আমার স্মরণীয় একটি দিন// দ্বিতীয় পূর্ণমিলনী ২০০০ ব্যাচ (শেষ পর্ব) ১০% পে-আউট লাজুক খ্যাকের জন্য
প্রথম পর্বের পর থেকে....
- এরপর আমরা সবাই আমাদের অনুষ্ঠান শেষ করে স্কুল থেকে মহামায়া ইকো পার্ক এর উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। এই জন্য আমরা সবাই বের হয়ে বাসে উঠে বসলাম। বাসের মধ্যে আমরা অনেক আনন্দ উল্লাস করেছি। অনেক পুরনো গানগুলো আবার সবাই মিলে একসাথে গেয়ে মনে করার চেষ্টা করেছি। কেউ কবিতা আবৃত্তি করেছে, কেউ অভিনয় করেছে সব বাসের ভিতর আমরা এগুলো করেছি। সত্যি কথা বলতে সেখানে অনেক আনন্দ করেছি বাসের মধ্যে।
- এরপর আমরা দুপুরের মধ্যাহ্ন বিরতি হিসেবে আগে থেকেই হোটেল বুক করা ছিল হোটেল নবাবী সেখানে গিয়ে আমরা সবাই বাস থেকে নেমে হাত মুখ ধুলাম এবং যেহেতু জুম্মার দিন ছিল সবাই জুমার নামাজ পড়ে এই হোটেলে খাওয়া দাওয়া সেরে নিলাম।
- দুপুরের খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আমরা আবার বাসে করে মহামায়া ইকো পার্ক এর উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। মোটামুটি ৪৫ মিনিটের মধ্যে আমরা মহামায়া ইকো পার্কে পৌঁছে গেলাম।
আমরা এখন মহামায়া ইকো পার্কের ভিতর মোটামুটি আধা কিলো রাস্তা হেঁটে আমাদেরকে এই লেকের পাড়ে এসে পৌঁছাতে হলো একটু পাহাড়ি ঊচু-নিচা রাস্তা তাই মোটামুটি সকলের একটু কষ্ট হয়েছিল।
এরপর লেকের কিছু ডিঙ্গি নৌকা ছিল আমরা যারা নিজেরাই নৌকা চালাতে পারবো তারা আলাদা হয়েছে এবং যারা চালাতে পারবে না তারাও আলাদা হল এবং তাদেরকে একটা ইঞ্জিন চালিত নৌকা ব্যবস্থা করে দিলাম আর আমরা মোটামুটি দুজন দুজন করে ছয়টা ডিঙ্গি নৌকা ভাড়া নিলাম। আর এটাই ছিল আমাদের লেকের আনন্দের বিশাল একটা পাওয়া। যেখানে আমরা নিজেরাই নৌকা চালিয়ে অনেক দূরে চলে গিয়েছিলাম এবং সবাই মোটামুটি মাঝখানে গিয়ে একজন একজনের ছবি তুললাম অনেক মজা লাগলো অনেক আনন্দ পেয়েছি সবাই।
- যেহেতু আমরা ডিঙ্গি নৌকাটি আধা ঘন্টার জন্য ভাড়া করেছিলাম তাই আমাদের আধাঘন্টা শেষ হয়ে যাওয়ার পরে আমরা সেখান থেকে চলে আসি এবং আমরা বসে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেওয়ার জন্য আমাদের অন্যান্য সদস্যরা একটি তাঁবুর টাঙ্গানোর ব্যবস্থা করেছিল এবং সেখানে বসে মোটামুটি আমরা সবাই বিশ্রাম নিয়েছি। তাছাড়াও সেখানে আমাদের ভ্রাম্যমান ছোট্ট একটি গ্যাস চুলা সিলিন্ডার এর সাহায্যে কফি বানিয়ে খেয়ে ছিলাম সেটাও অনেক মজার ছিল। কফি খেতে পারব সেখানে গিয়ে আসলে কল্পনাও করিনি কিন্তু আমাদের এক বন্ধুর সহযোগিতায় আমাদের এই কফি খাওয়াটা হয়েছিল।
লোকেশন
- আর এভাবেই আমরা সবাই কফি খাওয়ার মধ্য দিয়ে সবাই মিলে বসে সন্ধ্যা পর্যন্ত আড্ডা দেওয়ার ও আরো বিভিন্ন জায়গা ঘুরাঘুরি মাধ্যমে আমরা আমাদের এই পুনমিলনী অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন করি। এবং সেখান থেকে বেরিয়ে আমরা বাসে করে আবার যার যার গন্তব্য স্থলে চলে যাই।
আমি আমার অনুভূতি ও আনন্দঘন মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। আমার কাছে ভালো লেগেছে আশা করি আপনাদের কাছেও ভাল লাগবে। ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আর আমার আনন্দঘন মুহূর্ত ও অনুভূতি গুলো কেমন লেগেছে আপনাদের মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন।
শুভেচ্ছান্তে,@alauddinpabel
বিভাগ | ফটোগ্রাফি |
---|---|
ডিভাইস | রেডমি নোট ১০এস |
লোকেশন | গাজীপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ 🇧🇩 |
ফটোগ্রাফার | @alauddinpabel |
অনেক অনেক আনন্দ করেছেন। পুরোনকে ফিরে পাওয়ার মজাই আলাদা। সকলে আবার একসাথে কিছু সময় কাটিয়ে ভিন্ন পথে রওনা হওয়া। সব মিলিয়ে একটা আনন্দ ও বেদনা ঘন মূহুর্ত । ধন্যবাদ আপনাকে এত সন্দর মূহুর্ত গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ঠিক বলেছেন পুরনোকে ফিরে পাওয়ার মজাই আলাদা। এবং অনেক মজা করেছি মজা হয়েছে তা দেখে বুঝতে পারছেন। শুভকামনা আপনার জন্য।
আপনি দেখছি অনেক মজা করেছেন।আপনাদের কফি বানানো দেখে আমার এখন কফি খেতে ইচ্ছে করছে। আপনি সব কিছু বেশ সাজিয়ে লিখেছেন, অনেক ধন্যবাদ তার জন্যে আপনাকে।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু ঠিকই বলেছেন কফি খাওয়ার কোন প্ল্যানই ছিলনা কিন্তু এক বন্ধুর সহযোগিতায় এত সুন্দর একটি কফি খাওয়ার আয়োজন হয়েছিল। বলতে গেলে খুব ভালো লেগেছিল। শুভকামনা অবিরাম আপনার জন্য।