অতিরিক্ত শাসনে অশান্তি!
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
একটা পরিবারে সবকিছুই দরকার হয়। অর্থাৎ শাসন, আদর, ভালোবাসা, যত্ন সবকিছু নিয়েই কিন্তু একটা পরিবারের সুখ শান্তি বজায় থাকে। অর্থাৎ পৃথিবীর সবকিছু যেমন ব্যালেন্স করে করতে হয়। ঠিক তেমনটাই, পরিবারের শাসন টাও কিন্তু ব্যালেন্স করে করতে হয়। যেটা আসলে অনেক বাবা-মা কোনোভাবেই বুঝতে চায় না এবং যে কারণে অনেক পরিবার রয়েছে। যেই পরিবারগুলোতে সব সময় অশান্তি লেগেই থাকে।
একটা ব্যাপার খেয়াল করবেন যে, যেসব পরিবারের বাবা-মা এবং সন্তানদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। সেসব পরিবারে মূলতো সন্তানেরা অবাধ্য কম হয়। কিংবা সন্তানেরা যদি কোনো খারাপ কিছুর সাথেও জড়িয়ে পরে। তাও তারা বাবা-মায়ের সাথে সে সবকিছু শেয়ার করে এবং এতে করে বাবা মায়েরা সময় থাকতে সন্তানদেরকে ভালো পথে ফিরিয়ে আনতে পারে।
কিন্তু অনেক পরিবারে দেখবেন যে বাবা-মা এমন ভাবে শাসন করার একটি প্রবণতা গড়ে তোলে। যে পরিবারের সন্তানেরা ভুলে কোনো কিছু করে ফেললেও সেটা তারা কোনোভাবে বাবা-মায়ের সাথে শেয়ার করে না। এটা কিন্তু আসলে সবচেয়ে বড় লসটা বাবা-মা এর ই হয়।
কারণ এই যে সন্তান একটা ভুল করে বাবা মায়ের সাথে শেয়ার করছে না এবং সেই ভুল করার কারণে আরো অনেক বড় ভুল এর পদক্ষেপ নিচ্ছে। এতে কিন্তু সে সন্তানগুলোর ভবিষ্যৎ একেবারে জন্য নষ্ট করে দেয়। আর আমি মনে করি, যার একমাত্র দায়ী সেই অতিরিক্ত শাসন করা বাবা-মা গুলো।
আমি মনে করি, সন্তান ভালোভাবে মানুষ করা যায় খুব সুন্দর সবকিছু ব্যালেন্স করার মাধ্যমে। অতিরিক্ত শাসনে আসলে ঘরে অশান্তি ছাড়া আর কোনো কিছুই আসে না।
আর কোনো পরিবারে যদি একবার এই অশান্তির ছায়াটি পরে যায়।তবে সে পরিবারটি কখনোই সে অশান্তি থেকে ঘুরে দাড়াতে পারে না।কারণ বাবা মা ও সন্তানদের মাঝে যদি একবার দূরত্বের দেওয়ালটা সৃষ্টি হয়েই যায়।তবে সে দেওয়ালটা ভাঙ্গা বা টপকানো অনেকটা অসম্ভব হয়ে পরে।তাই অতিরিক্ত আদর যেমন পরিবেশ ও মানুষ নষ্ট করে।ঠিক তেমনটাই অতিরিক্ত শাসন ও সম্পর্ক নষ্ট করে।
খুব সুন্দর ও গুরুত্বপূর্ণ কথা আজকের পোস্টে তুলে ধরেছেন আপনি।আসলে অতিরিক্ত ভালোবাসা যেমন ক্ষতিকর ঠিক তেমনি অতিরিক্ত শাসনও।একদমই ঠিক বলেছেন বাবা মায়ের অতিরিক্ত শাসনের ফলে কোন অকাঙ্খািত কাজ করলে তা গোপন রাখে।যদি মা,বাবার সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকে তাহলে সব কিছু শেয়ার করে এবং যদি কোন ভুল কাজ করে তাহলে অতিসহজেই বুঝে তা সুধরানো সম্ভব হয়।ধন্যবাদ সুন্দর বিষয়ে আলোচনা করে পোস্ট টি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
অতিরিক্ত আদর এবং অতিরিক্ত শাসন কোনোটাই ভালো নয়। কারণ মা বাবার অতিরিক্ত শাসনের ফলে, সন্তানেরা অনেক সময় জেদের বশে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে জীবনটাকে এলোমেলো করে ফেলে। আবার অতিরিক্ত আদরের কারণে অনেক সময় সন্তানেরা একেবারে মাথায় উঠে যায়। যাইহোক শাসন করা ভালো,তবে অতিরিক্ত শাসন করা মোটেই উচিত নয়। তার চেয়ে ভালো হয়,যদি সন্তানদেরকে বুঝিয়ে শুনিয়ে সবকিছু করানো যায়। এতো চমৎকার একটি টপিক নিয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
খুবই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। সন্তানদের সাথে মা-বাবারা সব সময় বন্ধুত্বসুলভ আচরণ করা উচিত। তখন পরিবারের সদস্যরা বাবা মায়ের অবাধ্য কম হয়। অতিরিক্ত শাসনের কারণে তাদের মনে ভয়ভীতি ঢুকে যায়, যার কারণে সন্তানেরা লুকিয়ে অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে যায়। তাই অতিরিক্ত শাসনও সমস্যা, শাসনহীনতাও সমস্যা। খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। যার কারণে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।