ভাতা পাচ্ছে কারা?
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আমার জানামতে আমাদের দেশে বেশ কিছু ভাতা দেওয়া হয় সরকার কর্তৃক । যেমন প্রতিবন্ধী ভাতা, বিধবা ভাতা, গর্ভবতী ভাতা ইত্যাদি ইত্যাদি। যদিও আমি সবকিছুর নাম জানিনা এমনকি আমি গ্রামে গিয়ে একবার বয়স্ক ভাতার নাম শুনেছি। এবং তাদেরকে আসলে বিভিন্ন ধরনের কার্ড প্রোভাইড করা হয়। যেসব কার্ডের মাধ্যমে তারা মাসের কিছু নির্দিষ্ট সময় কিংবা প্রতি মাসের কিছু নির্দিষ্ট কিংবা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে খুব কম দামে জিনিস কিনতে পারেন অর্থাৎ দোকানের চেয়ে কম দামে।
কিন্তু কয়েকদিন আগে যে নিউজ টা দেখলাম। সেটা দেখে আমি সত্যিই খুব অবাক হয়েছি। কারণ প্রতিটি জেলা কিংবা এলাকাতেই যারা ভাতা পায় তাদের একটা লিস্ট করা থাকে সরকারি অফিসে। তো সেখানকার ই একটি ছবি হয়তো কোনো ভাবে লিক হয়েছে কিংবা কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে করেছে। তো সেখানে ওই ভাতার লিস্টে যাদের নাম গুলো লেখা ছিলো। তারা হলো বিভিন্ন বড় বড় মন্ত্রী মিনিস্টার এর আত্মীয়-স্বজন কিংবা তাদের খুব ক্লোজ কেও।
এ ব্যাপারটা দেখে আমি সত্যিই অবাক হয়েছি। কারণ ভাতা কিন্তু অনেক পরিমাণে দেওয়া হয় না, লিমিটেড একটা এমাউন্ট ই দেওয়া হয়। যেটা হয়তো অনেক সময় একটা মানুষের জন্য পর্যাপ্ত না ও হতে পারে। সেটা একেবারে আলাদা ব্যাপার। কিন্তু একটা মন্ত্রী মিনিস্টার কি করে এই গরিব অসহায় মানুষদের ভাতা খায়! সেটা সত্যিই আমার বোধগম্য হয় না এবং ভাবলেই লজ্জা লাগে। যেই মানুষগুলোকে কিনা আমরা একদিন অনেক বেশি ভালো বলেছিলাম এবং সে কারণেই তাদের ভোট দিয়েছিলাম।
তাই আমি মনে করি যে সরকারের অন্তত কয়েক মাস পর পর এটা দেখতে আসা উচিত যে তারা ভাতা ঠিক ঠাক পাচ্ছে নাকি। নাকি সবকিছু কর্মকর্তাদের পকেটেই ঢুকছে।কারণ এই ভাতা গুলো শুধু মাত্র যাদের প্রয়োজন তাদের জন্যই সরকার দিচ্ছেন। আর নিয়ে নিচ্ছে অনৈতিক ভাবে।
সরকার কিন্তু বিভিন্ন ধরনের ভাতা ঠিকই দিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু অসহায় মানুষেরা সেই ভাতা খুবই কম পায়। এই ভাতা মূলত জনপ্রতিনিধি কিংবা তাদের কাছের মানুষজনেরা পেয়ে থাকে। মোটকথা যাদের সামর্থ্য রয়েছে, তারা এই ভাতা পাওয়ার জন্য আরও বেশি আগ্রহী। আসলে তাদের মন-মানসিকতা পশুর চেয়েও নিকৃষ্ট। তাই সরকারের উচিত টিসিবি কার্ডের মাধ্যমে কারা কারা কমদামে জিনিসপত্র কিনতে পারছে, সেই ব্যাপারে খুব ভালোভাবে তদারকি করা। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।