আমার আজকের পোস্ট || নেশা(প্রথম খন্ড):
বিসমিল্লাহির রাহমানির রহীম।আসসালামু আলাইকুম |
---|
তারিখঃ
ইংরেজিঃ-১১ই ফেব্রুয়ারী, ২০২৩।
আরবিঃ-১৮ই রজব, ১৪৪৪ হিজরি।
বাংলাঃ-২৮ শে মাঘ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
হ্যালো বন্ধুরা, আজ শনিবার ১১ই ফেব্রুয়ারিতে চলে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন আর ও একটি পোস্ট নিয়েঃ |
---|
![]() |
---|
Copyright free image source:pixels
যাই হোক বন্ধুরা নতুন বিষয় এবং নতুন একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। আজকের পোস্টেটি একটু ব্যতিক্রমী। আশা করছি সবার ভালো লাগবে এবং এই পোস্টটি কিছুটা হলেও আমাদের অভিভাবকদের দৃষ্টিকে কিছুটা খুলে দেয়।
নেশা, কথাটা শুনলেই কেমন যেন মনে হয় নেশা। নেশা মানে বিভিন্ন নেশা জাতীয় দ্রব্য। আমি চাচ্ছি না যে এই নেশা জাতীয় দ্রব্যগুলোর নাম এখানে উল্লেখ করি। কিন্তু আমি যে নেশার কথা নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি সেটা হলো বর্তমান সময়ে আমাদের প্রজন্মের কিছু খেলার নেশা। আমাদের ছেলে মেয়েরা নানান খেলার নেশায় মক্ত থাকেন।
বিশেষ করে ১০-২০ বছরের ছেলেদের মধ্যে এই প্রবনতাটা সবচেয়ে বেশি পরিলক্ষিত হয়। দশ থেকে ২০ বছরের ছেলেদের কথা কেন বলছি আমার ছেলের বয়স সাড়ে সাত বছর সেই আমার কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে বিভিন্ন গেম ডাউনলোড করে তার খেলতে থাকে। এই সব খেলার প্রভাবে আমাদের এই কোমলমতি ছেলে মেয়েগুলো বিপথে চলে যাচ্ছে। এদের হাতে স্মার্ট ফোন থাকা মানে এরা সুযোগ পেলেই এই সব অনলাইন গেমে আসক্ত হয়ে যাচ্ছে।
![]() |
---|
Copyright free image source:pixels
রাত নেই, দিন নাই, সকাল নাই, দুপুর নাই যে কোন সময়ই এরা এই সব অনলাইন গেমে আসক্ত হয়ে পড়ে। এরা শুধু যে একা একা এই গেম খেলে এমনটি নয়, এদের একটা বন্ধু সার্কেল আছে যারা একসাথে একই সময় অনলাইনে এই গেম খেলে। গেইম খেলার সময় অনেকে এমন বাজে সাউন্ড করে যেগুলো শুনলে মনে হয় এরা কারো সাথে মোবাইলে ঝগড়া করছে বা নিজে পাগল হয়ে গেছে। এরা শুধু পরিচিত বা বন্ধু বান্ধবদের সাথে খেলে এমনটিই নয়। এরা অপরিচিত এবং বাংলাদেশের বাহিরে ও খেলে থাকে।
এইসব অনলাইন খেলার মধ্যে যেগুলো বর্তমানে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় সেগুলো হচ্ছে-পাবজি গেম, ফ্রী ফায়ার, লুডু কিং ইত্যাদি। এসব খেলায় আমাদের প্রজন্ম এতটাই আসক্ত যে এদেরকে কোন ভাবেই ফেরানো যাচ্ছে না। এইসব অনলাইন গেম খেলতে কিন্তু মোটামুটি একটা খরচ ও আছে। যার জন্য এরা অনেক সময় এসব খেলার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে নানা রকম অকারেন্স করে থাকেন।
বন্ধুরা নেশার প্রথম পর্বে আমি এই পর্যন্ত আজকে আপনাদের মাঝে তুলে ধরলাম। আগামী পর্বে নেশা গল্পের আরও তথ্য আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। বন্ধুরা আজকের পোস্টটি আপনাদের কাছে কেমন লাগলো সেটি কমেন্টর মাধ্যমে জানিয়ে দিবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।

আপনি আজকে খুব বাস্তব একটি বিষয় নিয়ে আমাদের মাঝে আলোকপাত করেছেন। আসলে বর্তমান প্রজন্মের ছেলে মেয়েরা মোবাইল ছাড়া কোন কিছুই বুঝে না। মোবাইলে কাটুন দেখে বা, গেম খেলে এ ছাড়া তারা কোনভাবে বাইরে খেলাধুলা করে না। গেম খেলা আর কাটুন দেখা এক ধরনের নেশাতে পরিণত হয়েছে। আপনার পোস্ট পড়ে ভালো লাগলো অনেক গুলো বিষয়ে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
এখনকার বাচ্চারা ভার্চুয়াল। আর সারাদিন অনলাইনে সময় কাটায়। কেউ ভিডিও দেখে ,কার্টুন দেখে, কেউ গেমস খেলে, কেউবা ভালো পথে ভালো কিছু খোঁজার চেষ্টা করে। কিন্তু এখনকার বাচ্চারা গেমস এর প্রতি বেশি আসক্ত। ঠিক বলেছেন ভাই এসব গেমস জন্য এখন অনেক টাকাও খরচ করে। আপনার আজকের পোস্টটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল ভাই। আপনাকে ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য
দারুন একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আজ আপনি তুলে ধরেছেন ভাই । অনলাইন গেম এর প্রতি ছেলেরাই বেশি আসক্ত । তারা গেম খেলার জন্য গ্রুপ করে নিয়ে দিনরাত সব সময় এই কাজে আসক্ত থাকে যা সত্যিই আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য বিপদজনক একটা ব্যাপার। জনপ্রিয় গেম পাবজি, ফ্রী ফায়ার, লুডু কিং এর প্রতি তারা এতটাই আসক্ত তাদেরকে গেমের ভিতর থেকে ফেরানো খুব কষ্টকর হয়ে পড়েছে এখন। যেসব গেম খেলার জন্য টাকা প্রয়োজন হয় সেই টাকার জোগাড় করতে গিয়ে তারা অনেক ধরনের খারাপ কাজের মধ্যে জড়িয়ে পড়ে।