দিন দিন বাড়ছে কৃষি জীবি মানুষ, কমিয়ে আসছে আবাদি জমি
আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
মঙ্গলবার, ১৪ ই জানুয়ারি ২০২৪ ইং
আমাদের দেশ কৃষি প্রধান দেশ। আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল। বিশেষ করে যারা গ্ৰাম এলাকার মধ্যে বসবাস করে থাকেন, তারা প্রত্যেকেই কৃষি উপর নির্ভর করে জীবন পরিচালনা করে থাকেন। তবে, অল্প কিছু সংখ্যক মানুষ ব্যবসা ও করে থাকেন। ব্যবসায়ীদের সংখ্যা খুবই কম, কৃষকের সংখ্যা একটু বেশি। আপনারা যারা গ্ৰামের মধ্যে বসবাস করে থাকেন তারা হয়তো প্রত্যেকেই এই বিষয়ে অবগত আছেন।আর যারা শহরের মধ্যে বসবাস করে থাকেন তারা ও এই বিষয়ে অবগত আছেন। যতই দিন যাচ্ছে ততই কৃষকদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে আমাদের দেশের মধ্যে। তবে, আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতের সম্পর্কে আমার জানা নেই , কেউ জানলে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।
আপনারা হয়তো সকলেই অবগত আছেন যে, দেশ কৃষি খাতে যত বেশি এগিয়ে রয়েছে, সে দেশ তত বেশি উন্নত। কিন্তু আমাদের দেশের কৃষিখাত এখনো অনেক দেশের তুলনায় অনেক বেশি পিছিয়ে রয়েছে। আশা করছি ভবিষ্যতে আমাদের দেশ ও কৃষির দিক দিয়ে অনেক বেশি এগিয়ে যাবে। কিন্তু এক সময় আমাদের দেশের মধ্যে শুধু মাত্র যারা গ্ৰাম এলাকার মধ্যে বসবাস করেন এবং কোন ধরনের চাকরি কিংবা ব্যবসা বাণিজ্য করেন না, শুধু মাত্র তারাই কৃষি কাজে অভ্যস্ত ছিলেন। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে এখন সব কিছু একদম পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। এখন আমাদের দেশের সর্বস্তরের মানুষ কৃষি কাজে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
কৃষি কাজের মধ্যে অভ্যস্ত হ ওয়ার মূল কারণ হলো বর্তমান কৃষি খাতে অনেক বেশি লাভবান হচ্ছে কৃষকেরা।সকলেই কৃষি কাজের মধ্যে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছেন, এটা আসলেই আমাদের জন্য ভালো। তবে, এক সময় দেখা যেত গ্ৰাম এলাকার মাঠে ঘাটে বিভিন্ন ধরনের জমি পড়ে থাকতো, সে গুলো চাষ করার মতো কোনো কৃষক ছিল না। কিন্তু এখন সে সব জমির মধ্যে বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিংবা বাড়ি ঘর হয়ে গিয়েছে এবং অনেক গুলো জমি বন্ধ হয়ে গিয়েছে।জমি সংকটাপন্ন সময়ে গ্ৰাম এলাকা গুলোর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে কৃষকের উদ্ভব হয়েছে।আগে যেসব জমি সারা বছর জুড়ে পড়ে থাকতো, এখন সেসব জমি গুলো চাষের উপযোগী করে তোলা হয়েছে।
অনেকেই আছেন যারা কয়েক বছর আগে তাদের সকল জমি গুলো অন্য কোন মানুষের মাধ্যমে কোন একটি সিস্টেমের মাধ্যমে চাষ করাতেন। কিন্তু বর্তমান সময়ে প্রতিটি জমি ওয়ালা নিজ হাতে তাদের জমি গুলো চাষ করছেন। এক্ষেত্রে গ্ৰামের অনেক গরীব মানুষ আর তেমন একটা জমি চাষ করতে সুযোগ পাচ্ছেন না।আরো ভবিষ্যতে কী অবস্থা হবে, তা আসলে এখন বলা যাচ্ছে না। সময়ের ব্যবধানে সব কিছুর একদম পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে।আগে যারা কৃষকদের কে দেখতে পারতেন না, তারা এখন নিজেরাই কৃষকে পরিণত হয়েছে।এটা আসলেই একটি ম্যাজিক্যাল ব্যাপার।
আমাদের দেশ থেকে ধীরে ধীরে আবাদি জমি শেষ হয়ে যাচ্ছে। এরফলে অনেক কৃষক কৃষি কাজ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।এটা আসলেই আমাদের দেশের মানুষের জন্য খুবই দুর্ভাগ্যজনক।শত শত বিঘা জমি নষ্ট করে বিভিন্ন ধরনের দালানকোঠা বিল্ডিং তৈরি করা হচ্ছে। আবাদি জমি নষ্ট করে বিভিন্ন ধরনের বড় বড় হাইওয়ে তৈরি করা হচ্ছে। আমার এই অল্প বয়সে আমার চোখের সামনে অনেক জমি নষ্ট হয়ে যাওয়া দেখেছি। যাইহোক, আমরা যেন সামনের দিকে কৃষি খাত কে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি। আমাদের দেশের কৃষকেরা আরো বেশি জমি চাষ করতে আগ্রহী হোক, আমি এমনটাই প্রত্যাশা করছি।
সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Vote@bangla.witness as witness
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আমাদের দেশের কৃষি খাতকে টিকিয়ে রাখতে আবাদি জমি রক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জমি নষ্ট হওয়া রোধে সঠিক পরিকল্পনা এবং টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা দরকার। কৃষকদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি এবং আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার তাদের আরও উৎসাহিত করবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় কৃষি খাতের উন্নতি সম্ভব।আজকে আপনি আপনার পোষ্টের মাধ্যমে খুব সুন্দর ভাবে বিষয়টি আলোচনা করেছেন। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
বর্তমান কৃষকেরা চাষাবাদ একটু বেশি মনোযোগী হয়ে গেছে। এমনকি মানুষ বাইরে থাকলেও নিজের জমি নিজেই চাষ করছে। ফসলের অনেক দাম বৃদ্ধি পাওয়াতে এমনটা দেখা যাচ্ছে গ্রামাঞ্চলে। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে এই বিষয়টা তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া।
বর্তমান সময়ে কৃষকেরা চাষাবাদের প্রতি একটু বেশি মনোযোগী হয়ে গিয়েছে। বিশেষ করে আলু চাষাবাদের দিকে একটু বেশি নজর দিয়েছে।গত বছরের তুলনায় এবার তিন গুণ কিংবা চার গুণ বেশি আলুর চাষ করা হয়েছে। ফসলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকরা একটু বেশি মনোযোগী হয়েছে। আপনাকে ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আপনি ঠিক বলেছেন, দিন দিন বাড়ছে কৃষি জীবি মানুষ, কমিয়ে আসছে আবাদি জমি। আমাদের আবাদি জমি কমছে আসছে কিন্তু কৃষকের সংখ্যা বাড়ছে। কৃষি কাজের উপর আমাদের জীবন নির্ভরশীল। কৃষকদের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি এবং আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করতে পারলে কৃষিকাজে সফলতা আরো আসবে। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
কৃষি কাজে লাভ রয়েছে এটা সত্য কিন্তু মাঝে মধ্যে বাজারের পরিস্থিতি খারাপ হয়ে গেলে ফুলকপির মত হয়ে যায়। একটা সময় এক পিস ফুলকপির মূল্য ছিল ৫০ থেকে ১০০ টাকা আর এখন ৫ টাকা। যাই হোক মানুষ কৃষি কাজে নিয়োজিত হলে আমাদের জন্য ভালো। শাকসবজি উৎপাদন করার মধ্য দিয়ে দেশের বাজারগুলোর নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে এবং মানুষ দুবেলা দুমুঠো খেয়ে পরে বাঁচতে পারবে।
আসলে সত্যি কথা কি বলতে, দিন দিন ব্যাপক পরিমাণ মানুষ বেড়ে চলেছে যার জন্য ফসলের জমি কমে আসছে। কৃষি কাজ করা মানুষের সংখ্যা আমাদের এলাকায় খুবই কম। প্রয়োজনে তো লেবার পাওয়া যায় না। তবে কৃষি জায়গা ফেলে না রেখে কৃষিকাজ করাটা উত্তম জ্ঞান।
অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাই। আসলে প্রত্যেকদিন আমাদের মাঝখান থেকে আবাদি জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। কিন্তু প্রতিদিন আমাদের কৃষি জমির চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে কৃষি কাজ করে কৃষকেরা যে অধিক লাভবান হচ্ছে এমনটা কখনোই না, কিছু মৌসুমে অল্প কৃষক তাদের ফসল উৎপাদন করে লাভবান হয় কিন্তু অধিকাংশ কৃষকই ক্ষতির সম্মুখীন হয়। যেমন বর্তমান সময়ে যে সমস্ত কৃষকেরা সবজি চাষাবাদ করেছেন তাদের ৯০ শতাংশ কৃষকই ক্ষতির সম্মুখীন।
কথাগুলো একেবারে ঠিক বলেছেন ভাই। কৃষিতে যে দেশ যতটা স্বয়ংসম্পূর্ণ তাদের খাদ্য ঘাটতি তত কম। তবে অনেক আগে থেকেই এমনটা দেখা যাচ্ছে। ক্রমাগত কৃষি জমির পরিমাণ কমছে। এটা বেশ কয়েকটা কারণে হচ্ছে। বিষয় টা দারুণ ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন আপনি।।