঙ্গুলগুলো মুখের উপর দিয়ে নাড়াচ্ছে এমন দৃশ্য দেখে সবাই তো আরো অবাক তবে সবার চেয়ে রানীর ছোট ভাবির অঙ্গভঙ্গি যেন ভিন্ন ফুলে উঠছিল। সৃষ্টিকর্তা কেন তাকে একটা সন্তান দিলেন না আর রানীকে কেন এত সৃষ্টিকর্তা ভালোবাসে এত ভালো জায়গায় বিয়ে হয়েছে এত সুন্দর একটা পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছে। রানীর ছোট ভাবি এই হিংসুটে মনোভাব কারো কাছেই প্রকাশ করতে পারছিল না শুধু নিজের কাছে গোপন রাখছিল কারণ তার পরিবারের সবাই অনেক খুশি কিন্তু সে একাই নিজের হিংসুটে ভাবে জ্বলছে।
সময়ের সাথে সাথে রানীর ছেলে বড় হতে থাকে আর রানীর সংসারে ধীরে ধীরে সুখ বাড়তেই থাকে। রানীর স্বামী রানীকে বলেছিল তার সন্তানকে ছাড়া সে দূরে থাকতে পারবে না তাই রানীর স্বামী যেখানে চাকরি করে সেখানে রানীকে নিয়ে যাবে সেখানে রানীর জন্য আবারো নতুন একটি সংসার তৈরি হবে যে সংসারের সবকিছু রানীর তত্ত্বাবধানে থাকবে। নতুন স্থানে নতুন জায়গায় রানী তার স্বামী সন্তানকে নিয়ে নতুন সংসার গোছানোর কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। শুধু মাঝে মাঝে চিঠির মাধ্যমে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন এবং তার বাবা বাড়ির লোকজনের সাথে কথা হয়। তবে মাঝে মাঝেই রানীর শ্বশুরবাড়ির লোকজন এবং রানের বাবার বাড়ির লোকজন তাদেরকে দেখতে আসতো এভাবেই রানীর নতুন সংসার বেশ ভালোই কাটছিল।
এভাবেই রানীর সুখের সংসার চলতে থাকে পর্যায়ক্রমে রানী আবারও একটি কন্যা সন্তানের মা হয়। রানী তার বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান সেইসাথে তার শ্বশুরবাড়ির একমাত্র পুত্রবধূ। সেই সুবাদে সবার চোখের মণি হয়ে সুখে শান্তিতে সংসার করতে লাগলো। তবে রানীর ছোট ভাবি আগে যেরকম হিংসুটে ছিল সেরকম হিংসুটে ভাব থেকে নিজেকে আর মুক্তি দিতে পারেনি একইভাবে হিংসুটে ভাব প্রকাশ করেই জীবন পার করে গেল তার জীবনে আর পরিবর্তন আসলো না। এই গল্প থেকে একটা শিক্ষা পাওয়া যায় কাউকে দেখে কখনো হিংসা প্রকাশ করতে নেই কারণ হিংসুটে মানুষের কখনো সুখ আসে না।
এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।
সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan
আমার পরিচয়
আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও বাইক নিয়ে ঘুরতে খুবই ভালোবাসি। মনের অনুভূতির ডাকে সাড়া দিয়ে কবিতা লিখতে পছন্দ করি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।


VOTE @bangla.witness as witness

OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

আপনার গল্পের সকল পর্ব আমার পড়া হয়নি। তবে আজকের পর্ব পড়ে যা বুঝতে পারলাম। আসলে ভাইয়া হিংসা মানুষকে ধ্বংস করে।তবে রাণীর ভাবি যতই হিংসা করুক না কেন রাণীর সংসারে সুখের অভান নেয়। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়। ধন্যবাদ আপনাকে।