source
আমি আজকে "আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা - ৪৩ আমার জীবনে প্রথম অনলাইন ইনকামের অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য হাজির হয়েছি।প্রতিযোগিতা মানেই নতুন কিছু, আমার কাছে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে বেশ ভালোই লাগে।যাই হোক এবারের প্রতিযোগিতা একটু ভিন্ন রকম আয়োজন করা হয়েছে। আসলে আমি রাইটিং পোস্ট গুলো খুব কমই সাজিয়ে লিখতে পারি,তারপরও অংশগ্রহনের জন্য চেষ্টা করেছি আশা করি কিছুটা হলেও ভালো লাগবে।
আসলে আমি অনলাইন এ আর্নিং কি জিনিস আগে কিছুই বুঝতাম না।কারন এ ব্যাপারে একেবারে আমি নিরক্ষর বলে ধরা যায়।কারন পাঠ্যবই ছাড়া বাহিরের জ্ঞান সম্পর্কে আমার ধারনা খুবই কম। তাছাড়া বাসায় কোন ইন্টারনেট লাইন ছিলো না, এমনকি আমি স্মার্ট ফোন ব্যবহার করি ইউনিভার্সিটির সেকেন্ড সেমিস্টার থেকে তখন মাঝে মাঝে মেগাবাইট ব্যবহার করে কেবল মাএ ফেসবুক চালাতাম এর বাহিরে আমি তেমন কিছুই জানতাম না।
অনলাইন ইনকাম সম্পর্কে আমি প্রথম জানতে পারি আমার এক স্কুল ফ্রেন্ড এর কাছ থেকে। ও তখন ফ্রিল্যানসিং সম্পর্কে অল্প কিছু কথা বলে আসলে ও তেমন কিছু জানতো না।তারপর বেশ কিছুদিন পর ২০১৯ সালের ফার্মগেটে একটি কোর্সে আমরা দুইজনই ভর্তি হই ২০% ডিসকাউন্ট এ।সেখানে আমরা ফটোশপ ও ইলাস্ট্রেটর এর কোর্স করার জন্য ফ্ররম পূরন করি।
তখন আমার নয়মাসের বাবুকে রেখে আসা যাওয়া মিলে প্রায় সাতঘন্টা ধরে বাহিরে অনলাইন কোর্স করা হতো।পরে সেখানে কাজ শেষ করে ট্রেনার হিসেবে জয়েন্ট দিতে বলেছিলো কিন্তু বাসা থেকে দূরে দেখে আর বাবুকে রেখে বেশ কষ্ট হয় বিদায় বাসায় বসে বসে অনলাইন এ কাজ শুরু করি।আমি ফ্রিল্যান্সিং এর কনটেস্ট, নাইনটি নাইন ও ফাইবারে নিজের কাজ জমা দিতে থাকি,কিন্তু সেখানে ফিডব্যাক ভালো ছিলো কিন্তু তখন অব্দি আমি কোন কাজ পাইনি।পরে এক সময় আমার ল্যাপটপটা নষ্ট হয়ে যায় পরে আর কাজ সব বন্ধ হয়ে যায়।
এরপর যখন ২০২০ সাল করনার সময় তখন বাবার কাছ থেকে জানতে পারি এই স্টিম সম্পর্কে। তবে বাবা ও খুব ভালো জানতো না,তবে বাসায় এসে হাফিজ ভাই এবং আইরিন আপু হ্যাসবেন্ড সম্পর্কে বলতো।তারা যে লেখালেখি করতো এগুলা এসে বাসায় এসে আমার সাথে আলোচনা করতো।আমি তখন বাবার কথাতে তেমন পাওা দিতাম না বেশ অবাক লাগতো এগুলা কি বলে বাবা , এমন ভাবে কি ইনকাম হয় নাকি।বারবার বাবা বলতো বিদায় একদিন বলেছিলাম আমাকে তাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে যেন আমি বুঝতে পারি।
পরে হঠাৎ একদিন আইরিন আপু হ্যাসবেন্ডকে বাবা বাসায় নিয়ে আসে আমাকে সব কিছু বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য।ভাইয়াটা আমাকে খুব সুন্দর করে বুঝিয়ে আইডি খোলার ব্যাপারে ডিটেইলস বলে দেয়।তারপর সেখানে আমি আস্তে আস্তে কাজ শুরু করি।পোস্ট করি ঠিক কিন্তু তখনও আমার বিশ্বাস হতো না এটা মাধ্যমে যে ইনকাম করা যায়।আমি প্রায় আইরিন আপুকে ফোন দিয়ে দিয়ে জিজ্ঞেস করতাম আপু আমার ওয়ালেটে কত টাকা জমা হয়েছে কিংবা বাংলাদেশী টাকায় কত টাকা হলো,কারন আমি তখন কিছুই জানতাম না।কেবল ক্লাস শুরু করে তিন নম্বর মার্ক ডাউনের ক্লাস করতাম তখন।আইরিন আপু আবার আমাকে বুঝিয়ে বলে দিতো।
যাইহোক আস্তে আস্তে যখন আমি ভেরিফাই মেম্বার হই তখন সুপার একটিভ লিষ্টে নাম আসে আগের থেকে ভোটের পরিমান বাড়তে থাকে।এবং ওয়ালেট এসবিডির পরিমান বাড়তে থাকে।সুপার একটিভে টায়ার একে থাকার জন্য মোটামুটি ভালোই সময় দিতে হতো আমার। তখন হ্যাসবেন্ড বেশ ব্যাঙ্গাতো বলতো এভাবে কি টাকা ইনকাম করা যায় আজাইরা সময় নষ্ট করছো তুমি তারচেয়ে আবার ফটোশপের কাজ শুরু করো।কিন্তু কেন জানি স্টিমের কাজ করতেই ভালো লাগতো ফটোশপের কাজ করতে একদমই ভালো লাগতো না আমার।হ্যাসবেন্ডের কথা মাঝে মাঝে বেশ রাগ হতো।
তারপর ও কাজ করে যেতাম।হঠাৎ ২০২২ সালে ২৩ রমজান স্টিমের প্রাইজ প্রায় ৫১ টাকা করে হয়ে যায়।পরে আইরিন আপুকে বলি আমার যে লিকুইড স্টিম আছে তা সেল করে দিতে পরে আইরিন আপুর হ্যাসেবেন্ডর সহযোগিতায় বাইনান্স থেকে প্রায় ৬০০ স্টিমের মত সেল করি।সব মিলে প্রায় আমার হাতে ২৮০০০ টাকা আসে।এই ২৮০০০ টাকায় ছিলো আমার জীবনে প্রথম অনলাইন ইনকাম।
সে টাকা বের করে যেহেতু রোজা ছিলো তাই সবাইকে ইফতারের উদ্দেশ্যে বিরিয়ানি খাওয়ালাম।আর কিছু টাকা গরীবদের দান করা হয়েছিলো আর একটা ভালো কাজ করেছিলাম।একজন বেশ অসহায় ছিলো কিছু টাকা ধার চেয়েছিলেন তাকে টাকাটা ধার দিয়েছিলাম,এবং ঈদ উপলক্ষে সবাইকে শপিং করে দিয়েছিলাম,তবে নিজের জন্য কোন কিছুই কেনা হয়নি তবে বেশ আনন্দ লেগেছিলো নিজের ইনকামের টাকা দিয়ে সবাইকে কিছু না কিছু দিতে পেরেছিলাম।তারাও বেশ খুশি হয়েছিলো আমার কাছ থেকে গিফট পেয়ে।
সেইদিন বেশ খুশি হয়েছিলাম এবং হাসব্যান্ড এর ব্যাঙ্গানোর প্রতিশোধ নিতে পেরেছিলাম।🤣🤣আবার আসবো অন্য কোনো দিন ,অন্য কোন ব্লগ নিয়ে ,সেই অব্দি ভালো থাকবেন ,সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায়।
এতক্ষন সাথেই থাকার জন্য ধন্যবাদ |
আপনাকে প্রথমেই কন্টেস্টে এ অংশগ্ৰহণের জন্য শুভকামনা জানাই।আপনার প্রথম ইনকাম শুরু হয়েছিল স্টিমিট থেকেই জেনে ভালো লাগলো।আপনি এখানে আসার আগেও অনলাইন কোর্স করেছিলেন ফটোশপের উপর।কিন্তু বাবুকে রেখে যাওয়া আসা কষ্ট হতো তাই সেখানে ট্রেইনার পদে যোগদান করেন নি। আপনার পোস্টটি পড়ে বেশ ভালো লেগেছে।ধন্যবাদ আপু সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আপনি আমার পোস্ট পড়েছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো।আসলেই তখন সময়টা সুযোগে ছিলো কিন্তু বাবুটার দিকে তাকিয়ে আর পারলাম না।ধন্যবাদ
আপু বাসায় যদি ছোট বাবু থাকে তাহলে যে কোন কাজ করা দুষ্কর হয়ে যায়। আর তাই হয়তো আপনি অনলাইন কোর্স কমপ্লিট করে ট্রেইনার হিসেবে যোগদান করতে পারেননি। যাইহোক আপু, পরবর্তীতে আপনি আপনার বাবার সন্ধানে থাকা আইরিন আপুর হাজবেন্ডের মাধ্যমে সবকিছু বুঝে শুনে আমাদের প্রিয় এ কমিউনিটিতে কাজ করতে শুরু করেছিলেন এবং সেখানে প্রথম আপনি ২৮ হাজার টাকা ইনকাম করতে পেরেছিলেন, কথাটি জেনে খুব ভালো লাগলো। আর সেই টাকা দিয়ে আপনি রোজাদার মানুষদেরকে ইফতার খাইয়েছিলেন যা সত্যিই প্রশংসনীয়। এছাড়াও অসহায় মানুষকে টাকা ধার দেয়া এবং ঈদ উপলক্ষে সবাইকে টুকিটাকি জিনিস কিনে দেয়া, সব মিলিয়ে আপনার প্রথম ইনকামের টাকা বেশ ভালই কাজে লেগেছে আপু। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু, আপনার প্রথম অনলাইন ইনকামের অভিজ্ঞতাটুকু শেয়ার করার জন্য।
হুম আসলেই ছোট বাবু নিয়ে কাজ করা বেশ মুশকিল।হুম আমার প্রথম অনলাইন ইনকাম ছিলো ২৮০০০ টাকা।যদিও অফলাইন ইনকাম ছিলো আগে।
আপু আপনার প্রথম ইনকামের অভিজ্ঞতার গল্প পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আপনার প্রথম পথ চলা স্টিমিট থেকে জেনে সত্যি ভালো লাগলো। আজকে এই পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগছে। ধন্যবাদ আপনাকে আপু আপনার জন্য শুভকামনা রইল
প্রথম অনলাইন ইনকামের অভিজ্ঞতা পড়ে আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপু আপনাকে
আপনার প্রথম অনলাইন ইনকামের অভিজ্ঞতা জেনে ভালো লাগলো আপু। আপনি তাহলে আপনার বাবার কাছে হাফিজ ভাই আর আইরিন আপুর হাজবেন্ডের কথা শুনে প্রথমে গুরুত্ব না দিলেও, পরবর্তীতে আইরিন আপুর হাজবেন্ডের থেকে স্টিমিটের বিভিন্ন কাজকর্ম দেখে সুন্দরভাবে এখানে যাত্রা শুরু করেছেন দেখছি এবং প্রথমবার সেখান থেকে বেশ কিছু টাকা তুলে সবাইকে ইফতারের বিরিয়ানি আবার গরিবদের মধ্যে কিছু টাকা দানও করেছিলেন দেখছি। আর আপনার হাজবেন্ডের বাঙ্গানোর প্রতিশোধ নিতে পেরেছিলেন জেনে খুব মজা পেলাম, হি হি হি।
হুম এই ব্যাপারে তিনজন মানুষ আমাকে বেশ উপকার করেছে,তাদের কাছে কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর সবসময়ই। ধন্যবাদ
আপু আপনি নিজের উপার্জনের টাকা দিয়ে গরিব দুঃখীদের খাইয়েছিলেন এবং সাহায্য করেছিলেন জেনে সত্যিই ভালো লাগলো। সবাই আপনাকে সাহায্য করেছিল এবং আপনিও ভালোভাবে কাজটা শিখে গিয়েছিলেন বলেই সফলতা পেয়েছেন। অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপু।
প্রথম ইনকাম বলে কথা আপু, 😃😃।হুম হাফিজ ভাই, আইরিন ও তার হ্যাসবেন্ড বেশ সাহায্য করেছে।ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণ করেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো আপু। আপনি প্রথম অনলাইন থেকে ২৮ হাজার টাকা তুলে রোজাদার ব্যক্তিদের ইফতার করেছেন এটা খুবই ভালো বিষয়। আপনার প্রথম অনলাইন অভিজ্ঞতার পোস্ট পড়ে খুবই ভালো লাগলো আপু। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আসলে সময় এবং সুযোগ পেলে চেষ্টা করি যে কোন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মতামত দেওয়ার জন্য।