মানিয়ে নিতে পারলেই জীবন শান্তিময়- ১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁককের জন্য
আমি ঢাকা, বাংলাদেশ থেকে @kawsar ।
আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন ,আর আমিও অনেক ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ। আজ আমি আপনাদের মাঝে আরও একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আসলে প্রতিদিনই পোস্ট করার চেষ্টা করি কিন্তু এখন যে হারে গরম পড়তেছে। শরীরের তো বারোটা বাজতেছে। খুবই একটা বাজে অবস্থা যদিও আমার বেশি বাহিরে যাওয়ার প্রয়োজন হয় না, তবুও বাসার ভিতরে অনেক বেশি গরম পরতেছে। আসলে এই গরমে সুস্থ থাকতে হলে আমাদেরকে অবশ্যই বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে সেটা আমি সবসময়ই বলি। গরমে অনেকেরই পেটে সমস্যা হচ্ছে সেজন্য আমাদেরকে অতিরিক্ত তেলযুক্ত খাবার পরিত্যাগ করতে হবে। তবে কিন্তু আমরা সুস্থ থাকতে পারব।
আসলে আমাদের জীবনে যদি আমরা সবকিছু মানিয়ে নিতে পারি তাহলে আমাদের জীবন খুবই সহজ হয়ে যায় এবং আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস করতে পারি এই বিষয়টার উপরে লিখব আমি আশা করি আমার আজকের পোস্ট আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। তো চলুন শুরু করা যাক।
জীবনে আমরা সবাই চাই সুস্থ জীবনযাপন করতে এবং সবাই আমরা সুখী হতে চাই. কিন্তু আমাদের সবার চাওয়া টা কিন্তু খুব সহজেই সত্যি হয়না। এই চাওয়াটা যদি আমরা সত্যি করতে চাই, তাহলে আমাদেরকে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়। আরো অনেক বেশি ত্যাগ স্বীকার এর মাধ্যমে কিন্তু আমরা এই জায়গাটা মোটামুটি ভাবে পেয়ে থাকে। আমাদের জীবনে চলার পথে আমাদের অনেক মানুষের সাথে চলাফেরা করতে হয়। কথাবার্তা বলতে হয় এক কথায় অনেক মানুষের সাথে মিলেমিশে আমাদেরকে থাকতে হয়।
তাদের সাথে বিভিন্ন ধরনের কথা হয় বা তারাও অনেক ধরনের কথা আমাদেরকে বলতে পারে। যখন আমরা আমাদের পাশের মানুষের সাথে চলাফেরা করি তখন তারা আমাদেরকে হয়তো বিভিন্ন ভাবে কথা বলে কষ্ট দিতে পারে কিংবা এমন এমন কথা বলবে যে কথাগুলো আমার মোটেই সহ্য হবে না। তবুও যদি আমি সেই গুলো সহ্য করে নিতে পারি তবেই কিন্তু আমি ভালো থাকবো। আসলে আমাদের অনেকেরই ধৈর্য শক্তি খুবই কম যে কারণে আমরা সেটা মানিয়ে নিতে পারিনা।
যদি আমাদেরকে কেউ কোনো কটু কথা বলে কিংবা এমন কথা বলে যে কথায় আমি কষ্ট পাই ,সেই কথাগুলোর আমরা প্রতি উত্তর করতে থাকি যে কারণে তার সাথে আমার একটি খারাপ সম্পর্ক তৈরি হয়। এভাবে যদি আমরা অনেকের সাথে এরকম সম্পর্ক তৈরী করি। তাহলে আমাদের জীবনটা আসলে অসুখী হয়ে ওঠে। যখন আমাদের জীবনে এরকম অনেক মানুষ এসে যাবে তখন আমাদের জীবনটা কে আমাদের খুবই ঝামেলাপূর্ণ মনে হবে এবং অনেক সময় নিজের কাছে খারাপ লাগবে। কিন্তু সেই জায়গাটা যদি আমরা মানিয়ে নিতে পারতাম তাহলে আমরা হয়তো অনেক ভালো থাকতে পারতাম।
যদি আমাকে আমার আপনজন এমন কথা বলে যে কথাগুলো আমার আসল সহ্য করা উচিত না বা আমি অনেক কষ্ট পেয়ে থাকি তবুও যদি সেই কথাগুলো আমি মানিয়ে নিতে পারি এই বলে- বলুক আমার কিছুই না তাহলে কিন্তু আমি খুবই ভালো থাকতে পারবো। এটা কিন্তু আমি কোন কাল্পনিক কথা বলছি না। এটা আমি আমার জীবনের সাথে মিল রেখে কথা বলেছি। যখন আমি চুপ থাকতে পারি, যখন আমি মানুষের কথায় কথা দিতে পারি ,যখন আমার যেটা মানিয়ে নেওয়া উচিত নয় তবুও সেটা মানিয়ে নিতে পারি। তখনই কিন্তু আমি ভালো আমি ভালো থাকতে পারি আমি সুখী হতে পারি
আর আমি সুস্থ জীবন যাপন করতে পারি। যখন এটা আমার জীবনে হয়েছে। আমি আশা করি এটা আপনাদের জীবনের সাথে অনেকটাই মিল রয়েছে। কিন্তু কিছু কিছু জিনিস আমরা সহজে খুঁজে বের করতে পারি না। এজন্য যদি আপনি মনে করেন যে আপনার জীবনে এটা নেই ,তবে আপনি একটু ভেবে দেখতে পারেন আমার মনে হয় আপনি ঠিকই খুঁজে পাবেন। আসলে আপনার জীবনেও এটাও আছে আসলে আমাদের জীবনটা খুবই কঠিন। এই জীবনের সাথে আমাদেরকে অনেক যুদ্ধ করতে হয়। কখনো যুদ্ধ করতে হয় শরীরের সাথে, কখনো মনের সাথে, আবার কখনো অন্য মানুষের সাথে।
এভাবে যুদ্ধ করেই কিন্তু আমাদের জীবন পার করতে হয়। অনেক জিনিস আপনি চাইবেন না তবুও আপনাকে করতে হবে। কেননা যদি আপনি সেই জিনিসটা তখন না করেন হয়তো আপনার পরিবারে অশান্তি আসতে পারে। সেজন্য তখন আপনাকে সেটা মানিয়ে নিয়ে এমনভাবে করতে হবে যে যেন সবাই বুঝতে পারে যে -আপনি সেটা সত্যি চাচ্ছেন। আসলে যে আপনি মন থেকে সেটা মোটেও চাচ্ছেন না ,সেটা কিন্তু তারা কখনোই বুঝতে পারবে না। সেই জন্য আপনাকে সব সময় মানিয়ে নিতে হবে। আসলেই মানিয়ে নেওয়াটা আমার জীবনে অনেক বড় একটা অধ্যায় হয়ে আছে। সেইজন্যই আমি আজকে এই বিষয় নিয়ে লিখছি।
আমি আজকে যে বিষয়টি নিয়ে লিখছি সেই বিষয়টি যদি আপনার জীবনের সাথে মোটেও মিল না থেকে থাকে। তবে আপনি দুইটি দিক বিবেচনা করে দেখবেন এবং এভাবে যদি কয়েক দিন আপনি দিন কাটিয়ে দিতে পারেন তাহলে এর পার্থক্য আপনি বুঝবেন। আপনি প্রথম পাঁচ দিন বানিয়ে নেবেন আর পরের পাঁচ দিন কোন কিছুই মানিয়ে নেবেন না আপনার ইচ্ছামত চলবেন। তাহলে বুঝবেন আসলে জীবনটা কতটা সংকট পূর্ণ।
এমনিতেই আমাদের যাদের জীবনে ধৈর্য বেশি তারাই কিন্তু আমরা জীবনে অনেক বেশি এগিয়ে যেতে পারি। কিন্তু আমাদের অনেকেরই ধৈর্য অনেক কম যে কারণে আমরা অনেক ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ি। যাদের আমাদের ধৈর্য কম তাদেরকে অবশ্যই এই জিনিসটা কে সব থেকে বেশি গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে এবং এটা আমাদেরকে অনুশীলন করে এরপরে নিজের ভিতরে আনতে হবে। জীবনের সবক্ষেত্রেই ধৈর্যের অনেক বেশি প্রয়োজন আছে। যখন আপনাকে কেউ কটু কথা বলবে তখন যদি আপনি ধৈর্য সহকারে থাকতে পারেন তাহলে কিন্তু আপনি ভালো থাকবেন।
কিন্তু আপনি সেই কথা নিয়ে যেতে কাটাকাটি করেন তাহলে দেখবেন আপনার জীবনে অশান্তি নেমে এসেছে। এটা যে আপনি অন্য মানুষের সাথে করবেন সেটা কিন্তু নয় আপনার পরিবারে মানুষ আছে সেটাই হিসেব করে দেখতে পারেন। আমরা সাধারনত একটি কথা সবাই জানি যে যখন আপনাকে নিয়ে মানুষ কোনো কটু কথা বলবে তখন আপনি সেটা কানে নেবেন না. তাহলে সেটা ভালো হয় এই কথাটা আমি মোটামুটি মানি কেননা অন্য মানুষের বলা কটু কথা কানে নিয়ে নিজের জীবনে অশান্তি না নিয়ে আসাই ভাল।
সবশেষে আমি বলতে চাই যে আপনি যদি জীবনের সবকিছু মানিয়ে নিতে পারেন আপনার জীবনে যাই কিছু হোক না কেন আপনি সবকিছুকে পজিটিভ ভাবে নিতে পারেন তাহলেই আপনি শান্তিপূর্ণ ভাবে জীবন যাপন করতে পারবেন। এই কথাটা আমি একদমই মানি। আজ এই পর্যন্তই লিখছি আপনাদের সকলের সুস্থতা কামনা করে এখানেই শেষ করছি। আগামী কাল আরো কোন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হবো সেই পর্যন্ত সবাই সুস্থ থাকুন।
@kawsar
ভাই খুবই সুন্দর একটা বিষয় নিয়ে আপনি আজকে উপস্থাপন করেছেন, মানিয়ে নিতে পারলে সবই শান্তিময়। আসলে আপনি অনেক গুলো কথা বলেছেন এটা একেবারে সত্য যে, যে কোন কথাই যদি সহজভাবে নিয়ে নেওয়া হয় তাহলে কোন রকম ঝামেলা হওয়ার কোনো সুযোগ থাকে না। কিন্তু বাস্তব জীবনে আসলে এটা কখনো সম্ভব হয় না আমরা আমাদের রাগকে কন্ট্রোল করতে পারিনা, তাই আমাদের সম্পর্ক গুলো ঠিক থাকে না। যদিও মানুষ তো আসলে কন্ট্রোল করা ডিফিকাল্ট ব্যাপার। আমাদের সবাই এটা মনে রাখা উচিত রাগ করলাম মানে নিজের ক্ষতি করলাম। যাইহোক আপনার আজকের ব্লকটি খুব ভালো লেগেছে পড়ে। অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে খুবই বাস্তবসম্মত একটি ব্লগ শেয়ার করার জন্য।
পোস্ট পড়ে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
যেকোনো জায়গায় টিকে থাকতে হলে মানিয়ে নেওয়া কিংবা অভিযোজিত হওয়াটা খুবই জরুরী। আর এজন্য প্রয়োজন প্রচুর পরিমাণ ধরে ধৈর্য। ধৈর্য সহকারে কষ্ট করে একবার মানিয়ে নিতে পারলেই, আমাদের সফলতা অর্জন করা সম্ভব। বিষয়টি খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন।ধন্যবাদ ভাই।
একদম ঠিক বলেছেন যদি আমাদের ধৈর্য শক্তি বেশি থাকে তাহলে আমরা সবকিছুকে মানিয়ে নিয়ে চলতে পারব। ধন্যবাদ ভাই।
আসলেই মানিয়ে নিতে পারলে খুব সহজ,না মানতে পারলে কঠিন হয়ে যায়।জীবনে চলার পথে কত রকম দুঃখ কষ্ট থাকবেই,তা অতিক্রম করে মানিয়ে নিতে পারলে জীবন শান্তিময়।খুব ভালো লেখেছেন।ভালো ছিলো।ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে আমি এটাও বিশ্বাস করি যে আপনি যত বেশি মানিয়ে নিতে পারবেন আপনার জীবন ততো বেশি সুখের হবে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
পৃথিবীতে সবাই সুখি থাকতে চাই। থাকতে চাই নিজের পরিবার আত্মীয় স্বজন নিয়ে। কিন্তু সুখে থাকতে হলে আমাদের সবার আগে ত্যাগ করতে জানতে হবে। কারণ এটা ত্যাগের পৃথিবী। এবং কখনোই কোনো বিষয় নিয়ে কারো কাছে অভিযোগ করা যাবেনা। এইগুলো থাকে সুখের মূল উৎসে। যেগুলো আপনি অনেক সুন্দরভাবে লিখেছেন। ধন্যবাদ আমাদের সাথে এতো সুন্দর শিক্ষামুলক একটি পোস্ট শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
আপনি খুবই সুন্দর কিছু কথা লিখেছেন ভাই। অনেক ভালো লাগছে। ধন্যবাদ আপনাকে আর আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
বিশ্বের মধ্যে মানুষ একমাত্র প্রাণী যে কিনা সকল প্রতিকূল পরিস্থিতি এবং পরিবেশে মানিয়ে নিতে পারে।যদিও মাঝে মাঝে অনেক সময়ের প্রয়োজন হয়। তবে যে কোন পরিবেশের সঙ্গে একবার মানিয়ে নিতে পারলে জীবন শান্তিময় হয়ে উঠে। খুবই সুন্দর ভাবে সব কিছু উপস্থাপন করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
একদম ঠিক বলেছেন ভাই আমরা যদি সবকিছু মানিয়ে নিতে পারি। তাহলেই আমাদের জীবন শান্তিময় হয়ে ওঠে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে শুভকামনা রইল।
আপনি অনেক সুন্দর একটি বিষয় আমাদের কাছে তুলে ধরেছেন ভাইয়া । আসলেই আমরা যদি সবকিছুকে মানিয়ে নিতে পারি তাহলে সব দিক দিয়ে আমাদের ভালো হয় । কোন কোন পরিস্থিতিতে খারাপ কাজ গুলোকে আমাদের মানিয়ে নিতে হয় ।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভাইয়া
জি ভাইয়া মানিয়ে নেওয়া ভালো তাহলে আমরা শান্তিতে থাকতে পারি ধন্যবাদ আপনাকে।