কলেজস্ট্রিট থেকে ফেরার পথে হঠাৎ ডোমিনোজ পিৎজায় খাওয়া৷ লাইফস্টাইল ব্লগ।
ডোমিনোজ পিৎজার সাথে কিছুক্ষণ
আজ একটি লাইফ স্টাইল ব্লগে আপনাদের সামনে নিয়ে এলাম ডোমিনোজ পিৎজায় খাওয়া দাওয়া করার একটি পোস্ট। আজ অনেকদিন পরে ঢুকেছিলাম ডমিনোস পিৎজায়৷ সেখানে পিৎজা খেতে বরাবরই আমার ভালো লাগে। বিভিন্ন রকম সুস্বাদু পিৎজা তারা পরিবেশন করে থাকে কাস্টমারদের মধ্যে। তাই এই পিৎজা খেতে প্রায় প্রত্যেকেই খুব পছন্দ করেন।
![]() | ![]() |
---|
আজ একটি বিশেষ কাজে কলেজস্ট্রিট গিয়েছিলাম। সেখানে গেলে বইয়ের বাজারের ভেতর দিয়ে হাঁটতে এক আলাদা অনুভূতির জন্ম হয়। কিন্তু কলেজস্ট্রিটে ঘোরাঘুরি করতে করতে পেট পুজো করার প্রয়োজন উপলব্ধি হতে শুরু করে। হবে নাই বা কেন। ঘর থেকে বেরোনোর সময় সামান্য কিছু খেয়ে গেছিলাম। তাই
দুপুরবেলা খিদে চরমে ওঠে। কি খাব ভাবতে ভাবতে হেঁটে আসছিলাম সেন্ট্রাল এভিনিউর থেকে। উদ্দেশ্য মেট্রো স্টেশনে এসে ট্রেন ধরা। কিন্তু তার আগেই ক্ষুধা নিবৃত্তির জন্য ঢুকলাম ডোমিনোজ কাউন্টারে। সেখানে ঢুকবার পরেই প্রচুর পিৎজার সমাহার। কোনটা ছেড়ে কোনটা খাই। আমার সঙ্গে ছিল আমার প্রিয় বন্ধু। দুজনে মিলে একটি কম্বো অর্ডার করলাম। আর সেই কম্বোয় গটি রেগুলার সাইজ পিৎজা, সাথে একটি গ্রিল্ড ব্রেড, এবং একটি পেপসি ছিল। সব মিলিয়ে দাম পড়ল ৫৫৫ টাকা। অর্ডার দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই চলে এল খাবারের প্লেট। সেখান থেকে আমরা ভাগাভাগি করে সমস্ত পিৎজা এবং ব্রেড খেয়ে নিলাম। সাথে চলল আড্ডা এবং গল্প। সব মিলিয়ে একটা দারুন সময় কাটালাম আজ। কলেজটিতে কিঞ্চিৎ ঘোরাঘুরি এবং জিনিস কেনা ও তারপরে ডমিনোজে ঢুকে এমন খাওয়া দাওয়া মনে থাকবে অনেকদিন।
আসলে আমি অনেকদিন পরে পিৎজা খেলাম। এই খাবারটার মধ্যে একটা আলাদা টান আছে আমার। সমস্ত খাবার ধরন আর এর ধরন সম্পূর্ণ আলাদা। আজ আমরা বারবিকিউ ননভেজ পিৎজা এবং চিকেন সসেজ পিৎজা অর্ডার করেছিলাম। দুটি খেতেই ভীষণ ভালো ছিল। তাই ভাগাভাগি করে আমরা দুজনে সমস্ত খাবারটা পেটে চালান করে দিলাম সহজেই। তার সাথে বাকি সমস্ত খাবার মিশিয়ে বেশ সুন্দর একটি অভিজ্ঞতার সাক্ষী হলাম অনেকদিন পরে। কারণ বহুদিন হয়ে গেল পিৎজা খাইনি। আজ তাই এমন সুন্দর একটি সময় কাটিয়ে দিয়েছিলেন আরও মনটা তৃপ্তি হল। তারপর ভাবলাম এই গল্পটা আপনাদের সামনে আনা উচিত। তাই যেমন ভাবনা তেমন কাজ। আজ লাইফ স্টাইল ব্লগে নিয়ত চলে এলাম ডোমিনোজের বিভিন্ন ছবি এবং তার ঘটনা প্রবাহ।
![]() | ![]() |
---|
🙏 ধন্যবাদ 🙏
(১০% বেনিফিশিয়ারি প্রিয় লাজুক খ্যাঁককে)
--লেখক পরিচিতি--
কৌশিক চক্রবর্ত্তী। নিবাস পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলায়। পেশায় কারিগরি বিভাগের প্রশিক্ষক। নেশায় অক্ষরকর্মী। কলকাতায় লিটল ম্যাগাজিন আন্দোলনের সাথে দীর্ঘদিন যুক্ত৷ কলকাতা থেকে প্রকাশিত কবিতার আলো পত্রিকার প্রধান সম্পাদক। দুই বাংলার বিভিন্ন প্রথম সারির পত্রিকা ও দৈনিকে নিয়মিত প্রকাশ হয় কবিতা ও প্রবন্ধ। প্রকাশিত বই সাতটি৷ তার মধ্যে গবেষণামূলক বই 'ফ্রেডরিক্স নগরের অলিতে গলিতে', 'সাহেবি কলকাতা ও তৎকালীন ছড়া' জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। সাহিত্যকর্মের জন্য আছে একাধিক পুরস্কার ও স্বীকৃতি। তার মধ্যে সুরজিত ও কবিতা ক্লাব সেরা কলমকার সম্মান,(২০১৮), কাব্যলোক ঋতুভিত্তিক কবিতায় প্রথম পুরস্কার (বাংলাদেশ), যুগসাগ্নিক সেরা কবি ১৪২৬, স্রোত তরুণ বঙ্গ প্রতিভা সম্মান (২০১৯), স্টোরিমিরর অথর অব দ্যা ইয়ার, ২০২১, কচিপাতা সাহিত্য সম্মান, ২০২১ তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
ধন্যবাদ জানাই আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যবন্ধুদের৷ ভালো থাকুন, ভালো রাখুন।
https://x.com/KausikChak1234/status/1854591519044301309?t=n849yuPkacT5Lhe_D-yWaw&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
কলেজ স্ট্রিট কেন দিয়েছিলে? কটা বই কিনেছো। এবার তো আমায় কোন বই গিফট করলে না। যাই হোক দুপুর বেলায় খিদের মাঝে এ যেন অমৃত সমান। সুন্দর পোস্ট হয়েছে
একদম তাই৷ আমার পোস্টে এমন সুন্দর মন্তব্য করলি বলে খুব ভালো লাগলো৷ কলেজ স্ট্রিটে এমনিই গিয়ে হাঁটলাম।
আপনার কলেজস্ট্রিট থেকে ফেরার পথে হঠাৎ ডোমিনোজ পিৎজায় খাওয়ার অনুভূতি পড়ে খুবই ভালো লেগেছে। আমাদের বাসার পাশে ডোমিনোজে একদিন ফ্যামিলি নিয়ে পিজ্জা খেয়েছিলাম। তবে তেমন ভালো লাগে নাই। আপনাদের ওখানের পিজ্জাটা দেখেই ভালো লেগেছে। স্বাদ ভালোই হয়েছে। ধন্যবাদ।
স্বাদ বেশ ভালই ছিল ভাই। তবে পিৎজা ঘনঘন ভালো লাগেনা। এইবার অনেকদিন পরে গেলাম। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই।