কবিতা আবৃত্তি // কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের "কৃপণ" কবিতাটির আবৃত্তি।
১০% পে-আউট 'লাজুক-খ্যাক' এর জন্য
স্টিমিটের সহযোদ্ধারা,
"আসসালামুয়ালাইকুম" আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমিও আপনাদের দোয়ায় ভাল আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে আমাদের প্রিয় কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের "কৃপণ" কবিতাটি আবৃতি আকারে শোনানোর চেষ্টা করব।
ছবিটি Pexels থেকে নিয়ে Canva দিয়ে করা।
সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে আমার বাংলা ব্লগের সকলের এতটা উৎসাহ ও অনুপ্রেরনার কারনে আমিও কবিতা আবৃত্তির মাঝে নিজেকে তুলে ধরার চেষ্টা করছি। আসলে কবিতা আবৃত্তি যারা সব সময় করে, কবিতা আবৃত্তির মাহাত্ম্যটা শুধু তারাই বুঝতে পারে। এখানে আমি আমার সাধ্যমত আবৃত্তি করে আপনাদেরকে বিনোদন দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আশা করি আমার আজকের এই কবিতা আবৃত্তিটি আপনাদের ভালো লাগবে।
এই কবিতাটি সম্পর্কে কিছু না বললেই নয় কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই কবিতার মাঝে একজন মানুষ কতটা কৃপণ তা খুব সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। এখানে কবি একজন ভিখারিকে দিয়ে বিষয়টিকে বুঝানোর চেষ্টা করেছেন। ভিখারি যখন ভিক্ষা করতে বের হলেন তখন দেখতে পেলেন তার সামনে খুব সাজসজ্জা করা একজন লোক রথ নিয়ে যাচ্ছিল এবং এটা দেখে ভিখারি অনেক উৎসাহ ও উৎফুল্ল হয়ে ওঠে এবং সে মনে মনে ভাবতে থাকে এখান থেকে অনেক কিছু নিয়ে যেতে পারবে বা এখান থেকে অনেক কিছু ভিক্ষা পাওয়া যাবে। এভাবে সে রথের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল কিন্তু হঠাৎ সে দেখতে পেল রথটি তার সামনে এসেই থেমে গেল। রথের মধ্যে থাকা সাজসজ্জা করা সেই মহারাজাটি তাকে দেখে হাসতে হাসতে নিচে নেমে এলো এবং তার কাছে নিজেই কিছু চাইতে লাগলো। এটা দেখে ভিখারি অবাক হয়ে গেল এবং সে তাকে বলল আমি একজন ভিখারি আমার কাছে তুমি কি চাইতে পারো? তারপরও ভিখারি তার ঝুলি থেকে ছোট একটি কণা পরিমাণ সেই মহারাজকে দিল। এরপর যখন ভিখারিটি বাড়ি ফিরে তার ঝুলি থেকে ভিক্ষা করা জিনিসগুলো বের করল এবং সেখানে দেখতে পেল যেই পরিমাণ ছোট কণা ভিখারি ওই মহারাজাকে দিয়েছিল সেই পরিমাণ ছোট একটি কণা স্বর্ণের আকারে ফেরত পেল। এই দেখে ভিখারি অবাক হয়ে এরপর নিজেই বুঝতে পেরে কাঁদতে লাগলো এবং সে তার কৃপণতাটা বুঝতে পারল আর সে আহাজারি করতে লাগলো সে কেন পুরো ঝুলিটা তাকে দিয়ে দিল না। এই ছিল মূল বিষয়বস্তু।
আমি প্রায় সময় কবিতা আবৃত্তি শুনে থাকি ইউটিউব থেকে, কেন যেন হঠাৎ এই কবিতাটিও আমার এতটা ভালো লেগেছে বলে বোঝাতে পারবো না। তাই আমি আপনাদের মাঝে আমার ভালোলাগা থেকে কবিতা আবৃত্তি করে শোনানোর চেষ্টা করলাম। তাহলে চলুন আমার মুখে আবৃতি আকারে কবিতাটি শুনে নেবেন। আশা করি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।
কবিতার লিরিক
🌹 কৃপণ🌹'
আমি ভিক্ষা করে ফিরতেছিলেম
গ্রামের পথে পথে,
তুমি তখন চলেছিলে
তোমার স্বর্ণরথে।
অপূর্ব এক স্বপ্ন-সম
লাগতেছিল চক্ষে মম--
কী বিচিত্র শোভা তোমার,
কী বিচিত্র সাজ।
আমি মনে ভাবেতেছিলেম,
এ কোন্ মহারাজ।
আজি শুভক্ষণে রাত পোহালো
ভেবেছিলেম তবে,
আজ আমারে দ্বারে দ্বারে
ফিরতে নাহি হবে।
বাহির হতে নাহি হতে
কাহার দেখা পেলেম পথে,
চলিতে রথ ধনধান্য
ছড়াবে দুই ধারে--
মুঠা মুঠা কুড়িয়ে নেব,
নেব ভারে ভারে।
দেখি সহসা রথ থেমে গেল
আমার কাছে এসে,
আমার মুখপানে চেয়ে
নামলে তুমি হেসে।
দেখে মুখের প্রসন্নতা
জুড়িয়ে গেল সকল ব্যথা,
হেনকালে কিসের লাগি
তুমি অকস্মাৎ
"আমায় কিছু দাও গো' বলে
বাড়িয়ে দিলে হাত।
মরি, এ কী কথা রাজাধিরাজ,
"আমায় দাও গো কিছু'!
শুনে ক্ষণকালের তরে
রইনু মাথা-নিচু।
তোমার কী-বা অভাব আছে
ভিখারী ভিক্ষুকের কাছে।
এ কেবল কৌতুকের বশে
আমায় প্রবঞ্চনা।
ঝুলি হতে দিলেম তুলে
একটি ছোটো কণা।
যবে পাত্রখানি ঘরে এনে
উজাড় করি-- এ কী!
ভিক্ষামাঝে একটি ছোটো
সোনার কণা দেখি।
দিলেম যা রাজ-ভিখারীরে
স্বর্ণ হয়ে এল ফিরে,
তখন কাঁদি চোখের জলে
দুটি নয়ন ভরে--
তোমায় কেন দিই নি আমার
সকল শূন্য করে।
শুভেচ্ছান্তে,@alauddinpabel
আমি আলাউদ্দিন পাবেল।
গাজীপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ 🇧🇩 থেকে।
তারিখঃ ১৭-০৭-২০২২ ইং
প্রথমেই আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনি খুব সুন্দর ভাবে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা আবৃত্তি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আবৃতীয় ধরনটা যেমন আমার ভালো লেগেছে, তেমন ভালো লেগেছে কবিতাটি। সুন্দর করে আপনি সাজিয়েছেন ব্লগে। সব মিলিয়ে বলবো দারুণ একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার মূল্যবান সময় ব্যয় করে আমার আবৃত্তি শুনে খুবই গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
সুন্দর একটি কবিতা আবৃত্তি করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনার কবিতা আবৃতি আমি অনেকবার শুনেছি খুবই ভালো লেগেছিল আমার কাছে। পরবর্তীতে আপনার কাছ থেকে এরকম সুন্দর কবিতা আবৃত্তি আশা করব।
আপনাদের ভাল লাগাই আমার সার্থকতা অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে খুবই উৎসাহ মূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য। আর হ্যাঁ অবশ্যই আপনাদের উৎসাহ অনুপ্রেরণায় আমার আবৃত্তির চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
খুব সুন্দর একটি কবিতা আবৃত্তি করেছেন আপনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অসংখ্য কবিতা লিখে গেছে আমাদের জন্য যেগুলো পড়ে পাঠকেরা অনেক বেশি আনন্দ পায়। আর আবৃতি যারা করে তারা কিন্তু খুব সুন্দর ভাবে আবৃত্তি করে থাকে। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে গুছিয়ে আবৃত্তি করেছেন আমার অনেক ভালো লেগেছে শুনে।
আপনি ঠিকই বলেছেন এক্ষেত্রে যারা আবৃত্তি করে বা আবৃত্তি শুনতে পছন্দ করে তারা কিন্তু অনেক অনেক তৃপ্তি পেয়ে থাকে। অসংখ্য ধন্যবাদ খুবই গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
এর আগেও আপনার কবিতা আবৃত্তি শুনেছি অনেক ভালো লাগে। খুব সুন্দর করে কবিতা আবৃত্তি করেন আজকের কৃপণ কবিতাটি খুব সুন্দর ভাবে আবৃত্তি করে তুলে ধরলেন অনেক ভালো লাগলো।
শুনে খুবই খুশি হলাম ভাই আমার কবিতা আবৃত্তি শুনে আপনার খুব ভালো লাগে। আপনাদের ভালো লাগাই আমার সার্থকতা, অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
রবীন্দ্রনাথের কবিতাগুলো আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আমি সময় পেলেই তার কবিতাগুলো পড়ে থাকি। আপনার কন্ঠে কৃপণ কবিতাটি আবৃতি অসম্ভব রকমের সুন্দর হয়েছে। এভাবে চালিয়ে যান ভাইয়া আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
জি ভাই আপনাদের এত এত উৎসাহ অনুপ্রেরণায় চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি, আশা করছি ভবিষ্যতে আরো ভালো ভালো আবৃত্তি পাবেন। অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
এর আগেও আমি আপনার কন্ঠে অনেকগুলো কবিতা আবৃতি শুনেছি খুবই ভালো কবিতা আবৃতি করেন আপনি। আজকে আপনি আমাদের মাঝে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত কৃপণ কবিতাটি আবৃত্তি করে শেয়ার করলেন। আপনার আবৃত্তি করা কবিতাটি আমি পুরোটা শুনলাম খুবই ভালো লাগলো। আশা করি পরবর্তী সময়ে আপনি এই ধরনের আরো অনেক সুন্দর সুন্দর কবিতা আবৃত্তি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন।
আপনার মূল্যবান সময় ব্যয় করে পুরো আবৃত্তিটি শোনার জন্য অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই। আপনাদের এত উৎসাহ ও অনুপ্রেরণায় আরো ভালো কিছু করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।
আপনার কবিতা আবৃত্তি আমার অনেক ভালো লাগে। এই কবিতার আবৃত্তি আগে শুনা হয় নাই আমার। আপনার মুখেই প্রথম শুনেই অনেক ভালো লাগলো। চালিয়ে যান ভাই। পাশে আছি।
পাশে থাকার জন্য অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আপনার কবিতা আবৃত্তি শুনে সত্যি আমি খুব মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আপনি খুব সুন্দর করে অত্যন্ত মিষ্টি কন্ঠে আমাদের মাঝে কবিতাক আবৃত্তি করেছেন । বেশ দুর্দান্ত হয়েছে। শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।