গ্রামাঞ্চলের বিলের পারে কাটানো মূহুর্ত ৷৷
আজ - ২১শে, পৌষ |১৪৩০ বঙ্গাব্দ, | গ্রীষ্ম-কাল |
নমস্কার - আদাব। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন।
নমস্কার,🙏
যা হোক প্রতিদিনের মতো আজও আপনাদের মাঝে হাজির হলাম নতুন একটি ইউনিক ব্লগ নিয়ে । যেহেতু ব্লগ লেখাটা এখানে মেইন উদ্দেশ্য যেখানে মনের অনুভব অনুভূতি ভালো মন্দের সবকিছুই এ পরিবারের সাথে শেয়ার করা যায় এটাই হলো সবচেয়ে বড় কথা। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো গিয়ে এ পরিবার আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে এত দূরত্বের মাঝেও যে মানুষগুলোকে একত্রে একটা পরিবারের মতো প্রতিদিন খবর নেয়া কিংবা সাপ্তাহিক হাংআউট আড্ডার প্রহর যাই কিছু হোক না কেন সবকিছুই একটা পরিবারের মতোই।
বন্ধুরা আজকে আমি আপনাদের মাঝে আমার গ্রামের বিলের পারে কাটানো মুহূর্ত অনুভূতি সেই সাথে কিছু আলোকচিত্র শেয়ার করবো। আশা করি আপনাদের সবার অনেক ভালো লাগবে ।
বর্তমানে শীতের সময়টা মূলত বলা যায় উষ্ণতার । নদী হোক খাল বিল সবকিছুর পানি কমে যায় আর এই সময়ে গ্রামাঞ্চলের কিছু বিল রয়েছে যে বিলগুলোতে প্রাকৃতিক পর্যায়ে মাছের উৎপন্ন হয় বলা যায় । আবার কিছু বিল রয়েছে যেগুলোতে মাছ চাষ করা হয়। বর্তমানে গ্রামাঞ্চলের বিলগুলোতে প্রচুর পরিমানে দেশে জাতীয় মাছ পাওয়া যায়। ঠিক যেমন ধরুন বোয়াল ,শিং ,, পুটি, এছাড়াও আরো অনেক প্রকার নাম যেগুলো আসলে একেক এক জায়গায় একে এক নাম বলে জানে ।
মূলত কিছুদিন আগে বিকেল বেলার মুহূর্তে বিলের ধরে বেড়াতে গিয়েছিলাম । এই সময়ে বিলের ধারে বসে থাকতে যেন অনেকটা আনন্দমুখর পরিবেশ। বিলে পার দিয়ে লাগানো গাছে নানান ধরনের পাখির সমাগম কীটপতঙ্গ সম্মিলি বিলের ধার যেন একটা অন্যরকম পরিবেশের সৃষ্টি করে ।।আর এই বর্তমান সময়ে বক সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ে বিলে ধারগুলোতে । অর্থাৎ এই সময়ে একটা মাছ ধরার প্রক্রিয়া গুলো সত্যি অসাধারণ এছাড়া মাছরাঙ্গা পাখি।
সব মিলিয়ে বিলের জন্য এক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বলা যায়। এছাড়াও বিলে কচুরিপানার সমাহার যেখানে কুচুরিপানা গুলো ফুল ফুটে এক অনন্য সৌন্দর্যের ভরপুর ।
বর্তমান সময়ে পৌষ মাঘের শুরুতেই হয়তো। বা এই বিলগুলো সেচের পাম্পের মাধ্যমে অর্থাৎ মেশিনের মাধ্যমে পান নিষ্কাশন করে তারপর মাছ ধরার কার্যক্রম শুরু করবে । তখন আপনাদের মাঝে এই বিলের ধারে মাছের আলোকচিত্র চিত্র নিয়ে আপনাদের মাঝে নতুন কোন ব্লগ তুলে ধরবো।
প্রিয় বন্ধুরা এই ছিল আমার বিলের পারে কাটানো মুহূর্ত এবং অভিজ্ঞতা সেই সাথে কিছু আলোকচিত্র ।আশা করছি আপনারা গ্রামাঞ্চলের বিলের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে হয়তো ঠিক বুঝতে পেরেছেন এমনটাই আশা প্রত্যাশা করি । সেই সাথে গ্রামের প্রতিটি জায়গা বা স্থান যার মনমুগ্ধকর পরিবেশের অন্তর্গত অন্তত এই শীতকালীন সময়।
যা হোক সব মিলিয়ে ছিল আমার বিলের ধারে কাটানো মুহূর্তের অভিজ্ঞতা । আবারো হাজির হবো অন্য কোন নতুন ইউনিক ব্লগ নিয়ে সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এবং আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সাথেই থাকুন ।
প্রিয় বন্ধুরা আজকে আপনাদের কাছে এখানে বিদায় নিচ্ছি ৷ আবার নতুন কোন ইউনিক ব্লগ নিয়ে হাজির হবো৷ এমন প্রত্যাশা আশা আকাঙ্ক্ষা রেখে এখানেই শেষ করছি৷
ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন৷
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @gopiray |
ডিভাইস | realme 12 |
আমাদের এলাকাতেও এইরকম একটা ছোট বিল রয়েছে। যাইহোক বেশ চমৎকার লাগল আপনার পোস্ট টা। বর্ষার সময়ে বেশি পানি থাকলে বিলগুলো আরও বেশি সুন্দর লাগে কিন্তু ভাই। আর বিলে অনেক ধরনের মাছ পাওয়া যায়। যেগুলোর নাম আপনি বললেন। বিলে দেখছি কচুরিপানা অনেক। বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন।
শুনে ভালো লাগলো যে আপনাদের ওই দিকেও বিল আছে ৷ অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য ৷
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন গ্রামাঞ্চলের বিলের পারে কাটানো মূহুর্ত। আসলে আমিও প্রায় প্রত্যেকদিন বিকেলে আমাদের বাড়ির পাশের বিলে পাশে বসে থাকি মানুষের মাছ ধরা দেখার জন্য। আসলে গ্রামের প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে বেশ ভালোই লাগে। আপনাদের এলাকার বিলের কচুরিপানার ফুল গুলো দেখতে আমার কাছে বেশ অসাধারণ লেগেছে।
একদম ঠিক বলিছেন ভাই গ্রামের প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করার মজাই আলাদা ৷ আর এখন বিলের ধারে কচুরিপানা ফুল গুলো দেখতে সত্যি অসাধারন ৷
নদী নালা খাল বিল আর সবুজের সৌন্দর্য দিয়ে গ্রাম অঞ্চল ঘেরা থাকে।
শহরাঞ্চলে যত ভালো সময় অতিবাহিত করি না কেন গ্রামে এলে যেন বুক ভরে নিঃশ্বাস নিয়ে তার থেকেও বেশি সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারি।
বিলের পাড়ের দারুণ সৌন্দর্য উপভোগ করে ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন খুবই ভালো লাগলো দেখে।
আপনার এই কথার সাথে একমত ভাই ৷ শহরে যত ভালো সময় অতিবাহিত করি না কেনো ৷ গ্রামে এলে গ্রামের প্রকৃতির প্রেমে মুগ্ধ হয়ে যাই ৷ অনেক সুন্দর মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাই ৷
গ্রাম বাংলার এই ধরনের পরিবেশে সময় অতিবাহিত করতে পারলে আসলেই অনেক ভালো লাগে। বিশেষ করে শীতের দিনে অথবা বিকেলের সময় এই ধরনের পরিবেশে সময় অতিবাহিত করতে পারলে সব থেকে বেশি ভালো লাগে। আমিও মাঝে মাঝে বিকেলে আপনাদের ভাইয়াকে নিয়ে এমন পরিবেশে ঘুরতে যেতাম।
হুম আপু শীতের সকালে কিংবা বিকেলে এভাবে প্রকৃতির সাথে ঘোরাঘরি করতে বেশ ভালোই লাগে ৷ আপনার সুন্দর মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু ৷
প্রাকৃতিক পরিবেশের সুন্দর দৃশ্য আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইজান। আপনার এই দৃশ্য গুলো কিন্তু আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। সুন্দরভাবে আপনি তুলে ধরেছেন প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি। অনেক অনেক খুশি হলাম আপনার এই ফটোগ্রাফি গুলো দেখে।
শুনে ভালো লাগলো যে আমার তোলা দৃশ্য গুলো ভালো লেগেছে ৷ আসলেই গ্রামবাংলার প্রকৃতির সৌন্দর্য শেষ নেই ৷ অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই