বিকেলে বড়া খেতে যাওয়ার অনুভূতি।।
হ্যালো বন্ধুরা
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিমেট কমিউনিটির বন্ধু গণ আপনারা সবাই কেমন আছেন? আমি @biplob89 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (২১/০৮/২০২৪) রোজ: বুধবার।
💞 শুভ বিকেল 💞
আপনারা জানেন আমি ইতিপূর্বে আমার এই ইন্টার ফাইনাল পরীক্ষা অর্থাৎ এইচএসসি বোর্ড পরীক্ষার জন্য আমি সাময়িক ছুটি নিয়েছি। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে আবার কাজের ধারাবাহিকতাই ফিরে আসার চেষ্টা করছি।
আজকে সকালে ঘুম থেকে উঠি। তারপর ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করি। নাস্তা শেষ করে একটু রেস্ট করি। এরপরে দুপুরে গোসল করে খাবার খাই। খাবার খাওয়া শেষ করে ঘুমের জন্য বিছানায় যাই। আজকে আর ঘুম হয়েছিল না। কারণ ঘুমাতে যাওয়ার সময় একটা ফোন এলো। দেখি আমার চাচাতো ভাই আজকে চলে যাবে। সে ফোন দিয়ে আমাকে বলল তাকে বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছে দিতে। এমনকি দুইটা ত্রিশের দিকে বাসা থেকে বের হতে। তাই আমি আর দেরি না করে রেডি হয়ে নিলাম। এরপর গাড়ি বের করে ভাইকে বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছানোর জন্য গাংনীতে যায়। বাজারে আমার আরো অনেক কাজ ছিল। তাই কাজগুলো শেষ করে শেষমেশ বাসায় আসি। বাসায় এসে ভাবলাম একটা পোস্ট শেয়ার করা যাক। তাই পোস্ট লিখতে বসলাম।
তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আজকের পোস্টটি শেয়ার করা যাক।
প্রতিদিন বিকেল সময়টা আমার একটু অন্যভাবেই কাটে। কখনো খেলার মাঠে আবার কখনো ঘুরতে যাওয়া আবার কখনো খেতে যাওয়ার মধ্য দিয়ে বিকেলের মুহূর্ত আমি পার করে থাকি। এইতো গত সোমবারে আমাদের গ্রামের পাশের গ্রামের হাট ছিল। গ্রামটির নাম হচ্ছে রায়পুর বাজার। রায়পুর বাজারে খুবই ভালো বড়া পাওয়া যায়। এমনকি বলার জন্য ফেমাস হায়দার বড়া। এই বড়া খেতে হলে সিরিয়াল দিতে হয়। নিশ্চয়ই বিষয়টা বুঝতে পেরেছেন কতটা ফেভারিট। তো বিকেলে মোটরসাইকেল নিয়ে রায়পুর বাজারে গেলাম। বড়া খাওয়ার উদ্দেশ্যে। গিয়ে দেখলাম লোকের চাপ রয়েছে। তবে গত সোমবারে যেতে যেতেই বড়া পেয়ে গেলাম । যে বড়া খাওয়ার জন্য অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। বড়ার দোকানে গিয়ে পরের ছবিটি আমি সংগ্রহ করি। আমার সাথে ছোট একটা কাকু গিয়ে। বিকেলে তাকে ফোন দিয়ে বললাম চলো বড়া খেয়ে আসি সে রাজি হল। তাই আমি তাকে নিয়ে বড়া খেতে গেলাম। আমরা দুইজন ছিলাম তাই ১৫০ গ্ৰাম বড়া ক্রয় করলাম। আমারে বলার মূল্য নিয়েছিল ৪৫ টাকা। এরপরে সেখান থেকে পড়া নিয়ে আরো একটু সামনের দিকে রওনা দিলাম।
একটু সামনে গিয়ে রোডের পাশে দেখি অনেকগুলো গাছ রয়েছে। মনে চায় গাছগুলা রাস্তার পাশেই রাখা হয়েছে। তাই ভাবলাম এই গাছের গুড়িতে বসেই বড়া খাওয়া যাক। তাই গাড়ি রাস্তার একপাসে সাইড করে রাখলাম। সত্যিই আজ দুই দিনের বিকেলের আবহাওয়াটা সেভাবে আর হচ্ছে না। কেননা বিকেল হতে শুধু বৃষ্টি। তাছাড়া সব সময় আকাশে মেঘ জমে রয়েছে। তবে গত সোমবারে বিকেলে আকাশটা ছিল খুবই সুন্দর। এবং আবহাওয়াটা ছিল ভালো। এরপর গাড়ি এক পাশে রেখে গাছের গুড়িতে বসলাম । সত্যি রাস্তার পাশে এভাবে গাছের গুড়িতে বসে খুবই ভালো লেগেছে। এভাবে বসে বড়া খেতে বেশ মজা পেয়েছি। তাছাড়া রাস্তার পাশেই ছিল বড় মাঠ। আর খুব সুন্দর বাতাস বয়ে ছিল। সব মিলিয়ে সাড়ে পাঁচটায় ছিল খুব সুন্দর এবং বেশ দুর্দান্ত একটা মুহূর্ত। এমন সুন্দর একটা মুহূর্তে বড়া খাওয়ার মধ্য দিয়ে সময়টা পার করতে পেরে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আর সেই ভালোলাগা থেকে উপরের ছবিগুলো আমি সংগ্রহ করেছি। উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন আমি যেটা সেলফিতে নিয়েছি এখানে আমার পাশের ছোট কাকু বসে রয়েছে। তারপর দুজনা কথা বলতে বলতে বড়া খেলাম। এরপরে ঠিক সন্ধ্যার আগেই বড়া খাওয়া শেষ করলাম। বড়া খাওয়া শেষ করে গাড়িতে উঠে রওনা দিলাম বাড়িতে। এভাবে গত সোমবারে বিকেলের মুহূর্তটা পার করতে পেরে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছিল। তাই সেই ভালো লাগাটুকু আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম ।
টেবিল ০১ | টেবিল ০২ |
---|---|
ডিভাইস | OPPO A15 |
পোস্ট তৈরি | @biplob89 |
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
মাঝে মাঝে বাইরের কোন পরিবেশে ঘুরতে যেতে এবং সেখানে বড়া বা ঝাল মুড়ি খেতে খুবই ভালো লাগে। ঠিক তেমন একটা দারুণ অনুভূতি আমাদের মাঝে প্রকাশ করেছেন আপনি। অনেক ভালো লাগলো এই বিকেল মুহূর্তে সুন্দর এক অনুভূতি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন দেখে।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপনি তাহলে এইচএসসি পরীক্ষার্থী।বৃষ্টির দিনে বড়া খাওয়ার মজাই আলাদা।কিন্তু আপনি ঠিক কিসের বড়া খেয়েছেন বুঝলাম না।যাইহোক ভালোই সময় পার করেছেন বড়া খাওয়ার মাধ্যমে, আপনার জন্য শুভকামনা রইলো ভাইয়া।
এইটা হচ্ছে রেশম ময়দার তৈরি বড়া যেগুলো বাজারে বিক্রি করা হয়। ধন্যবাদ আপু।
আপনি আসলে ভাই বড়া বলতে কি বুঝিয়েছেন আমি ঠিক বুঝতে পারলাম না। হয়তো ফটোগ্রাফি শেয়ার করলে মোটামুটি একটা ধারণা হতো। যাইহোক, তারপরও আপনারা হাটে গিয়ে বিখ্যাত দোকানের বড়া খেয়েছেন, সেটা জেনে খুব ভালো লাগছে। আসলে মাঝে মধ্যে এরকম ঘুরতে বেরিয়ে টুকটাক খাওয়া-দাওয়া করলে বেশ ভালো লাগে। আর পাশে যদি থাকে একজন গল্প করার লোক, তাহলে তো অনেক ভালো হয়।
ভাইয়া পিয়াজুবড়া ধন্যবাদ আপনার মতামতটি শেয়ার করার জন্য।