আসসালামু আলাইকুম
সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।
আজকে আপনাদের সাথে একটা diy পোস্ট শেয়ার করছি। অনেকদিন হলো এই ধরনের কিছু তৈরি করা হয় না। বেশ কিছুদিন ধরে ভাবছিলাম এরকম ওয়াটার ক্যান্ডেল গুলো তৈরি করব। তাদের বিভিন্ন রকম ব্যস্ততার কারণে তৈরি করা হয়ে উঠছিল না। আজকে দুপুরের দিকে একটু ফ্রি ছিলাম তখন এটা তৈরি করেছি। ঘর সাজাতে কম বেশি আমরা সবাই পছন্দ করি। আমার কাছে এ ধরনের একটু ভিন্ন রকম জিনিসগুলো দিয়ে ঘর সাজাতে অনেক বেশি ভালো লাগে। এই ক্যান্ডেলটা মূলত তৈরি করেছিলাম ডেকোরেশন করে রাখার জন্য। এখানে আমি ক্যান্ডেলটা ল্যাভেন্ডার কালার দিয়েছি। এই কালারটা আমার খুবই পছন্দের। তৈরি করার পর এখন এটা ধরালাম তখন আমি নিজেই অবাক হয়ে গিয়েছি এতটা সুন্দর লাগছে দেখতে। স্টেট গুলো দেখে মনে হবে তৈরি করার সহজ তবে আমি বেশ কয়েকটা ভুল করেছিলাম এটা তৈরি করতে। তারপর শেষমেষ ঠিকভাবে করেছি। আমি যেভাবে তৈরি করেছি সেভাবেই উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি যেন আপনারা চাইলে সহজেই তৈরি করতে পারেন। এটা কিন্তু ডেকোরেশন করে রাখার মত বেস্ট একটা জিনিস। প্রথম ফটোগ্রাফিটা দেখলেই আপনাদের কাছে এটা ভালো লাগার কথা।
ওয়াটার ক্যান্ডেল এর ফটোগ্রাফি
- সাদা ক্যান্ডেল
- মোম রং
- গ্লিটার
- কাঁচের পাত্র
প্রথমে আমি স্টিলের একটা বাটিতে মোম গুলো ছোট ছোট করে টুকরো করে নিলাম। তারপর এগুলোর সাথে সামান্য মোম রং দিয়ে দিয়েছি যেটা ল্যাভেন্ডার কালারের। আপনারা আপনাদের পছন্দের কালার দিতে পারেন।
এবার আমি বড় একটা পাতিলে পানি গরম করে নিলাম। চুলার উপরে থাকায় পানির পাতিল এর মধ্যে স্টিলের বাটি দিয়ে দিলাম। আস্তে আস্তে গরম পানিতে মোমগুলো গলে যাবে। আমি স্টিলের বাটি তা সরাসরি চুলার উপর দেইনি কারণ এটা দিলে বাটির মধ্যে একটা পোড়া দাগ লেগে যাবে। মোম গুলো গলে যাওয়ার পর চুলা অফ করে দিলাম।
এবার আমি যেই কাঁচের পাত্রে ক্যান্ডেলটা তৈরি করব সেটার মধ্যে অর্ধেকটা পরিমাণ পানি নিয়ে নিলাম। অর্ধেকের কম নিলেও ভালো হয়। তারপর সেখানে কিছুটা পরিমাণ গ্লিটার দিয়ে দিলাম। এখানে আমি গোল্ডেন কালার গ্লিটার দিয়েছি। পানির মধ্যে এটা বেশ চমৎকার লাগছিল দেখতে। তারপর ভালোভাবে এটা পানির মধ্যে মিক্স করে নিলাম।
তারপর গরম মোম আস্তে আস্তে পানির উপর দিয়ে দিলাম। তাড়াতাড়ি দেওয়া হলে ক্যান্ডেলটা সুন্দর হবে না। তরল মোম আস্তে আস্তে পানির মধ্যে ঢালতে হবে। এক্ষেত্রে আমি দুইবার ভুল করেছিলাম। এরপরে বুঝলাম যে না আসলে আস্তে আস্তে দিতে হবে তাহলে সুন্দর হবে। আর দেওয়ার সাথে সাথে নিচের দিকটার পানির কারণে জমে যায়। তবে বেশ কিছুক্ষণ রাখার পর উপরের দিকটা জমে। এর মধ্যে আমি একটা সুতা দিয়ে দিলাম। আপনারা চাইলে ফ্রিজে রেখে খুব তাড়াতাড়ি এটা তৈরি করে ফেলতে পারেন। এখানে আমি একটা ছবিতে দেখিয়েছি কাচের কৌটাটা উল্টো করার পরেও কিন্তু পানিটা বের হচ্ছে না। এই কারণেই আমার কাছে এই জিনিসটা বেশ ভালো লেগেছে। পানির মধ্যে গ্লিটার গুলোর নড়াচড়া দেখা যাচ্ছে।
এভাবেই ক্যান্ডেলটা তৈরি হয়ে গেল।
ফটোগ্রাফিতে ক্যান্ডেল গুলো অনেকটা এস্থেটিক লাগছে দেখতে। জানিনা আপনাদের কাছে কেমন লাগছে।
এই ছিলো আমার আজকের পোস্ট। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। কেমন লেগেছে তা অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন। কোন ভুল হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আজকের মত বিদায় নিচ্ছি, আবার আসবো আপনাদের সামনে নতুন কিছু নিয়ে।সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং সবার জন্য অনেক শুভকামনা রইল 💕💕
ধন্যবাদান্তে
@isratmim
🤍আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়🤍
আমি ইসরাত জাহান মিম। বর্তমানে অনার্স প্রথম বর্ষে পড়াশোনা করছি। আমার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীতে কিন্তু বাবার ব্যবসার কারণে বর্তমানে অবস্থান করছি গাজীপুরে। আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের "আমার বাংলা ব্লগ" পরিবারের একজন সদস্য এজন্য আমি অনেক উৎসাহিত ও আনন্দিত। আমি বই পড়তে পছন্দ করি, সেই সাথে নতুন নতুন ফটোগ্রাফি করতে ও ইউনিক রেসিপি এবং নতুন নতুন ইউনিক ডাই তৈরি করতে বেশ পছন্দ করি। তবে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে বিভিন্ন নতুন নতুন জায়গায় ঘুরে বেড়াতে ও প্রকৃতির কাছাকাছি থেকে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য অবলোকন করতে। আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু করেছি ২০২০ সালের ১৭ই ডিসেম্বর। স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো এগিয়ে যেতে চাই এটাই আমার লক্ষ্য।
আসলেই দারুণ লাগলো ব্যাপারটা আমার কাছে। জ্বালিয়ে দেয়ার পর চমৎকার লাগছে। কাজটা কিন্তু অনেক ধৈর্য নিয়ে করেছেন সেটা দেখে বুঝা যাচ্ছে।
এটা ঠিক বলেছেন আপনি। এ ধরনের কাজগুলো করতে অনেক সময়ও ধৈর্যের প্রয়োজন হয়। আপনার মূল্যবান মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য ধন্যবাদ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার আর্ট দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম।আসলে এমন ক্যান্ডেল তৈরি করেছেন সত্যি অনেক ভালো লেগেছে। ধাপ গুলো অনেক সুন্দর করে দেখিয়েছেন।তবে এগুলো তৈরি করতে সময় আর ধৈর্যের প্রয়োজন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটা আর্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনার মূল্যবান মন্তব্য প্রকাশ করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আগে আগে কালী পুজো বা দীপাবলি এলেই ক্যান্ডেল তৈরি করার ধুম পড়ে যেত। যদিও এদিকে ক্যান্ডেল কম প্রদীপের প্রজ্বলন বেশি হয়ে থাকে। কিন্তু আমি ক্যান্ডেল বানিয়ে নিতাম। জলের উপর তেল ভাসিয়ে। আর সেই ক্যান্ডেল প্রায় সারা রাত ধরে জ্বলতো। আপনি যেভাবে জলের ওপর মোম রেখে করেছেন এরকমটা আগে কখনো করিনি। চেষ্টা করব করার। খুব সুন্দর লাগলো আপনার আজকের ডাই পোস্টটি।
হে সম্ভব হলে এভাবে একবার তৈরি করে দেখতে পারেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আমি খেয়াল করে দেখেছি, আপনি বেশিরভাগ সময় আমাদের সাথে খুবই ইউনিক ইউনিক পোস্ট শেয়ার করেন। আপনার পোস্টগুলো দেখলে সত্যি অনেক ভালো লাগে। আজকেও আপনি খুব সুন্দর ক্যান্ডেল তৈরি করেছেন। এরকম ক্যান্ডেল একেবারে ইউনিক। আমি এই প্রথমবার দেখলাম। জলের উপর মোম ভাসিয়ে এরকম সুন্দর ক্যান্ডেল তৈরি করা যায় তা কখনো ভাবি নি। অসাধারণ হয়েছে আপু। দেখে একেবারে মুগ্ধ হয়ে গেছি।
সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে আরো কাজে উৎসাহিত করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
প্রথমেই বলতে চাই ওয়াটার ক্যান্ডেল তৈরির আইডিয়াটা আমার কাছে অনেক ইউনিক লেগেছে আপু। খুবই সুন্দর ভাবে প্রতিটি ধাপ আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন পড়ে ভালো লাগলো। আর ফটোগ্রাফিগুলো এক কথায় চমৎকার হয়েছে। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে বিস্তারিত ভাবে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আমার এই আইডিয়া আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমিও খুবই খুশি হলাম। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
অনেক সুন্দর লাগে যদি এরকম ভাবে সুন্দর সুন্দর ডাই প্রজেক্ট গুলো তৈরি করা হয় তাহলে। আমি এই ধরনের ডাই গুলো তৈরি করতে ভালোবাসি। ওয়াটার ক্যান্ডেল তৈরি করে ঘরে সাজালে ঘরের সৌন্দর্য বেশ ভালোই বৃদ্ধি পায়। আমার কাছে তো আপনার আজকের এই ওয়াটার ক্যান্ডেল পোস্ট অসম্ভব ভালো লেগেছে। কেউ চাইলে এই ওয়াটার ক্যান্ডেল তৈরি করে নিতে পারবে। কারণ আপনি সুন্দর করে উপস্থাপনা টা তুলে ধরেছেন।
আপনাদের ভালো লাগাই আমার এই কাজের সার্থকতা। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
https://x.com/IsratMim16/status/1892620738181415305?t=VXCItXwvXMLxAC-UBsoxzw&s=19
ওয়াটার ক্যান্ডেল তৈরি করতে দেখে ভীষণ ভালো লাগলো আপু। আপনি চমৎকার একটি ডাই পোস্ট শেয়ার করেছেন।ক্যান্ডেলটি জ্বালিয়ে দেয়ার পর আরো বেশী ভালো লাগছে।আপনি সময় ও ধৈর্য ধারন করে সম্পূর্ণ কাজটি করলেন।অনেক ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য।
সুন্দর ও গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার জন্য রইল শুভকামনা।